দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ৫ম পর্ব....
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৭ জুলাই, ২০১৬, ০৭:২৭:৪৮ সন্ধ্যা
আমাদের মাঝে বিদ্যমান আলেম, যারা বলেন ইয়াজুজ মাজুজ এখনো লোহার দেয়ালের পেছনে কারারুদ্ধ হয়ে আছে, হয়ত মহান আল্লাহ তাদের মাটির নীচে কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন তাই আমরা ১২,০০০ স্যাটেলাইট ক্যামেরা, গুগল ম্যাপ দিয়েও তাদের দেখতে পাইনা বা যারা এখনো তাদের ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে বেখবর হয়ে আছেন, তাদের অবস্হা ইয়াহুদীদের ঐসব আলেমের মত যারা, নিয়মিত যাবুরে বর্ণিত মহান আল্লাহর এই আয়াত পাঠ করত যে, "নিশ্চয়ই তোমরা ভূমিতে (জেরুজালেম) দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারী হয়ে উঠবে ফলাফলে, আল্লাহ তোমাদের চরম শাস্তি প্রদান করবেন " (সূরা বনী ইজরাঈল আয়াত ৪-৬)
অথচ ইহুদি আলেমরা এই আয়াতের দরজা (ভবিষ্যৎবাণী)মানুষের নিকট হতে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল, তারা আল্লাহর বাণী দিয়ে বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে রাজি ছিলনা, ফলাফলে সত্যিই ইয়াহুদী সম্প্রদায় আল্লাহর শাস্তির ব্যাপার বেমালুম ভুলে গিয়ে মারাত্নক পাপাচার-অশ্লীলতা ও অবাধ্যতা-অহংকারে ফেটে পরল আর মহান আল্লাহ খুলে দিলেন শাস্তির দরজা, বেরিয়ে এল নেবুচাঁদনেজার (বখতে নসর -৫৮৭ খৃষ্টপূর্ব) নেতৃত্বাধীন ব্যাবিলনীয় বর্বর আর্মি, যারা ধ্বংশ করল গোটা জেরুজালেম। ইহুদিদের হত্যা করল, বন্দী করল, দাসে পরিণত করল। অথচ তাদের মাঝে নিঃপাপ শিশু ও নেক লোক বিদ্যমান ছিল। আলেমদের ঐশী জ্ঞান তাদের কোন কাজেই আসলোনা। মহান আল্লাহ ইয়াহুদী জাতিকে আবার সুযোগ দিলেন। লোকবলে, শক্তিতে শ্রেষ্ঠ্ করলেন, ফীরিয়ে দিলেন মাতৃভূমি জেরুজালেম কিন্তু আলেমরা আবারো একই পথেই হাটল। তারা আল্লাহর ভবিষৎবাণীর ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে বেখবর হয়ে গেল, আসমানি সতর্কবার্তাকে বাস্তবতা দিয়ে বুঝতে অক্ষম হল, মানুষকে রাখল অন্ধকারে তাই নির্ভয় হয়ে মানুষ আবারো হয়ে উঠল পাপাচারী, অশ্লীলতায় নিমগ্ন, অবাধ্য, অহংকারী ফলে শাস্তিস্বরূপ মহান আল্লাহ দিনের আলোতে নিয়ে আসলেন ধর্মহীন আগ্রাসী রোমান আর্মিকে। এটিই ছিল বনী ইজরাইলীদের চুড়ান্তভাবে জেরুজালেম থেকে অপমান ও লাঞ্ছনা নিয়ে বহিষ্কার করার সর্বশেষ ঘটনা। টিটাস নেতৃত্বাধীন রোমান আর্মি ৭০ খৃষ্টাব্দে জেরুজালেমে ভয়াবহ এক আক্রমণ পরিচালনা করে। মাসজিদুল আকসা ধ্বংশ করে, জেরুজালেমের বাড়িঘর চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অগ্নিসংযোগ চালায়, সমস্ত শহরজুড়ে চলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, আলেমদের জড়ো করা হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আর বনী ইজরাঈল বহিষ্কৃত হয় জেরুজালেম থেকে। তাদের আলেমদের ঐশি জ্ঞান, তথাকথিত স্রষ্টায় বিশ্বাস তাদের কোন উপকারেই আসলোনা।
এবার স্মরণ করুন, ১৪০০ বছর আগেই রাসূল (ﷺ) জীবিত থাকাকালীন সময়েই জানিয়েছিলেন, "অচিরেই আরবের ধ্বংস অনিবার্য। মহান আল্লাহ ইয়াজুজ মাজুজের দেয়াল ছিদ্র করে দিয়েছেন, মুসলিমরা যখন ইয়াহুদীদের মত অশ্লীলতা ও পাপের রাস্তায় হাটবে মহান আল্লাহ তাদের দেয়াল মাটির সাথে মিশিয়ে দিবেন তারা বেরিয়ে আসবে আর আরবে যুদ্ধ বিগ্রহ লাগিয়ে দিবে, আরবদের উপর মারত্নক জুলুম-নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ চালাবে যদিও মুসলিমদের মাঝে নিঃপাপ ও নেক মানুষ বিদ্যমান থাকবে। ভবিষ্যৎবাণী উল্লেখ করার সময় রাসূল (সাঃ) ছিলেন আতঙ্কিত, ভয় দূর করার জন্য বারবার তিনি লা ইলাহা ইল্লাললাহ পড়ছিলেন। ( বুখারী: অধ্যায়-৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৩১০৯)
আর আজ সত্যি তো এটাই, আমাদের আলেমরাও ঐশি জ্ঞান বা সতর্কবার্তা দ্বারা বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা এই ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে বেখবর হয়ে বসে আছেন। তাদের কাছে আলজাজিরা বা বিবিসি হতে প্রাপ্ত কোন খবর যতটা গুরুত্ব পায়, কুরআন-হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী বা সতর্কবাণী ততটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনা। তারা আজো ইয়াজুজ মাজুজকে বিশাল দুই পাহাড়ের গীরিপথে লোহার দেয়ালের পেছনেই সযত্নে রেখে দিয়েছেন ফলাফলে মুসলিমগণ সতর্কবার্তা ভুলে গেছে, তারা শাস্তির ব্যাপারে নির্ভয় হয়ে গেছে ফলাফলে অশ্লীলতা, পাপাচার, অবাধ্যতা ও অহংকারে ডুব দিয়েছে। আর বাস্তবতাও আজ এটাই যে, আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমি বাইতুল মুকাদ্দাস (ফিলিস্তিন) বিদেশী শত্রু দ্বারা দখল হয়ে গেছে, সেখানে অবস্হানরত মুসলিমদেরকেও ইয়াজুজ মাজুজের ন্যায় লোহার দেয়াল দিয়ে বন্দী করা হয়েছে, খাদ্য-পানিহীন শহরে তারা অবরুদ্ধ। একইসাথে অন্যান্য আরব ও মুসলিম ভূমিতেও চলছে ভয়ানক যুদ্ধ-বিগ্রহ, দাঙ্গা- হাঙ্গামা আর মুসলিমদের রক্ত ও নারীদের সন্মান এখন সবচাইতে সস্তা বস্তু অথচ তাদের মাঝে নিঃপাপ শিশু ও নেক ব্যক্তিগণ বিদ্যমান। অথচ আলেমদের ঐশি জ্ঞান ইয়াজুজ মাজুজ পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা, উম্মাহকে বাস্তবতা বোঝাতে পারছেনা। নাকি ব্যাপার এমন যে, আলেমরা কি বলবেন, যেখানে মহান আল্লাহ নিজেই আসলে প্রাগৈতিহাসিক দেব দেবীর মতই অসহায় যার রাজ্যে অসুরেরা আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে, তাই তিনি ভয়ে সব দেখেও কিছু দেখছেননা, তাই অভিভাবকহীন মুসলিমরা মন্দভাগ্যে পতিত হয়েছে? (আল্লাহ আমাদের এমন ধারণা হতে বিরত রাখুন)
কে এই মহান আল্লাহ?
তারই নিকট অদৃশ্যের চাবি রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্হলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তার অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোন বস্তু নেই যা (যার ব্যাপারে) সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) নেই। (সুরা আনাম ৬: ৫৯)
তাঁর অজ্ঞাতসারে কোন ফল আবরণ মুক্ত হয়না, কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। (হামীম আস সাজদাহ: ৪১: ৪৭)
আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করতে পারেনা। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ব্যতীত? তাদের (দৃষ্টির) সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত তার জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারেনা। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। এসবের রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করেনা; তিনি মহান, সর্বশ্রেষ্ঠ। (সূরা বাকারা: ২: ২৫৫)
যালিমরা যা করছে, সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কখনো উদাসীন ভেবোনা। তবে তিনি তাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন তাদের চোখ স্হির হয়ে যাবে।
ভীত-বিহ্বল চিত্তে আকাশের দিক তাকিয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফীরবেনা আর তাদের অন্তর হবে উদাসীন। (সূরা ইবরাহীম: ১৪: ৪২-৪৩)
কাজেই ইহুদিরা আল্লাহকে প্রত্যখ্যান করে শাস্তির ব্যাপারে ভয়ভীতিহীন হয়ে পরবে এবং অবাধ্যতা, অহংকার প্রদর্শন, পাপাচার ও অশ্লীলতায় জড়িয়ে পরবে তখন মহান আল্লাহ শাস্তিস্বরূপ ব্যাবিলনীয় আগ্রাসন ও রোমীয় আগ্রাসন চাপিয়ে দিবেন এবং তাদের আবাসভূমি থেকে তাদের বহিষ্কার করবেন ও তাদের চরম লাঞ্ছনাকর শাস্তি প্রদান করবেন। আবার যখন একইভাবে মুসলিমরাও ইহুদিদের পথ অনুসরণ করবে, আল্লাহকে প্রত্যাখ্যান করে ভয়হীনভাবে অবাধ্যতা, অহংকার প্রদর্শন, পাপাচার ও অশ্লীলতায় গা ডুবিয়ে দিবে, তখন আল্লাহ শাস্তিস্বরূপ ইয়াজুজ মাজুজকে প্রেরণ করবেন যারা মুসলিম ভূমিতে ফিৎনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে, মুসলিমদের হত্যা ও বন্দী করবে, লাঞ্ছিত করবে, ঠিক নয়কি? ভাবার্থ এটাই আসে যে, আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসকারী সম্প্রদায় যখন আল্লাহকে প্রত্যাখ্যান করে অবাধ্যতা, অহংকার প্রদর্শন ও পাপাচার-অশ্লীলতার পথ বেছে নেয়, আল্লাহ তাদের এমন কোন সম্প্রদায় দ্বারা কঠোর শাস্তি প্রদান করেন, তাদের ভূমিতে প্রবেশ করার অধিকার দিয়ে দেন যারা হয় নির্মম-বর্বর, দয়া-মায়াহীন মনুষ্য পশু। এই বর্বর, আগ্রাসী জাতিগোষ্ঠীসমূহ এর দিক লক্ষ্য করুন, এরা কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা, তারা ধর্মহীন, নির্মম, মনুষ্যত্বহীন, বিবেকহীন অথচ মহান আল্লাহ তাদের ব্যাপারে বারবার একটা শব্দ ব্যবহার করছেন, "আমার বান্দা"।
ব্যাবিলনীয় আর্মি, রোমান আর্মি সবার ব্যাপারেই মহান আল্লাহ বলছেন: অতঃপর শাস্তিস্বরূপ আমি আমার বান্দাদের ছেড়ে দিলাম। (সূরা বনী ইজরাঈল, আয়াত: ৪-৬)
আবার ইয়াজুজ মাজুজের ব্যাপারেও আল্লাহ বলছেন,আমি আমার বান্দাদের (ইয়াজুজ মাজুজ) ছেড়ে দিয়েছি যাদের মোকাবেলা করার মত শক্তি তোমাদের (মুসলিমদের) নেই। (সিয়াহ সাত্তাহ- ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত অধ্যায়সমূহ)
ধর্মহীন, অসভ্য-বর্বর চেঙ্গিস খান যখন তার উগ্র মঙ্গোল-তুর্ক জোট বাহিনী নিয়ে মুসলিম ভূমিতে আগ্রাসন শুরু করল, তার ভাষণ ছিল এটাই:- তোমাদের পাপ আমাকে এখানে ডেকে এনেছে, তাই তোমাদের স্রষ্টা তোমাদের সাথে নেই।
বাস্তবতা এই, মুসলিম উম্মাহ যখন দীন ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি ইহুদি-খ্রিস্টানদের আদর্শ হাতে হাতে-বিঘতে বিঘতে গ্রহণ করেছে, আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে ভয়হীন হয়ে মারাত্নক অশ্লীলতা ও পাপাচারে ডুবে গিয়েছে এবং ইহুদিদের মতই বলা শুরু করেছে যে, বস্তুত অমুসলিমগণই আমাদের তুলনায় অধিকতর সঠিক পথে আছে, মুসলিমদের পথ তো মূলত ভ্রান্ত ছিল- অতঃপর পরের ঘটনা এটাই, নিঃপাপ শিশু ও নেক লোক থাকার পরও মুসলিম ভূমিগুলিতে আজ প্রাণঘাতী যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে, মানুষ নিজ আবাসভূমির অধিকার হারিয়েছে, বাঁচার আশায় পঙ্গপালের ন্যায় দিগ্বিদিক ছুটছে। কারা করছে এসব? কারাই বা করাচ্ছে? অথচ এখনও আলেমরা এসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চোখ বন্ধ করে ইয়াজুজ মাজুজকে লোহার দেয়ালের পেছনে দুই পাহাড়ের গীরিপথে আটকে রেখে নিশ্চিন্তে বসে আছেন বস্তুত, তারা নিজেরাই অন্ধকারে নিমজ্জিত। হাদিসে বর্ণিত একটি রূপক অর্থ প্রকাশক ঘটনা তাদেরকে খোদ হাদিসেই বর্ণিত একাধিক ভবিষ্যৎবাণী ও যুক্তি-প্রমাণের ব্যাপারে অমনোযোগী করে দিয়েছে তাই বাস্তবতা ব্যাখ্যা করতে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
হাদিসের ভাষ্য:- ঈসা (আঃ) প্রত্যাবর্তন করবেন জেরুজালেমের লুদ নামক স্হানে দাজ্জালকে হত্যা করে পৃথিবীতে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন এবং সমস্ত মানুষ তাকে মাসীহ (আল্লাহর পক্ষ হতে প্রতিশ্রুত মুক্তিদাতা) হিসেবে চিনতে পারবে এবং ইহুদি-খৃষ্টানরাও মুসলিমদের ভাই হয়ে যাবে কিন্তু মহান আল্লাহ তাকে জানাবেন যে, আমি আমার বান্দাদেরকে (ইয়াজুজ মাজুজ) ছেড়ে দিয়েছি (যারা জেরুজালেমের দিকেই ধাবমান) তাদের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা তোমাদের নেই, তাই তুমি তোমার সঙ্গীদের নিয়ে তুর পাহাড়ে পালিয়ে যাও। ইয়াজুজ মাজুজ প্রতি উচু ভূমি থেকে নেমে আসবে ভূপৃষ্ঠের পানি পান করতে থাকবে তারা জেরুজালেমে এসে সমবেত হবে এবং তবারিয়ার (গালিলী হ্রদ) সমস্ত পানি পান করে নিঃশেষ করে ফেলবে যখন তা থেকে শুধু ধুলোই উড়বে। অতঃপর তারা (মুসলিমদের জীবিত থাকার ব্যাপারটি না জেনে) বলবে, সমস্ত মানুষ পরাভুত হয়েছে আমরাই এখন পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণকারী তবে এবার আসমানের আধিবাসীদেরও হত্যা করা যাক। তারা আকাশের দিক তীর ছুড়বে তাদের তীরগুলি রক্তমাখা অবস্হায় আল্লাহ ফীরিয়ে দিবেন তারা তা দেখে উল্লাস করবে। এদিকে লুকিয়ে থাকা মুমিনদের খাদ্য ও পানীয় ফুরিয়ে যাবে ফলে তারা তীব্র কষ্টের মুখোমুখি হবেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য কামণা করবেন। মহান আল্লাহ মুমিনদের প্রতি দয়া করবেন, ইয়াজুজ মাজুজকে ধ্বংস করবেন একটি মহামারি রোগ দিয়ে। তাদের মৃত্যুর পর মুসলিমদের গবাদিপশুর জন্য ইয়াজুজ মাজুজের দেহ ব্যতীত কোন খাদ্যই ভূমিতে থাকবেনা। জমিন ইয়াজুজ মাজুজের গলিত পঁচা দেহের গন্ধে বিষাক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরলে তারা আবারো আল্লাহর সাহায্য কামণা করবেন, মহান আল্লাহ একধরণের পাখির সাহায্যে তাদের দেহ সাগরে নিয়ে ফেলবেন। অতঃপর মহান আল্লাহ বৃষ্টি দিয়ে জমিনকে পরিচ্ছন্ন ও উর্বর করবেন ফলে প্রচুর ফল ফলাদি জন্ম নিবে, গবাদিপশু রুষ্টপুষ্ট হয়ে উঠবে এবং মানুষ খাদ্যে পরিতৃপ্ত হয়ে উঠবে, অভাব বলতে কিছু থাকবেনা, হিংসা-বিদ্বেষ বলে কিছু রইবেনা।
এই হাদিসের ভিত্তিতে আলিমদের একটি অংশ দাবি করেন যে, ইয়াজুজ মাজুজের আগমণ ঘটবে দাজ্জালের মৃত্যুর পর। তাই ইয়াজুজ মাজুজ আজো দুই পাহাড়ের গীরিপথে লোহার দেয়ালে বন্দী।
অথচ হাদিস আমাদের স্পষ্ট করেই বলছে যে, দাজ্জালের আগমণ ঘটবে খরা ও দুর্বিক্ষ নিয়ে। যখন ইজরাঈলের গালিলি হ্রদের পানি সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যাবে এমনকি তা থেকে ধুলো উড়বে, জাগার ঝর্ণার পানি শুকিয়ে যাবে এবং জর্ডানের কৃষিব্যবস্হা ভেঙ্গে পরবে এবং মালহামাতুল কুবরা বা মহাযুদ্ধের পেক্ষাপটে তুরষ্ক মুসলিমদের হাতছাড়া হয়ে যাবে, তখন দাজ্জাল মানুষের রূপে আগমণ করবে।
প্রশ্ন কি আসেনা, যদি ইজরাঈলের (তবারিয়া) গালিলী হ্রদ, জাগার ঝর্ণার পানি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে তা বালুর চরে পরিণত হবার পর, জর্ডানের কৃষিব্যবস্হা পানির অভাবে ভেঙ্গে পরার পর দাজ্জালের আগমণ হয় এবং ঈসা (আঃ) এর হাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হবার সাথে সাথেই ইয়াজুজ মাজুজ বেরিয়ে আসে এবং তারা জেরুজালেমে প্রবেশ করে, তখন তারা গালিলী হ্রদের পানি পান করে তা নিঃশেষ করবে কিভাবে, যখন তাতে ধুলোবালি ছাড়া কোন পানিই আর আবশিষ্ট নেই? এমনকি খরায় পানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎসগুলোও পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে?
ঈসা (আঃ) এর সাথে যারা অবস্হান করবেন তারা আল্লাহকে প্রত্যখ্যান করেনি, তারা অবাধ্য নয়, অহংকারী নয়, অশ্লীলতা ও পাপাচারের ধারক বাহক নয়- তারা মুমিন। তাহলে কেন আল্লাহ এক বর্বর আগ্রাসী সম্প্রদায়কে তখনই প্রেরণ করবেন যারা মুসলিমদের জন্য চরম কষ্টের কারণ হবে?
আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত বুখারী শরীফের দুটি হাদিস যার বিশুদ্ধতার ব্যাপারে সন্দেহ নেই তার ব্যাপারে আলেমরা কেন নীরবতা পালন করছেন?
আহমদ ইবনু হাফস (রহঃ) ... আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল সল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইয়াজুজ ও মাজূজ বের হওয়ার পরও বায়তুল্লাহর (মক্কার কাবা শরীফে) হাজ্জ (হজ্জ) ও ‘উমরা পালিত হবে।( সহীহ বুখারী: অধ্যায়: ২২/ হজ্জ হাদিস নং: ১৪৯৮, পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
এটা কিভাবে সম্ভব যে, ঈসা (আঃ) এর আগমণের পর ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে আসবে এবং বেঁচে যাওয়া স্বল্পসংখ্যক মুসলিম আল্লাহর নির্দেশে ঈসা (আঃ) এর সাথে বাইতুল মুকাদ্দাস তথা ফিলিস্তিনের পাহাড়ে লুকিয়ে পরবে ইয়াজুজ মাজুজের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য- অথচ সেখানে হাদিসই বলছে, ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে যাবে, পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরবে অথচ মুসলিমরা তখন মক্কায় প্রকাশ্যে হজ্জ ও ওমরা করতে থাকবে? এটা তখনই সম্ভব হয় যখন ইয়াজুজ মাজুজ মুক্ত, আমাদের মাঝেই অবস্হান করছে এবং আমরাও প্রতিবছর হজ্জ ও নিয়মিত ওমরাহ পালন করছি। কারণ ইয়াজুজ মাজুজ চায়না যে, আমরা তাদের চিনে ফেলি। কেবলমাত্র ঈসা (আঃ) এর আগমণের পর তাদের আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যাবে। (বাইবেলের বর্ণনা এ সত্যতাকে তুলে ধরে, ভবিষ্যৎে ইনশাআল্লাহ আমরা বাইবেলের ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কিত বর্ণনা নিয়েও আলোচনা করব।)
হাদিস বলছে, তারা আরবের ধ্বংসের কারণ হবে, তারা আরবে ভয়ানক দাঙ্গা হাঙ্গামা ছড়িয়ে দিবে। কারণ মুসলিমরা ইসলামী দীন ছেড়ে দুনিয়ামুখী হয়ে পরবে ও পাপাচারে জড়িয়ে যাবে। অথচ হাদিস আমাদের এটাও নিশ্চিত করছে যে, বেঁচে যাওয়া স্বল্পসংখ্যক মুসলিমদের সাথে ঈসা (আঃ) থাকবেন, তিনি দাজ্জালের হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে মুসলিমদের রক্ষা করবেন এবং ইয়াজুজ মাজুজের দৃষ্টি থেকে তুর পাহাড়ে মুসলিমদের লুকিয়ে ফেলবেন ফলে ইয়াজুজ মাজুজ মুসলিমদের জীবিত থাকার ব্যাপারে জানতেও পারবেনা। তাহলে কিভাবে, কোন যুক্তিতে তারা আরবদের ধ্বংস ডেকে আনবে, আরব ভূমিতে কোন আরবদের উপর আগ্রাসন চালাবে, যখন আরব ভূমিতে মুসলিমই নেই?
তাহলে হাদিস ও যুক্তি তো এটাই নিশ্চিত করে যে, তারা মোটেও লোহার দেয়ালের পেছনে দুই পাহাড়ের গীরিপথে আটক নেই, তারা মুক্ত ও আমাদের মাঝেই অবস্হান করছে এবং তারাই আজ আরবের দুর্গতির কারণ।
হে নবী! যদি তুমি দুনিয়াবাসীদের অধিকাংশ লোকের কথার অনুসরণ কর, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে, তারা তো নিছক ধারণা ও অনুমানেরই অনুসরণ করে চলে, আর তারা ধারণা ও অনুমাণ ছাড়া কিছুই করে না (সূরা আনআম:১১৬)
চলবে....ইনশাআল্লাহ..........................................
১ থেকে ৪র্থ পর্বের লিংক
1. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77593#.V5j32dlxVcs
2. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77631#.V5j4ctlxVcs
3. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77659#.V5j4s9lxVcs
4. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77709#.V5j469lxVcs
বিষয়: বিবিধ
৩৪৮৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবশেষে বুঝিবা আপনি সিড়ি বেয়ে মূল বিষয়ে এলেন। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এ বিষয়টি জানা থাকলে - আমার ধারনা পরবর্তিতে পাঠকের বেশ কিছু সেন্স তৈরী হবে কিংবা এই বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে বুঝতে সমর্থ হবেঃ
ব্যবলনিয় সৈন্যরা প্রথমবার যখন পবিত্র ভূমি জেরুজালেম এ আক্রমন করেছিল তখন তারা অরিজিনাল সোলেমন টেম্পল (জিন যা শূন্যে তৈরীতে সাহায্য করেছিল) ধ্বংশ করেছিল এবং তাদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল। তাওরাতের আদেশানুযায়ী বনী ইসরাইলীরা জেরুজালেমে ফেরার জন্য সচেষ্ট হলে, আল্লাহর সাহায্য কামনা করলে - আল্লাহ তাদের ফিরতে সাহায্য করে ব্যবলনীয়দের বন্দীত্ব হতে। ফিরে এসে আল্লাহর কমান্ড অনুযায়ী তারা সোলেমন টেম্পল এর অনুকরনে পুনরায় একই স্থানে সোলেমন টেম্পল তৈরী করে, পুনরায় সেক্রিফাইস দেওয়া শুরু করে, পুনরায় ১২ নকীব নিযুক্ত করে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয় এই বিশ্বাসে যে - তারা সত্যিই ট্রান্সগেশান করেছিল এবং তাই আল্লাহ তাদের জেরুজালেম হতে বের করে দিয়েছিল। তাদের ইবাদতের মূল প্রত্যাশা ছিল আল্লাহ যেন মসীহ কে পাঠান, যিনি তাওরাত অনুযায়ী তাদের ইতোমধ্য করা পাপ মোচন (মসীহ) করবেন, তাদের নতুন রাজা হবেন এবং বিশ্বকে সোলেমন আঃ এর ন্যায় জেরুজালেম হতে শাসন করবেন - যার প্রতিশ্রুতি তাওরাতে আল্লাহ তাদের দিয়েছেন - যা এখনো বর্তমান। এই বানানো টেম্পল এর মেহরাব এ মরিয়ম আঃ বড় হয়েছেন, জাকারিয়া আঃ প্রার্থনা করে ইয়াহিয়া আঃ এর প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন এবং নবী হয়েছিলেন। কিন্তু ইসা মসীহ ইবনে মারিয়াম আঃ এলে, তাদের সাথে একই টেম্পলে তাওরাতের নিয়মানুযায়ী প্রার্থনা করা স্বত্তেও, শরিয়াহ র বিধিবিধানকে স্ট্রেইটকাট ও পরিষ্কার করা স্বত্তেও - তারা মূলতঃ একটি কারনে শেষাবদী তাকে ফাইনাল টেস্ট (ক্রুশে আবদ্ধ) করা ছাড়া এক্সেপ্ট করতে সক্ষম হয়নি। আর ঐ টেস্ট করার কারনে এবং তার পরবর্তিতে নিজেদেরকে নিজেরা বুস্টিং করার জন্য (কোরানে এর রেফারেন্স আল্লাহ দিয়েছেন) এবং ঈসা আঃ এর ফলোয়ার বনী ইসরাইলীদের প্রতি অন্যায়-অবিচার ও অত্যাচার তথা ফাসাদ করার জন্য রোমান রা তাদেরকে পারমানান্টলী উচ্ছেদ করে, তাদের শহর কে ধ্বংশ করে এবং বানানো ঐ সোমোমন টেম্পল টি ও ধ্বংশ করে দেয়। যা ওমর রাঃ জেরুজালেম জয় করার পর পরিত্যাক্ত অবস্থায় পেয়েছিল এবং সে স্থানে মসজিদুল আকসা নির্মান করেছিল।
ভাল লিখেছেন।
ষষ্ঠ পর্ব পড়ার অপেক্ষায়.....
ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে ক্বুরআন শরীফে বেশ কিছু আয়াত বলা আছে সূরা কাহাফ এ ।
আমার মনে হয় না আপনি যেভাবে বলতে চাইছেন - যে ইয়াজুজ মাজুজ এসে গেছে ,তবে সেটা ইহুদী নাসারাদের ডেসট্রাকটিভ কার্যক্রম আর মুসলমানদের ধর্মবিমুখতাই সেটার বাস্তবরুপ ।
http://banglakitab.com/quran.htm
(সূরা কাহাফের তাফসীর পড়ে দেখতে পারেন)
যদি তা সূরা কাহাফের তাফসীর একমাত্র কারন হয়ঃ তবে আপনাকে আমার জিজ্ঞাসা হল - ঠিক কি কারনে তাফসীর কারকগন (যারা নবী রাসুল নন, যাদের কাছে জিবরাইল আঃ আসেনা, যারা জাদুকর কিংবা ভবিষ্যত দ্রষ্টা নন - তারা রাসুলুল্লাহ সঃ এর করা ভবিষ্যতে ঘটবে, ভবিষ্যতে আসবে অমন একটা বিষয়ের উপর এ্যাকুইরিট সেন্স ধারন করতে পারবেন এবং এ্যাকুইরিট বিষয়টি লিখেছেন বলে আপনি মনে করছেন? এ্যানীওয়ে আমি আপনাকে কোরানের দুটি আয়াত কোট করছি (আপনি চাইলে আগের ও পরের আয়াত সমূহ ও পড়তে পারেন) এবং পড়তে রিকোয়েস্ট করছি।
সুরা কাহাফঃ So they (Ya’juj and Ma’juj) were not able to climb it, nor were they able to make a hole in it. (97)
He said, “This is a mercy from my Lord. Then, when the promise of my Lord will come, He will make it leveled to the ground. The promise of my Lord is true.” (98)
আপনি নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন যে - এই দুটি আয়াতে আল্লাহ কনফার্ম করেছেনঃ
১। Until the promise time come Yajooj and Majooj can’t make a hole in it.
অথচ বোখারী ও মুসলিম শরীফ অনুযায়ী - আল্লাহর রাসুল সঃ জয়নাব রাঃ এর বরাতে ৬ বার, হুরায়রা রাঃ এর বরাতে ৩ বার ও ইবনে আব্বাস এর বরাতে ১ বার নিশ্চিত করেছেন যে ইয়াজুজ ও মাজুজ জুলকারনাইন আঃ এর করা দেয়াল ১। গর্ত করেছে, ২। ফাটল বা গ্যাপ সৃষ্টি করেছে, ৩। ছিদ্র করেছে, ৪। খুলেছে। এবং ঐ হাদীস সমূহে উনি শুধু তাই ই বলেন নি সে সাথে এটাও বলেছেন যে তারা কতটুকু গ্যাপ কিংবা গর্ত কিংবা ছিদ্র করেছে? এবং তা বলতে গিয়ে বলেছেন যে সে ছিদ্র, ফাটল ইক্যুয়াল টু ৯, ৯০, ১০০ ইত্যাদি।
সো আল্লাহ যদি কোরানে বলবেন প্রতিশ্রুত সময়ের আগে কেউ গর্ত বা গ্যাপ করতে পারবে না। আর রাসুল সঃ যদি ১৪০০ বছর আগে বলে গর্ত বা গ্যাপ করেছে, তবে কেন, কোন ইভিডেন্স এর কারনে আপনি, আমি, আমরা, কনক্লুশান টানবো যে ইয়াজুজ ও মাজুজ এখনো দেয়ালের ঐ পাড়ে আছে?
২। once the promise time come; Allah will make the barrier leveled to the ground.
ইবনে কাথির এর আল বিদায়া ওয়াল নিহায়া তে যেখানে ক্লিয়ারলী আছে যে একটা মুসলিম এক্সপিডিশান পরিষ্কার দেখেছে যে জুলকারনাইন আঃ করা দেয়াল ভেংগে পড়ে আছে - সেখানে কেন ১৪০০ বছর পর যখন পৃথিবীর লিটারেলী প্রতিটি ইঞ্চি আপনি স্যাটেলাইটের বদৌলতে স্ক্যানিং করতে পারেন সেখানে কেন কোন অথরিটি তথা মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, আল আজহার, দেওবন্দ কিংবা অন্য কোন অথরিটি ঐ দেয়াল বের করার কোন প্রচেষ্টা নিচ্ছে না বরং উদ্ভট ভাবে রেফারেন্স ছাড়া লজিক ছাড়া বলছে যে ঐ দেয়াল মাটির ৫ কিঃ মিঃ নিচে চলে গেছে?
আপনি যদি নূন্যতম এর মধ্যে মিনিমাম লজিক পান, এ নিয়ে জানার মিনিমাম আকর্ষন ধরে রাখতে পারেন - আমি তারপরের রেফারেন্স আপনাকে দেবার চেষ্টা করতে পারি অথবা আপনি এ লিখকের লিখায় নিশ্চয়ই তা পরের সংখ্যা সমূহে পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আপনাকে এ লিখাটি পড়তে উদ্ভুদ্ধ করতে পুনরায় ঐ হাদীসটি নিয়ে চিন্তা করতে আহ্বান জানাবো যেখানে রাসুল সঃ বলেছেন,
Narrated Abu Said Al-Khudri: "The people will continue performing the Hajj and 'Umra to the Ka'ba even after the appearance of Gog and MaGog." Narrated Shu'ba extra: The Hour (Day of Judgment) will not be established till the Hajj (to the Ka'ba) is abandoned. Bukhari Book – 26; Hadith - 663
মন্তব্য করতে লগইন করুন