খিলাফত রাষ্ট্র পৃথিবীতে আর প্রতিষ্ঠিত হবে না,বাংলাদেশ কখনো ইসলামী রাষ্ট্রে পরিনত হবে না এবং আহম্মকরাই এধরনের আন্দোলনে ছাত্র জীবনে যোগ দেয়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:০১:৫৭ সকাল
কিছু লোক বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খিলাফত রাষ্ট্র ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বলে ছাত্রদের মগজ দোলাই করে থাকে আর কিছু ছাত্রীদের জড় পদার্থ বা প্রকারান্তে যৌনদাসীতে পরিনত করে । আর এলক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ও তাদের কার্যক্রম এতটাই ভয়াবহ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান বিতরন করে না , করে অসুস্হ চিন্তা ।
ইদানিং অনেক আহম্মক ইরাকের আইএস বা আইসিস নামক সন্ত্রাসী দলের সর্দারকে খলিফা বলে সর্বত্র প্রচার করে যাচ্ছে এবং এই সন্ত্রাসীর দলভুক্ত করার জন্য লোকদের মগজ দোলাই করে যাচ্ছে ।
অনেককেই দেখছি, আমার সাথে গায়ে পড়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছে । কিন্তু আমি বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইলেও বিবেকের তাড়নায় ছাত্র সমাজকে সচেতন করার জন্য আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করছি ।
খলিফা মাত্র চার জন :
রাসুল সা. –এর ইন্তেকালের পর মাত্র চার জন সাহাবী রা. – রাসুল সা.-এর প্রতিনিধিত্ব করেন বা ইসলামী বিশ্ব পরিচালনা করেন। তারপর ইয়াজিদ হত্যা – খুনের মাধ্যমে খিলাফত ব্যবস্হাকে বাতিল করে রাজতন্ত্র প্রবর্তন করে । রাজতন্ত্র প্রবর্তিত হলেও তখন মুসলিম বিশ্বের বড় দেশটার শাসকদের পদবি ছিল খলিফা । তারা উপাধিতে খলিফা হলেও তারা মূলত ছিলেন রাজা বা সম্রাট । চার খলিফার পর উমাইয়া বংশ, আব্বাসীয় বংশ এবং তুরস্কের ওসমানিয়া বংশ মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয় । কিন্তু এসব বংশের রাজত্বের বাহিরেও অনেক স্বাধীন মুসলিম দেশ ছিল । সুতরাং তারাই যে এককভাবে মুসলিম বিশ্ব রাজত্ব করেছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন – এই কথা ভিত্তিহীন ।
মুসলিম বিশ্বে কোন খলিফা নেই, আছে রাজা অথবা সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি) :
প্রথম মহাযুদ্ধের পর সৌদি আরবের বর্তমান রাজাদের পূর্ব পুরুষ ও বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আজিজ ইবনে সৌদ এবং মক্কার শাসক শরিফ হোসেনের বিশ্বাসঘাতকতায় ওসমানিয়া সম্রাজ্য ভেঙ্গে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ২য় আব্দুল হামিদ ছিলেন সর্বশেষ খলিফা পদবিধারী শাসক । এখন পৃথিবীতে এতগুলি মুসলিম দেশ কিন্তু একটি দেশের শাসককেও খলিফা বলা হয় না। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দূর প্রাচ্যের এতগুলি মুসলিম প্রধান দেশ থাকা সত্ত্বেও একজন খলিফা নাই।
ইরান ও পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী সাধারণতন্ত্র বা ইসলামী রাষ্ট্র । সেখানেও কোন খলিফা নাই। উপরন্ত খলিফা মেয়েরা হতে পারে না বলে থাকে মগজ দোলাইকৃত লোকরা । কিন্তু বেনজীর ভুট্টো নামক অপবিত্র মহিলা (ইমরানের খানের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক থাকায় এই মহিলা অপবিত্র হয়ে গেছে । ) পাকিস্তান শাসন করেছেন । কোন হুজুর তার মুখের উপর কোন কথা বলতে পারেনি ।
পাকিস্তান নিজেকে ইসলামী রাষ্ট্র বললেও সেখানে গণতন্ত্র বিদ্যমান। মগজ দোলাইকৃত লোকরা বলে থাকেন গণতন্ত্র বিদাত ও কুফরি । কিন্তু পাকিস্তান হতে মগজ দোলাইকৃত লোকরা কোনক্রমেই গণতন্ত্র উৎখাত করে তাদের স্বপ্ন-সুখের খিলাফত রাষ্ট্রে পরিনত করতে পারেনি ।
সৌদি আরব-সহ আরব বিশ্বের ৮ টি দেশে পৃথিবীর প্রাচীনতম স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী ব্যবস্হা রাজতন্ত্র রয়েছে । বাহরাইন, কুয়েত,কাতার,আরব আমিরাত, ওমান, জর্দান,মরক্কো-র শাসকরা হলেন রাজা । ইসলাম তো রাজতন্ত্র সমর্থন করে না । কিন্তু এসব অত্যাচারী রাজারা ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে রাজতন্ত্রকে জায়েজ বলে প্রমাণ করার পাশাপাশি এসব রাজারা যতই অত্যাচার করুক না কেন তাদের বিরোদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না । আর বল্লে কখনোই জান্নাতে যাওয়া যাবে না – এমন কথা হাদিসের অপব্যাখ্যা করে প্রচার করে যাচ্ছে ।
সিরিয়া,মিশর,সুদান-এ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত যা রাজতন্ত্রের মতোই। তুরস্ক, লেবানন ও ফিলিস্তিনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। অন্য দিকে আফ্রিকার লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া প্রভৃতি দেশগুলো গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করছে ।
আরব বিশ্বের বাহিরের দেশগুলোর অবস্হাও একই । ইন্দোনেশিয়া - যা জনসংখ্যার বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্র । সেখানে গণতন্ত্র রয়েছে । মালয়েশিয়াতেও গণতন্ত্র।
জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এই দেশে গণতান্ত্রিক পন্থাকে স্বীকার করে ইসলামী দলগুলো ভোটের রাজনীতিতে বা সংসদীয় ব্যবস্হায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা বোঝলাম :
রাসুল সা.-এর ইন্তেকালের পর তার চার সাহাবী রা. ছাড়া চার কোন খলিফা পৃথিবীতে ছিল না । আর যাদের পদবি খলিফা ছিল তারা ছিলেন মূলত রাজা । ৫০ টার বেশী ভাগে বিভক্ত মুসলিম বিশ্বের বাস্তব চিত্র থেকে আমাদের বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে ।
খলিফা আলবাগদাদী লোকদের হাত কাটছেন কসাইয়ের মতো :
http://www.liveleak.com/view?i=de2_1393694098
খলিফা আলবাগদাদী মাথা কাটছেন কুরবানীর গরুর মতো করে :
http://www.liveleak.com/view?i=7a5_1391379546
খলিফা আলবাগাদীর লোকরা আটকৃতদের নির্মমভাবে হত্যা করছেন :
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2709433/The-Islamic-State-Killing-Fields-Terror-group-releases-horrifying-video-showing-drive-shootings-suicide-bombings-dozens-victims-rounded-executed.html
মাত্র চার জন খলিফা হওয়ার পরে পৃথিবী থেকে খেলাফত ব্যবস্থা বিলুপ্ত হলো কেন ? :
১. খেলাফত ব্যবস্থা অনেকটা কনিউনিষ্টদের মতো। এক জন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে যান। যেমন :কয়েক বছর আগে কিউবায় মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ট্রো। তার মৃত্যুর পর তার ভাই রাউফ ক্যাস্ট্র তার পদ দখল করেছেন । অন্য দিকে খলিফাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি, একই নিয়ম। একজন খলিফা তার মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেছেন।
২. মৃত্যুর আগে একজন খলিফা নির্ধারণ করে দিয়ে যেতেন পরবর্তী খলিফা কে হবেন। মজলিসে সুরা বা নীতি নির্ধারকরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার উত্তরাধিকারকে অনুমোদন দেবেন বা দেবেন না। এ ব্যাপারটিও কমিউনিষ্টদের সাথে মিলে যায়। যেমন ফিদের ক্যাস্ট্র তার ছোটভাই রাউলকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
৩. গণতন্ত্রের সাথে খেলাফতের কোন মিল নেই । গনতন্ত্র হইল সাধারন নাগরিকের ভোটে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা ।
আর খেলাফতে সব লোকের ভোট দেয়ার ক্ষমতা নাই। শুধু মাত্র রাজতন্ত্র নামের (শুরা সদস্যরা) সারা সংগঠণ - দেশ - জাতির জন্য খলিফা নির্বাচিত করতে পারবেন। যেমন : এই ব্যবস্হা জামায়াতে ইসলামীর মধ্য প্রচলিত আছে । নিজামী মারা না যাওয়া পর্যন্ত নিজামী জামায়াতের আমীর থাকবেন আর তাকে নির্বাচন করে তার মগজ দোলাইকৃত ও মননায়নকৃত নেতারা ।
৪. মগজ দোলাইকৃত লোকদের কাছ হতে জানা যায় । খলিফা হতে হলে –
১. মুসলমান হওয়া (সন্ত্রাসী দল আইসিস-এর সদস্যা হতে হবে । যেমন : আল বাগদাদী । )
২. আক্বেল হওয়া (সন্ত্রাসী মানষিকতার হতে হবে । কথায় কথায় বিরোধী পক্ষের মাথা কেটে ফেলতে হবে ।)
৩. যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে (যৌন উম্মাদ হতে হবে । আর এই লক্ষ্যে যৌন জিহাদ আয়োজন করতে হবে । )
৪. পুরুষ হওয়া (নারিবিদ্বেষী ও কামুক পুরুষ হতে হবে । যেমন : মোল্লা ওমর, ওসামা বিন লাদেন, আলবাগদাদী । )
৫. কুরাঈশ বংশীয় হতে হবে । (বিষয়টা জটিল । মক্কার শাসক শরীফ হোসেন ছিলেন কুরাইশ বংশীয় । তিনি কিন্তু ১ম বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওসমানীয় খেলাফত উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্র করেন । তার বংশধরদের একাংশ জর্দান ও মরক্কো শাসন করছেন এবং তারা কিন্তু অমুসলিম শক্তির এক নম্বর দালাল । কথায় আছে না : জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল । )
এসব কারণে বিবেকবান ও সভ্য লোকরা খেলাফত ব্যবস্হা পছন্দ করে না ।
খিলাফত সংক্রান্ত আলোচনাতে কারা বেশী বর্তমানে মাতামাতি করে থাকে :
১. তারা নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সম্পৃক্ত। এজন্য তারা সন্ত্রাস করাকে ধর্মীক কাজ মনে করেন । নিরীহ মানুষ হত্যা করা ভয়ংকর অপরাধ। অথচ তারা এই কাজ করাকে সোয়াবের কাজ মনে করে ।
২. জীবন ও জগত সম্পর্কে হতাশ লোকরা ।
মানুষ জীবনটা পায় একবারই। এই জীবন আর পাওয়া যাবে না। এই সুন্দর পৃথিবীটার জন্য এবং নিজের জন্য কত কিছুই তো করার আছে। যদি মানুষের জন্য করার ইচ্ছা না থাকে তো নিজের জন্য করা যেতে পারে। নিজের মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা দিয়ে পৃথিবীটা ইসলামীকরণের সুযোগ আছে – এই কথাটাকে তারা বিশ্বাস করে না ।
৩. প্রতিটি মুসলমান নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন ফরজ। জ্ঞান অর্জন করলে কেউ ইসলামের নামে নিরীহ মুসলমান হত্যা করতে পারে না। কারণ জ্ঞান হলো আলো । এসব কথা তারা মানে না বা বুঝতে চায় না ।
৪. ধর্ম তো প্রচারের বিষয়। কাউকে স্বমতে আনার বিষয়। মানুষ মারার বিষয় নয়। যদি মানুষ মারাই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হত – তাহলে তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন উপাধি লাভ করতেন না । মক্কা বিজয়ের পর তিনি হাতে গোনা দুই একজন অমুসলিম ছাড়া সবাইকে মাফ করে দিয়েছিলেন। এই মাফের ফলেই অমুসলিমরা দলে দলে মুসলমান হয়েছিল। অথচ এক সময় অমুসলিমরা তাকে রক্ষাক্ত করেছিলো তার সাহাবীদের অনেক অত্যাচার করেছিলো এবং তাদের মাতৃভূমিতে থাকতে দেয়নি । এসব কথা মগজ দোলাইকৃত লোকরা বুঝতে চায় না ।
৫. তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ইসলামের বিপক্ষে যারা আছে তাদের মারা ইসলামে জায়েজ। তাহলে এসব লোকদের হামলা করার কথা এমন রাষ্ট্রে বা এলাকায় যেখানে মুসলমান নাই। তাদের টার্গেট হওয়ার কথা অমুসলিমরা। কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে তারা বোমা কাকে মারতে চায় ?
৬. একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জাল বিছানো হয়েছে যাতে করে কিছু আহম্মককে সহজেই সন্ত্রাসী বানানো যায়। জঙ্গীবাদের দোহাই দিয়া কিছু রাষ্ট্র দখল করা বা কিছু রাষ্ট্রকে চাপে রাখা এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য। এই আহম্মকগুলি সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে জীবন হারাচ্ছে। যেমন : ইরাক ও সিরিয়াতে ।
৭. চোখ কান খোলা নাই, এমনকি নিজের ধর্মটাকেও ঠিক মতো জানা নাই। যেই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেই মতবাদটা নিজে শেখে নাই। কেবল আরেকজনের কথা শুনে জান কোরবান করার জন্য রাজি হয় আহম্মক ছাড়া আর কে ? যেমন : বাংলাদেশের জেএমবি এবং সাইদীর ফাসির রায়ের পর সাইদীকে চাঁদে দেখার কথা শুনে ১২৮ জনের আত্মহুতি ।
৮. যদি ধর্মের বিধান সত্য হয়, তবে ধর্মকে অমান্য করে মারা যাওয়া এই আহম্মকগুলির পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু প্রাপ্য নাই।
উপসংহার :
আমাকে যত খুশি গালি দেন । আপত্তি নাই ।
আর যদি খলিফা খলিফা করেন । তাহলে বলছি, ইরাকে চলে যান বা সৌদি রাজা খবিস শয়তান সালমানের পা চাটেন । আর তাকে খলিফা বানানোর চেষ্টা করেন ।
ছাত্র জীবন শুধুমাত্র পড়াশোনার সময় এবং মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা অর্জন করার সময় । এই সময়টা এসব কাজ ছাড়া অন্য কাজ করে শুধু মাত্র বড় ধরনের আহম্মকরাই । আপনার যদি মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা না থাকে বা এসব অর্জন না করে খিলাফাহ খিলাফহ করে চিৎকার করে, সাইদী সাইদী করে ফালাফালি করেন ও গোলাম আজম-নিজামীর পা চাটেন , সৌদি আরবের বাদশাহ বা সৌদি আরবের ধর্ম ব্যবসায়ীদের কথায় নাচেন বা চরমোনাই পীরের কথা শুনে বানরের মতো নাঁচেন তাহলে আপনি মানব জাতি কেন এই বাংলাদেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিত্ব ।
আমার কথা ফুরোলো । নটে গাছটি নুরোলো ।
আর এসব এক চোখ অন্ধ বা অন্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীদের সত্যিকার ইসলামের জ্ঞান দান করেন ।
আরো জানার জন্য পড়ুন :
১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
বিষয়: বিবিধ
৪৭৬১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১. খেলাফত ব্যবস্থা অনেকটা কনিউনিষ্টদের মতো। এক জন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে যান। যেমন :কয়েক বছর আগে কিউবায় মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ট্রো। তার মৃত্যুর পর তার ভাই রাউফ ক্যাস্ট্র তার পদ দখল করেছেন । অন্য দিকে খলিফাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি, একই নিয়ম। একজন খলিফা তার মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেছেন।
২. মৃত্যুর আগে একজন খলিফা নির্ধারণ করে দিয়ে যেতেন পরবর্তী খলিফা কে হবেন। মজলিসে সুরা বা নীতি নির্ধারকরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার উত্তরাধিকারকে অনুমোদন দেবেন বা দেবেন না। এ ব্যাপারটিও কমিউনিষ্টদের সাথে মিলে যায়। যেমন ফিদের ক্যাস্ট্র তার ছোটভাই রাউলকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
আপনার অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট পড়লাম, উপরের দুটিকে তুলে আনলাম নিচের মন্তব্যের সুবিধার্থে।
- বাংলাদেশের দুজন গুরুত্বপূর্ন নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াও একই ভাবে দলীয় খলিফা হিসেবে দলে জোকের মত লেগে আছে। পাগল না হওয়া অবধি তাঁদের খলিফা গীরি যাবে বলে মনে হয়না।
- হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদ থেকে শুরু করে সকল পীর, কুতুব কে দেখেছি তাদের ক্ষেত্রেও খলিফার মত আচরণ আছে।
- মাজার ব্যবসায়ী পীরদের অবস্থাতো আরো নাজুক। মাঝপথে কেউ খলিফা দাবী করে বসে কিনা সেই জন্য পীরদের নাবালেক সন্তানকেও খলিফা বানিয়ে রাখে।
- একটি ঘরে পিতাও সবার জন্য খলিফা। পিতার মৃত্যু না হওয়া অবধি, পরিবারের খেলাফত শেষ হয়না। আসলে ব্যপারটি অনেক লম্বা হবে।
এখানে আমার প্রশ্ন:
- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মৃত্যুর সময় কাউকে খলিফা বাছাই করে যান নাই।
- আবুবকর (রাঃ) মৃত্যুর আগে কাউকে খলিফা বানিয়ে যান নাই।
- ওমর (রাঃ) মৃত্যুর আগে কাউকে খলিফা হিসেবে ঠিক করে যান নাই।
- এভাবে ওসমান, আলী (রাঃ) কাউকে খলিফা নির্ধারণ করে দুনিয়া ত্যাগ করেন নাই।
খলিফা নির্ধারণের পদ্ধতিটি সাধারণ মানুষদের কাছে খোলা রেখে যায়। বলতে পারেন কিছু জ্ঞানী সাহাবীরা খলিফা নির্ধারণের পিছনে বেশী ভূমিকা রেখেছিলেন। এটার দরকারও ছিল, তখনও পৃথিবীতে ভোটের পদ্ধতি চালু হয়নি। তাছাড়া ইসলামী রাষ্ট্র চালানোর জন্য বুদ্ধি, দুরদর্শিতা, যোগ্যতা, গ্রহন যোগ্যতা, তাকওয়া কাদের কাছে বেশী ছিল সেটা সাধারণ জনগন জানত না। সে জন্য সরাসরি ভোটে গেলে সঠিক ব্যক্তি চিহ্নিত করণে সমস্যা হত।
আপনি আপনার দুই নম্বর উক্তিতে বলেছেন, ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর পদ্ধতি আর ইসলামী খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি একই ছিল!!
দেখুন,
ফিদেল ক্যাস্ট্রো তার একক সিদ্ধান্তে তার ভাইকে উত্তরাধীকারী বানিয়েছেন কিন্তু ইসলামী ইতিহাসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ছাড়াও তাঁর পরবর্তী চার জন খলিফাও মৃত্যুর আগে কাউকে নির্বাচিত করে যান নাই এমন কি পরবর্তী খলিফাদের কেউ পূর্ববর্তী জনের রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ছিলনা। কোন খলিফাই মৃ্ত্যুকালে জেনে যেতে পারেন নি যে, কোন ব্যক্তি হচ্ছেন তার পরের খলিফা! সুতরাং ইসলামী পদ্ধতির সাথে, কমিউনিষ্ট, রাজা, বাদশাহ কারো পদ্ধতির পদ্ধতির সাথে মিলে না।
সন্ত্রাসী আই, এস, এস গোত্রকে সাধুবাদ জানায়, তাদের প্রধানকে খলিফা বলে গর্ববোধ করে ব্লগে এমন কোন লেখা এই পর্যন্ত দেখিনাই, আবার এমন কাউকে আমি পাইনি যারা ওদেরকে প্রকৃত খলিফা বলেছে অথবা তাদের কাজকে পছন্দ করেছে। বেশীর ভাগ মানুষ বিশ্বাস করতে শিখেছে যে, এদের কাজ কোন অবস্থাতেই মুসলমানদের কাজ হতে পারেনা। অনেকে বিশ্বাস করে এদের পিছনে ইস্রাইল সহ পাশ্চাত্যের কিছু দেশ সংশ্লিষ্ট আছ, হতে পারে কিছু বিপথগামী মুসলমানও আছে।
পাশ্চাত্য চায় আই, এস, এসের কর্মকান্ড দিয়ে দুনিয়াবাসী ইসলাম ও মুসলমানকে মূল্যায়ন করুক। আর আপনিও আই, এস, এসের সমালোচনা করে কিছু মুসলমানকেই আক্রান্ত করলেন। মূলত সেটাই ওরা চাচ্ছিল, তাই অবিকল তাদের মনের মত কাজটাই করে দুনিয়ার অন্যান্য অসহায় মুসলমানকে মূল্যায়ন করলেন। যদিও বেশীর ভাগ মুসলিম তাদেরকে ঘৃণাই করে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন। ইসলামী রাজা/বাদশা/খলিফা এবং কমিউনিষ্ট শাসন পদ্ধতির সাথে চার খলিফার পদ্ধতি মিলে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইসলামী রাজা/বাদশা/খলিফা এবং কমিউনিষ্ট শাসকগন শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু ইসলামী চার খলিফার অদল/বদল হয়েছে যুদ্ধ বিগ্রহ, চক্রান্ত এবং অপঘাতে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। @ জনাব টিপু।
১. সন্ত্রাসী বাগদাদীর আনুগত্যমূলক পোস্ট ও স্যাটাস এবং মন্তব্য এই ব্লগেই ছিল । যেমন : ব্লগার তায়িফ ও লোকমান বিন ইউসুপ ।
অনেক লেখা এখন এই ব্লগে দেখছি না । সম্ভবত লেখকরা মুছে ফেলেছেন বা মডুরা মুছে ফেলেছেন । ব্লগার তায়িফ আমাকে হত্যার হুমকিও দেন । কারণ আমি খিলাফত বলে কিছু নেই ও বাগদাদী চিন্তিত সন্ত্রাসী ছাড়া কিছু নয় - এমন ধরনের লেখা লেখার জন্য ।
২. উমাইয়া ও আব্বাসিয়া বংশের শাসকদের পদবী খলিফা । তারাও উত্তরাধিকার সূত্রে শাসন করতেন । এজন্য তারা শত শত যুদ্ধ নিজেদের মধ্যে করেছেন । সুতরাং এই দৃষ্টিকোন থেকে ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর পদ্ধতি আর আপনাদের বর্ণিত ও পছন্দনীয় খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি একই ছিল বলে মনে করি ।
এই হাদিসটি পরিষ্কার করার আগে, আরো একটি হাদিস সামনে আনা দরকার। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, 'আমার যুগ সর্বশ্রেষ্ট, তারপর তৎপরবর্তী'। এই তৎপরবর্তীর সীমানা নির্ধারণের জন্য আপনার বর্ণিত ত্রিশ বছরের ব্যাখা সম্পন্ন হাদিসটি বিরাট কাজে এসেছে।
ত্রিশ বছরের বর্ণিত হাদিস দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, রাসুল (সাঃ) যে খেলাফত রেখে যাচ্ছে তা তাঁর ইন্তেকালের পরে ত্রিশ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। হোসাইন (রা) যেদিন কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন, সে সময়ই রাসুল (সাঃ) এর ইন্তেকালের ত্রিশ বছর পূর্ন হয়।
উপরোক্ত হাদিস দ্বারা কোনভাবেই প্রমানিত হয়না যে, আর কোনদিন খেলাফত প্রতিষ্ঠা হবেনা। যদি না হবে, তাহলে কত ইমাম গত হল, কত হাদিস বিশারদ গত হল, তারাতো কোনদিন এই কথার ধারনা দেয়নি যে, খেলাফত প্রতিষ্ঠার ধারনা বাদ দিয়ে মসজিদে ঢুকে আল্লাহ আল্লাহ করুন।
ইতিহাসে ওমর ইবনুল আবদুল আজিজ, নুরউদ্দীন মাহমুদ, সালাউদ্দীন আইয়্যুবী, ফাতেহ আল মাহমুদ সহ বহু ব্যক্তি কম বেশী দুনিয়াতে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
খেলাফত প্রতিষ্ঠা নাই বা হল কিন্তু খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্ঠায় বাধা প্রদান, নিরুৎসাহ করার কোন সুযোগ ইসলামে নাই। এই প্রচেষ্টা কেয়ামত পর্যন্ত চালু রাখতে হবে। কেউ না পারলে সেটা তার ব্যর্থতা নয় আল্লাহ দেখতে চান যে, তার বান্দাদের মাঝে কার কাছে এই বিষয়ে আগ্রহ আছে তাকে বের করে আনা। ধন্যবাদ।
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝেনবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
“ইসলামের সূচনা হয়েছে নবুওয়াত ও রহমতের শাসনের মাধ্যমে। এরপর হবে খেলাফত ও রহমতের শাসন। এরপর হবে অত্যাচার লুটেরা বাদশাদের শাসন। এরপর হবে অহংকারী প্রভাবশালী বাদশাদের শাসন, তখন জমিনে অন্যায়, অবিচার, ফেতনা ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। সেকালের লোকেরা রেশম (সিল্ক), ব্যভিচার (পরকীয়ার পাশাপাশি বয়ফ্রেন্ড-গার্ল ফ্রেন্ডের নামে চলমান বহুল প্রচলিত সামাজিকভাবে স্বীকৃত উঠতি বয়সী অবিবাহিতদের জেনা) এবং মদকে হালাল করে ফেলবে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত এর মাধ্যমেই তাদেরকে রিজিক দেওয়া হবে এবং সাহায্য করা হবে”।
(শুয়াইবুল ঈমান আল বায়হাকি, ৫/১৬)
বাগদাদি কি করল না করল তাতে ইসলামের কি? খেলাফতের জনক কি বাগদাদি? কেউ ফেলাফতের কথা বললে সেই বাগদাদির সাপোর্টার হয়ে যাবে, এমন যুক্তি গাধারাই দেয়। নিজেই নিজের কথার উত্তর দিচ্ছেন আপনি। নিজেই বলছেন পাকিস্তান, ইরান ইসলামিক স্টেট আবার নিজেই বিরোধীতা করে বলছেন এসব ইসলামিক স্টেট না কারণ এসব কান্ট্রি গণতন্ত্রে চলে। খলিফারা মৃত্যুর সময় পরবর্তী খলিফা নির্বাচন করে যেতেন!! কই পেলেন এসব গাঁজাখুরী কথা? গাঁজা খান নাকি?? গাঁধার রাজ্যে গাধারা লিডার হবে স্বাভাবিক তবে মানুষের রাজ্যে না।
#ইবনু বুকায়র (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের অবস্থা কেমন (আনন্দের) হবে যখন তোমাদের মাঝে মারিয়াম তনয় ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম (ইমামুল মাহদি)তোমাদের মধ্য থেকেই হবেন। ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের ইমাম হবেন বটে কিন্তু তিনি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক শাসনকার্য চালাবেন, ইন্জিল মতে নয়। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে আসবেন। -(আইনী)(বুখারী: অধ্যায়: ৫০:আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং:৩২০৬, মান: সহীহ)
গাধাকে লাগাম দিয়ে বেধে রাখতে হয় নাহলে সে মানব সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করে। নিজের মুখে লাগাম দেন।
১। হাদিসটাতে বলা হয়েছে :তোমাদের অবস্থা কেমন (আনন্দের) হবে যখন তোমাদের মাঝে মারিয়াম তনয় ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম (ইমামুল মাহদি)তোমাদের মধ্য থেকেই হবেন। ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের ইমাম হবেন বটে কিন্তু তিনি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক শাসনকার্য চালাবেন, ইন্জিল মতে নয়। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে আসবেন।
দয়া করে বলবেন কি ? -
১। এই সময়টা কখন পৃথিবীতে হবে ?
২। সেই সময় আমরা বেচে থাকবো কি ?
বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন