ইসলামী গণতন্ত্র! আমরা কি নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছিনা?২য় পর্ব।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৫৩:২৮ সন্ধ্যা



প্রথম পর্বের লিংক Click this link

#ইসলামী রাষ্ঠ্রে যদি কোন ব্যক্তি ইসলামকে সত্য জেনে পূর্ণাঙ্গরূপে গ্রহণ করে নেবার পর, ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানায় এবং তা পালনে বিরত থাকতে শুরু করে, তখন আদালত তাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করবে। এক্ষেত্রে তার শাস্তির মাত্রা নিয়ে আলেমগণ কয়েকটি মত প্রদান করেছেন। তার মাঝে সবচেয়ে নমনীয় মত প্রদান করেছেন ইমাম আবূ হানিফা (রঃ)। তিনি বলেছেন, এই ব্যক্তির শাস্তি হল গৃহ বন্দি করে রাখা, যতক্ষণ না সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

সংসদ কি নামাজের ব্যাপারে এমন বিল পাস করতে পারবে?

#হ্যা! কর আদায়ে পাসকৃত আইনের মত সংসদে যাকাতের ব্যাপারেও বিল পাস করা সম্ভব এবং ধনীদের নিকট থেকে যাকাত আদায় করাও সম্ভব সম্ভবত মালেশিয়া এমন উদাহরণ স্হাপন করেছে। কিন্তু ইসলামি অর্থনীতির কথা বলতে গেলে রীতিমত কয়েকটি ব্লগপোস্ট লিখতে হবে। সুদী ব্যাংকগুলোর ব্যাপারে করণীয় কি হবে? সম্ভবত বিশেষজ্ঞরা মতামত পেশ করবেন যে, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোতে ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করা হবে। কিন্তু ইসলামে মুদ্রা ব্যবস্হার ভিত্তি সোনা ও রূপার দিনার ও দিরহাম, ইউএস ডলার নয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং আইন কানুন, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও মুদ্রাব্যবস্হা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারগুলি কিভাবে সমাধান করা হবে? এই ব্যাপারগুলিও যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। যাহোক এ আলোচনা থেকে বিরত রইলাম।

#রাসূল ﷺ এর আনুগত্য বিষয়টা আনলে পরিস্হিতি আরো জটিলতায় চলে আসবে। কারণ সবাই যদি আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যে চলে আসেন তখন তো বিরোধীদল বলে কিছু থাকতেই পারেনা। ইসলামে রাষ্ঠ্রীয় আনুগত্য আবার আমীর কেন্দ্রীক তাই ইসলামী রাষ্ঠ্রে বহুদল, বহুমত তথা গণতান্ত্রিক সিস্টেমই থাকতে পারেনা।

আসলে ৩টি দায়িত্বের কোনটিই পার্লামেন্ট দিয়ে কার্যকর করা সম্ভব না। পার্লামেন্ট তৈরী হয়েছে আইন তৈরীর জন্য, ইসলামী আইন বাস্তবায়নের জন্য না।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি ইসলামকে বিজয়ী করতে সক্ষম?

গণতান্ত্রিক সিস্টেম হল, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে দলকে অধিক সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত করবে, সেই দল ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে ও সরকার গঠন করবে। অবশ্য এক্ষেত্রে বিরোধী দলও এই পার্লামেন্টারী সিস্টেমের একটা অংশ। ব্যাপারটি মানবিক দৃষ্টিতে অধিক যুক্তিসংগত বলে মনে হয়। এজন্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলোও তা গ্রহণ করেছেন। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামি দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তখন তারা ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং দেশকে ইরানের মত কোন এক ইসলামী রাষ্ঠ্রে পরিণত করবেন এটিই তারা প্রচার করেন ও বিশ্বাস করেন। অথচ সবচেয়ে বড় চিন্তাগত দূর্বলতা ঠিক এই জায়গাটাতেই। সেকুলাররা আল্লাহ ও তার সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান, তারা তাকদীরে বিশ্বাস করেননা এজন্যই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সমাজ ও রাষ্ঠ্রে নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চান, সমাজে পরিবর্তন আনতে চান। কিন্তু ইসলামী দলগুলোর এমন চিন্তাধারার ভিত্তি কি?

ইসলামের ইতিহাস বলছে বদর, ওহুদ, খন্দক থেকে শুরু করে রোমানদের বিরুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর ইয়াকমূক যুদ্ধ, আবদুল্লাহ ইবনে সাদ (রাঃ) এর আফ্রিকার যুদ্ধ, ক্রুশেডারদের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দীন আইয়ুবী (রঃ) এর হিত্তিন যুদ্ধ_ প্রত্যেকটিতে মুসলিমগণ শত্রুদের তুলনায় ছিল অতি নগণ্য, কিন্তু তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে জয়লাভ করেছিলেন। শুধুমাত্র হুনাইন যুদ্ধে মুসলিমগণ ছিলেন লোকবলে ও সক্ষমতায় বেশি আর সেটিই তাদের জন্য প্রথমদিকে কাল হয়ে দাড়ায়।

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ অনেক স্হানে তোমাদের সাহায্য করেছেন এবং হুনাইন যুদ্ধের দিনেও; তোমরা তোমাদের জনসংখ্যার (১২,০০০ সেনা) আধিক্যে প্রফুল্ল হয়েছিলে, তবে তা তোমাদের কোন উপকারেই আসেনি এবং যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্বেও তোমাদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং তোমরা শত্রুদের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (সূরা তওবা, আয়াত: ২৫)

আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেছেন, নিঃসঙ্গ ও অপরিচিত অবস্হায় ইসলামের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। অচিরেই তা নিঃসঙ্গ ও অপরিচিত অবস্হায় প্রত্যাবর্তন করবে। অতএব: নিঃসঙ্গ ও অপরিচিতদের জন্য সুসংবাদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০/কলহ-বিপর্যয়, পরিচ্ছদ: ৩০/২৫: ,হাদিস নং: ২/৩৯৮৭, ইফাবা)

এখানে সেই অপরিচিত ব্যক্তি বলতে কি বুঝানো হয়েছে? অর্থাৎ খুব সামান্য কিছু লোক ইসলামের উপর টিকে থাকবে, এবং তাদের দ্বারাই ইসলাম বিজয়ী হবে, যদিও পৃথিবীতে ইসলাম বিদ্যমান থাকবে এবং কোটি কোটি মুসলিম জীবিত থাকবে।

কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কখনো ইসলামকে বিজয়ী করতে পারবেনা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামকে আকড়েও ধরবেনা বরং ইসলামের বিজয় বা পরাজয় আল্লাহর নিজ হাতে।



মানুষ কি পরিবর্তনে সক্ষম নাকি আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন?

যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)

আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই কোন উন্নত-শক্তিশালী সভ্যতাই সুদীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারেনি বরং ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রাকৃতিক দূর্যোগে বা বহিঃশত্রুর আক্রমণে। একটি শক্তিশালী জাতিগোষ্ঠীর ধ্বংশের পর অন্য একটি জাতির উদ্ভব হয়েছে এবং তাদের দাপট দেখে, শক্তিমত্তা দেখে মনে হয়েছে যে, তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার কেই নেই, তারা অক্ষয়, কিন্তু তারাও টিকেনি।

তোমরা স্মরণ কর সেই বিষয়টি, যখন তিনি আদ জাতির পর তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন... (সূরা আরাফ, আয়াত- ৭৪)।

একেরপর এক উন্নত সভ্যতার জন্ম হয়েছে কিন্তু কেউ টিকেনি।

"শ্রেষ্ঠ কি উহারা, নাকি তুব্বা সম্প্রদায় ও উহাদের পূর্ববর্তীরা? আমি উহাদিগকে ধ্বংশ করিয়াছিলাম, অবশ্যই উহারা ছিল জালিম(দুখান -৪৪: আয়াত ৩৭,অধ্যায়:২৫)"

এখানে কোন সভ্যতাই চীরস্হায়ী ভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। একবার তারা অন্যান্যদের শাসন করেছে, আবার কিছুদিন পরে তারাই অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছে। এটা পৃথিবীর স্ট্রাকচার বা ভাগ্যলিপি। কখনো গ্রীক রূম বা পারসিয়ানরা কর্তৃত্ব স্হাপন করেছে আবার কখনো ইউরোপীয় রোমানরা। আবার মুসলিমদের জাগরণের পর রোম-পারস্য পরাজিত হয়েছে। মুসলিমরা হাজার বছরের বেশি সময় পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলিম ভূমিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করার শর্তে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করত। মধ্যযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও ছিল মুসলিমদের হাতে কিন্তু ১৯২৪ সালে সর্বশেষ মুসলিম পরাশক্তি তুর্কি খিলাফতের পতন ঘটল পশ্চিমাদের হাতে। একদিন ইহুদিরা খৃষ্টানদের হাতে কচুকাটা হয়েছে, হিটলার গণহত্যার দ্বারা সেমেটিক ইহুদিদের সংখ্যা মাত্র ৫ লাখে নামিয়ে এনেছিল। কিন্তু আজ সেই পরাক্রমশালী হিটলার আর তার নাজি বাহিনীর অস্তিত্বটুকুও নেই। আজ পৃথিবী ইউরোপীয় ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব অর্থনীতি-রাজনীতি, মিডিয়া সব তাদের হাতে এবং মুসলিমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাদের দ্বারা, হচ্ছে হত্যা-নির্যাতনের শিকার। তাদের সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে তারা চীরস্হায়ী কিন্তু তারা কি চীরস্হায়ী হবে? আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা (মুসলমানরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে, ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে, তখন পাথর ও গাছগুলো বলবে; হে মুসলমান! এই যে ইহুদী আমার পিছনে!! এসো,তাকে হত্যা কর [সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪১, হাদিস সংখ্যা:৬৯৮৫)

কাজেই মানুষ কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেনা বরং তারা কোন অদৃশ্য শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যিনি বারবার মানব ইতিহাস পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। কয়েকশত বছরের ব্যাবধানেই একটি সভ্যতা ধ্বসে পরছে, জন্ম হচ্ছে অন্যটির।

হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

অর্থাৎ মানুষ পরিবর্তনের ক্ষমতাও রাখেনা সেটি আল্লাহর নিন্ত্রণাধীন।

আর islamic eschatology অনুযায়ী, মুসলিমদের জন্য ভবিষ্যতে সবচেয়ে ভয়ানক ও সর্ববৃহৎ চ্যালেঞ্জ হল দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ এবং মালহামাতুল কুবরা (মহাযুদ্ধ) কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ইসলামি দলগুলোর এই ব্যাপারে কর্মপন্হা কি? ইমাম মাহদি (আঃ) ও ঈসা (আঃ) এর অবতরণের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য কি? তারা এই ব্যাপারগুলোয় নীরবতা পালন করছেন কেন? তারা কি কুরআনিক বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে না?

চলবে___________________________________

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316514
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:২৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ভালো লাগলো, প্রথম পর্বের প্রথম ছবিটি লেখার সাথে মানন সই হতো বেশি।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৩৫
257658
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া আসলে ঠিক করতেই পারছিলাম না কোন ছবিটা দিব? পড়ার জন্য ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহGood Luck Good Luck
316527
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : একটু পড়ে আসছি আপু......
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৪
257671
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আচ্ছা আপি..।
316530
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তাহলে আমাদের কাজ কি??
আল্লাহতায়লার ইচ্ছার জন্য চুপ করে বসে থাকা আর তসবিহ জপা???
কুরআন এর এই বক্তব্যের ব্যখ্যা কি হবে যে আল্লাহতায়লা কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেননা যতক্ষন তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন না করে।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৩
257670
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া অগ্রিম বক্তব্য শুনে আমি একটু বিব্রতকর পরিস্হিতিতেই পরছি বারবার। আমি যদি একসাথে পুরো লেখাটা দিতাম আপনারা কেউ পড়তেই চাইতেন না, অভিযোগ করতেন এত বড় লেখা কেন? আবার এখন যখন পড়ার সুবিধার্থে লেখা ছোট করে দিচ্ছি আপনারা আগেই এমন সব আকাশ-কুসুম কথা বলছেন, বিরক্তি প্রকাশ করছেন যা কষ্ট দেয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৪৯
257702
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সবুজ ভাই, আপনারা কেয়ামত পর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়েন অথবা ফ্রিজ হয়ে যান!
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:৪০
257743
সাদাচোখে লিখেছেন : @ সবুজ ভাই, আসসালামুআলাইকুম। আমি আপনার সেন্টিমেন্টকে সাধুবাদ জানাই।

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে ৯/১১ না হলে 'গনতন্ত্র' এবং এর সহযোগী ধ্যান ধারনা সমূহ (যেমন হিউম্যান রাইটস, ওম্যান রাইটস, চাইল্ড রাইটস, জেনেভা কনভেনশান, ইউএন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আই এম এফ, ডব্লিও টি ও, আই এল ও, উন্নয়ন সহযোগী, এইড অর্গানাইজেশান, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল, ব্যাংকিং ও সুদের বিবিধ রূপ ইত্যাদি ইত্যাদি) যে কত বড় গ্লোবাল প্রতারনা, কত বড় ধাপ্পাবাজি - তা জানা যেত না। পৃথিবীর ইতিহাসে পুরো পৃথিবীময় প্যারালালী কোন দিন মানুষ এত বড়, এত ব্যাপক প্রতারনার জালে জড়িয়ে পড়েনি। এবং আরো সত্য হচ্ছে এই প্রতারনা হতে মুক্তির কোন সুযোগ মানুষের কাছে নেই - মানুষের হাত পা সিম্পলী বাঁধা পড়ে গেছে, এ্যাবসুলুট স্লেভারীতে।

আপনি যদি (পৃথিবীর মুদ্রা ব্যবস্থা, ওয়ার্ল্ড ট্রেডিং ও সংশ্লিষ্ট সাবসিডি, জি এম ও, এইড ও মুদ্রা রিসাইক্লিং মেকানিজম, পৃথিবীর গত ৪০০ বছরের মেইন দেশ সমূহের বেসিক ইতিহাস, অন্তর্জাতিক সীমানায় মিলিটারী উপস্থিতির ট্রেন্ড ইত্যাদি সম্পর্ক বেসিক সত্য নলেজটি নেন (ইন্টারেস্ট গ্রুপের তৈরী করা পাঠ্য পুস্তকের টা না - ওটা কনটামিনেটেড) এবং সেই সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হাদীসসমূহ ও কোরানের আয়াত ও তাফসীর পড়েন - এবং তারপর আপনার বিবেক ও বুদ্ধির ব্যাবহার করেন - তবে নিশ্চিত এই প্রতরনার পুরোটা দিনের আলোর মত ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং পরিষ্কার বুঝবেন যেঃ

কোরান কত বেশী প্রাকটিক্যালী সত্য। হাদীস সমূহ কত বেশী ফ্যাক্টচুয়ালী কারেক্ট। আপনি নিজেকে নির্ঘাত আরো বেশী, অনেক বেশী পরিমানে আল্লাহর কাছে মাথা নত করা অবস্থায় আবিষ্কার করবেন। গ্যারান্টি।

এই সব কিছু ক্লিয়ারলী কোরানে ও হাদীসে বলা আছে। কিন্তু তা একজন মুমিন এর কাছে ততক্ষন পরিষ্কার হয় না - যতক্ষন না উপরের নলেজ আয়ত্বে আসে।

এবং সে সাথে আপনার সামনে তথা ট্রু মুমিনএর সামনে তাদের করনীয় ও বলে দেওয়া আছে - দূর্ভাগ্যক্রমে আমরা যে পড়ালেখা করেছি, আমরা যেভাবে গাফেল হয়ে গিয়েছি, আমরা যে ভাবে ইসলাম থেকে এ্যাকচুয়ালী সরে গিয়েছি - করনীয় গুলো মেনে নিতে পারিনা কিংবা বলা উচিত পারছিনা। লিটারেলী বলতে পয্যন্ত ভয় পাই।

এবং আপনি শিওর থাকতে পারেন সমাধানের নিমিত্তে 'কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেননা যতক্ষন তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন না করে' এই আয়াতটিকে আপনি সেখানে সমাধান হিসাবে দেখবেন না।

বরং আপনার কাছে মনে হবে এই আয়াতটি হল অন্য সিম্পটম কিংবা অন্য সমস্যার সমাধান। কিন্তু আমরা যে রোগে ভুগছি এখন - সেটার সমাধান তা নয়।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
257750

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : "কোরান কত বেশী প্রাকটিক্যালী সত্য। হাদীস সমূহ কত বেশী ফ্যাক্টচুয়ালী কারেক্ট। আপনি নিজেকে নির্ঘাত আরো বেশী, অনেক বেশী পরিমানে আল্লাহর কাছে মাথা নত করা অবস্থায় আবিষ্কার করবেন। গ্যারান্টি।"

হাতে তুবড়ি মেরে কথার ফুলঝুড়ি সাজিয়ে অবলিলায় আপরের গিবত করা সহজ বটে, তবে ভাল জিনিস করে দেখানোর যোগ্যতা তুবড়ি মেরে হয় না @ জনাব।

বিগত ১৪০০ বছরে ইসলামী মধুবৃক্ষ!? কাঁটা ছাড়া কোন ফলন দেখাতে পারে নি। অথচ বৃক্ষের পরিচয় ফলে। কিন্তু ঐতিহাসিক ভাবে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তক্ষয়, লুটপাট, দখলবাজী, উপনিবেশ, বোমাবাজী, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন এসবে ইসলাম দারুন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং দিচ্ছে @ সাদাচোখে।
ধন্যবাদ।
316544
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৩
আফরা লিখেছেন : সাথে আছি -------
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৪২
257752
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যেভাবে সবাই আপত্তি তুলছে লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি তাই ২য় লেখাটা দায়সারা ভাবে সারলাম। দেখাই যাক কতদূর যেতে পারি।
316565
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : তোমার ১ম লিখাটি এবং ২য় টি অনেক মনোযোগ সহকারে পড়লাম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে তোমার লিখায় যে যুক্তি পেশ করেছো তার সাথে সহমত পোষণ করছি। তবে পাশাপাশি অনেক প্রশ্নও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে যার জন্য তোমার সবকয়টি লিখা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৪২
257754
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যেভাবে সবাই আপত্তি তুলছে লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি তাই ২য় লেখাটা দায়সারা ভাবে সারলাম। দেখাই যাক কতদূর যেতে পারি।
316587
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:৫৫
সাদাচোখে লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্‌। চমৎকার চেষ্টা করছেন - জটিল ও ব্যাপক বিষয়টিকে রিডার ফ্রেন্ডলী সহজবোধ্য করার। আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয়েছে পরে কোন একসময় বই বানাতে গেলে এটাকে আগের পর্বের মত আরো পলিশড করতে হবে।

আমি ঠিক জানিনা আপনি আগামী পর্বগুলো কেমন করে সাজাবেন। ব্যাক্তিগতভাবে আমার পরামর্শ হলঃ

১। গণতন্ত্রের মূল (যেটা গত পর্বে করেছেন) ও এ্যাপ্লিকেশান (মানুষের উপর গনতন্ত্রের প্রভাব) সমূহের সাথে ইসলামের যে সব জায়গায় ডাইরেক্ট কন্ট্রাডিকশান - তা প্রথমে তুলে ধরুন। তারপর চাইলে মুসলমানের উপর গনতন্ত্রের এ্যাফেক্ট নিয়েও একটা পর্বে আলোচনা করতে পারেন।

২। উপরের অংশ সমূহ শেষ হলে পর গনতন্ত্রের সাপোর্টিং পিলারগুলো নিয়ে একে একে আলোচনা করতে পারেন - যেমন ক্যাপিটালিজম >> সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ও তার মাধ্যমে আলটিমেট শোষন এবং এর সাথে কিভাবে ইসলাম কন্ট্রাডিক্ট করে। যেমন নির্বাচন >>> পাওয়ার ফোকাস প্রতিযোগীতা ও তার মাধ্যমে দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দান এবং তার সাথে কিভাবে ইসলাম কন্ট্রাডিক্ট করে।

কিন্তু আখেরে আপনি ই ভাল বুঝবেন আপনার লিখা কিভাবে সাজালে পরে আমরা পাঠকেরা উপকৃত হব।

আল্লাহ আপনার লিখার ক্যাপাসিটিকে সহজ করে দিন আর পাঠকের আন্ডারস্ট্যান্ডিং শক্তিকে বাড়িয়ে দিন। এটাই আমার আজকের প্রার্থনা।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৪২
257755
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যেভাবে সবাই আপত্তি তুলছে লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি তাই ২য় লেখাটা দায়সারা ভাবে সারলাম। দেখাই যাক কতদূর যেতে পারি।
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:২৭
257878
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! সাদাচোখে ভাইয়া কতো সুন্দর সুপরামর্শ দিলেন! আল্লাহ আপনাদের জ্ঞান আরো সুপ্রসারিত করুন ! আমিনPraying

ঘুম! পাশে এত চমৎকার সুপরামর্শক বড় ভাই থাকতে তোমাকে দোদুল্যমান দেখতে চাই না!Happy
316736
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:২৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।
এ কয়দিন একটু ব্যস্ততায় কাটছে তাই সময় দিতে পারিনি! স্হির হয়ে বসে পড়লাম আলাহমদুলিল্লাহ! আমি পরামর্শ দিবো কোনভাবেই হীনমনোবল না হয়ে বরং দৃঢ়তার সাথে শেষ পর্যন্ত লিখাটির সুসমাপ্তি টানো!

একটা সমাজ চলতে ডাক্তার,ইন্জিয়ার, নার্স,সমাজকর্মী সাধারন মানুষও লাগে! ব্লগে আমাদের সবার লিখা একই ধাপে হয় ! ইসলামী এই লিখাগুলো তেমন কেউ লিখে না সুতরাং আল্লাহ তোমাকে যতটুকু এই বিষয়ে জ্ঞান দিয়েছেন তা বিতরন করো!
আগের পর্ব পড়েছিও, এটিও পড়েছি! আমি সবকটি পর্ব আবারো পড়বো আরো সহজভাবে কনসেপ্ট বোজার জন্য!

জাযাকাল্লাহু খাইর! Good Luck
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:১৪
257999
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপু আমি এই ব্লগে তোমাদের মত তেমন জনপ্রিয় কেউনা তাই আমি কি লিখলাম সেটা নিয়ে খুব বেশি লোক মাথা ঘামায় না। তবে ফেসবুকে আমার প্রচুর ফ্রেন্ডস আর ফলোয়ার। ফেসবুকে আপত্তি, গালগালি, ব্যক্তিআক্রমণ কোন কিছুরই কমতি নেই তাই আর ভালো লাগছেনা। প্রথম পর্বের পর এই ২য় পর্বটা অনেকটা দায়সারা ভাবেই শেষ করেছি। আর তোমরা বিদেশে বসে যত স্বাধীনভাবে ব্লগিং কর এটা এদেশে সম্ভব না আমাদের অনেক গা বাঁচিয়ে চলতে হয় ইচ্ছা হলেই সব বলাও যায়না, করা যায়না। বাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে ব্লগিং করি তাই আর বেশি টানবোনা। জাঝাক আল্লাহ আপি।Good Luck Good Luck
317757
০২ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:০৬
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : লেখাটা ঠিক আছে কিন্তু আমি এক জন পাঠক হিসেবে আপনাকে বলবো সিরিয়াল পোস্ট যখনই দিবেন তখন লেখাটা এমন ভাবে শেষ করবেন জেনো পাঠক পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য আগ্রহে থাকে। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
০২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২১
258911
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : প্রথম পর্ব প্রকাশ করার পর যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় আপত্তি আর কটুকথার আক্রমণ শুরু হল যে আমি অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পরেছিলাম তাই ২য় পর্বটা দায়সারা ভাবেই সেরেছিলাম এইজন্য লেখার এই হাল। Good Luck Good Luck
329643
১২ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৪২
মিজবাহ লিখেছেন : সাদাচোখে ভাইয়ের মাধ্যমে জানলাম আপনার ব্যাপারে। যে বিষয়ে হাত দিয়েছেন তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কঠিন কিন্তু কঠিনকে জয় করা আপনাদের মতো ব্লগারের দরকার সুতরাং কে আপনার লিখায় আমল নিল কি নিলনা তা দেখা আপনার দরকার নেই। সত্যটি লিখে জান। মানুষের চিন্তার দুয়ার একদিন খুলবেই।

আমিও একসময় ইসলামে গনতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম। সাদাচোখের সাথে আমার এ ব্যাপারে বিতর্ক হতো। আমরা পাশাপাশি থাকি। কিছুদিন ধরে ইসলামে গনতন্ত্র খুব বেশী কন্ট্রাডিক্ট করে তা বুঝতে পারছি। অনেক কিছু চোখের সামনে ভাসছে, পরে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।

চালিয়ে জান সংগে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File