ইসলামী গণতন্ত্র! আমরা কি নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছিনা? ১ম পর্ব।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৪১:১৯ সন্ধ্যা



আমি জানি এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করা খুবই বিব্রতকর, কারণ তা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্কের সূত্রপাত হবে। কিন্তু চুপ করে থাকা কি সমাধান, নাকি মানুষকে সঠিকটা জানানো? তাই এই বিষয়ের যতটুকু সম্পর্কে আমার স্পষ্ট জ্ঞান আছে ঠিক ততটুকুই উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

গণতন্ত্রের ইতিহাস, পশ্চিমা সমাজে তার জায়গা করে নেয়ার কারণ ও বর্তমান অবস্হান ইত্যাদি নিয়ে "Survival of the fittest!! পরিবার প্রথা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?" শিরোনামে গত ১৮ তারিখ রাতেই একটি ব্লগপোস্ট দিয়েছিলাম যেখানে আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছি। Click this link তাই সেসব কথা আবার টেনে এনে এই লেখা মোটেও বড় করতে চাইনা। অনুরোধ থাকবে লেখাটি পড়ার জন্য।

গনতন্ত্র ও ইসলাম দুটি ব্যাবস্হাই এসেছে ভিন্ন ভিন্ন পেক্ষাপট ও সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টোকোণ থেকে। পশ্চিমা সমাজব্যাবস্হাকে খৃষ্টান ধর্ম থেকে বের করে বিজ্ঞান ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য। নাস্তিকতাবাদের হাত ধরে আগমণ ঘটে গনতন্ত্রের, আবার গণতন্ত্রকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাদ ব্যাবস্হা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। পরে আবার তা নিয়ে সৃষ্ট হয় সামাজিক ও রাজনৈতিক জটিলতা, ফলে বিকল্প ব্যাবস্হা হিসেবে জন্ম নেয় সমাজতন্ত্র কিন্তু তা ব্যর্থতার মুখ দেখে।

অন্যদিকে ইসলাম এসেছিল আরবে, তার পূর্বের নবূয়তের ধারা পরিপূর্ণ করার জন্য। যার প্রধান লক্ষ্য ছিল, সমাজকে সর্বপ্রকার কুসংষ্কার, ভ্রান্ত বিশ্বাস, আসাবিয়াহ (গোত্রপ্রীতি/স্বজনপ্রীতি, জাতীয়তা), শ্রেণী বৈষম্য ও তাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত অন্যায়-অত্যাচার (নারী-পুরুষের বৈষম্য, ধনী-গরীবের বৈষম্য) এবং মানবসৃষ্ট মনগড়া সকল মতবাদ ও ধর্মের মুলোৎপাটন করে সমগ্র মানবসম্প্রদায়কে শুধুমাত্র এক আল্লাহ অভিমূখী করা এবং বিশ্বভ্রাতৃসমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা পরিচালিত হবে শুধুমাত্র খেলাফত ভিত্তিক শাসনব্যাবস্হায়। তাই ইসলামের সাথে গণতন্ত্রের বিরোধ সুষ্পষ্ট।

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ, সম্পূর্ণ এবং সত্য।

রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে আরববাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন, আমি কি ইসলামকে তোমাদের নিকট পরিপূর্ণভাবে পৌছে দিতে পেরেছি?

সকলে উত্তর দিয়েছিল, হ্যা! হে আল্লাহর রাসূল! আপনি পৌছে দিয়েছেন।

তখন কোরানের আয়াত নাজিল হল,

আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন(জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনিত করলাম” -(আল-কুরআন,সূরা মায়িদা: আয়াত:৩)

এই আয়াত নাজিলের সাথে সাথে পূর্বের ও পরের সকল মতবাদ ইসলামের দৃষ্টিতে চীরদিনের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে কারণ আল্লাহ ইসলামকে সম্পূর্ণ করেছেন, এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য পথ শুধুমাত্র ইসলাম।



সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ নাকি, জনগণ?

গণতন্ত্রের মতে, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ কারণ তারা স্রষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেনা। অথচ আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেছেন, আপনি বলুন, হে রাজ্যাধিপতি আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন এবং যার নিকট হতে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন, যাকে ইচ্ছা সন্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন; আপনার হাতেই যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান, আয়াত: ২৬)

কাজেই জনগণ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক না বরং সে নিজেই স্রষ্টার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।



সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলে সেটিই সঠিক!!

গণতন্ত্র বলে, অধিকাংশ লোক যেটার পক্ষে রায় দিবে সেটাই সঠিক, সেটাই করণীয়।

অথচ কোরান বিরোধীতা করে প্রতিউত্তর দিচ্ছে, হে নবী! যদি তুমি দুনিয়াবাসীদের অধিকাংশ লোকের কথার অনুসরণ কর, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে, তারা তো নিছক ধারণা ও অনুমানেরই অনুসরণ করে চলে, আর তারা ধারণা ও অনুমাণ ছাড়া কিছুই করে না (সূরা আনআম:১১৬)

কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যা বলে তা সঠিক না, মানদন্ড একমাত্র ইসলাম। যদি পৃথিবীর সকল মানুষ ইসলামের বিপক্ষে রায় দেয়, তবুও ইসলাম পরিপূর্ণ সঠিক। সূরা নাহলের ১২০ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ অতীত ইতিহাস থেকে উদাহরণ দিয়েছেন, নিশ্চয়ই ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন একাই এক উম্মত (জাতি), আল্লাহর অনুগত, একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেননা।

আমরা জানি, একটি বিরাট জনগোষ্ঠী কে বলা হয় জাতি। যেমন: আরব, বাঙ্গালী, আফগানী ইত্যাদি। সেখানে একজন ব্যক্তিকে "কেন জাতি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে??" কারণ তৎকালীন সময়ে গোটা পৃথিবীতে ইবরাহীম (আঃ) ব্যতীত কোন মুসলিম ছিলেননা, অর্থাৎ সকল মানুষ ছিল মুশরিক। তাই আল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে ২ টি ভাগে ভাগ করেছেন,

১. মুশরিক

২. মুসলিম।

দেখা গেল ইবরাহিম (আঃ) ব্যাতীত সমগ্র মানুষই মুশরিক। তাই ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন একক ব্যক্তি কিন্তু একটি জাতি। এবং তিনিই ছিলেন সঠিক যেখানে সমগ্র মানবজাতি বিভ্রান্ত।

কাজেই সমস্ত মানুষ ইসলামকে অস্বীকার করলেও তা মিথ্যা হয়ে যাবেনা।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শুরা কিংবা পরামর্শ এর সাথে গনতন্ত্রের সবার মতামত এর তুলনা করা কি সঠিক?

(হে নবী!) দ্বীনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করো। তারপর যখন কোন মতের ভিত্তিতে তোমার স্থির সংকল্প হবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো। আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন যারা তাঁর ওপর ভরসা করে কাজ করে।" (সূরা আল ইমরানঃ ১৫৯)

এখানে বলা হয়েছে, দ্বীন এর ব্যাপারে অর্থাৎ ইসলামের ব্যাপারে।( ইসলামিক শাসনব্যাবস্হা দ্বীনের একটি অংশ) কাকে বলা হয়েছে? আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে, যিনি মুসলিমদের আমির বা অভিভাবক। কাদের সাথে মতামতের কথা এসেছে? সাহাবীদের সাথে, যারা একেকজন একেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অর্থাৎ এখানে যোগ্যতার মাপকাঠি রয়েছে যে কারো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু গণতন্ত্র আলেম, মূর্খ, জালেম, মজলুম, বোধসম্পন্ন ও নির্বোধ সবার মতামতকে আমলে নেয়, অর্থাৎ সবাই এক। কিন্তু তা কি যৌক্তিক?

যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা কি সমান? (সূরা যুমার ৩৯/০৯)

স্বাধীন ও সার্বভৌম সংসদ বা পার্লামেন্ট:

অর্থাৎ পার্লামেন্ট সকল জবাবদিহীতার উর্দ্ধে। সে তার ইচ্ছামত ইসলামে নিষিদ্ধ বিষয়কে হালাল করতে পারে আবার ইসলামে যা হালাল, তাকে সে আইনপাশ করে হারাম করে দিতে পারে। অথচ একজন খলিফা তার সকল কথা ও কাজের জন্য ইহকালে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য এবং কোরান-সুন্নাহ এর বিপক্ষে যায় এমন কোন কাজ করার অধিকার তিনি রাখেননা। কারণ আল্লাহর রাসূল বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলেছেন, খলিফা যদি কোরান-হাদিসের উপর অটল থাকে তবে তোমরা তার বিরোধীতা করবেনা।

গনতন্ত্রে দেশ ও জনসাধারনের নিরাপত্তা ইউএন এর সিকিউরিটি কাউন্সিল এর উপর নির্ভরশীল।

সরকার ও প্রশাসন তার কার্যক্রমের জন্য ইউএন বডি -র (যেমন আইএলও, আইএমএফ, ইন্টারন্যাশানাল ক্রিমিনাল কোর্ট, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ ইত্যাদি) কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য। কিন্তু ইসলামে খলিফা ও খিলাফাত প্রশাসন নিরাপত্তা ও জবাবদিহীতার জন্য শুধু মাত্র আল্লাহর উপর নির্ভরশীল ও তার কাছেই জবাবদিহী করতে বাধ্য।(এই অংশটুকু ব্লগার সাদাচোখের লেখা থেকে নেয়া)

গণতান্ত্রিক একাধিক দল বা রাজনৈতিক দলসমূহ।

গণতান্ত্রিক সিস্টেমে একাধিক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে যাদের সকলের লক্ষ ও উদ্দেশ্য এবং আদর্শ ভিন্ন। কিন্তু ইসলাম মুসলিম সমাজে মুসলিমদের মাঝে কোন রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দেয়না।

মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। (সূরা হামিম: ১০, পারা ২৬)

তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎ পথ পাইতে পার।

তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।( সূরা আল ইমরান ১০৩ ও ১০৫)

কাজেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে যদি এমন এক বা একাধিক সেকুলার ডেমোক্রাটিক দল অথবা ইসলামিক দলও গড়ে ওঠে তবে তাও মুসলিমদেরকে বিভক্ত করবে নানান দল ও পথে, তৈরী করবে শত্রুতা। তাই তা হারাম।

আলেমদের ইজতিহাদকে অবজ্ঞা ও বিদাতকে গ্রহণ

ইসলামের নীতি হল, যখন যুগের চাহিদার কারণে এমন কোন নতুন বিষয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়, যার স্পষ্ট দিক নির্দেশনা কোরান-হাদিসে অনুপস্হিত, তখন আলেমরা একত্রে কোরান-হাদিসের উপর বিস্তার গবেষণা করে সেই নতুন সমস্যার সমাধান প্রদান করেন। কিন্তু আলেমরা গণতন্ত্রকে মুসলিম ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী রাজনৈতিক দল বানানোর ব্যাপারে কোন মতামত প্রদান করেননি।

এছাড়া কোরানে কোন আয়াত বা হাদিসে এমন কোন উদ্ধৃতি আসেনি যার ভিত্তিতে এমন কোন ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করা যায় কাজেই এটি স্পষ্টত বিদাত।

(দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ: ৪৬০৭, তীরমিজি: ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত: ১৬৫)

গণতান্ত্রিক ইসলামী দল খিলাফাহ এর দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ।

ক্ষমতা পাবার পর মুমিনদের দায়িত্ব কি??

সূরা নূরের ৫৬ আয়াতে উত্তর দেয়া হয়েছে।

১.সালাত কায়েম করতে হবে।

২.যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি প্রণয়ন করতে হবে।

৩.রাসূলের আনুগত্য পালন।

একটিও কি গণতন্ত্রিক শাসন ব্যাবস্হায় ও সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত ইসলামী রাজনৈতিক দলের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব???

৪ বার ক্ষমতায় টিকে থাকা তুরস্কের এরদোগান কি পেরেছে?

তিউনিসিয়ার আন নাহদা??

চলবে____

বিষয়: বিবিধ

৪৭০৫ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316326
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:০১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:০২
257451
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : পড়ার জন্য দুষ্টু ভাইয়াকেও ধন্যবাদ।Good Luck Good Luck
316329
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার নিক নামটি আজ সার্থক হল৷ সত্যই আজ আপনি গনতন্ত্রীদের ঘুম ভাঙ্গাবার মতই লেখা লিখেছেন৷ জাজাকাল্লাহ খাইর৷
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:০৫
257454
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আমি এই বিষয় নিয়ে লিখতে চাইনা ভয়ে কারণ তাতে হিতে বিপরীত হয়। তবুও গত দুদিন দেখলাম দুজন ব্লগার এর পক্ষে-বিপক্ষে পোস্ট দিচ্ছেন, তর্ক করছেন তাই আমি সত্যিটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। করো মনে কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিলনা।Good Luck Good Luck
316335
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : তেজ্যোদীপ্ত ঘুম ভাঙ্গানিয়া একটি বলিষ্ঠ লিখা। মুসলমানদের চিন্তা ও বিবেককে তুমুলভাবে নাড়া দেয়ার মত একটি লিখনী মাশাআল্লাহ্‌। কলম যোদ্ধার শাণিত তরবারি অবারিত থাকুক এই প্রত্যাশা।
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:১৮
257459
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপি এসব উল্টাপাল্টা লিখতে গিয়ে এর আগে অনেক নাকানি-চুবানী খেয়েছি। অনেকের কঠোর মনোভাবের কথা শুনে খুব মন খারাপ হয়, চোখে পানি চলে আসে। তাই এখন আর রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখিনা। কারো রাজনৈতিক পোস্টে কমেন্টও করিনা। মানুষ বুঝার চাইতে গালাগালি করতে বেশি পছন্দ করে। যোদ্ধা হবার কোন ইচ্ছে নেই আপি। আমি খুব সাধারণ হয়ে থাকতে চাই। Good Luck Good Luck
316336
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : মুসলমানদেরকে ফ্রিজ বানিয়ে ইসলামের দুষমনদের হাত শক্তিশালী এবং জুলুম দীঘস্থায়ী করার চমৎকার কৌশল।। চালিয়ে যান।
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩৪
257445
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনি অনেক পুরনো ব্লগার। আমি জানতাম এমনসব মন্তব্যগুলো আসবেই। আমি যা বলেছি প্রত্যেকটির ব্যাখ্যা দিয়েছি কোরান-হাদিস থেকে নিজের মনমত কোন কিছুই ব্যাখ্যা করিনি। কারণ নিজের মতামত চাপিয়ে দিলে আমি নাস্তিকদের দালাল নামে অভিহিত হতাম তবুও যদি তা মনকষ্টের কারণ হয় কি বা বলার আছে? আমি লেখাটি এখনো শেষ করিনি শেষেই দেখতে পারবেন আমার উদ্দেশ্য কি? ধন্যবাদ ভাইয়া।Good Luck Good Luck
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:০৬
257499
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনি কোন প্লাটফর্ম থেকে লিখছেন তা অবশ্য খতিয়ে দেখার সুযোগ আমার হয়নি। যদি সত্যিকার ইসলামকে ভালোবেসে লিখে থাকেন তাহলে বলবো- চোখ-কান আরো জাগ্রত করুন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় নিয়েই লিখুন। কোন গোষ্ঠি বা স্কলার কতৃক অনুপ্রাণীত হয়ে কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা নিজের মতো সাজানো ঠিক হবে না। দুঃখের সাথে বলতে হয়, দীর্ঘ ব্লগ জীবনে অনেক ইসলাম প্রিয় বন্ধু পেয়েছি, যারা চুপা-বাম ও নাস্তিকের দোষর হয়ে সুকৌশলে ইসলামী শক্তিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন। আল্লাহ মাফ্ করুন, আপনাকে এমনটি যেন না পাই। ধন্যবাদ।
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৬
257507
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি কি কোন আয়াতের ব্যাখ্যা সত্যিই নিজের মন মত সাজিয়েছি ভাইয়া? ইসলাম থেকে আমাদের কাছে কিছু ইসলামী প্লাটফর্ম আর ইসলামী দল বেশি ভালবাসার হয়ে পরেছে প্রধান সমস্যা এটাই। আমরা ইসলামকে এখন বিচার করি নিজের দলীয় আদর্শের মাপকাঠিতে। কোন কিছু আমাদের আদর্শের বিপক্ষে গেলেই আমরা রেগে যাই। আমাদের সবারই উচিত নিজের পালিত আদর্শকে ইসলাম দিয়ে যাচাই-বাছাই করা।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১৫
257549
সাদাচোখে লিখেছেন : @ ঘুম ভাংতে চাই - সপ্তাহখানেক আগে আমার বাসায় রাতের প্রায় ৪টা পয্যন্ত ইউরোপে ইসলামী আন্দোলনে নিয়োজিত ৩জন ভাইয়ের সাথে আলোচনা করলে পর - বাধ্য হয়ে আমি আপনার মত উপসংহার টানতে বাধ্য হই।

ইসলাম থেকে আমাদের কাছে কিছু ইসলামী প্লাটফর্ম আর ইসলামী দল বেশি ভালবাসার হয়ে পরেছে প্রধান সমস্যা এটাই। আমরা ইসলামকে এখন বিচার করি নিজের দলীয় আদর্শের মাপকাঠিতে। কোন কিছু আমাদের আদর্শের বিপক্ষে গেলেই আমরা রেগে যাই। আমাদের সবারই উচিত নিজের পালিত আদর্শকে ইসলাম দিয়ে যাচাই-বাছাই করা।

এ এক অদ্ভুত কষ্টকর অভিজ্ঞতা - আমার প্রিয় ইসলাম প্রেমী ভাইদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর এই অভাব পর্যবেক্ষন করা।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৫০
257569
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনি যে ’ইসলামী গণতন্ত্র’ শব্দদ্বয় ব্যবহার করলেন এর কারণটা কি?। ইসলামী গণতন্ত্র বলে কি কিছু আছে?
িইসলামী দল এবং প্লাটফর্ম আবশ্যই প্রাধান্য পাবে অনৈসলামীক দল ও প্লাটফর্মের বিপরীতে, ইসলামের বিপরীতে নয়।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৩১
257570
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইদানিং ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, গণতন্ত্র খারাপ তবে ইসলামী গণতন্ত্র ভাল। আল্লাহর রাসূল ﷺ ইসলামী গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। অথচ এমন প্রচারণার অর্থ মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে ভুল বোঝানো। এটাও একরকম ধোঁকাবাজি। তাই সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি কারণ আমরা এর দ্বারা নিজেদেরই ধোঁকা দিচ্ছি। ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলার পর মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট যে ব্যর্থ তা প্রমাণ হয়েছে। আলজেরিয়ায় ৯০% ভোটে নির্বাচিত ইসলামিক দলের উপর সেনাবাহিনীর তান্ডব, মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যর্থতা, মুসলিম ব্রাদারহুডের এক সমসয়কার নেতা ডাঃ আইমান আল জাওয়াহিরী কতৃক আল কায়েদার প্রতিষ্ঠা ও দায়িত্বভার গ্রহণ, তিউনিসিয়ায় আন নাহদার পরাজয়, তুরষ্কে একেপির অবস্হান ইত্যাদি দিয়ে বোঝাই যায় প্রচলিত ধ্যান-ধারণা কতটুকু নড়বড়ে ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাস্তবতার চেয়ে ইসলামীয় আবেগই এখানে প্রধান। এসব দলের হাজার হাজার কর্মী গণহত্যা, ধর্ষণের মত ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন যারা কিনা ইসলামী জ্ঞানে আলোকিত ছিলেন। তাদের হারিয়ে উম্মাহ কি আরো দূর্বল হয়ে পরছেনা?তাই সময় হয়েছে এসব নিয়ে কোরান-হাদিস নির্ভর চুলচেরা বিশ্লেষণের কারণ তার মাঝ থেকেই সমাধান বের হয়ে আসবে আমি শুধু সেই প্রচেষ্টাই করেছি।
316351
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমার মনে হয় গনতন্ত্রের বেসিক কনসেপ্ট এ আপনার ভুল ধারনা আছে। গনতন্ত্র মানে সংখাগরিস্ঠের শাসন শুধু নয়। বরং সবার সাথে আলোচনাক্রমে শাসন। শুরা বা আলোচনা সবসময় বৈধ। বর্তমানন সময় এর সমস্যা গুলি যদি আলোচনা ক্রমে সমাধান করা হতো তা হলে বিশ্বব্যাপি মুসলিম দের মধ্যে এত ফিরকার উদ্ভব হতোনা। গনতন্ত্র হারাম বলা সহজ কিন্তু এর বিপরিতে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে এবং পরিচালিত হবে সেই পথ দেখান কঠিন।
একজন খলিফার ইচ্ছেমত চলবে এই দাবি আসলে শিয়া দের ইমামত এর মতই যেখানে ইমাম শুধু আল্লাহর কাছে দায়ি।
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:১১
257455
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য আমি কিন্তু লেখাটা এখনো অসম্পূর্ণ রেখেছি তাই
"গনতন্ত্র হারাম বলা সহজ কিন্তু এর বিপরিতে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে এবং পরিচালিত হবে সেই পথ দেখান কঠিন।
একজন খলিফার ইচ্ছেমত চলবে এই দাবি আসলে শিয়া দের ইমামত এর মতই যেখানে ইমাম শুধু আল্লাহর কাছে দায়ি।"
এই আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় কারণ আমি এখনো সে বিষয়ে কোন কথাই বলিনি। ইনশাআল্লাহ তা নিয়েও বলব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:০২
257496
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রচলিত গনতন্ত্রের সংজ্ঞাতেই আল্লাহর আমর বা হুকুমদেবার ক্ষমতাকে অস্বীকার করা হয়৷,অতএব তা ইসলম নয়৷ তাই আপনার গনতন্ত্রের সংজ্ঞা পেশ করুন৷
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৮
257501
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি গণতন্ত্র নিয়ে মোটেও লিখতে বসিনি। ইসলামী গণতন্ত্রের নামে আমরা যে একটি ভ্রান্ত মতবাদকে ইসলামীকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি যার অনুমতি আল্লাহ আমাদের দেননি, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। লেখাটা অসম্পূর্ণ তাই আপনার সব কথার উত্তর দিতে পারছিনা। তবে যেহেতু আপনার জানার আগ্রহটা প্রবল তাই আপনাকে একটু ধোয়াশার মাঝে রাখতে মন চাইছে।
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
“ইসলামের সূচনা হয়েছে নবুওয়াত ও রহমতের শাসনের মাধ্যমে। এরপর হবে খেলাফত ও রহমতের শাসন। এরপর হবে অত্যাচার লুটেরা বাদশাদের শাসন। এরপর হবে অহংকারী প্রভাবশালী বাদশাদের শাসন, তখন জমিনে অন্যায়, অবিচার, ফেতনা ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। সেকালের লোকেরা রেশম (সিল্ক), ব্যভিচার এবং মদকে হালাল করে ফেলবে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত এর মাধ্যমেই তাদেরকে রিজিক দেওয়া হবে এবং সাহায্য করা হবে”।
(শুয়াইবুল ঈমান আল বায়হাকি, ৫/১৬)
উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত। নবী(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)
ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ(ইসলামে)মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)
সুরা নূরের ৫৫ নাম্বার আয়াতটাও পড়বেন অনেক বড় বলে দিলামনা। আপাতত ধোয়াশার মাঝেই থাকেন ভাইয়া। ইনশাআল্লাহ অনেক কিছুরই জবাব পেয়ে যাবেন।
316382
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : প্রথম পর্ব পড়ে অনেক জিজ্ঞাসা অপূর্ণ থেকে যায় । জানার জন্য পড়ব ইনশাআল্লাহ। ঘুম ভাঙানিয়া বলিষ্ঠ লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Rose
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৩
257502
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এসব বিষয় নিয়ে লিখতে চাইনা কারণ মানুষ এমন সব অভিযোগ করে, এতটাই খারাপ ব্যাবহার করে যা দেখে চোখে পানি চলে আসে। তাই রাজনৈতিক পোস্ট সবসময় এড়িয়ে যাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
316386
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২২
আফরা লিখেছেন : ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া অনেকেই অনেক কিছু বলেছেন আমি ছোট মানুষ তাই চুপচাপ শুনে পড়ে যাব আপনি লিখতে থাকুন ভাইয়া ।
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৯
257505
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা সাইয়ারা আপনি সম্ভবত আমার সমবয়সী ছোট হলেও খুব বেশি হবার কথানা আবার বড়ও হতে পারেন। হুম! যখন বিতর্ক শুরু করেছি শেষ তো আমাকেই করতে হবে। মাঝে মাঝে আপনাকে অনেক খোঁচামারা কথা বলি রাগ করবেন না, মজা করে বলি।Good Luck Good Luck
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৮
257510
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আমি তো বয়সের কথা বলি নাই আমি জ্ঞান দিক দিয়ে আর মনের দিক দিয়ে আপনাদের চেয়ে ছোট মানুষ সেটা বলেছি ।

আপনি ও যে মজা করতে জানেন এটা আমার জানা ছিল না ভাইয়া । তবে আমি কারো কথায় কখনো রাগ করি না ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া ।
316389
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৪৪

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়!!! আপনার আল্লা তো কত কথাই বলেন। তো এই সভ্য ভব্য শিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, চিন্তা, তথ্য প্রবাহ, আবিস্কার এর আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে আল্লার লেজ ধরে বসে থাকলে হবে?
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৩
257509
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার মত গোমাতার সেবা করব? মূর্তির পায়ে মাথা ঠেকাবো??
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৭
257516

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : না, পোদ/পাছা উচু করে মাটিতে মাথা ঠুকবেন।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১৩
257518
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : তোরা যে একেকটা কুলাঙ্গার এটাই তার প্রমাণ আবার নিজেদের সভ্য দাবি করিস।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১৭
257519

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : সভ্য হতে পেরেছি বলেই তো আপনার আল্লার জমিনে আল্লাকে কচু দিখিয়ে গনতন্ত্রের জয়জয়াকার। আক্ষেপ ঐ আল্লার জন্য।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:২১
257520
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সুতরাং, তাদের সামান্য হাঁসতে দাও, অতঃপর তারা অনেক বেশি কাঁদবে, এটা হল তাদের (কৃতকর্মের) পুরস্কার যা তারা উপার্জন করতো। (সুরাহ তওবাহ, ৮২)"
Rolling on the Floor
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৩৫
257522

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এসব আল্লা জুজুর কোন দাম আছে নাকি?
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৩৯
257523
সন্ধাতারা লিখেছেন : দেখেছো আপু মহান রবের নাম শুনলে শয়তানদের গাঁয়ে কেমন জ্বালা ধরে......
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৪৮
257528

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : আল্লা আর শয়তান জমজ ভাই। উন্নত আধুনিক বিশ্ব থেকে এই দুটোকেই ঝাটা মেরে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই চীন, জাপান, কোরিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা এত উন্নত বিজ্ঞানময় এবং অনাবিল শুনশান। অন্যদিকে আল্লা-শয়তান কাঁধে নিয়ে তবলিগ জামাতের লোকরা লোটা কম্বল নিয়ে এখনো ভিক্ষা করে @ সন্ধাতারা
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:০৫
257530
সন্ধাতারা লিখেছেন : • তারাই সৎপথের বিনিময়ে ভ্রান্তপথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে। অগ্নি সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল (সূরা বাকারাঃ ১৭৫)।

• যারা বিশ্বাসী তারা আল্লাহ্‌র পথে সংগ্রাম করে এবং যারা অবিশ্বাসী তারা তাগুতের পথে সংগ্রাম করে (সূরা আন নিসাঃ ৭৬)।

• পার্থিব ভোগ সামান্য এবং সংযমীর জন্য পরকালই উত্তম (সূরা আন নিসাঃ ৭৭)।

২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:২২
257564
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যাদের উপরে কোন বিপদ আপতিত হলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।(সুরা বাকারা:১৫৪- ১৫৫-১৫৬)
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। (আল ইমরান, আয়াত:১৪৫)
কাজেই পৃথিবী কোন চিরস্হায়ী জায়গা না। এখানে মুসলিম-অমুসলিম সবাইকেই মরতে হবে এটাই বাস্তবতা। আবার পৃথিবীর নিজের ধ্বংশও অনিবার্য যাকে আমরা বলি কিয়ামাত আর আপনারা যাদের উপর ঈমান এনেছেন সেই cosmologist -রা বলেন: পৃথিবীর অনিবার্য পরিণতি হল ১.Endless expansion অথবা ২. Big crunch কাজেই এখানে পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এত হিসাব করে কি লাভ? আমরা জানি পৃথিবীটা জাস্ট পরীক্ষার হল এখানে আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। কোরানে আল্লাহ জানিয়েছেন: ইহুদিরা কামণা করে, ইস! যদি আমাদেরকে ১০০০ বছর আয়ু দেয়া হত! কারণ আপনারা পরীক্ষা দিতেই রাজিনা জাস্ট টাইম পেছানোতে ব্যাস্ত। কিন্তু আমরা এটা কামণা করিনা কারণ আমরা জানি পৃথিবী ধ্বংশশীল। তার নিজেরই মৃত্যু অনিবার্য কারণ সে শুধু একটা পরীক্ষার হল ছাড়া আর কিছুইনা। পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে গেলে আমাকে পরীক্ষাহল ত্যাগ করে ভাইভার জন্য বা আল্লাহর সামনে উপস্হিত হতে হবে বা মৃত্যুকে বরণ করতে হবে। তাই আমাদের আসল লক্ষ জান্নাত যা চিরস্হায়ী, অস্হায়ী পৃথিবী না। আধ্যাতিকতা আপনার মাথায় ঢুকবেনা তাই যুক্তিতেই আসি।
এখানে কোন সভ্যতাও চীরস্হায়ী ভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। একবার তারা অন্যান্যদের শাসন করেছে তো কিছুদিন পরে তারাই আবার অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছে। পৃথিবীতে একটি সভ্যতা ১০০-২০০ বছর পৃথিবীর জনগোষ্ঠিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ-শাসন করছে, ইচ্ছা হলে মারছে_ কাজেই "তারাই পরাক্রমশালী, চীরস্হায়ী" এটা বিরাট হাস্যকর চিন্তাধারা কারণ পৃথিবীতে অতীতে অনেক উন্নত সভ্যতা ও জনগোষ্ঠী পৃথিবী শাসন করেছে, পৃথিবীবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তাদের মোকাবেলা করার মত সাহস ও শক্তি কোন জাতির ছিলনা, কিন্তু তারা বা তাদের বংশধরেরা কেউ কি আজ চীরস্হায়ী হয়ে টিকে আছে?? ধ্বংশ হয়ে গেছে। তাদের আকাশছোয়া ঘরবাড়ি এখন মাটির স্তুপের নীচে চাপা পরেছে, তাদের বিচ্ছিন্ন হাড় কঙ্কালগুলো এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। এখনকার মানুষ সেখানে যায় বিনোদনের জন্য, আর তাদের ব্যাপারে গবেষণার জন্য। পৃথিবীতে কখনো গ্রীকরা কর্তৃত্ব স্হাপন করেছে আবার কখনো রোমানরা। মুসলিমরা হাজার বছরের বেশি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলিম ভূমিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করার শর্তে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করত। মধ্যযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও ছিল মুসলিমদের হাতে। পশ্চিমাদের কাছে মধ্যযুগ ছিল "অন্ধকার যুগ" কারণ তারা ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে, কূসংষ্কারাচ্ছন্ন এক সম্প্রদায়। ক্রুশেডাররা মুসলিমদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর তাদের অগ্রযাত্রা দেখে মনে হচ্ছিল মুসলিমরা বুঝি এই শেষ। কিন্তু তা কি হয়েছে? সালাহউদ্দিনরা ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। বৃটিশরাও একদিন গোটা পৃথিবী শাসন করেছে কিন্তু আজ? একদিন ইহুদিরা খৃষ্টানদের হাতে কচুকাটা হয়েছে, হিটলার তাদের প্রায় শেষ করেই দিয়েছিল যখন মুসলিমরা তাদের রক্ষা করেছে কিন্তু আজ সেই পরক্রমশালী হিটলার আর তার নাজি বাহিনীর অস্তিত্বটাও নেই। আবার আজ পৃথিবী ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে। মুসলিমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাদের দ্বারা। হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে তারা চীরস্হায়ী কিন্তু তারা কি চীরস্হায়ী হবে? এককালে ভারতে দ্রাবিড়দের সভ্যতা ধ্বংশ করে আর্যরা ভারত দখল করেছিল কারণ সে সময়ের পেক্ষাপটে তারা ছিল পরাক্রমশালী কিন্তু পরে তারাও হাজার বছর মুসলিমদের শাসনে থাকতে বাধ্য হয়নি? আজ তারা আবার মুসলিমদের উপর নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে। কিন্তু কতদিন? কাজেই কোন জাতিগোষ্ঠী ১০০-২০০ বছর দুর্দান্ত প্রতাপ দেখালেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করলেই তারা চীরস্হায়ী হয়ে যায়না। ইহুদি সভ্যতাও খুব তাড়াতাড়ি ধ্বসে পরবে তারাও মুসলিমদের দ্বারাই কচুকাটা হবে। আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেটা কি??
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা (মুসলমানরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে, ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে, তখন পাথর ও গাছগুলো বলবে; হে মুসলমান! এই যে ইহুদী আমার পিছনে!! এসো,তাকে হত্যা কর [সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪১, হাদিস সংখ্যা:৬৯৮৫)
আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেন কি? এসব আল্লাহর পক্ষ থেকেই। সব নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই।
আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক।
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)

তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অপসারণ (ধ্বংশ) করে নতুন সৃষ্টি আনয়ন করতে পারেন এটা আল্লাহর জন্য কঠিন নয়( সুরা ফাতির, আয়াত:১৬-১৭)
আজ আপানদের বিজ্ঞানীরা ডাইনোসর, এলিয়েন ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে কত গবেষনাই না করছেন।
আমি জানি আবারো আপনার মাথায় মুত্রমণার চিন্তাধারা কিলবিল করবে কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন:
তারা কোরানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবেনা এবং অতীতে তাদের পূর্ববর্তীগণেরও আচরণ এরূপই ছিল। যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫) কাজেই আপনার সাথে প্যাচাল বৃথা।
যাইহোক সাইন্সেই আসি আই মিন প্রকৃতির কোলে। নিউটনের গতির ৩য় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। সহজভাবে Action=Reaction. শক্তির নিক্ততা সূত্র বলে: কোন বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায় অন্য বস্তু ঠিক সেই পরিমাণ শক্তি অর্জন করে। কাজেই আপনার প্রকৃতি মাতাই বলছেন: কোন কিছু চীরস্হায়ী না। পৃথিবীর ইতিহাস বলছে কেউ তার শক্তিবলে চীরস্হায়ী হতে পারেনি। কাজেই আপনি যেই সভ্যতার শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে বড়াই করছেন তাও একদিন ভেঙ্গে পরবে। আপনাদের বিজ্ঞানীরা আজ বলছেন, তাদের ধারণা পৃথিবীতে এমন একটা প্রক্রিয়া সচল আছে যার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ "কে কোন কথা বলেছেন?" সব কিছুই এতে আটকে রয়েছে। এটা বের করার চেষ্টাও নাকি তারা করছেন। এটাই হয়ত আল্লাহর রেকর্ড কাজেই সব কিছুর বিচার একদিন হবে। পৃথিবীরটা হয়ত আমরা দেখে নাও যেতে পারি কিন্তু সেদিন???
অনন্তর যেদিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব-যাতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তাদের কি দশা হবে? এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে, তা সম্যকরূপে প্রদত্ত হবে এবং কারো প্রতি অত্যাচার করা হবেনা (সুরা আল ইমরান, আয়াত:২৫)
আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত: (কিয়ামত পূর্ব সময়ে)লোকেরা পরস্পরে প্রশ্ন করতে থাকবে যে, আল্লাহই যদি সব কিছু সৃষ্টি করেন, তবে তাকে কে সৃষ্টি করল? (বুখারী: ৬৭৯৮, ১০ম খন্ড) নাউ গো টু হেল।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:১২
257567

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এসব বস্তাপঁচা আবর্জনার স্তুপ গিলে খেয়ে হুতাস করা ছাড়া আল্লা এবং আল্লার মুমিন'দের আর কোন পথ নেই।

মধ্যযুগীয় আরবী পুথির হাস্যকর আল্লা জুজু দেখিয়ে অজ্ঞ মূর্খের কাছ থেকে ৫, ১০ টাকা হা্তিয়ে নিতে পারবেন বটে, যা দিয়ে আপনার মত মোল্লা মৌলবীর খোরাক জুটে। এর বেশি আর কিছু আপনদের কপালে নেই। করুনা আপনার প্রতি।
316402
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:০৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : জ্ঞানগর্ব লেখা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

গনতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য! ইসলামের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে! আমরা মুসলিমরাও স্বহস্তে গ্রহণ করে নিচ্ছি!!!
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:২৭
257559
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাকে অনেকেই ভুল বুঝবে আমি জানি কিন্তু ভাইয়া কোন শত্রুতা সৃষ্টি বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু এই ব্লগ কেন্দ্রিক লেখালিখি করিনা, অন্য ব্লগগুলোতেও আমার আইডি আছে।বেশ কয়েকজন ব্লগার আর ফেসবুক ফ্রেন্ডের অনুরোধ ছিল আমি যেন এব্যাপারে কিছু লেখি তাই লেখতে বসলাম যদিও অভিজ্ঞতাটা কোথাও সুখকর হয়নি।
১০
316405
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৩৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

সেনসেটিভ একটি বিষয় তা ঠিক কিন্তু পড়া হলে আমরা সবাই উপকৃত হবো! আমার মনে হয় ব্লগ তো উন্মু্ক্ত চিন্তার প্রতিফলনেই লিখার প্লাটফর্ম দেয় ,আমাদের দায়িত্ব সঠিক জিনিষটা বাছাই করে নেয়া!

পরের পর্বের অপেক্ষায়! কে কি বললো তা নিয়ে হীনমনোবল যেনো না হয়!
জাযাকল্লাহু খাইর! Good Luck
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৩১
257560
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। হ্যা! এজন্যই আমি কখনো কোন রাজনৈতিক পোস্টে মন্তব্য করিনা আর নিজেও রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখিনা কারণ অভিজ্ঞতা কখনো সুখকর হয়না। হীনমনোবল কিছুটা হয়েছি কারণ এখন অনেকেই আমাকে শত্রুর দৃষ্টিতে দেখবে যারা এতদিন উৎসাহ দিয়েছে। তবে যেহেতু বিতর্কের সূচনা করেছি তখন শেষটাও আমাকেই করতে হবে। জাঝাক আল্লাহ আপি। Good Luck Good Luck
১১
316407
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:৩৮
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার দেওয়া কোরান ও হাদীসের রেফারেন্স গুলো অসম্ভব ভাল হয়েছে।

এই বয়সে এসে এখন অনুতাপ বোধ করি, মর্ম যাতনা বোধ করি - কেন গত বয়সটায় কোরান ও হাদীস পড়লাম না, কেন হাফেজ হলাম না? কেন আরবী ভাষা শিখলাম না?

ফুয়াদ ভাইদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ - না হারিয়ে কোরান, হাদীস, ফ্যাক্টস ও ফিগার দিয়ে এ্যাংগেইজ হোন কিংবা ইগনোর করুন।

নিয়ন্ত্রন হারালে আপনার জ্ঞান (যা আল্লাহর আমানত) ও জানাশোনায় তার নেগেটিভ এ্যাফেক্ট পড়বে।

গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র দুটো কনসেপ্ট ই 'খাযারস্‌' নামক একটি পার্টিকুলার জাতির বংশধরদের হাত ধরে জন্ম লাভ করেছিল। 'গনতন্ত্র' ডিসিপটিভ ভূমিকায় স্রষ্টাকে সমাজচ্যুত করে আর 'সমাজতন্ত্র' ড্রাসটিক ভূমিকায় স্রষ্টাকে সমাজ হতে উচ্ছেদ কর। দুটোর পারপাসই হল - স্রষ্টাবিমুখ বিশ্ব বিনির্মান করা। এ দুটি তন্ত্রই, চালুনীর ন্যায় স্রষ্টাবিশ্বাসী মানুষকে ডানে বামে নাড়িয়ে নাড়িয়ে তাদের মধ্য হতে স্রষ্টাভীতি (তাকওয়া) ও স্রষ্টনির্ভরতার উপকরন সমূহকে (ইখলাস) খড়কুটার ন্যায় ঝরিয়ে দিয়েছে। মাত্র ১০০ বছরের ইতিহাস।

ধন্যবাদ সুন্দর গোছানো উপস্থাপনার জন্য।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৪১
257561
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনার চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে কিছুটা সাহস জোগালো। আপনার কারণেই এই ব্লগে এমন স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে লেখার সাহস করেছি আপনার লেখা থেকেও কিছু বিষয় নিয়েছি তা উল্লেখ করেও দিয়েছি। দেখা যাক আল্লাহ কতদূর নিয়ে যান। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া উপদেশমূলক পরামর্শ প্রদানের জন্য।
১২
316408
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:৪২
সাদাচোখে লিখেছেন : সরি আপনার পোষ্টের প্রথম ছবিটা দেখে আমার একটা হাদীসের কথা মনে আসছিল। যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছিলেন - আমাদের অবস্থা কিনা এমন হবে যে আমরা তাদের অনুকরন করতে করতে ইদুর বা সাপের গর্তে গিয়ে ও ডুকবো - কিংবা এমন কিছু।

আপনার জানা থাকলে রেফারেন্স সহ ঐ হাদীস টা কোট করবেন। ধন্যবাদ।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:০৬
257563
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আহমাদ ইবনে ইউনুস(রঃ)...আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কেয়ামত কায়েম হবেনা যতক্ষণনা আমার উম্মাত পূর্বযুগীয়দের আচার-অভ্যাসকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ না করবে। জিঙ্গাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! পারস্য ও রোমকদের মত কি? তিনি বললেন, লোকদের মধ্যে আর কারা? এরাই তো। (বুখারী:৬৮২০)
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রঃ).. আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি-নাসারা?তিনি বললেন, আর কারা?(বুখারী:৬৮২১, ইফাবা:১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০৬-৫০৭, পিডিএফ পেজ: ৪৫২ মান সহীহ)
১৩
316442
২৩ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৪
হোসাইন আহমাদ লিখেছেন : ইসলামী গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। ইসলাম একটি সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা, ইসলামের সংবিধান হচ্ছে পবিত্র কোরআন ও হাদীস। গণতন্ত্র পশ্চিমাদের চেয়ে দেওয়া একটি ব্যবস্থা, যার কুফল আজ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৫১
257601
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আমি এত কথা বলে যা বুঝাতে চাইছি কিন্তু কেউ মানতে নারাজ আপনি তা ৫ লাইনেই বলে দিয়েছেন। আল্লাহ চাইলে পরবর্তী পর্বগুলোতে আপনাকে পাশে পাব কি? Good Luck Good Luck
১৪
316478
২৩ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:১২
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাই। তবে দ্বিতীয় পর্ব না পড়া পর্যন্ত তেমন কিছু বলতে পারতেছি না অপেক্ষায় থাকলাম দ্বিতীয় পর্বের জন্য।
২৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
257644
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভাইয়া ২য় পর্ব লিখতে গিয়ে আরো জটিলতা বাড়িয়েছি দেখা যাক প্রথম পর্বের মত ২য় পর্ব সাজাতে পারি কিনা।
১৫
316876
২৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৪৯
সালাহউদ্দিন নাসিম লিখেছেন : ইসলামিক গনতন্ত্র বলে কিছু নাই। আপনার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার দাবী রাখে। ওয়েইট ভাইজান। আসতেছি-----------------
২৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:১১
258214
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : নাসিম ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রদানের জন্য জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
১৬
317167
২৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : গনতন্ত্র আমার কাছে খুব একটা পছন্দ হয় না কারণ এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহায় দিয়ে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ।

৫১% এরই সব ক্ষমতা ৪৯% এর উপর।

এখানে ব্রুট মেজরিটির জোরে যদি একদল বিল আনে যে বিরোধীদেরকে মেরে ফেলতে হবে , গনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী সেটাই ঠিক !
২৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩৯
258372
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যারা নিজেদের ইসলামিস্ট বলে দাবি করে গন্ডাখানিক বই-পুস্তক ঘাটাঘাটি করেও যা বুঝতে পারেননা, আপনি তা বিনা পরিশ্রমে খুব স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে পেরেছেন ভাইয়া। অসাধারণ বলেছেন ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৭
317379
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৩
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : এরদোগান বা তুরস্কের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আপনার কতটুকু ধারণা আছে আমার জানা নাই।
এরদোগানের কাজ বা তার পার্টি সমন্ধে না জেনে এভাবে তাকে উদ্ধৃত করে দিয়ে প্রশ্ন করাটা পছন্দ হলো না।
ধর্ম, ইসলাম তথা খেলাফত নিয়ে আমার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই।তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না।
তবে গণতন্ত্র নিয়ে আর একটু ভাবার পরামর্শ রইল।সময়টা ২০১৫।আপনার চিন্তাগুলো ঠিক এই সময়ের সাথে যায় বলে মনে হয়নি। এরদোগান শব্দটা না দেখলে আমি মন্তব্য করতাম না।দুঃখিত অনাকাঙ্খিত মন্তব্যর জন্য।আর আপনি ছেলে নাকি মেয়ে না বুঝতে পারায় সম্বোধন করতে পারিনি।আমার এ মন্তব্য শুধু আপনার পড়ার জন্য।জবাব কামনা করছি না।
২৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৪১
258533
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইসলাম ১৪০০ বছর আগের ধর্ম কাজেই আমার চিন্তাভাবনা সেই ১৪০০ বছর আগের ধ্যান-ধারণা নিয়ে হবে সেটিই স্বাভাবিক, ২০১৫ কে নিয়ে না তাইনা?? দৃশ্যমান জিনিস সর্বদা দৃশ্যমান থাকেনা বরং ধ্বংশ হতে সময় নেয়না। আমার পরবর্তী পর্বগুলোতেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। আমি এখানে এরদোগান ও আন নাহদাকে একারণেই টেনেছি কারণ তারা নিজেদের ইসলামী দল বলেই প্রচার করে। এখানে আমি তাদের সামগ্রিম রাজনৈতিক অবস্হান নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি বরং গণতান্ত্রিক ইসলামি দল হিসেবে তারা ইসলামী দায়িত্ব পালনে কতটুকু সক্ষম? সেটির তুলনামূলক বিচার করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৪২
258534
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আর আপনি নিজেই বলছেন খেলাফত নিয়ে আপনার জানার পরিধি কম তাই সেখানে আমার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলাও অযৌক্তিক।
২৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২২
258567
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : সেটাইতো বললাম, না জেনে ঝারি নিলেন। এরদোগানের পার্টির ইশতেহারটা পইড়েন আর তুরস্কের রাজনীতি সমন্ধে জানবেন।
বাংলাদেশে এমনি এমনিইতো আপনাদের এতো দুর্দশা হয়নি!
২৯ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
258631
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : "আপনি বলেছেন এটা ২০১৫" অর্থাৎ বুঝাতে চেয়েছিলেন আমার এসব বকওয়াসের কোন মূল্য নেই। অথচ আবার আপনি নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, "ধর্ম, ইসলাম তথা খেলাফত নিয়ে আমার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই।" কাজেই নিজের কথার জবাব আপনি নিজেই দিয়েছেন। আমার লেখার পয়েন্ট কোরান-হাদিস, ২০১৫ মানেই ইসলাম কাইত, এটা তাদের যুক্তি যারা ইসলাম বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান রাখছেননা। হাদিস অনুযায়ী তুরষ্ক পশ্চিমারা দখল করে নিবে। আর এবার বলি ভাইয়া তুরষ্কের এরদোগান এবং তার পার্টি সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। আমি বলেছি, ২য় পর্বেই আপনার কথার জবাব দেয়া আছে। এবার বলি এরদোগান ও আন নাহদাকে কেন টানলাম? আলজেরিয়াতে প্রায় ৯০% এর কাছাকাছি ভোট পেয়েও সেখানকার ইসলামিস্টরা সরকার গঠন করতে পারেনি বরং আর্মির দ্বারা কচুকাটা হয়েছে। মিশরেও সেই একই ঘটনা। কাজেই যখন মডারেট ইসলামিস্টদের বলা হয় তোমরা তো সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পাবার পরও ক্ষমতায় যেতেও ব্যর্থ, গিয়েও টিকতে পারোনা তোমরা কিভাবে খিলাফতের দায়িত্ব পালন করবে? তারা তখন তুরষ্কের এরদোগান এর উদাহরণ দেয়। বলে, কেন তুরষ্কের দিকে তাকান তিনি কি টিকে নেই? কিন্তু যখন আবার প্রশ্ন করা হয়, তারা যদি ইসলামি দল হয় তবে তারা কেন ইসলামী দল হিসেবে খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেনা? তখন তারাই জবাব দেয়, দেখেন তুরষ্কের এরদোগান ঠিক পুরোপুরি ইসলামি দলনা। তারা এই_ তারা সেই, তাদের সাথে অমুকের জোট, তাদের ইশতেহার এই, সেই ইত্যাদি। তাই আমি ২য় প্যারাতেই আন নাহদার কথা এনেছি কারণ আন নাহদা পুরোপুরি ইসলামি দল তারা মূলত ব্রাদারহুডের তিউনিসিয়ান শাখা। এখানে তুরষ্ক ও তার দল নিয়ে কোন আলোচনা আসেনি সেটা আমার আলোচনার টপিকও না। এখানে গণতন্ত্রের দূর্বলতা কতখানি সেটাই বলা হয়েছে। রাগ করবেননা আমার কথায়। আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা করি। ধন্যবাদ।Good Luck Good Luck
১৮
317606
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাই আপনার লেখাগুলো লম্বা হয়। পড়ার মত ই না বরং পড়তে হয়।
ভাই মেহেরবানী করে সমাধান লিখুন। এটা বর্তমানে একটা ফ্যাশন। এই ট্রপিক্স এ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
যা লিখেছেন সেরকমই লেখা নিয়মিত পাই। কিন্তু এসব মেধাবীরা কখনো সমাধান দেন না।
আশা করবো আপনি তাদের মত হবেন না।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:১০
258746
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি এটা নিয়ে ৩টা পর্ব লিখেছিলাম কিন্তু প্রথম পর্ব থেকেই শুরু হয় নানান জায়গায় তুমুল বিরোধীতা তাই বাধ্য হয়েই লেখায় ইস্তফা দেই। আল্লাহ সুযোগ দিলে একদিন সমাধান নিয়েও বলব। Good Luck Good Luck
১৯
329644
১২ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৪২
মিজবাহ লিখেছেন : সাদাচোখে ভাইয়ের মাধ্যমে জানলাম আপনার ব্যাপারে। যে বিষয়ে হাত দিয়েছেন তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কঠিন কিন্তু কঠিনকে জয় করা আপনাদের মতো ব্লগারের দরকার সুতরাং কে আপনার লিখায় আমল নিল কি নিলনা তা দেখা আপনার দরকার নেই। সত্যটি লিখে জান। মানুষের চিন্তার দুয়ার একদিন খুলবেই।

আমিও একসময় ইসলামে গনতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম। সাদাচোখের সাথে আমার এ ব্যাপারে বিতর্ক হতো। আমরা পাশাপাশি থাকি। কিছুদিন ধরে ইসলামে গনতন্ত্র খুব বেশী কন্ট্রাডিক্ট করে তা বুঝতে পারছি। অনেক কিছু চোখের সামনে ভাসছে, পরে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।

চালিয়ে জান সংগে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
২৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৩৯
274634
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া আপনার মূল্যবান উপস্হিতি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি অসুস্হ তাই ব্লগে বসতে পারিনা। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ একটু সুস্হতা দান করলে আপনার ব্লগপোস্টগুলোতে অবশ্যই গিয়ে হাজির হব। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
২২ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
314505
স্বপন২ লিখেছেন : @মিজবাহ ,we are in the field since
1997, called Islamisomaj. Their
website is http://www.islamisomaj.org
or https://islamisomaj.wordpress.com/
২০
375526
৩০ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৯:১৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : ইসলাম ও গণতন্ত্র
জান্নাত ও জাহান্নামের পথ
আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইতানির রাজীম
আল্লাহ সকল সৃষ্টির স্রষ্টা , লালন কর্তা, মেহেরবান ও দয়াময়। ইবলিস শয়তান মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকে ঘোষিত শত্রু। পৃথিবীময় মানুষে মানুষে মারামরি, কাটাকাটি, হিংসা বিদ্বেষ ও মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি, সকল শয়তানের কাজ। “ওয়াল্ আসর ইন্নাল্ ইনসানা লাফি খুসর।” “যুগের কসম, মানবজাতি নিশ্চিত বিপন্ন।” বিশ্বময় মানবজাতি আজ ধ্বংসের মুখোমুখি।
*** *** ***
বিশ্বের দরিদ্রতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ শয়তান ও তার সৃষ্ট রাজনৈতিক বাটপারদের “পাতানো খেলে” আজ এক মহা ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি। কেয়ামতের পূর্বে পার্থিব ক্বেয়ামতের দ্বারপ্রান্তে । জন্মের লগ্ন থেকে ভুলের পর ভুলে জাতি জাহান্নামের কিনারে দন্ডায়মান। আর একটি মাত্র ভুল, দুঃস্বপ্নময় পরিণাম ডেকে আনবে।
*** *** ***
স্রষ্টা ও সৃষ্টির বিধানে কোথাও গণতন্ত্র , ভোটাভুটি বা “অল্পের উপর অধিকাংশের ” নিয়ন্ত্রন বা শাসন নাই, স্রষ্টা এক, সৃষ্টি অসংখ্য। স্রষ্টার বিধানে সৃষ্টি চলে। সৃষ্টির বিধানে নয়। মানবদেহে মাথার ওজন মাত্র দুই তিন কেজি, দেহের ওজন পঞ্চাশ কেজি। দুই কেজি মাথার দ্বারা যদি দেহ নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে মানুষ সুস্থ। আর যদি পঞ্চাশ কেজি দেহ দ্বারা মাথা চালিত হয়, তাহলে মানুষ উন্মাদ ও পাগল। নরনারীর বিবাহ, একক নর কর্তৃক নারী ও নারী কর্তৃক নরের পছন্দের মাধ্যমে হয়। জনগনের ভোটাভুটিতে হয় না। নারীপুরুষের মিলন ও সন্তানের জন্ম, তাও গনসমাবেশ ও গনভোটে হয়না। পরিবারে মাতাপিতা দু’জন। সন্তান অনেক , সন্তানদের ভোটে পরিবার চলে না। বরং পিতামাতার মধ্যেও একজনের কর্তৃত্ব ও অন্য সকলের আনুগত্বে সংসার “আদর্শ স্বর্গীয় সংসার” হয়।
*** *** ***
গণতন্ত্র ও ভোটাভোটি ইবলিস শয়তানের Brain Child বা শয়তানী মস্তিষ্কের অবাধ্যতার ফল। স্রষ্টার আজ্ঞা মানুষ সৃষ্টির লগ্নে “ওস্তাদ শয়তান ” তার ফেরেস্তা শাগরেদ দের নিয়ে ছাত্র রাজনীতির আন্দোলন করে মানুষ সৃষ্টিতে বাধা দিয়েছিল। (হাদিছ মতে ইবলিস মোয়াল্লিমুল মালাইকা বা ফেরশতাদের ওস্তাদ বা শিক্ষক ছিল) কিন্তু আল্লাহ গণতন্ত্রী সংখ্যাগুরুদের বললেন “ আমি যা জানি তোমরা তা জান না।”
তারপর তিনি আমাদের সৃষ্টি করে পৃথিবীতে তার খলিফা বা প্রতিনিধি করে পাঠান। ফেরেশতারা আল্লাহর ইচ্ছা ও বিধান মেনে মানুষের সাহায্যকারী। ইবলিস শয়তান , চ্যালেঞ্জ করে অভিশপ্ত হয়ে মানুষের সর্বনাশ লিপ্ত।
*** *** ***
আল্লাহ রাহমান মানুষকে পৃথিবীতে কল্যাণ ও আখরাতে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে ঈমান ও আমলের দ্বারা। নারী তার পেছনে, “কল্যাণীয়া” সহধর্র্মিনী। ইবলিশ শয়তান মানুষকে পৃথিবীতে যৌনবিকৃতি ও পরকাল জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। নারী তার সামনে, “কামসহচরী”, ধর্ম নষ্টকারিনী। আমরা কোন পক্ষে যাব ? আল্লাহর না শয়তানের?
*** *** ***
বাংলাদেশ পৃথিবীর দারিদ্রপীড়িত এক অশান্ত জনবহুল ক্ষুদ্রদেশ। এ জাতিই আল্লাহর রহমতের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য “পাকিস্তান ” নামের পবিত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু পার্থিব স্বার্থের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মন কষাকষির সময় শয়তান ফাঁকে ঢুকে পড়ে দুই মুসলমান ভাইদের মধ্যে খুনাখুনি আরম্ভ করে দেয়। একদিকে পাঞ্জাবী বিহারী, অপরদিকে বাঙ্গালী। কেউ আর মুসলমান রইল না। আল্লাহর শেষ নবী সঃ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন তোমরা পরস্পর হত্যায় লিপ্ত হবে। তাতে হত্যাকারী ও নিহতরা জাহান্নামী হবে।” তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো , ইয়া রাসূলুল্লাহ , হত্যাকারী হয়তো হত্যার জন্য জাহান্নাম যাবে, নিহত ব্যক্তি কেন জাহান্নামী হবে? উত্তরে রাসূল সঃ বলেছেন, কারণ , নিহত ব্যক্তিও সুযোগ পেলে হত্যাকারীকে হত্যা করতো।”
*** *** ***
হত্যাযজ্ঞ ও খুনাখুনি যে জাতি ও রাষ্ট্রের স্রষ্টা, সে জাতি তওবা করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন না করলে “এক মহা হত্যাযজ্ঞের” মাধ্যমে সে জাতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশ আজ সে ক্রান্তি লগ্নে।” আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না সে জাতি তার অন্তর পরিবর্তন করে।” (আল কোরআনঃ রাদ -১১)
*** *** ***
আল্লাহ তাঁর রহমত দিয়ে নরনারীকে স্বামী স্ত্রী , সন্তান সন্তুতিক ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজন রূপে এক, ঐক্যবদ্ধ ও মিল মোহাব্বতে সুখে দুঃখে পরস্পরকে বেঁধে মানব সমাজকে “একপরিবারে” রূপান্তরিত করেন। অভিশপ্ত শয়তান স্বামী স্ত্রীতে ফাটল ধরায়। তারপর মানব সন্তানদের একের পর এক রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, পেশায় ও ভৌগোলিক সীমায় বিভক্ত করে রাষ্ট্র, জাতি ও প্রজাতিতে শতধা বিভক্তির পর বিভক্ত করে পরস্পরকে গোষ্ঠীগত কলহ ও দ্বন্দে লিপ্ত করে। শান্তির সমাজ , স্বার্থদ্বন্ধের মানব সমাজের নরকের রুপ নেয়।
*** *** ***
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا “আল্লাহর রশিকে সবে মিলে সর্বশক্তি দিয়ে ধারণ করো, কখনো বিভক্ত হয়ো না, ঈমানদার জনগোষ্ঠীর জন্য আল্লাহর নির্দেশ। এক ঘরে দশ ভাই, সমাজসেবী, চিকিৎসাবিদ, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী, কর্মচারী, কৃষক ও শ্রমজীবী। এরা প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবারের পরস্পরের সহায়ক হলে পরিবারটি কেমন হয়? আর যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ পেশাভিত্তিক সংগঠনের সদস্য হয়ে স্বীয় স্বার্থের পূজারী হয়ে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়, তা হলেই বা পরিবারটি কিরূপ হয়?
প্রথমটি আল্লাহর রহমতের বন্ধনে তৈরী স্বর্গীয় পরিবার। দ্বিতীয়টি শয়তানী বিভক্তির অভিশপ্ত পরিবার।
*** *** ***
বর্তমানের রাজনৈতিক দলসমূহ, ছাত্রদলসমূহ, শিক্ষক সমিতি, মহিলা পরিষদ, চিকিৎসক সমিতি, সরকারী কর্মচারী সমিতি, বেসরকারী কর্মচারী সমিতি, শ্রমিক দল, ইত্যাকার সকল গোষ্ঠী-বিভক্তি, আল্লাহর কসম, শয়তানের নারকীয় নৈরাজ্য, যার নাম বর্তমান রাজনীতি।
এ সকল দলাদলি ও সংঘাত নির্মূল করে মানুষে মানুষে ভাই, নর ও নারীতে “ঘর ও বাহির”, শ্রমিক ও মালিকে পিতা পুত্র, শাসক ও শাসিতে “ইমাম ও মুক্তাদী”, পিতা ও পুত্রে গুরু ও শিষ্য ও সর্বোপরি, বিশ্বের মানব জাতিকে “নেক ও এক” করার “আসমানী সংগ্রাম”ই ঈমান, জিহাদ ও আল্লাহর এবাদত, বেহেশত ও মুক্তির চাবি।
এর বাইরে, সকল মত ও পথ, শয়তান-সৃষ্ট কুফর ও কাফেরীর, “মাথা-গোনা” গণতন্ত্রের । যার পরিণাম, এজন্মে সংঘাত ও “সাফাকুদ্দিমা” বা রক্তক্ষয়ী খুনখারাবী; পরজন্মে জাহান্নাম।

হে মানুষ, কোন্ পথ তোমার, শয়তানের, না “রাহমানের”?
২১
379942
২২ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩০
স্বপন২ লিখেছেন : আপু, Islamisomaj already working in the field since 1997. সাদাচোখে,and you are writing blogs, No organisation in the field. Please review the website
http://WWW.islamisomaj.org

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File