খিলাফাহ আর কোনদিনই ফীরবেনা!! ব্লগার মোহাম্মাদ ফখরুল ইসলামের মিথ্যাচারের জবাব।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:২৭:১০ বিকাল
আজ একটা লেখায় চোখ আটকে গেল, খিলাফত রাষ্ট্র পৃথিবীতে আর প্রতিষ্ঠিত হবে না,বাংলাদেশ কখনো ইসলামী রাষ্ট্রে পরিনত হবে না এবং আহম্মকরাই এধরনের আন্দোলনে ছাত্র জীবনে যোগ দেয়।" রাইটার ব্লগার ফখরুল ইসলাম। লিংকে পড়তে পারেন Click this link
বাধ্য হলাম লগইন করে কিছু কথা লিখতে।
তার লেখা পড়ে আল-কুরআনের আয়াতদ্বয় মনে পরে গেল।
(সুরা বাকারা, আয়াত: ৭৯-৮০)
জনাব, ফখরুল! আপনি পৃথিবীর মানবজাতির ভাগ্যনিয়ন্ত্রক নন, মানুষ। আপনি কি আল্লাহর সাথে এই ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন যে, খিলাফত আর ফীরবেনা, বিশেষত বাংলার মাটিতে আল্লাহ একে কখনোই আনবেননা??? যদি চুক্তিনামা থাকে, তবে তা আমাদের সামনে প্রদর্শন করুন। যদি না দেখাতে পারেন তবে, আপনার হাত যা রচনা করেছে তা আল্লাহর পক্ষ হতে নয়, অর্থাৎ আপনি কারো পেইড চামচা। তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য আপনি আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করছেন!!
আপনার দাবি খিলাফত আর কখনো প্রত্যবর্তন করবেনা। এটা আপনার চ্যালেজ্ঞ। যদি খেলাফত প্রত্যাবর্তন না করে, তবে আল মাহদি (আঃ) ও মারিয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) এসে পৃথিবীতে কি করবেন?? মুসলিম, ইহুদি, খৃষ্টান সবাই একমত, মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) পুনরায় পৃথিবীতে আগমণ করবেন।
হাদিসের ৬ টি বিশুদ্ধ গ্রন্হ হল, বুখারী, মুসলিম, তীরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাযাহ_ এই সকল গ্রন্হের প্রত্যেকটিতেই একটি কমন অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে তা হল, "ফিৎনা ও কিয়ামতের নিদর্শন"। এই অধ্যায়তে "নবুয়তের শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত পৃথিবীর শাসন ব্যাবস্হা কেমন হবে?" তা সম্পর্কে স্পষ্ট বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা হুজাইফা (রাঃ) এর অনেক সংখ্যক হাদিস পাই কারণ তিনি বলতেন, রাসূল ﷺ কে সবাই কল্যাণের ব্যাপারে প্রশ্ন করত, কিন্তু আমি ছিলাম ব্যতিক্রম। আমি সর্বদা অকল্যাণের ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করতাম কেননা আমার ভয় হত, যদি অকল্যাণ আমাকে পেয়ে বসে তখন, আমি কিভাবে তা হতে উদ্ধার পাব?
নীচে খিলাফত সংক্রান্ত কিছু সহীহ হাদিস উল্লেখ করা হল।
#হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে । অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র, গণতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ)। তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যাবস্হা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
মহান আল্লাহ নিজেই আল-কুরআনে খিলাফত প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
তোমাদের মাঝে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব (খিলাফত) দান করবেন; যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব (খেলাফত) দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে ( দাউদ ও সুলাইমান আঃ ও মুমিন ইয়াহুদীদের নির্দেশ করা হয়েছে অথবা আরো আগের যুলকারনাইনকে) এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে (ইসলাম) যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেন এবং ভয়-ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোন শরীক করবে না, অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারা তো সত্যত্যাগী (আল-কুরআন: সূরা নুর, আয়াত: ৫৫)
আমি জানি হেকমাহপন্হী মডারেট ইসলামিক মুভমেন্টের কর্মীরা দাবি করবেন, আল কুরআনের এই আয়াত তাদের পক্ষেও যায়" কিন্তু তাদের ব্যাপারে এই হাদিস প্রযোজ্য :
#মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্নিত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা তো জাহিলিয়াতে ও অকল্যাণের মাঝে ছিলাম। এরপর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ কল্যাণের মধ্যে নিয়ে আসলেন। এ কল্যাণের পর আবারও কি অকল্যান আসবে? তিনি বললেনঃ হ্যা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সে অকল্যাণের পর আবার কি কোন কল্যাণ আসবে? তিনি বললেনঃ হ্যা। তবে এর মধ্যে কিছুটা ধূম্রাচ্ছন্নতা থাকবে। আমি প্রশ্ন করলাম, এর ধূম্রাচ্ছন্নতা কিরূপ? তিনি বললেনঃ তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে-যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি- অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হেদায়েতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হেদায়েত ও পথের দিশা খুঁজবে। তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ উভয়টিই থাকবে। তখন-আমি আরয করলাম, এ কল্যাণ পর কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যা! জাহান্নামের দরজার দিকে আহবানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তাদেরকে তারা তাতে নিক্ষেপ করবে। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তাদের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আমাদের বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ তাদের বর্ণ বা ধরন-ধারণ হবে আমাদের মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি আমরা সে পরিস্হিতির সম্মুর্খীন হই, তবে আমাদেরকে আপনি কি করতে বলেন? তিনি বললেনঃ তোমরা মুসলমানদের জামায়াত ও ইমামের সাথে আকড়ে থাকবে। আমি বললাম, যদি তাদের কোন জামায়াত বা ইমাম না থাকে? তিনি বললেনঃ তা হলে সে সব ফের্কা থেকে তুমি আলাদা থাকবে-যদিও তুমি একটি বৃক্ষকে দাত দিয়ে কামড়ে থাক এবং এ অবস্হায়ই মৃত্যু তোমার নাগাল পায়। ( মুসলিম: ৪৬৩১, বুখারী: ৬৬০৫ অর্থাৎ এটি মুত্তাফাকুন আলাইহ)
তার পরবর্তী দাবি, মাত্র চারজন খলিফার দ্বারাই খিলাফত বিলুপ্ত হয়ে গেছে তাই আব্বাসী থেকে শুরু করে সর্বশেষ তুর্কী ওসমানী খেলাফত মূলত ছিল রাজা-বাদশাহ, স্বৈরশাসকদের শাসন তা খেলাফতের অংশ না। এই যুক্তি হাদিস দিয়েই মিথ্যা প্রমাণ করা যায়।
#মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আবূ হাসেম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সাথে পাঁচ বছর অবস্থান করেছি। আমি তার কাছে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনি ইসরাঈলদের উপর রাজত্ব করতেন নবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তাঁর স্হলাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ স্হলাভিষিক্ত হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। তখন সাহাবীগণ বললেনঃ তাহলে আপনি (এ ব্যাপারে) আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ যার হাতে প্রথম বায়ঁআত বা আনুগত্যের শপথ করবে, তারই আনুগত্য করবে এবং তাদেরকে তাঁদের হক প্রদান করবে, তিনি তাদেরকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।( বুখারী: অধ্যায় ৫০: আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৪৬২১)
তুর্কী ওটোমান বা ওসমানী খেলাফত যে বৈধ খেলাফত ছিল, এ ব্যাপারে আলেমরা একমত কাজেই "চার খলিফাতে খিলাফত শেষ", এটা মিথ্যা প্রমাণিত হল।
তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী খলিফা পরবর্তী খলিফা নির্বাচন করে যেতেন, "সাধারণ জনতার মতামত মূল্যায়ন করা হতনা, তবে মজলিসে শুরা তাতে সাহায্য করতেন।" দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, তিনি সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
#আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তার কাছে গিয়ে হাযির হলাম। লোকজন তাঁর প্রশংসা করল তারপর বললো, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন! তিনি তখন বললেন, আমি আশাবাদী ও সন্ত্রস্ত। তখন লোকেরা বললো, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বললেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্হায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাংখা খিলাফতের ব্যাপারে আমার ভাগ্যে শুধু নিস্কৃতি জুটুক। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত আছে) কেননা, আমার চাইতে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি (অর্থাৎ আবূ বাকর (রাঃ) খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন, আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে যাই, তবে আমার উত্তম যিনি ছিলেন (অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন। রাবী (আবদুল্লাহ ইবনু উমার) বলেন, তিনি যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কথা উল্লেখ করলেন তখনই আমি বুঝে গেলাম যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না।বুখারী, অধ্যায় ৫০-আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৪৫৬২)
হ্যা! শুধুমাত্র আবু বকর (রাঃ) খলিফা হিসাবে উমার (রাঃ) কে স্হলাভিষিক্ত করে যান কিন্তু এখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই, মুসলিমগণ তার হাতে বাইয়াত বা আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন। অর্থাৎ, তাকে তাদের আমিরুল মুমিনীন বা নবীদের অনুপস্হিতিতে মুমিনদের অভিভাবক ও খলিফা হিসেবে মেনে নেন। অর্থাৎ সাধারণ মুসলিমদের অংশগ্রহণ ছাড়া জোড় করে খলিফাকে চাপিয়ে দেয়া হয়নি তাই ফখরুল সাহেবের দাবি মিথ্যা।
তার পরবর্তী কুরাইশ বিষয়ক খলিফা সম্পর্কিত জ্ঞান ত্রুটিপূর্ণ। খিলাফত কুরাইশদের মাঝে বিদ্যমান থাকবে এবং শেষ খলিফা আল মাহদি (আঃ) আগমণ করবেন রাসূল (সাঃ) এর বংশ হতে অর্থাৎ তার কণ্যা ফাতিমা (রাঃ) এর বংশধারা হতে, এটি রাসূল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী। ১২ জন কুরাইশ খলিফা হবেন এটি ভবিষ্যৎবাণী তবে এটি খলিফা হবার শর্ত নয় যে তাকে কুরাইশ হতেই হবে। আগেই উল্লেখ করেছি তুর্কি ওসমানী খলিফাদের বৈধতার ব্যাপারে আলেমরা একমত অথচ তারা ছিল নন-কুরাইশ, অনারব। আবার রাসূল ﷺ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে নিজ মুখেই বলেছেন, যদি নাক কাটা হাবশী (নিগ্রো) গোলামও তোমাদের খলিফা হন, তবে অবশ্যই তার আনুগত্য করবে।
#বাকর ইবনু আবূ শায়রা ও আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ আশআরী (রহঃ) আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পরম বন্ধু রাসুল ﷺ আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, আমি যেন আমীরের নির্দেশ শুনি ও মানি যদি আমীর হাত পা কাটা গোলামও হয়।(বুখারী, আম্বিয়া: অধ্যায়;৫০, হাদিস নং: ৪৬০৩)
খিলাফত যে আবার প্রত্যাবর্তন করবে একজন কুরাইশের হাতে তার প্রমাণ হাদিস:
#ইবনু বুকায়র (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের অবস্থা কেমন (আনন্দের) হবে যখন তোমাদের মাঝে মারিয়াম তনয় ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম (ইমামুল মাহদি)তোমাদের মধ্য থেকেই হবেন। ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের ইমাম হবেন বটে কিন্তু তিনি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক শাসনকার্য চালাবেন, ইন্জিল মতে নয়। তিনি ইসলাম এর অনুসারী হয়ে আসবেন -(আইনী) (বুখারী: অধ্যায়: ৫০:আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং:৩২০৬, মান: সহীহ)
আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা (আল মাহদি আঃ) হবে। সে হাত ভরে ভরে অর্থ সম্পদ দান করবে, গণনা করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবূ নাদরা ও আবূল আলাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের ধারণায় ইনি কি উমার ইবনু আবদুল আযীয? তারা জবাবে বললেন, না।( মুসলিম: ৭০৫১)
আরো দেখুন: মুসলিম: ৬৯৭৬, ৬৯৭৯। বুখারী: অধ্যায় ৫০: ৩২০৬, ৩২৬৯, ৩৩৮০
তার মতে, খেলাফতের কথা বললেই সে (আমেরিকান মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আইএস নেতা) ভন্ড খলিফা বাগদাদীর লোক। তিনি খলিফা হবার যোগ্যতা নিয়ে খুব কুরুচিপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন, যা তার মত বিকৃত রুচীর মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
আমার যুক্তিখন্ডন: কেউ খলিফা দাবি করলেই কি তিনি খলিফা হতে পারেন?? যেমন: ফখরুল সাহেবের দাবি তিনি বিশাল বড় ইসলামিস্ট, কিন্তু তার প্রোফাইলটা সূরা বাকারা ৭৯-৮০ নাম্বার আয়াতেই উল্লেখ করেছি। শেষনবীর মৃত্যুর হাজার বছর পর গোলাম আহমাদ কাদিয়ানিও নিজেকে নবী দাবি করেছিল, কাদিয়ানি ধর্মের অনুসারীও অনেক কিন্তু তাই বলে কি এটা প্রমাণ হয় যে, সেই প্রকৃত নবী?? প্রতিশ্রুত ঈসা (আঃ)?
নাহ! না! কখনো না।
খিলাফত রাষ্ঠ্র ক্ষমতার সাথে জড়িত না, জড়িত নবুয়তের সাথে। তারা নবীদের অবর্তমানে স্হলাভিষিক্ত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত। অর্থাৎ, একজন নবী যেমন রাষ্ঠ্রক্ষমতা বা শাসন ক্ষমতার অধিকারী হতেও পারেন, আবার নাও পারেন, তেমনি একজন খলিফাও তার ভুমিকায় অবতীর্ণ হবেন তবে তিনি অবশ্যই মুমিনদের আমীর বা অভিভাবক হবেন। এজন্যই বারবার বলা হচ্ছে, নবুয়তের আদলে খিলাফাহ। হাদিস আমাদের ক্লিয়ারলি বলছে, আল মাহদি (আঃ) কে যখন মক্কা-মদিনার মানুষ চিনে ফেলবে তখন তাকে হত্যার জন্য সিরিয়ার একটি সেনাবাহিনী আরবে প্রবেশ করবে এবং মাহদি (আঃ) জীবন বাঁচাতে, ভয়ে কাবায় আশ্রয় নিবেন যদিও মক্কার লোকেরা তার হাতে বাইয়াত হয়ে গেছে। অর্থাৎ তিনি ক্ষমতাহীন থাকবেন যদিও খলিফা হবেন।
#নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলদের উপর রাজত্ব (জনগোষ্ঠীর উপর অভিভাবকত্ব) করতেন নবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তাঁর স্হলাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ স্হলাভিষিক্ত হবেন ( বুখারী: অধ্যায় ৫০: আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৪৬২১)
কাজেই পৃথিবীর কে, কোথায়, কি দাবি করলেন, তা মূখ্য বিষয় নয়। হাদিস থেকে একটা বিষয় ক্লিয়ার, যেহেতু খলিফাকে নবুয়তের দায়িত্ব পালন করতে হবে কাজেই তাকে অবশ্যই হতে হবে একজন আলেম, কিন্তু বাগদাদী নামক ব্যক্তি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত, আমি এই মুহূর্তে অথেনটিক সোর্স দেয়ার মত অবস্হায় নেই তাই স্মৃতি থেকে মনে পরছে তিনি বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, আগে তিনি দাড়ি শেভ করতেন। এই ব্যক্তি তো সহীহ মুসলিম, অধ্যায়-৫৪-ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত" অংশের আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিস নং ৭০১৩ ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত ৭০৫১ নাম্বার হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী সত্যে প্রমাণ করেছে। প্রকৃত অর্থে সে আনারব (ইহুদি) রূমদের (পশ্চিমাদের) আস্হাভাজন ব্যক্তি।
কাজেই এই ব্যক্তির জ্ঞান নিয়ে আমি শুধু হাদিসের ভাষা দিয়েই জবাব দিতে চাই:
#আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
#উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) শাকিক থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ ও আবূ মূসা (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তাঁরা বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই কিয়ামতের পূর্বে এমন একটি সময় আসবে যখন সর্বত্র মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে ইল্ম উঠিয়ে নেওযা হবে। সে সময় হারজ- ব্যাপকতর হবে। আর হারজ- হল (মানুষ) হত্যা। (বুখারী: ৬৫৮৪, অধ্যায় ৮১- ফিৎনা)
সবশেষে পাঠকদের জন্য করণীয় বিষয়ে হাদিস:
#ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ (ইসলামে) মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাহ এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত (৩০ বছরের ৪জন খলিফা যথাক্রমে: আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রাঃ) খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এই সুন্নাহকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)
আপনারা জানেন, আমি অনেকদিন যাবত স্পাইনাল ব্যাকপেইন এ ভুগছি হাড়ের স্হানচুতির জন্য আমার সুস্হতার জন্য দোয়া করার আহবান রইল। জাঝাক আল্লাহ।আসসালামু আলাইকুম।
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৯ বার পঠিত, ৫৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার বিশ্লেষন আলহামদুলিল্লাহ! পড়ে আমরাও উপকৃত হলাম!
আল্লাহ তোমাকে সুস্থতা দান করুন! প্রতিটি অবস্থায় সবর করার তৌফিক দান করুন!
জাযকাল্লাহু খাইর!
আল্লাহ আপনাকে এর প্রতিদান দিবেন
এই লোকটা কোন পেইড এজেন্ট না হাসিনা আরো উচুমানের লেখকদেরকে পেউড করেই কুল পাচ্ছেনা এদরেকে করবে কখন . এরা হলো আবেগের লোক অন্ধপনা, নিজে যেইটা বুঝেছে সেইটাকেউ সঠিক বলে ভাবে
অনেক ধন্যবাদ
মিস্টার আবুল হেকম ফকরুল সাহেব নিস্চই অনেক বড় কমেন্ট (গরুর রচনা) লিখতে বসেছেন।
তাইতো এতো দেরি !!!!!
১. বাগদাদীর খেলাফতকে অবৈধ বলায় মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে বাগদাদি হাজার হাজার আল কায়েদা সদস্যকে হত্যা করছে, আল কায়েদা-তালেবানদের নেতৃত্বে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে।
২. আইএস দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এইচডি ভিডিও বানিয়ে বিদেশী সাংবাদিকদের কল্লা ফেলা ভিডিও বানিয়ে, ইরাক-সিরিয়ায় হত্যাকান্ড পরিচালনা করে তা মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে ইসলামকে ইভিল, অভিশপ্ত, হুমকি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। ফলে অমুসলিমরা এখন আমেরিকা ও ইহুদি লবির সব অপকর্মকে সঠিক বলে মেনে নিচ্ছে। আর এই ঘটনাটা তখনই ঘটল মুসলিমরা যখন রীতিমত ইউরোপ-আমেরিকার মাটিতেও গণতন্ত্র থেকে মুখ ফীরিয়ে ফেলাফতের দাবি তুলছিল।
অর্থাৎ এক ঢিলে ২ পাখি মারা যাকে বলে।
ফখরুল সাহেবও ব্যতিক্রম নন। আসলে পেইড নাস্তিক দিয়ে ইসলামের সর্বনাশ করাটা একটু দুরুহ কারণ মানুষ তাদের ঘৃণা করে তাই ফখরুলদের মত কিছু লোক সৃষ্টি করা গেলে এবার ইসলামের নাম দিয়েই ইসলামের বারোটা বাজানো গেলে তো ভালই হয়। তাই ফখরুল প্রোডাক্ট অনলাইনে ইমপুট দেয়া হচ্ছে, এই আরকি। এরা আবু জেহেল থেকেও খারাপ। আবু জেহেল জ্ঞানী ছিল, সে জানতো, মানতো ইসলাম সত্য, কিন্তু অহংকারের কারণে সে প্রত্যাক্ষান করেছিল সেখানে ফখরুল সাহেবের নিজের মুখ্যতা নিয়েই অহংকার।
সে একজন ওহাবি, ইহুদি, দালাল।
আপনার লিখা পড়ে অনেক জানা হল তার জন্য ধন্যবাদ ।
আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ্যতা দান করুন । আমীন ।
হ্যা! সমস্যা এখানেই এই লোক মূর্খ আর আশ্চর্যের ব্যাপার মূর্খতা নিয়েই তার অহংকার। তবে সে নিছক মূর্খ্যতা নিয়ে থেকে সে এসব বলেনা পেছনে অনেক কারণ আছে। সে লোকমান বিন ইউসুপ এর ছায়া ভুত। এরা ফেসবুকে একত্রেই মূর্খতা ছড়ায়। বিশেষত পর্দা বিষয়ে তাদের ব্যাপক চুলকানি অর্থাৎ এরা কোন মিশনের অংশ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
সে পেইড চামচানা তার প্রমানকি?
তার লেখা প্রমান করে সে পেইড এজেন্ট।
১. বাগদাদীর খেলাফতকে অবৈধ বলায় মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে বাগদাদি হাজার হাজার আল কায়েদা সদস্যকে হত্যা করছে, আল কায়েদা-তালেবানদের নেতৃত্বে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে।
২. আইএস দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এইচডি ভিডিও বানিয়ে বিদেশী সাংবাদিকদের কল্লা ফেলা ভিডিও বানিয়ে, ইরাক-সিরিয়ায় হত্যাকান্ড পরিচালনা করে তা মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে ইসলামকে ইভিল, অভিশপ্ত, হুমকি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। ফলে অমুসলিমরা এখন আমেরিকা ও ইহুদি লবির সব অপকর্মকে সঠিক বলে মেনে নিচ্ছে। আর এই ঘটনাটা তখনই ঘটল মুসলিমরা যখন রীতিমত ইউরোপ-আমেরিকার মাটিতেও গণতন্ত্র থেকে মুখ ফীরিয়ে ফেলাফতের দাবি তুলছিল।
অর্থাৎ এক ঢিলে ২ পাখি মারা যাকে বলে।
ফখরুল সাহেবও ব্যতিক্রম নন। আসলে পেইড নাস্তিক দিয়ে ইসলামের সর্বনাশ করাটা একটু দুরুহ কারণ মানুষ তাদের ঘৃণা করে তাই ফখরুলদের মত কিছু লোক সৃষ্টি করা গেলে এবার ইসলামের নাম দিয়েই ইসলামের বারোটা বাজানো গেলে তো ভালই হয়। তাই ফখরুল প্রোডাক্ট অনলাইনে ইমপুট দেয়া হচ্ছে, এই আরকি। এরা আবু জেহেল থেকেও খারাপ। আবু জেহেল জ্ঞানী ছিল, সে জানতো, মানতো ইসলাম সত্য, কিন্তু অহংকারের কারণে সে প্রত্যাক্ষান করেছিল সেখানে ফখরুল সাহেবের নিজের মুখ্যতা নিয়েই অহংকার
খুউব সুন্দর জবাব!! জাযাকাল্লাহ..
মা শা আল্লাহ!! অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য ও জবাব-
আপনার পূর্ণ আরোগ্যই এখন বেশী জরুরী, আল্লাহতায়ালার কাছে সেটাই আগে চাইলাম!!
ফী আমানিল্লাহ
From writing. আমি অনেকদিন যাবত স্পাইনাল ব্যাকপেইন এ ভুগছি হাড়ের স্হানচুতির /
This is Called TMS, Please look
some videos in youtube. Due to
stress, Every one has this kinds of problem. Do not woory.
হাদিসের দরসের মাধ্যেমে পাগলা ফখরুলকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন, এতে করে আমরাও অনেকটা উপকৃত হলাম। জাযাকাল্লাহ খাইর,
দয়াময় আপনাকে সুস্থতা দান করুক। আপনার সুস্থ জিবন ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
তবে একটি বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রয়োজন। খুলাফায়ে রাশিদা ও পরবর্তি খলিফাগনের মধ্যে পার্থক্য আছে।
ফখরু সাহেবকে অনেকেই পাগলা বলেই ডাকেন। তাই তার পোষ্টে মন্তব্য করতেও অনেকের ইচ্ছে হয় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক আগে থেকে এই ভদ্র লোকেরা লেখা পড়া থেকে বিরত থাকি। এই ভদ্র লোক যা লেখে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি কোন একটা গুষ্টিকে খুশি করার জন্য লিখে। আরেকটা বিষয় মনে হয় এই ভদ্র লোকের মাথায় মনে হয় সমস্যা আছে।
সবশেষে বলতে হয় নীলাঞ্জনা ব, ফুয়াদপাশা বা অপি বাইদান এর চেয়েও ভয়ঙ্কর জনাব ফখরুল সাহেব।
১. বাগদাদীর খেলাফতকে অবৈধ বলায় মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে বাগদাদি হাজার হাজার আল কায়েদা সদস্যকে হত্যা করছে, আল কায়েদা-তালেবানদের নেতৃত্বে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে।
২. আইএস দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এইচডি ভিডিও বানিয়ে বিদেশী সাংবাদিকদের কল্লা ফেলা ভিডিও বানিয়ে, ইরাক-সিরিয়ায় হত্যাকান্ড পরিচালনা করে তা মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে ইসলামকে ইভিল, অভিশপ্ত, হুমকি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। ফলে অমুসলিমরা এখন আমেরিকা ও ইহুদি লবির সব অপকর্মকে সঠিক বলে মেনে নিচ্ছে। আর এই ঘটনাটা তখনই ঘটল মুসলিমরা যখন রীতিমত ইউরোপ-আমেরিকার মাটিতেও গণতন্ত্র থেকে মুখ ফীরিয়ে ফেলাফতের দাবি তুলছিল।
অর্থাৎ এক ঢিলে ২ পাখি মারা যাকে বলে।
ফখরুল সাহেবও ব্যতিক্রম নন। আসলে পেইড নাস্তিক দিয়ে ইসলামের সর্বনাশ করাটা একটু দুরুহ কারণ মানুষ তাদের ঘৃণা করে তাই ফখরুলদের মত কিছু লোক সৃষ্টি করা গেলে এবার ইসলামের নাম দিয়েই ইসলামের বারোটা বাজানো গেলে তো ভালই হয়। তাই ফখরুল প্রোডাক্ট অনলাইনে ইমপুট দেয়া হচ্ছে, এই আরকি। এরা আবু জেহেল থেকেও খারাপ। আবু জেহেল জ্ঞানী ছিল, সে জানতো, মানতো ইসলাম সত্য, কিন্তু অহংকারের কারণে সে প্রত্যাক্ষান করেছিল সেখানে ফখরুল সাহেবের নিজের মুখ্যতা নিয়েই অহংকার।
জবাবমুলক পোষ্ট দেখে প্রথমে এড়িয়েই যাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম কেন যে এই পাগলটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন! কিন্তু মন্তব্যের সংখ্যা দেখে তা আর পারলাম না। আপনার পোষ্ট থেকে অনেক কিছুই জানা হল। মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে আরও অনেক কিছু পরিস্কার হয়েছে।
ভাল লাগছে যে, ব্লগটা অনেক দিন পর বেশ জমে উঠেছে। নতুন পুরাতনের পদচারনায় প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! আপনার সুস্থতা কামনা করি।
আর হ্যা, পাগল ফখরুইল্ল্যাকেও ধন্যবাদ জানাই ঐ আকামটা করার জন্য!!!
ধন্যবাদ!
ফখরুলের লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই আমি যতদূর দেখেছি।
ওনার পোস্টে মন্তব্য করলে ওনি ব্লকড করে দেন। আজ পর্যন্ত যত পোস্ট দিয়েছেন আর ওনার পোস্টে মন্তব্য করেছেন তার সঠিক জবাব দিয়েছেন বলে মনে হয়নি।
ওনার লেখার সমালোচনা করে মন্তব্য করলে ওনি সমালোচনা কারীকে আক্রমন করেন টপিকের বাইরে গিয়ে । যদিও আমার সিমিত জ্ঞানে তার সাথে বড় বিতর্ক করা সম্ভব নয়।
তার পরও আমি কয়েকটি লেখায় ওনাকে জানার জন্য মন্তব্য করেছিলাম, একটি লেখায় মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে ওনার রাজনৈতিক আদর্শের ব্যপারে কথা হয় ওনি কোন পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে সুকৌশলে।
ওনার কিছু কিছু লেখায় ওনার ধর্মীয় আদর্শ ও রাজনৈতিক আদর্শ প্রকাশ পেয়েছে।
ধর্মীয় আদর্শ হচ্ছে মাজারের পক্ষপত।
ওনার রাজনৈতিক আদর্শ আগষ্ট মাসের লেখা গুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। গানের গুরুত্ব ও স্কুল খোলার আগ্রহ ও গান সিনেমা নিয়ে ওনার পোস্ট গুলো থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পেরেছি।
সর্বশেষ শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা থেকে ওনার রাজনৈতিক আদর্শ প্রকাশ পেয়েছে।
আপনার পোস্টটি ওনার লেখার উপযুক্ত জবাব। সুন্দর তথ্য প্রমাণ দিয়ে জবাব দেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার লিখা পড়ে অনেক জানা হল তার জন্য ধন্যবাদ ।
আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ্যতা দান করুন । আমীন ।
Thanks for your excellent post but I think you can't stop this BIG Headed man because his level of understanding are very poor
Thanks again
মাশাআল্লাহ্ চমৎকার রিএ্যাকশান। পড়তে বেশ ভাল লাগলো। তেজোদীপ্ত। আর কমেন্টগুলো পড়েও মজা পেলাম।
যাযাকাললাহু খায়রান!
আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন! ধন্যবাদ ।
আসলে "ও" এই ব্লগে থাকাটা আমাদের জন্য ভাল বৈ খারাপ না! কারণ ও মাঝে মাঝে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করে-যার জন্য আমরা কিছুটা হলেও স্টাডি করতে পারি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন