ইয়াজুজ মাজুজ কি মুক্ত, নাকি বন্দী?
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ০১ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:৩৭:০৩ রাত
আমি ইয়াজুজ-মাজুজ ও দাজ্জাল বিষয়ক ৫ম পোস্টে যুক্তি-প্রমাণ হাজির করেছি যে, ইয়াজুজ মাজুজ মুক্ত, বন্দী নয়। লিংকে ক্লিক করে ৫ম পর্ব পড়ুন Click this link এটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তাই আলাদাভাবে এই ব্লগপোস্ট লেখা হল, যেখানে যুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সরাসরি কুরআন-হাদিস দিয়ে, আমার দাবি সত্য প্রমাণের জন্য। "মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই ত্বরাপ্রবণ, শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব;সুতরাং তোমরা আমাকে তারাহুড়ো করতে বলো না।(আম্বিয়া:৩৭)" এই লেখাকে যুক্তিযুক্ত করতে গিয়ে দীর্ঘ হয়ে যেতেই পারে কারণ তাড়াহুড়ো করে কিছু বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব না, তাই যাদের ধৈর্য নেই তারা লেখা না পড়ে তর্কে জড়াবেননা।
নিঃসন্দেহে আরবদের মাঝে শাইখ বিলাল আসাদ এবং অনারবদের মাঝে আমেরিকার ডঃ ইয়াসির কাজি বর্তমানকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার। কুরআন হাদিসের আলোকে অসাধারণ যুক্তি প্রদর্শনে উভয়েই বাকপটু।
#শাইখ বিলাল আসাদ তার ইয়াজুজ মাজুজ বিষয়ক লেকচারে বলেন, দেখুন, কুরআনের তাফসীরে বলা হয়েছে যুলকারনাইনের ৩য় যাত্রাটি ছিল উত্তরে। সেখানে তিনি দুই পাহাড়ের গীরিপথ লোহার দেয়াল দিয়ে আটকে দেন ইয়াজুজ মাজুজের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা সেই লোকেশন নিয়ে কথা বলতে চাইনা।
#ডঃ ইয়াসির কাজি তার ইয়াজুজ মাজুজ বিষয়ক লেকচারে বলেন, "এটা সত্যিই আমাদের জন্য বিস্ময়কর ব্যাপার যে, পৃথিবীকে অগণিত স্যাটেলাইট ক্যামেরা ঘীরে রয়েছে, গুগল সমস্ত পৃথিবীর ম্যাপ তৈরী করে ফেলেছে পৃথিবীর কোন কিছুই আজ গুপ্ত নেই অথচ আমরা এত রকমের প্রযুক্তি থাকার পরেও আমরা ইয়াজুজ মাজুজের লোহার দেয়াল খুঁজে পাচ্ছিনা, তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারছিনা। আর তাই এই টপিকটা ব্যাখ্যা করাই আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে কারণ কুরআন-হাদিস এমন বিষয় নিয়ে তথ্য প্রদান করছে যা স্পষ্টত আমাদের কাছে গোলকধাঁধা। কাজেই যেহেতু হাদিসে বলা হয়েছে, ঈসা (আঃ) এর হাতে জেরুজালেমের লুদ নামক স্হানে দাজ্জালের মৃত্যুর পর ইয়াজুজ মাজুজ জেরুজালেমে জড়ো হবে। তাই মুসলিম হিসেবে এই ব্যাপার বিশ্বাস করতে হবে। এমন হতে পারে, মহান আল্লাহ তাদের মাটির নীচে কোথাও যুলকারনাইন কর্তৃক নির্মিত অদৃশ্যমান দেয়াল দ্বারা বন্দী করে রেখেছেন তাই আমাদের নজরে পরছেনা। তবে এব্যাপারে আল্লাহ ভাল জানেন।"
#এটা যে শুধু তাদের নিজেদের অবস্হান ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়, অধিকাংশ আলেম ইয়াজুজ মাজুজের ব্যাপারে মোটেও আলোচনায় যেতে চাননা। এই টপিক সামনে আসলে তারা ইয়াজুজ মাজুজকে এই বলে লোহার দেয়ালে দুই পাহাড়ের গীরিপথে বন্দী করে ফেলেন যে, ঈসা (আঃ) আসার আগ পর্যন্ত তারা বন্দী থাকবে তাই সে ব্যাপারে চিন্তা বাদ দিন।
প্রশ্ন হল, আমরা কুরআনের প্রাচীন তাফসীর গ্রন্হগুলিকে কেন অবজ্ঞা করব, যেখানে সেই তাফসীরকারকগণ যুগের দিক থেকে রাসূল (সাঃ) এর নিকটবর্তী ছিলেন?
#আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, ইয়াজুজ মাজুজ প্রতিদিন দেয়ালটি খনন করতে থাকে আর যখন এই অবস্হা হয় যে তা তারা ভেঙ্গে ফেলবে, তখন তাদের গোত্রনেতা বলে, আজ এইটুকুই থাক (রাত হয়ে যাচ্ছে) আগামীকাল সকালে এসে বাকিটুকু শেষ করা যাবে। কিন্তু পরেরদিন সকালে যখন তারা প্রত্যাবর্তন করে তারা দেয়ালটিকে আবারো পূর্বের মতই পরিপূর্ণ ও আরো মজবুত হিসেবে পায়। কিন্তু কিয়ামত নিকটবর্তী সময়ে একদিন সন্ধায় তারা বলবে, ইনশাআল্লাহ আমরা আগামীকাল দেয়ালের বাকিটুকু ভেঙ্গে ফেলব। পরেরদিন তারা ফীরে এসে দেখবে তারা যেভাবে দেয়ালটি প্রায় ভঙ্গদশায় রেখে গিয়েছিল তা ঠিক সেভাবেই আছে, ভাঙ্গা জায়গা পুরণ হয়নি আর মজবুতও হয়নি। তখন তারা তা ভেঙ্গে ফেলবে আর পৃথিবীতে বেরিয়ে আসবে। (মুসলিম: অধ্যায় ৫৫/ফিৎনা,হাদিস নং: ৬৯৭১, পাবলিশার: ইফাঃ)
# কিন্তু সেই দেয়ালে আজো আমরা ইয়াজুজ মাজুজকে কিভাবে বন্দী করে রাখব যেখানে খোদ রাসূল (সাঃ) ১৪০০ বছর আগেই নিজের অঙ্গুল দ্বারা ৯০ ও ১০০ এঁকে জানিয়েছিলেন, তাদের দেয়ালে মহান আল্লাহ এই পরিমাণ ছিদ্র করে দিয়েছেন অর্থাৎ মহান আল্লাহ নিয়ম অনুযায়ী অন্যদিনের মত সেই ছিদ্রপথ আর পূর্ণ করেননি বরং সে অবস্হাতেই রেখে দিয়েছেন। এতে কি প্রমাণ হয়না তারা আগেরদিন সন্ধায় ইনশাআল্লাহ বলেছিল? "তাহলে কিভাবে আর পরের দিন তারা সেখানে বন্দী থাকতে পারে??" রাসূল (সাঃ) বেশ কয়েকদিন, বেশ কয়েকজনকেই এই একই কথা বলে সতর্ক করেছেন যে, ইয়াজুজ মাজুজের দেয়াল আল্লাহ ছিদ্র করে দিয়েছেন আর তারা হবে আরব ধ্বংসের কারণ যখন আরবরা (ইসলাম ছেড়ে) মারাত্নক পাপাচার ও আশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়বে (বুখারী শরীফ: অধ্যায়: ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত এবং ৫০/আম্বিয়া কিরাম)
অর্থাৎ তারা হল মুসলিমদের জন্য শাস্তিস্বরূপ কারণ আরব তথা মুসলিমগণ ইসলাম ছেড়ে অশ্লীলতা ও পাপাচারের রাস্তায় পরিচালিত হবে। এটি পবিত্র কুরআনের দুটি আয়াতের সত্যতাই নির্ণয় করে যা বলে দিচ্ছে:
# যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংশ করার ইচ্ছা করি তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে(সৎকর্ম করতে)আদেশ করি; কিন্তু তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে; তখন সেই জনপদবাসীর উপর দন্ডাজ্ঞা অবধারিত হয়ে যায় এবং আমি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি। (সূরা বনী ইসরাইল:আয়াত:১৬)
#এমন কোন জনপদ নেই যা আমি কিয়ামত পূববর্তী সময়ে ধ্বংস করব না, অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দিবনা; এটা তো কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। (সুরা বনী ইজরাইল: আয়াত: ৫৮)
#রাসূল (সাঃ) বলেন, ফিৎনা, ফ্যাসাদ ও বিশৃংখলা ছড়িয়ে পরার পূর্বেই তোমরা কল্যাণকর কাজে আত্ননিয়োগ কর। এই বিপর্যয় তোমাদেরকে অন্ধকার রাতের মতই গ্রাস (বিভ্রান্ত ও ভুল পথে পরিচালিত করবে) করে ফেলবে। কোন ব্যক্তির ভোর হবে মুমিন অবস্হায় কিন্তু সন্ধা হবে কাফির অবস্হায়। তার সন্ধা পার হবে মুমিন অবস্হায় কিন্তু সকাল হবে কাফির অবস্হায়। মানুষ দুনিয়ার সামান্যতম স্বার্থের বিনিময়ে নিজের দীনকে বিক্রি করে দিবে। (মুসলিম: অধ্যায়: ৫৫/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত)
#সহীহ বুখারীতে একটি হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে যে, জনৈক সাহাবী সেই দেয়ালটি দেখে রাসূল (সাঃ) কে জানালেন, সেটি দেখতে রেখাযুক্ত চাদরের মত যাতে লাল ও কালো রেখা আছে। রাসূল (সাঃ) জবাব দিলেন, তুমি সত্য বলেছ। আর কুরআন ও আমাদের কোন আদৃশ্য দেয়ালের কথা বলেনি তাই ব্যাপারটি অস্পষ্টতা থেকে মুক্ত যে, এটি অবশ্যই দৃশ্যমান ছিল। তাহলে আজ আমরা কেন ১২০০০ হাজার স্যাটেলাইট ক্যামেরা ও গুগল ম্যাপ দিয়ে তাদেরকে ও তাদের দেয়ালকে দেখতে পাইনা? উত্তর সহজ মহান আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই দেয়াল মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন, আর ইয়াজুজ মাজুজও সেখানে অবস্হান করছে না তারা মানুষের মাঝে মিশে গিয়েছে। যেটি আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেছেন যে, তারা বেরিয়ে আসবে লোকদের কাছে পৌছে যাবে ও জনগণের মাঝে ছেয়ে যাবে। ( ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ৩০/ ফিৎনা, পরিচ্ছদ ৩০/৩৩, হাদিস নং: ৯/৮0৭৯)
তিনি আরও বলেন, এমনকি ইয়াজুজ মাজুজ বের হবার পরেও মানুষ মক্কায় হজ্জ ও ওমরাহ পালন করবে। ( সহীহ বুখারী: অধ্যায়: ২২/ হজ্জ হাদিস নং: ১৪৯৮, পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
হারমালা (রাঃ) তার খালা হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা বলছ, এখন শত্রু নেই। কিন্তু তোমরা শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতেই থাকবে। শেষপর্যন্ত আল্লাহ ইয়াজুজ মাজুজকে প্রেরণ করবেন। তারা হবে চওড়া চেহাড়া ও ছোট চোখ বিশিষ্ট। তাদের চেহারা হবে প্রশস্ত ঢালের মত। (মুসনাদে আহমাদ, তাফসীরে ইবনে কাসির সুরা আম্বিয়ার ব্যাখ্যা অংশ)
তাদের ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসকে দুভাগে ভাগ করা যায়।
১. ঈসা (আঃ) এর সাথে সম্পর্কহীন হাদিস
২. ঈসা (আঃ) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হাদিস।
#যেসব হাদিস ঈসা (আঃ) এর সাথে সম্পর্কহীন সেখানে বলা হচ্ছে, তাদের দেয়াল আল্লাহ ছিদ্র করে দিয়েছেন অচিরেই তারা আরব ধ্বংসের কারণ হবে যখন আরবরা পাপাচার ও অশ্লীলতায় জড়িয়ে পরবে।
#আর যে হাদিসে ঈসা (আঃ) এর সাথে ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কযুক্ত সেখানে বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে জানিয়ে দিবেন যে, ইয়াজুজ মাজুজ জেরুজালেম অভিমুখে আসছে তাই তুমি তোমার মুসলিম সাথীদের নিয়ে তুর পাহাড়ে পালিয়ে যাও। ঈসা (আঃ) তুর পাহাড়ে মুসলিমদের নিয়ে আত্নগোপন করবেন ইয়াজুজ মাজুজ জানতেও পারবেনা সেখানে মুসলিমরা অবস্হান করছে তারা বলবে যে, আমাদের বিরোধীতা করার মত কেউ জীবিত নেই। আলী (রাঃ), আবু হুরাইরা, আবু সাইদ খুদরী, উম্মে সালামা ও আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদিস হতে আমরা জানতে পারি, দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় মালহামাতুল কুবরা বা মহাযুদ্ধের পর ঈমাম মাহদী (আঃ) এর সাথে স্বল্পসংখ্যক মুসলিমই জীবিত থাকবেন যারা ঈসা (আঃ) এর সাথী হবেন এবং তারা সবাই হবেন মুমিন আর এই কারণেই পুরষ্কারস্বরূপ মহান আল্লাহ প্রথমবার তাদের দাজ্জালের হাত থেকে বাঁচাবেন এবং পরেরবার ইয়াজুজ মাজুজের ফিৎনা হতেও বাঁচাবেন।
তাহলে ৬ টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্হের ফিৎনা অধ্যায়সমূহ এর খন্ড খন্ড হাদিস একত্র করে আমরা এই চিত্রই পাচ্ছি যে, ইয়াজুজ মাজুজকে রাসূল (সাঃ) এর জীবিত থাকাকালেই ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। আর আরব তথা মুসলিমরা যখন ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে, অমুসলিমদের অনুসরণ করবে পাপাচার ও অশ্লীলতায়, এমনকি শেষআশ্রয়স্হল সিরিয়ার মানুষ পর্যন্ত পাপাচারী হয়ে পরবে তখন আল্লাহ শাস্তিস্বরূপ আরবে ইয়াজুজ মাজুজকে প্রেরণ করবেন যারা আরবে যুদ্ধ-বিগ্রহ শুরু করবে এমনকি শেষপর্যন্ত তারা মালহামাতুল কুবরা বা মহাযুদ্ধ লাগিয়ে দিবে যাতে অধিকাংশ মুসলিম মারা যাবে যারা। স্বল্পসংখ্যক মুসলিম বেঁচে থাকবে যারা মুমিন। তাদের ঈমানের পুরষ্কারস্বরূপ মহান আল্লাহ এদেরকে দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
যদি তারা মুক্ত হয়, তাহলে তারা কি করছে?
তারাই আজ কিয়ামতের দিন পৃথিবীর প্রতি ১০০০ মানুষের মাঝে ৯৯৯ জনকেই জাহান্নামী বানানোর কাজ করছে (সহীহ বুখারী, অধ্যায়: ৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৩১০৯ ও ৩১১১)
তাদের গন্তব্য কোথায়??
যে জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, তার অধিবাসীদের ফীরে না আসা অবধারিত।
যতক্ষণনা ইয়াজুজ মাজুজকে মুক্তি দেয়া হবে এবং তারা প্রতি উচ্চভূমি হতে দ্রুত ছুটে আসবে। (সূরা আম্বিয়া- ২১: ৯৫-৯৬)
বাইবেল বলেছে, তাদের গন্তব্য হবে জেরুজালেম তথা ফিলিস্তিন।
হাদিসও সেই একই কথা বলছে, বাইতুল মুকাদ্দিস/ফিলিস্তিন।
এমনকি ইজরাঈলের বাসিন্দা ইউরোপীয় ইহুদিরা যারা রাশিয়ানদের ইয়াজুজ মাজুজ দাবি করে, তারাও প্রচার করে রাশিয়ান ইয়াজুজ মাজুজ ইজরাঈলে হামলা করবে।
#আল্লাহ আদ, সামুদ, সাদুম, তুব্বা, মাদাইন, ফিরআউন প্রতিটি জনপদের অধিবাসীদের তাদের বংশধরসহ চুড়ান্তরূপে ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন, তার অধীবাসীরা মৃত, তাদের শহরগুলির চিহ্নও নেই- কাজেই তাদের কোনভাবেই ফীরে আসা সম্ভব না। শুধুমাত্র তারাই ফীরতে পারে যাদের শহর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়নি, ধ্বংস হয়েছে বহিঃশত্রুর ভয়ানক আক্রমণে। তারা বহিষ্কৃত হলেও, অনেক লোক মারা গেলেও কিছু বংশধর জীবিত ছিল যারা ফেরার ক্ষমতা রাখে তবে শর্ত হল তাদের জনপদটির অস্তিত্ব থাকতে হবে।
সেই জনপদ কি জেরুজালেম নয়? আল্লাহ কি টিটাস নের্তৃত্বাধীন রোমান আর্মি দ্বারা ৭০ খ্রিস্টাব্দে জেরুজালেম ধ্বংস করেননি? বনী ইজরাঈলকে বহিষ্কার করেননি? তার জীবিত অধিবাসীগণ কি আজকের বনী ইজরাঈলীদের পূর্বপুরুষ নয়? তাদের বংশধরেরা এখানে ফীরে এল কিভাবে?
নিঃসন্দেহে এই জনপদ ইয়াজুজ মাজুজের সাথে সম্পর্কিত। এটা কি স্পষ্ট হয়নি যে, ইয়াজুজ মাজুজকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাই বনী ইজরাঈলীরা আজ জেরুজালেমে প্রত্যাবর্তন করেছে?
এটির ব্যাপারে কুরআনও নিশ্চিতভাবে ঘোষণা দিচ্ছে যে, এরপর আমি বনী ইজরাঈলকে বললাম, তোমরা ভূপৃষ্ঠে (জেরুজালেম) বসবাস কর অতঃপর যখন প্রতিশ্রুত কিয়ামত আসবে তখন আমি তোমাদেরকে সংমিশ্রিত দলবল (জনগোষ্ঠী) হিসেবে হাজির/একত্র করব। (সূরা ইসরা/বনী ইজরাঈল: ১০৪)
রাসূল (সাঃ) জেরুজালেমের ব্যাপারে ২টি ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। এর বিজয়কে মঙ্গল ও কিয়ামতের আলামত ও অন্যবার জেরুজালেমের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে মদিনার অমঙ্গলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
#আওফ ইবনে মালিক আল আশজাঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাবুক যুদ্ধের সময় রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেন, হে আওফ! কিয়ামতের পূর্বের ৬ টি আলামত মনে রাখবে। তা হল, আমার মৃত্যু। আমি (আওফ) খুব ব্যথিত হলাম। তিনি বললেন, এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়। (টপিকের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশটুকুই উল্লেখ করা হল।) {ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ৩০/আল ফিতান, হাদিস নং: ৪০৪২)
এটি মঙ্গলের প্রতিক যার প্রতিশ্রুতি সূরা আনআম: ৬:১৬৫- নং আয়াতে করা হয়েছে যা উমার (রাঃ) এর সময় বাস্তবরূপ লাভ করে।
অমঙ্গলের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী:
#আব্বাস আম্বারী (রহঃ) ---- মুআয ইব্ন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, বায়তুল মুকাদ্দিসের প্রতিষ্ঠা মদীনার অমঙ্গলের কারণ হবে। আর মদীনার অমঙ্গল মালহামাতুল কুবরা (মহাযুদ্ধ) সৃষ্টির কারণ হবে। বস্তুত মালহামার সৃষ্টি কুসতুনতুনিয়া (কনস্টানটিনোপল) বিজয়ের কারণ হবে এবং কুস্তুনতুনিয়ার (কনস্টানটিনোপল) বিজয়-দাজ্জাল বের হওয়ার কারণ হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর হাত মুআয (রাঃ)-এর কাঁধে বা হাঁটুতে মেরে বলেন, এ সবই সত্য, যেমন তুমি এখানে আছো-তা সত্য; যেমন তুমি বসে আছো-তা সত্য। ( আবু দাউদ: অধ্যায় ৩২-যুদ্ধ-বিগ্রহ, পরিচ্ছদ: ৩. হাদিস নং: ৪২৪৪, ইফাঃ)
আমরা দেখেছি সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর তার রাজধানী হয়েছে রিয়াদ এবং ইজরাঈল রাষ্ঠ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে মদিনা শহর নিছক তীর্থস্হানে পরিণত হয়েছে। এটি এখন গুরুত্বহীন শহর যার মর্যাদা ও প্রভাব এখন আর অবশিষ্ট নেই। আর মদিনার শিক্ষাও মুসলিমদের মাঝে চর্চা নেই।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এটাই, ইজরাঈল রাষ্ঠ্র যারা প্রতিষ্ঠা করেছে এরা কেউ নবী ইসহাক (আঃ) এর বংশধর বনী ইজরাঈল নয়, এরা সেমেটিকও নয়। বিস্ময়করভাবে হিটলারের হাতে শুধুমাত্র সেসব ইহুদি জনগোষ্ঠীই হত্যার শিকার হয়েছিল যারা সেমেটিক, যারা নবী ইসহাক (আঃ) এর বংশধর-বনী ইজরাঈল। এরপর আমরা আজ দেখছি গোটা ইহুদী জনসংখ্যার ৯০% বা তারও বেশি মানুষই নন-বনী ইজরাইলি ইহুদি, যারা ইউরোপিয়। আরো ভালোভাবে বললে, তারা ইয়াফিস {নুহ (আঃ)এর পুত্র} পুত্র গোমার ও তার পুত্র তোগারমাহ এর বংশধর, যার বড় অংশই তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আমরা জানি, ইয়াজুজ মাজুজও সেই একই বংশধারা থেকে উদ্ভুত। তাহলে ইজরাঈল নিয়ন্ত্রক এই ইউরোপীয় ইহুদিরা কারা যারা গোটা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করছে? যারা ইজরাঈলের গালিলী হ্রদ ও জর্ডান নদীর পানি বিস্ময়করভাবে নিঃশেষ করে ফেলছে, যা পানিহীন ধুলার চর মানেই দাজ্জালের আগমণ?
আমি আমার আগের যুক্তিগুলোও ছাড়ছিনা।Click this link
বিষয়: বিবিধ
৫৭৮৭ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদের কিছু ছবি দেন তো , কি রকম সামন্জস্য আছে কথায় আর বাস্তবে ?
আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, দাজ্জাল প্রাচ্যের খোরাসান অঞ্চল থেকে বের হবে। এমনসব জাতি তার অনুসরণ করবে যাদের মুখমন্ডল হবে ঢালের মত চেপ্টা ও মাংসল। (সুনানে ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ৩০/আল ফিতান {কলহ-বিপর্যয়} ২/৪০৭২, পাবলিশার: বাংলা হাদিস)
কুতায়বা (রহঃ) ---- আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামত ততদিন অনুষ্ঠিত হবে না, যতদিন না মুসলিমগণ তুর্কীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তুর্কীরা এমন এক জাতি, যাদের চেহারা তালের মত এবং তারা পশমের জুতা ব্যবহার করবে।( আবু দাউদ: অধ্যায়: ৩২/যুদ্ধ-বিগ্রহ, পরিচ্ছদঃ৯. তুর্কীর সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে,
হাদিস নং:৪২৫২)
কুতায়বা এবং ইব্ন সার্হ (রহঃ) ---- আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামত ততদিন অনুষ্ঠিত হবে না, যতদিন না তোমরা ঐ সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে, যারা পশম-যুক্ত জুতা ব্যবহার করে। আর তোমরা তুর্কীদেরে সাথে লড়াই করবে, যাদের চোখ ছোট হবে এবং নাক চেপটা হবে, আর তাদের চেহারা হবে ঢালের মত।(আবু দাউদ: অধ্যায়-৩২/যুদ্ধ-বিগ্রহ, পরিচ্ছদঃ ৯. তুর্কীদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে,হাদিস নং: ৪২৫৩, পাবলিশার: ইফাঃ)
তুর্ক জাতিগোষ্ঠি সম্পর্কে আপনি ইউকিপিডিয়ায় বিস্তারিত পড়তে পারেন। যাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৪০-১৬০ মিলিয়ন বলা হয়েছে। আজকের হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেন, পোল্যান্ড সহ ইউরোপের বিভিন্ন এলাকার প্রাচীন জনগোষ্ঠী ছিল মূলত তুর্ক জাতিগোষ্ঠির আর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীও তুর্ক ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মিশ্রণ। আবার আদি Germanic people, anglo-saxon যা থেকে জামার্নি, ডেনমার্ক, ব্রিটিশদের উদ্ভব এবং ইস্টার্ণ ইউরোপের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গোমার এর বংশধর। আসকেনাজি,তুর্ক-তাতার জাতিগোষ্ঠীও গোমারের বংশধর। মাগগ ছিল আবার গোমাদের ভাই। বলে রাখা ভাল, এটা মুসলিমরাও সমর্থন করেন যেহেতু হাদিসের বক্তব্যও সেদিকে যায়। রাসূল (সাঃ) বলেন, ইয়াফিস এর বংশধরেরা হল: সাকালিবা(স্লাভ), তুর্ক ও ইয়াজুজ মাজুজ এদের মাঝে কোন কল্যাণ নেই।
আর থার্টিন ট্রাইব বইটাও পড়তে পারেন। খাজার রাজ্য নিয়ে একটু বিস্তারিত পড়াশুনা করলেই আপনার কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে যাবে। ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ শতকে খাজাররা কৃষ্ঞ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগর মধ্যবর্তী এলাকায় বিশাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে যারা ছিল তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। খাজার রাজার নিজের হাতে লেখা চিঠি যা ইউকিপিডিয়া সহ, নানান ঐতিহাসিক গ্রন্হাদিতেও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেন, তারা গোমার ও তোগারমাহ এর বংশধর। একদিকে মুসলিম খেলাফত অন্যদিকে বাইজেন্টাইন রূম সম্রাজ্য। আশেপাশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীগুলো হয় ইসলাম গ্রহণ করেছে অথবা বাইজেন্টাই অর্থোডক্স খ্রিস্টবাদ গ্রহণ করেছে কিন্তু খাজাররা সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৭ম শতকে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করে নিজেদের ৩য় শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করে। মুসলিমরা তাদের সাথে সর্বদাই শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। অন্ধকারে পরে থাকা রাশিয়ানরা হটাৎ করেই এই অঞ্চলে জেগে ওঠে আর খাজারদের শত্রুতে পরিণত হয়। এরপর তারা বাইজেন্টাইন অর্থোডক্স খ্রিস্টানিটি গ্রহণ করার পর বাইজেন্টাইন-রাশিয়ান সামরিক জোটের আগ্রাসনে খাজারদের এলাকা ছোট হয়ে আসতে থাকে। বাইজেন্টানরা খাজারের আশেপাশের এলাকাগুলোর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। মঙ্গোল অভিযানে সীমিত এলকা নিয়ে টিকে থাকা খাজারদের পুরো এলাকাই হাতছাড়া হয় তখন তারা ইউরোপে ঢুকে পরে। ইউরোপ বিশেষ করে ব্রিটিশরা তাদের সাথে জোটবদ্ধ হয় এবং তাদের হাতেই ১৯১৮ সালে হেরুজালেম দখল, খেলাফত উচ্ছেদ, সৌদির জন্ম ও ১৯৪৮ সালে ইজরাঈল রাষ্ঠ্রের জন্ম হয়। আশা করি আমি কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি।
এরা ইয়াজুজ মাজুজ !!!!
কনভিন্সড হতে চাচ্ছি , পারতেছি না । আরও চেষ্টা করেন ।
আমি গত ৩ বছর এর উপর যা পড়েছি এবং যা জেনেছি - ব্যাক্তিগতভাবে আমি কনভিন্সড। কিন্তু একটা লিখায়, একটা আলোচনায় পুরো বিশ্বের বিষয়াদিকে যথাযথভাবে তুলে ধরা যায়।
আমি গত ৩ বছর এর উপর যা পড়েছি এবং যা জেনেছি - ব্যাক্তিগতভাবে আমি কনভিন্সড। কিন্তু একটা লিখায়, একটা আলোচনায় পুরো বিশ্বের বিষয়াদিকে যথাযথভাবে তুলে ধরা যায় না।
দাবী তো আপনি করতেই পারেন,
তবে আপনার "দাবী মানতেই হবে"- এমনটা যেন বলবেন না!
কারণ ঐ দাবী না-মানার অধিকারটাও আপনার দাবীর কারণেই স্বীকৃত!
জাযাকুমুল্লাহ...
আর কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি আমার লেখা পুরোপুরি পড়েননি, জাস্ট কোনমতে চোখ বুলিয়ে কমেন্ট করেছেন। মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় এটা কুরানেরই কথা। আপনার পূর্ববর্তী মন্তব্যসমূহ দেখেও এটা বুঝতে পারছি আপনি আমার উপর বেশ বিরক্ত। এগুলো কেন লিখছি?আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি? ইত্যাদি প্রশ্ন আপনি তুলেছেন। আমাকে ভুল প্রমাণ করুন, তবে অবশ্যই ভিত্তি কুরআন হাদিস হতে হবে। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
আমার মনে হচ্ছে আপনি বোধ হয় আমার মন্তব্যটি নেতিবাচক অর্থে নিয়েছেন!
সেই সাথে কিছু অভিযোগও করেছেন!
আমারও সৌভাগ্য যে, আজ আমার একটু সুযোগ মিলেছে এবং ব্লগে মন্তব্য করার ও অভিযোগ খন্ডনের সুযোগ পেয়েছি!
-মুতাশাবেহাতের যত ব্যাখ্যা ও দলিল-ই পেশ করে হোক না কেন, কখনই তা ইয়াক্বীনের স্তরে পৌঁছাবেনা! সুতরাং ভিন্নমত ও ভিন্ন ব্যাখ্যার সুযোগ অবারিতই থাকবে! আমি মন্তব্যে সেকথাই বলতে চেয়েছি!
-না পড়েই কমেন্ট করার কথা বলেছেন, সেটা তো আপনার অনুমান! অনুমানের ভিত্তিতে অভিযোগ(অনুযোগ?) করা কি যথার্থ? আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করুন!
-মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় এটা কুরআনেরই কথা, আমি কি তাতে আপত্তি করতে পারি? বিতর্ক তো মূর্খদের জন্য মরীচিকা এবং জ্ঞানপিপাসুদের জন্য ঝর্ণাধারা!
-"মন্তব্যসমূহ দেখেও এটা বুঝতে পারছি আপনি আমার উপর বেশ বিরক্ত"- হা হা, কেমনে যে আপনার এমনটা মনে হলো!! দু-একটা উদাহরণ দিলে আমার বুঝতে সুবিধে হতো!
-"এগুলো কেন লিখছি? আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি?"- এগুলো প্রশ্ন আমার এখনো আছে, জবাব পেয়েছি বলে তো মনে পড়েনা!
-যখন কোন কিছু নির্ভুল হওয়া জরুরী তখনই সেটাতে ভুল প্রমান করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে!
আপনার নিবন্ধটির অভিমতগুলো নির্ভুল হওয়া জরুরী নয়, তাই সেটা এখনও "নির্ভুল প্রমান করা"র জরুরতের আওতায় আসেনি!
তাছাড়া কোন বিষয়ের গবেষণামূলক তথ্যের ভুল প্রমান করতে হলে গবেষণাই করতে হয়!
====
ইয়াজুজ-মা'জুজ-দাজ্জাল নিয়ে কয়েকজন বেশ লিখছেন, আমরা পড়ছি এবং জ্ঞানলাভ করছি নিঃসন্দেহে! জাযাকুমুল্লাহ!
সবাইকে সব বিষয়ে গবেষক হয়ে ওঠা জরুরী নয়! কিন্তু জীবন-ঘণিষ্ট বিষয় হলে সংশ্লিষ্টতা জরুরী হয়ে পড়ে! আর তাইতো প্রশ্ন করেছি আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে- যেন এর গুরুত্বটা বুঝতে পারি!
বর্তমান বিশ্বরাজনীতিতে ইয়াজুজ-মা'জুজ-দাজ্জালের উপস্থিতি প্রমান করার একটা অভিমত/প্রচেষ্টা চলছে তা তো বুঝতেই পারি! কিন্তু সেটা তো উম্মাহর ঈমামদের দুর্বলতা/ অদূরদর্শিতা/ অনৈক্য আড়াল করার আরেকটি পথ খুলে দিতেও পারে!
====
আরো কোন অভিযোগ থাকলে বলতে পারেন, আমি কৈফিয়ত দেবো! তবে অনুরোধ করবো কারো ব্যাপারেই যেন নেতিবাচক অনুমান না করেন- এতে আখেরে আপনারই লোকসান হবে!
জাযাকুমুল্লাহ...
জী জাযাকাল্লাহ খাইর, আরো লিখতে থাকুন, আরো অনেক জানার অপেক্ষায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ
আব্বাস আম্বারী (রহঃ) ---- মুআয ইব্ন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, বায়তুল মুকাদ্দিসের প্রতিষ্ঠা মদীনার অমঙ্গলের কারণ হবে। আর মদীনার অমঙ্গল মালহামাতুল কুবরা (মহাযুদ্ধ) সৃষ্টির কারণ হবে। বস্তুত মালহামার সৃষ্টি কুসতুনতুনিয়া (কনস্টানটিনোপল) বিজয়ের কারণ হবে এবং কুস্তুনতুনিয়ার (কনস্টানটিনোপল) বিজয়-দাজ্জাল বের হওয়ার কারণ হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর হাত মুআয (রাঃ)-এর কাঁধে বা হাঁটুতে মেরে বলেন, এ সবই সত্য, যেমন তুমি এখানে আছো-তা সত্য; যেমন তুমি বসে আছো-তা সত্য। ( আবু দাউদ: অধ্যায় ৩২-যুদ্ধ-বিগ্রহ, পরিচ্ছদ: ৩. হাদিস নং: ৪২৪৪, ইফাঃ)
তবে অনুরোধ থাকবে, লিখাটি শেষ হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো লিখার ভিতরে সংযুক্ত করে বই আকারে বের করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এতে করে অনেকের উপকার হবে।
বাস্তাবতা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, আমিও এ ব্যপারে অনেকটা কনফিউজডে আছি। হয়তো আমার মতো আরো অনেকেই আছেন।
আল্লাহ সহায় হোক।
তোমার লিখা পড়ে মাথাটা ঘুরছে! অজানা অসংখ্য প্রশ্নের ভীড়ে।
তোমার শাণিত হাতের লিখনি অব্যাহত থাকুক।
অজানাকে জ্ঞাত করার মানসে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
তাদের চেহারা হবে হাতুড়ে পেটা ভাবলেশহীন।
সাদাচোখে দেখলে তো এই চেহারাও তো মিলে যায়
১। এনার ব্যাকগ্রাউন্ড ট্রেস করলে ওনার পরিবারকে জুলকারনাইনের দেয়ালের (দেয়ালের টেনটেটিভ অবস্থান ইবনে কাসির এ পাবেন, কোরানের বর্ননায় ও পাবেন) ওপারে পাওয়া যায়না।
২। ইনি জেরুজালেমমূখী নয়, জেরুজালেমকে বিশ্বের নিয়ন্তা বানাতে উনি টাকা পয়সা কিংবা ব্রেইন কিংবা পলিসি রচনা করেনা - কিন্তু খাজারিয়ান জিয়ুস ও খৃষ্টানরা করেন।
৩। উনি বিশৃংখলা কিংবা ফ্যাসাদের পয়দা করেছেন, ফ্যাসাদ প্রমোট করছেন - এমন কোন প্রমান পাওয়া যায় না - কিন্তু খাজারিয়ান রা কনস্টেন্ট তা করেন। ইয়াজুজ রূপী খাজারস্ বলবে ইউরোপের বর্ডার খোল, মাজুজ রূপী খাজারস্ বলবে উদ্ভাস্তুদের বাহির কর - টাইপের।
৪। উনি আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের মধ্যে স্পেশাল/এলিট ক্যাটাগরীতে জন্ম নিয়েছেন এমন প্রমান পাওয়া যায় না - কিন্তু খাজারিয়রা অলওয়েজ - বিশ্বময় একটা নির্দিষ্ট রিলেশানশিপ চেইন এর আওতাধীন।
৫। উনি ইভিল কিছু করলে তাকে গ্রাজুয়ালী হালাল করার জন্য কোন মাজুজীয় শক্তি নেই। কন্ট্রারী খাজারস্ ইয়াজুজ রা খুন করার পর মাজুজ খাজারস্ রা ঐ ইয়াজুজ কে ভিকটিম বানিয়ে পেলে গ্রাজুয়ালী।
৬। উনি বিশ্ব নিয়ন্ত্রক বলয়ের মধ্যে নেই। উনি লিটারেলী একটা উন্নত জাতের ওয়েল রেসপেকটেড স্লেইভ বই অন্য কিছু নন।
৭। উনি এ্যাকটিভলী নিজের বলয়ের বাহিরে গিয়ে অন্যদেরকে কনফ্লিক্টে জড়ান না। কিন্তু খাজারস্ রা নিজের দেশ ও ফিল্ড এর বাহিরে গিয়ে অন্য দেশ ও জাতির মধ্যে কনফ্লিক্ট এর বীজ এ্যাকটিভলী বুনেন। ডান পার্টি বাম পার্টি ইতর পার্টি এলিট পার্টি সর্ব দল ও মতকে ওনারা ইন্সটিগেইট করেন এবং এক দলকে অন্য দলের সাথে দ্বন্ধে নিমজ্জিত করেন।
অধুনা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জাতি গোষ্ঠি ইয়াজুজ ও মাজুজ দ্বারা এতটাই কনটামিনেটেড হয়ে ওদের কারেক্টার নিয়ে ফেলেছে - আপনি সত্যিকার ইয়াজুজ ও মাজুজের কারেক্টার বোঝার জন্য লিটারেলী ৩০/৪০ কিংবা আপনার আমার বাবা কিংবা দাদাদের কারেক্টার দিয়ে কমপেয়ার করলে একটা সত্যিকার পার্থক্য করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
আপনি এ বিষয়ে আরো যত গভীরে যাবেন, যত জানবেন - দেখবেন এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা ততটাই দুরহ, ততটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
- বিশেষ করে আপনি যখন দজ্জালকে এর সাথে ইনক্লুড করবেন এবং দেখবেন ইয়াজুজ ও মাজুজ একটা লম্বা সময় ধরে কখনো দজ্জালের সাথে আবার কখনো দজ্জালের হয়ে কাজ করছে।
- বিশেষ করে আপনি যখন রিয়ালাইজ করবেন ঐ দজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজের সাথে * সূর্য পশ্চিম হতে উঠা (ও জাতি হিসাবে ইয়াহুদীদের তওবার সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিংবা ব্যাকফুটেড হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে)এবং দাব্বাতুল আরদ তার কাজ করছে।
- প্রবলেম হচ্ছে কি বোর্ড এ যেমন এ বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা যায় না, সম্ভবতঃ একটা মুভিতে ও তা তুলে ধরা সম্ভব হবে না - যাতে দুনিয়া দ্বারা ইনডক্ট্রিন্ড আজকের যুগের এই মানুষকে আপনি তা বুঝাতে পারবেন।
- আমার অভিজ্ঞতা বলে আজকের সময়ে অন এ্যাভারেজ প্রতি ১০০০ এ ১ জন সেন্স করতে পারবে যে - তারা দজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ এর আয়াত্বাধীন, লিটারেলী বন্দী।
- ইদানিং আমার সেন্স এ আসছে ঐ হাদীসটি যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছিলেন নূহ আঃ হতে সব নবী রাসুল আঃ ই তার জাতিকে দাজ্জালের ব্যাপারে সাবধান করেছে কিন্তু তিনি কিছু অতিরিক্ত বিষয় জানচ্ছেন এবং তা জানাতে গিয়ে বলেছেন দজ্জাল একচোখে দেখবে কিন্তু তাদের রব একচোখা নন। আমরা সবাই জানি আমাদের রব এর সাথে তুল্য আসলে কিছুই নেই এবং রাসুল সঃ তা আরো ভাল করেই জানেন। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুক এমন করে বলার জন্য তারপর ও বলছি সিম্পলী সেন্স তৈরীর জন্য, রাসুল সঃ দজ্জালের একটা ফিচারকে সামহাউ আল্লাহর একটা ফিচার এর সাথে তুলনা করেছেন উক্ত হাদীসে। যদিও আমরা বুঝি এটা আক্ষরিক অর্থে নয় ইন্ডিকেটিভ অর্থে। তারপর ও এই তুলনা এই ইংগিত ই দেয় দজ্জাল একটা বার্স্ট বিষয় - যা সেন্স করা এবং তার একটা পরিপূর্ন সেইফ দেওয়া লিটারেলী অসম্ভব। কিন্তু আমাদের এই চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং অন্যদের বুঝতে চেষ্টা করা উচিত এই জন্য যে - দজ্জাল আল্লাহর পরিবর্তে তাকে মুসলমানের মনে ও বিশ্বাসে রব প্রতিপালক হিসাবে স্থাপন করবে। যেমন আমরা আজকে দেখি,আমরা মুসলমানরা সরকারকে আমাদের রব মনে করি, সাংসদদেরকে আমার রব মনে করি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসাদি চাই এবং ক্ষেত্রবিশেষে কেউ কেউ পায় ও।
- এত কিছু বললাম এই জন্য যে - হতাশ হবেন না। এই সাবজেক্ট টাই এমন। ভাইবোনদের উচিত এ্যাক্টিভলী এবং কন্স্ট্রাকটিভলী এ্যাংগেইজ হয়ে এই চরিত্র সমূহের মুখোশ উন্মোচনের চেষ্টা করা - এতে হয়তো অনেকের ঈমান ট্রু আল্লাহর কাছেই থাকবে, নতুবা মনের অজান্তে দজ্জাল নামক এই মহা প্রতারনার দ্বারা প্রতারিত হয়ে তাকে রব মেনেই মৃত্যুর কোলে প্রান দিতে হবে।
May Allah accept your effort!
Wonderful and clear explanation.
I have read 1-5 as well.
I have also heard the lecture of Imran Nazir Hossain.
I recall one saying of Dr. Esrar Ahmed where he said, when MUSLIM changed their imam( Qur'an) and took west as their new imam, they became eligible for punishment. But it is not equal for every Muslim, for the Arab it is severe and high because Qur'an was sent down in their language and Prophet ( peace and blessings be upon him) was amongst them.
Sometimes I say to my wife, we ( Bangladeshi muslim) are being punished by Allah(swt)by BAL!
Very nice post. We will wait for the next part inshaAllah!
More destruction to follow...
What will happen to us(Bangladesh)?
Allah (swt) mentioned mushrik and the Jews as the fierce enemy of Muslim. Bangladeshi politicians have found their new master( the mushrik). If anybody says Bangladesh is a sovereign country now, he is blind and the biggest liar on earth.
Thanks once again.
For Bangladesh, (If Allah wills) I do feel that US and its allies are very close to complete arming and intruding their agents in order to ensure false flag operations in here and there. I believe US backed by NATO will start bombing Bangladesh within next December 2017 under the pretext that the government is failing to contain ISIS.
2. As there are many Muslims without clue will try to resist and fight back with the government for failing to save the lives of innocents from US drones in Bangladesh - Shekh Hasina will call Indian Army and Shib Sena to wipe out Muslims resistance that will ensure to start the prolong civil war for Indian Subcontinent.
3. Gradually, operation of Kashmir and subsequent involvement of Pakistan and finally the suppressed Muslims of India will join in that civil war and fight back.
4. In the meantime I believe the so called secular leadership and so called intellectuals and agents equivalent to 1/3 will take refuge in the west as refuge (about whom was told in the jonge hadiths) while some 1/3 Muslims will be killed throughout India. and the last fighting force who will continue fight from different hiding places will win the Indian Subcontinent for Muslims. In the meantime the people of the world will experience the enmity of Mushriqs like the enmity they have experienced in Gaza by the Jews.
But surely Allah knows the ultimate truth - we only can try to assume and sense what might it would be based on the relevant quranic ayat and hadiths.
আমিন
আপনার লেখা কি ইমরান নাজির হুসাইনের লেকচার থেকে নেয়া?
কে তারা জানেন????
ইয়াজু ও মাজুজ!
আল্লাহ তাদের কে ধ্বংশ করবেন, তাদের ঘাড়ে একধরনের পোকা হবে ও তারা মারা যাবে। তার পরে তাদের লাশগুলো পাখি দিয়ে উঠিয়ে দুরে ফেলবেন। তারা লেকের পানি সব খেয়ে ফেলবে।
আচ্ছা, ঈসা (আ) কি আসছেন??
তাহলে ইয়াজুজ ও মাজুজ কি ছাড়া পেয়েছেন??
আপনি সত্য বলছেন নাকি হাদীসের অপব্যাখ্যা করছেন???
সাহাবী (রা) গন কি আপনার মতো ঐ হাদীসগুলো বুঝেছেন???
নাকি আপনি বেশি বোঝেন তাদের চেয়েও???
কোনটা???
http://www.bdface.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/78471#.V_sYu47bspF
এটা পড়তে পারেন। জাঝাক আল্লাহ
এইসব বিষয়ে আমি বিভিন্ন কারনে অাগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তা না হলে দুটি কথা বলতাম। কিন্তু আর ভাল লাগে না। মতের বিপরীত হলেই ঝাড়ি।নযর সাহেবের কাছ থেকে আমি অনেক উপকার পায়েছি। তার মধ্যে সেরা হলো অর্থব্যাবস্থা। এই ভাবে চোখে অঙ্গুল দিয়ে কেউ আমাকে ঘুম ভাঙ্গায় নি। তাছাড়া তবে ওনার শেষ জামানা বিষয়ক অনেক বিষয়ের সাথেই দ্বিমত রয়েছে। ব্যাক্তিগত ভাবে দ্বিমত না, আমার কাছে দলিলাদিও আছে। ওই যুক্তিগুলো ওনার লেখার চাইতেও যুক্তিশীল। তবে আমাকে এ বিষয়ে আর কথা না বাড়ব না।ধন্যবাদ চালিয়ে যান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন