ইসলামী গণতন্ত্র! আমরা কি নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছিনা? ১ম পর্ব।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৪১:১৯ সন্ধ্যা
আমি জানি এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করা খুবই বিব্রতকর, কারণ তা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্কের সূত্রপাত হবে। কিন্তু চুপ করে থাকা কি সমাধান, নাকি মানুষকে সঠিকটা জানানো? তাই এই বিষয়ের যতটুকু সম্পর্কে আমার স্পষ্ট জ্ঞান আছে ঠিক ততটুকুই উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
গণতন্ত্রের ইতিহাস, পশ্চিমা সমাজে তার জায়গা করে নেয়ার কারণ ও বর্তমান অবস্হান ইত্যাদি নিয়ে "Survival of the fittest!! পরিবার প্রথা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?" শিরোনামে গত ১৮ তারিখ রাতেই একটি ব্লগপোস্ট দিয়েছিলাম যেখানে আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছি। Click this link তাই সেসব কথা আবার টেনে এনে এই লেখা মোটেও বড় করতে চাইনা। অনুরোধ থাকবে লেখাটি পড়ার জন্য।
গনতন্ত্র ও ইসলাম দুটি ব্যাবস্হাই এসেছে ভিন্ন ভিন্ন পেক্ষাপট ও সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টোকোণ থেকে। পশ্চিমা সমাজব্যাবস্হাকে খৃষ্টান ধর্ম থেকে বের করে বিজ্ঞান ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য। নাস্তিকতাবাদের হাত ধরে আগমণ ঘটে গনতন্ত্রের, আবার গণতন্ত্রকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাদ ব্যাবস্হা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। পরে আবার তা নিয়ে সৃষ্ট হয় সামাজিক ও রাজনৈতিক জটিলতা, ফলে বিকল্প ব্যাবস্হা হিসেবে জন্ম নেয় সমাজতন্ত্র কিন্তু তা ব্যর্থতার মুখ দেখে।
অন্যদিকে ইসলাম এসেছিল আরবে, তার পূর্বের নবূয়তের ধারা পরিপূর্ণ করার জন্য। যার প্রধান লক্ষ্য ছিল, সমাজকে সর্বপ্রকার কুসংষ্কার, ভ্রান্ত বিশ্বাস, আসাবিয়াহ (গোত্রপ্রীতি/স্বজনপ্রীতি, জাতীয়তা), শ্রেণী বৈষম্য ও তাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত অন্যায়-অত্যাচার (নারী-পুরুষের বৈষম্য, ধনী-গরীবের বৈষম্য) এবং মানবসৃষ্ট মনগড়া সকল মতবাদ ও ধর্মের মুলোৎপাটন করে সমগ্র মানবসম্প্রদায়কে শুধুমাত্র এক আল্লাহ অভিমূখী করা এবং বিশ্বভ্রাতৃসমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা পরিচালিত হবে শুধুমাত্র খেলাফত ভিত্তিক শাসনব্যাবস্হায়। তাই ইসলামের সাথে গণতন্ত্রের বিরোধ সুষ্পষ্ট।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ, সম্পূর্ণ এবং সত্য।
রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে আরববাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন, আমি কি ইসলামকে তোমাদের নিকট পরিপূর্ণভাবে পৌছে দিতে পেরেছি?
সকলে উত্তর দিয়েছিল, হ্যা! হে আল্লাহর রাসূল! আপনি পৌছে দিয়েছেন।
তখন কোরানের আয়াত নাজিল হল,
আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন(জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনিত করলাম” -(আল-কুরআন,সূরা মায়িদা: আয়াত:৩)
এই আয়াত নাজিলের সাথে সাথে পূর্বের ও পরের সকল মতবাদ ইসলামের দৃষ্টিতে চীরদিনের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে কারণ আল্লাহ ইসলামকে সম্পূর্ণ করেছেন, এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য পথ শুধুমাত্র ইসলাম।
সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ নাকি, জনগণ?
গণতন্ত্রের মতে, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ কারণ তারা স্রষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেনা। অথচ আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেছেন, আপনি বলুন, হে রাজ্যাধিপতি আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন এবং যার নিকট হতে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন, যাকে ইচ্ছা সন্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন; আপনার হাতেই যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান, আয়াত: ২৬)
কাজেই জনগণ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক না বরং সে নিজেই স্রষ্টার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলে সেটিই সঠিক!!
গণতন্ত্র বলে, অধিকাংশ লোক যেটার পক্ষে রায় দিবে সেটাই সঠিক, সেটাই করণীয়।
অথচ কোরান বিরোধীতা করে প্রতিউত্তর দিচ্ছে, হে নবী! যদি তুমি দুনিয়াবাসীদের অধিকাংশ লোকের কথার অনুসরণ কর, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে, তারা তো নিছক ধারণা ও অনুমানেরই অনুসরণ করে চলে, আর তারা ধারণা ও অনুমাণ ছাড়া কিছুই করে না (সূরা আনআম:১১৬)
কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যা বলে তা সঠিক না, মানদন্ড একমাত্র ইসলাম। যদি পৃথিবীর সকল মানুষ ইসলামের বিপক্ষে রায় দেয়, তবুও ইসলাম পরিপূর্ণ সঠিক। সূরা নাহলের ১২০ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ অতীত ইতিহাস থেকে উদাহরণ দিয়েছেন, নিশ্চয়ই ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন একাই এক উম্মত (জাতি), আল্লাহর অনুগত, একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেননা।
আমরা জানি, একটি বিরাট জনগোষ্ঠী কে বলা হয় জাতি। যেমন: আরব, বাঙ্গালী, আফগানী ইত্যাদি। সেখানে একজন ব্যক্তিকে "কেন জাতি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে??" কারণ তৎকালীন সময়ে গোটা পৃথিবীতে ইবরাহীম (আঃ) ব্যতীত কোন মুসলিম ছিলেননা, অর্থাৎ সকল মানুষ ছিল মুশরিক। তাই আল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে ২ টি ভাগে ভাগ করেছেন,
১. মুশরিক
২. মুসলিম।
দেখা গেল ইবরাহিম (আঃ) ব্যাতীত সমগ্র মানুষই মুশরিক। তাই ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন একক ব্যক্তি কিন্তু একটি জাতি। এবং তিনিই ছিলেন সঠিক যেখানে সমগ্র মানবজাতি বিভ্রান্ত।
কাজেই সমস্ত মানুষ ইসলামকে অস্বীকার করলেও তা মিথ্যা হয়ে যাবেনা।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শুরা কিংবা পরামর্শ এর সাথে গনতন্ত্রের সবার মতামত এর তুলনা করা কি সঠিক?
(হে নবী!) দ্বীনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করো। তারপর যখন কোন মতের ভিত্তিতে তোমার স্থির সংকল্প হবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো। আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন যারা তাঁর ওপর ভরসা করে কাজ করে।" (সূরা আল ইমরানঃ ১৫৯)
এখানে বলা হয়েছে, দ্বীন এর ব্যাপারে অর্থাৎ ইসলামের ব্যাপারে।( ইসলামিক শাসনব্যাবস্হা দ্বীনের একটি অংশ) কাকে বলা হয়েছে? আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে, যিনি মুসলিমদের আমির বা অভিভাবক। কাদের সাথে মতামতের কথা এসেছে? সাহাবীদের সাথে, যারা একেকজন একেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অর্থাৎ এখানে যোগ্যতার মাপকাঠি রয়েছে যে কারো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু গণতন্ত্র আলেম, মূর্খ, জালেম, মজলুম, বোধসম্পন্ন ও নির্বোধ সবার মতামতকে আমলে নেয়, অর্থাৎ সবাই এক। কিন্তু তা কি যৌক্তিক?
যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা কি সমান? (সূরা যুমার ৩৯/০৯)
স্বাধীন ও সার্বভৌম সংসদ বা পার্লামেন্ট:
অর্থাৎ পার্লামেন্ট সকল জবাবদিহীতার উর্দ্ধে। সে তার ইচ্ছামত ইসলামে নিষিদ্ধ বিষয়কে হালাল করতে পারে আবার ইসলামে যা হালাল, তাকে সে আইনপাশ করে হারাম করে দিতে পারে। অথচ একজন খলিফা তার সকল কথা ও কাজের জন্য ইহকালে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য এবং কোরান-সুন্নাহ এর বিপক্ষে যায় এমন কোন কাজ করার অধিকার তিনি রাখেননা। কারণ আল্লাহর রাসূল বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলেছেন, খলিফা যদি কোরান-হাদিসের উপর অটল থাকে তবে তোমরা তার বিরোধীতা করবেনা।
গনতন্ত্রে দেশ ও জনসাধারনের নিরাপত্তা ইউএন এর সিকিউরিটি কাউন্সিল এর উপর নির্ভরশীল।
সরকার ও প্রশাসন তার কার্যক্রমের জন্য ইউএন বডি -র (যেমন আইএলও, আইএমএফ, ইন্টারন্যাশানাল ক্রিমিনাল কোর্ট, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ ইত্যাদি) কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য। কিন্তু ইসলামে খলিফা ও খিলাফাত প্রশাসন নিরাপত্তা ও জবাবদিহীতার জন্য শুধু মাত্র আল্লাহর উপর নির্ভরশীল ও তার কাছেই জবাবদিহী করতে বাধ্য।(এই অংশটুকু ব্লগার সাদাচোখের লেখা থেকে নেয়া)
গণতান্ত্রিক একাধিক দল বা রাজনৈতিক দলসমূহ।
গণতান্ত্রিক সিস্টেমে একাধিক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে যাদের সকলের লক্ষ ও উদ্দেশ্য এবং আদর্শ ভিন্ন। কিন্তু ইসলাম মুসলিম সমাজে মুসলিমদের মাঝে কোন রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দেয়না।
মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। (সূরা হামিম: ১০, পারা ২৬)
তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎ পথ পাইতে পার।
তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।( সূরা আল ইমরান ১০৩ ও ১০৫)
কাজেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে যদি এমন এক বা একাধিক সেকুলার ডেমোক্রাটিক দল অথবা ইসলামিক দলও গড়ে ওঠে তবে তাও মুসলিমদেরকে বিভক্ত করবে নানান দল ও পথে, তৈরী করবে শত্রুতা। তাই তা হারাম।
আলেমদের ইজতিহাদকে অবজ্ঞা ও বিদাতকে গ্রহণ
ইসলামের নীতি হল, যখন যুগের চাহিদার কারণে এমন কোন নতুন বিষয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়, যার স্পষ্ট দিক নির্দেশনা কোরান-হাদিসে অনুপস্হিত, তখন আলেমরা একত্রে কোরান-হাদিসের উপর বিস্তার গবেষণা করে সেই নতুন সমস্যার সমাধান প্রদান করেন। কিন্তু আলেমরা গণতন্ত্রকে মুসলিম ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী রাজনৈতিক দল বানানোর ব্যাপারে কোন মতামত প্রদান করেননি।
এছাড়া কোরানে কোন আয়াত বা হাদিসে এমন কোন উদ্ধৃতি আসেনি যার ভিত্তিতে এমন কোন ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করা যায় কাজেই এটি স্পষ্টত বিদাত।
(দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ: ৪৬০৭, তীরমিজি: ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত: ১৬৫)
গণতান্ত্রিক ইসলামী দল খিলাফাহ এর দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ।
ক্ষমতা পাবার পর মুমিনদের দায়িত্ব কি??
সূরা নূরের ৫৬ আয়াতে উত্তর দেয়া হয়েছে।
১.সালাত কায়েম করতে হবে।
২.যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি প্রণয়ন করতে হবে।
৩.রাসূলের আনুগত্য পালন।
একটিও কি গণতন্ত্রিক শাসন ব্যাবস্হায় ও সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত ইসলামী রাজনৈতিক দলের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব???
৪ বার ক্ষমতায় টিকে থাকা তুরস্কের এরদোগান কি পেরেছে?
তিউনিসিয়ার আন নাহদা??
চলবে____
বিষয়: বিবিধ
৪৬৮৯ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলাম থেকে আমাদের কাছে কিছু ইসলামী প্লাটফর্ম আর ইসলামী দল বেশি ভালবাসার হয়ে পরেছে প্রধান সমস্যা এটাই। আমরা ইসলামকে এখন বিচার করি নিজের দলীয় আদর্শের মাপকাঠিতে। কোন কিছু আমাদের আদর্শের বিপক্ষে গেলেই আমরা রেগে যাই। আমাদের সবারই উচিত নিজের পালিত আদর্শকে ইসলাম দিয়ে যাচাই-বাছাই করা।
এ এক অদ্ভুত কষ্টকর অভিজ্ঞতা - আমার প্রিয় ইসলাম প্রেমী ভাইদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর এই অভাব পর্যবেক্ষন করা।
িইসলামী দল এবং প্লাটফর্ম আবশ্যই প্রাধান্য পাবে অনৈসলামীক দল ও প্লাটফর্মের বিপরীতে, ইসলামের বিপরীতে নয়।
একজন খলিফার ইচ্ছেমত চলবে এই দাবি আসলে শিয়া দের ইমামত এর মতই যেখানে ইমাম শুধু আল্লাহর কাছে দায়ি।
"গনতন্ত্র হারাম বলা সহজ কিন্তু এর বিপরিতে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে এবং পরিচালিত হবে সেই পথ দেখান কঠিন।
একজন খলিফার ইচ্ছেমত চলবে এই দাবি আসলে শিয়া দের ইমামত এর মতই যেখানে ইমাম শুধু আল্লাহর কাছে দায়ি।"
এই আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় কারণ আমি এখনো সে বিষয়ে কোন কথাই বলিনি। ইনশাআল্লাহ তা নিয়েও বলব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ।
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
“ইসলামের সূচনা হয়েছে নবুওয়াত ও রহমতের শাসনের মাধ্যমে। এরপর হবে খেলাফত ও রহমতের শাসন। এরপর হবে অত্যাচার লুটেরা বাদশাদের শাসন। এরপর হবে অহংকারী প্রভাবশালী বাদশাদের শাসন, তখন জমিনে অন্যায়, অবিচার, ফেতনা ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। সেকালের লোকেরা রেশম (সিল্ক), ব্যভিচার এবং মদকে হালাল করে ফেলবে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত এর মাধ্যমেই তাদেরকে রিজিক দেওয়া হবে এবং সাহায্য করা হবে”।
(শুয়াইবুল ঈমান আল বায়হাকি, ৫/১৬)
উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত। নবী(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)
ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ(ইসলামে)মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)
সুরা নূরের ৫৫ নাম্বার আয়াতটাও পড়বেন অনেক বড় বলে দিলামনা। আপাতত ধোয়াশার মাঝেই থাকেন ভাইয়া। ইনশাআল্লাহ অনেক কিছুরই জবাব পেয়ে যাবেন।
আপনি ও যে মজা করতে জানেন এটা আমার জানা ছিল না ভাইয়া । তবে আমি কারো কথায় কখনো রাগ করি না ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : না, পোদ/পাছা উচু করে মাটিতে মাথা ঠুকবেন।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : সভ্য হতে পেরেছি বলেই তো আপনার আল্লার জমিনে আল্লাকে কচু দিখিয়ে গনতন্ত্রের জয়জয়াকার। আক্ষেপ ঐ আল্লার জন্য।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এসব আল্লা জুজুর কোন দাম আছে নাকি?A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : আল্লা আর শয়তান জমজ ভাই। উন্নত আধুনিক বিশ্ব থেকে এই দুটোকেই ঝাটা মেরে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই চীন, জাপান, কোরিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা এত উন্নত বিজ্ঞানময় এবং অনাবিল শুনশান। অন্যদিকে আল্লা-শয়তান কাঁধে নিয়ে তবলিগ জামাতের লোকরা লোটা কম্বল নিয়ে এখনো ভিক্ষা করে @ সন্ধাতারা•
• যারা বিশ্বাসী তারা আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম করে এবং যারা অবিশ্বাসী তারা তাগুতের পথে সংগ্রাম করে (সূরা আন নিসাঃ ৭৬)।
•
• পার্থিব ভোগ সামান্য এবং সংযমীর জন্য পরকালই উত্তম (সূরা আন নিসাঃ ৭৭)।
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। (আল ইমরান, আয়াত:১৪৫)
কাজেই পৃথিবী কোন চিরস্হায়ী জায়গা না। এখানে মুসলিম-অমুসলিম সবাইকেই মরতে হবে এটাই বাস্তবতা। আবার পৃথিবীর নিজের ধ্বংশও অনিবার্য যাকে আমরা বলি কিয়ামাত আর আপনারা যাদের উপর ঈমান এনেছেন সেই cosmologist -রা বলেন: পৃথিবীর অনিবার্য পরিণতি হল ১.Endless expansion অথবা ২. Big crunch কাজেই এখানে পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এত হিসাব করে কি লাভ? আমরা জানি পৃথিবীটা জাস্ট পরীক্ষার হল এখানে আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। কোরানে আল্লাহ জানিয়েছেন: ইহুদিরা কামণা করে, ইস! যদি আমাদেরকে ১০০০ বছর আয়ু দেয়া হত! কারণ আপনারা পরীক্ষা দিতেই রাজিনা জাস্ট টাইম পেছানোতে ব্যাস্ত। কিন্তু আমরা এটা কামণা করিনা কারণ আমরা জানি পৃথিবী ধ্বংশশীল। তার নিজেরই মৃত্যু অনিবার্য কারণ সে শুধু একটা পরীক্ষার হল ছাড়া আর কিছুইনা। পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে গেলে আমাকে পরীক্ষাহল ত্যাগ করে ভাইভার জন্য বা আল্লাহর সামনে উপস্হিত হতে হবে বা মৃত্যুকে বরণ করতে হবে। তাই আমাদের আসল লক্ষ জান্নাত যা চিরস্হায়ী, অস্হায়ী পৃথিবী না। আধ্যাতিকতা আপনার মাথায় ঢুকবেনা তাই যুক্তিতেই আসি।
এখানে কোন সভ্যতাও চীরস্হায়ী ভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। একবার তারা অন্যান্যদের শাসন করেছে তো কিছুদিন পরে তারাই আবার অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছে। পৃথিবীতে একটি সভ্যতা ১০০-২০০ বছর পৃথিবীর জনগোষ্ঠিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ-শাসন করছে, ইচ্ছা হলে মারছে_ কাজেই "তারাই পরাক্রমশালী, চীরস্হায়ী" এটা বিরাট হাস্যকর চিন্তাধারা কারণ পৃথিবীতে অতীতে অনেক উন্নত সভ্যতা ও জনগোষ্ঠী পৃথিবী শাসন করেছে, পৃথিবীবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তাদের মোকাবেলা করার মত সাহস ও শক্তি কোন জাতির ছিলনা, কিন্তু তারা বা তাদের বংশধরেরা কেউ কি আজ চীরস্হায়ী হয়ে টিকে আছে?? ধ্বংশ হয়ে গেছে। তাদের আকাশছোয়া ঘরবাড়ি এখন মাটির স্তুপের নীচে চাপা পরেছে, তাদের বিচ্ছিন্ন হাড় কঙ্কালগুলো এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। এখনকার মানুষ সেখানে যায় বিনোদনের জন্য, আর তাদের ব্যাপারে গবেষণার জন্য। পৃথিবীতে কখনো গ্রীকরা কর্তৃত্ব স্হাপন করেছে আবার কখনো রোমানরা। মুসলিমরা হাজার বছরের বেশি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলিম ভূমিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করার শর্তে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করত। মধ্যযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও ছিল মুসলিমদের হাতে। পশ্চিমাদের কাছে মধ্যযুগ ছিল "অন্ধকার যুগ" কারণ তারা ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে, কূসংষ্কারাচ্ছন্ন এক সম্প্রদায়। ক্রুশেডাররা মুসলিমদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর তাদের অগ্রযাত্রা দেখে মনে হচ্ছিল মুসলিমরা বুঝি এই শেষ। কিন্তু তা কি হয়েছে? সালাহউদ্দিনরা ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। বৃটিশরাও একদিন গোটা পৃথিবী শাসন করেছে কিন্তু আজ? একদিন ইহুদিরা খৃষ্টানদের হাতে কচুকাটা হয়েছে, হিটলার তাদের প্রায় শেষ করেই দিয়েছিল যখন মুসলিমরা তাদের রক্ষা করেছে কিন্তু আজ সেই পরক্রমশালী হিটলার আর তার নাজি বাহিনীর অস্তিত্বটাও নেই। আবার আজ পৃথিবী ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে। মুসলিমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাদের দ্বারা। হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে তারা চীরস্হায়ী কিন্তু তারা কি চীরস্হায়ী হবে? এককালে ভারতে দ্রাবিড়দের সভ্যতা ধ্বংশ করে আর্যরা ভারত দখল করেছিল কারণ সে সময়ের পেক্ষাপটে তারা ছিল পরাক্রমশালী কিন্তু পরে তারাও হাজার বছর মুসলিমদের শাসনে থাকতে বাধ্য হয়নি? আজ তারা আবার মুসলিমদের উপর নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে। কিন্তু কতদিন? কাজেই কোন জাতিগোষ্ঠী ১০০-২০০ বছর দুর্দান্ত প্রতাপ দেখালেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করলেই তারা চীরস্হায়ী হয়ে যায়না। ইহুদি সভ্যতাও খুব তাড়াতাড়ি ধ্বসে পরবে তারাও মুসলিমদের দ্বারাই কচুকাটা হবে। আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেটা কি??
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা (মুসলমানরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে, ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে, তখন পাথর ও গাছগুলো বলবে; হে মুসলমান! এই যে ইহুদী আমার পিছনে!! এসো,তাকে হত্যা কর [সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪১, হাদিস সংখ্যা:৬৯৮৫)
আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেন কি? এসব আল্লাহর পক্ষ থেকেই। সব নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই।
আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক।
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)
তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অপসারণ (ধ্বংশ) করে নতুন সৃষ্টি আনয়ন করতে পারেন এটা আল্লাহর জন্য কঠিন নয়( সুরা ফাতির, আয়াত:১৬-১৭)
আজ আপানদের বিজ্ঞানীরা ডাইনোসর, এলিয়েন ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে কত গবেষনাই না করছেন।
আমি জানি আবারো আপনার মাথায় মুত্রমণার চিন্তাধারা কিলবিল করবে কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন:
তারা কোরানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবেনা এবং অতীতে তাদের পূর্ববর্তীগণেরও আচরণ এরূপই ছিল। যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫) কাজেই আপনার সাথে প্যাচাল বৃথা।
যাইহোক সাইন্সেই আসি আই মিন প্রকৃতির কোলে। নিউটনের গতির ৩য় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। সহজভাবে Action=Reaction. শক্তির নিক্ততা সূত্র বলে: কোন বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায় অন্য বস্তু ঠিক সেই পরিমাণ শক্তি অর্জন করে। কাজেই আপনার প্রকৃতি মাতাই বলছেন: কোন কিছু চীরস্হায়ী না। পৃথিবীর ইতিহাস বলছে কেউ তার শক্তিবলে চীরস্হায়ী হতে পারেনি। কাজেই আপনি যেই সভ্যতার শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে বড়াই করছেন তাও একদিন ভেঙ্গে পরবে। আপনাদের বিজ্ঞানীরা আজ বলছেন, তাদের ধারণা পৃথিবীতে এমন একটা প্রক্রিয়া সচল আছে যার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ "কে কোন কথা বলেছেন?" সব কিছুই এতে আটকে রয়েছে। এটা বের করার চেষ্টাও নাকি তারা করছেন। এটাই হয়ত আল্লাহর রেকর্ড কাজেই সব কিছুর বিচার একদিন হবে। পৃথিবীরটা হয়ত আমরা দেখে নাও যেতে পারি কিন্তু সেদিন???
অনন্তর যেদিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব-যাতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তাদের কি দশা হবে? এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে, তা সম্যকরূপে প্রদত্ত হবে এবং কারো প্রতি অত্যাচার করা হবেনা (সুরা আল ইমরান, আয়াত:২৫)
আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত: (কিয়ামত পূর্ব সময়ে)লোকেরা পরস্পরে প্রশ্ন করতে থাকবে যে, আল্লাহই যদি সব কিছু সৃষ্টি করেন, তবে তাকে কে সৃষ্টি করল? (বুখারী: ৬৭৯৮, ১০ম খন্ড) নাউ গো টু হেল।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এসব বস্তাপঁচা আবর্জনার স্তুপ গিলে খেয়ে হুতাস করা ছাড়া আল্লা এবং আল্লার মুমিন'দের আর কোন পথ নেই।মধ্যযুগীয় আরবী পুথির হাস্যকর আল্লা জুজু দেখিয়ে অজ্ঞ মূর্খের কাছ থেকে ৫, ১০ টাকা হা্তিয়ে নিতে পারবেন বটে, যা দিয়ে আপনার মত মোল্লা মৌলবীর খোরাক জুটে। এর বেশি আর কিছু আপনদের কপালে নেই। করুনা আপনার প্রতি।
গনতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য! ইসলামের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে! আমরা মুসলিমরাও স্বহস্তে গ্রহণ করে নিচ্ছি!!!
সেনসেটিভ একটি বিষয় তা ঠিক কিন্তু পড়া হলে আমরা সবাই উপকৃত হবো! আমার মনে হয় ব্লগ তো উন্মু্ক্ত চিন্তার প্রতিফলনেই লিখার প্লাটফর্ম দেয় ,আমাদের দায়িত্ব সঠিক জিনিষটা বাছাই করে নেয়া!
পরের পর্বের অপেক্ষায়! কে কি বললো তা নিয়ে হীনমনোবল যেনো না হয়!
জাযাকল্লাহু খাইর!
এই বয়সে এসে এখন অনুতাপ বোধ করি, মর্ম যাতনা বোধ করি - কেন গত বয়সটায় কোরান ও হাদীস পড়লাম না, কেন হাফেজ হলাম না? কেন আরবী ভাষা শিখলাম না?
ফুয়াদ ভাইদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ - না হারিয়ে কোরান, হাদীস, ফ্যাক্টস ও ফিগার দিয়ে এ্যাংগেইজ হোন কিংবা ইগনোর করুন।
নিয়ন্ত্রন হারালে আপনার জ্ঞান (যা আল্লাহর আমানত) ও জানাশোনায় তার নেগেটিভ এ্যাফেক্ট পড়বে।
গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র দুটো কনসেপ্ট ই 'খাযারস্' নামক একটি পার্টিকুলার জাতির বংশধরদের হাত ধরে জন্ম লাভ করেছিল। 'গনতন্ত্র' ডিসিপটিভ ভূমিকায় স্রষ্টাকে সমাজচ্যুত করে আর 'সমাজতন্ত্র' ড্রাসটিক ভূমিকায় স্রষ্টাকে সমাজ হতে উচ্ছেদ কর। দুটোর পারপাসই হল - স্রষ্টাবিমুখ বিশ্ব বিনির্মান করা। এ দুটি তন্ত্রই, চালুনীর ন্যায় স্রষ্টাবিশ্বাসী মানুষকে ডানে বামে নাড়িয়ে নাড়িয়ে তাদের মধ্য হতে স্রষ্টাভীতি (তাকওয়া) ও স্রষ্টনির্ভরতার উপকরন সমূহকে (ইখলাস) খড়কুটার ন্যায় ঝরিয়ে দিয়েছে। মাত্র ১০০ বছরের ইতিহাস।
ধন্যবাদ সুন্দর গোছানো উপস্থাপনার জন্য।
আপনার জানা থাকলে রেফারেন্স সহ ঐ হাদীস টা কোট করবেন। ধন্যবাদ।
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রঃ).. আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি-নাসারা?তিনি বললেন, আর কারা?(বুখারী:৬৮২১, ইফাবা:১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০৬-৫০৭, পিডিএফ পেজ: ৪৫২ মান সহীহ)
৫১% এরই সব ক্ষমতা ৪৯% এর উপর।
এখানে ব্রুট মেজরিটির জোরে যদি একদল বিল আনে যে বিরোধীদেরকে মেরে ফেলতে হবে , গনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী সেটাই ঠিক !
এরদোগানের কাজ বা তার পার্টি সমন্ধে না জেনে এভাবে তাকে উদ্ধৃত করে দিয়ে প্রশ্ন করাটা পছন্দ হলো না।
ধর্ম, ইসলাম তথা খেলাফত নিয়ে আমার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই।তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না।
তবে গণতন্ত্র নিয়ে আর একটু ভাবার পরামর্শ রইল।সময়টা ২০১৫।আপনার চিন্তাগুলো ঠিক এই সময়ের সাথে যায় বলে মনে হয়নি। এরদোগান শব্দটা না দেখলে আমি মন্তব্য করতাম না।দুঃখিত অনাকাঙ্খিত মন্তব্যর জন্য।আর আপনি ছেলে নাকি মেয়ে না বুঝতে পারায় সম্বোধন করতে পারিনি।আমার এ মন্তব্য শুধু আপনার পড়ার জন্য।জবাব কামনা করছি না।
বাংলাদেশে এমনি এমনিইতো আপনাদের এতো দুর্দশা হয়নি!
ভাই মেহেরবানী করে সমাধান লিখুন। এটা বর্তমানে একটা ফ্যাশন। এই ট্রপিক্স এ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
যা লিখেছেন সেরকমই লেখা নিয়মিত পাই। কিন্তু এসব মেধাবীরা কখনো সমাধান দেন না।
আশা করবো আপনি তাদের মত হবেন না।
আমিও একসময় ইসলামে গনতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম। সাদাচোখের সাথে আমার এ ব্যাপারে বিতর্ক হতো। আমরা পাশাপাশি থাকি। কিছুদিন ধরে ইসলামে গনতন্ত্র খুব বেশী কন্ট্রাডিক্ট করে তা বুঝতে পারছি। অনেক কিছু চোখের সামনে ভাসছে, পরে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
চালিয়ে জান সংগে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
1997, called Islamisomaj. Their
website is http://www.islamisomaj.org
or https://islamisomaj.wordpress.com/
জান্নাত ও জাহান্নামের পথ
আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইতানির রাজীম
আল্লাহ সকল সৃষ্টির স্রষ্টা , লালন কর্তা, মেহেরবান ও দয়াময়। ইবলিস শয়তান মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকে ঘোষিত শত্রু। পৃথিবীময় মানুষে মানুষে মারামরি, কাটাকাটি, হিংসা বিদ্বেষ ও মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি, সকল শয়তানের কাজ। “ওয়াল্ আসর ইন্নাল্ ইনসানা লাফি খুসর।” “যুগের কসম, মানবজাতি নিশ্চিত বিপন্ন।” বিশ্বময় মানবজাতি আজ ধ্বংসের মুখোমুখি।
*** *** ***
বিশ্বের দরিদ্রতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ শয়তান ও তার সৃষ্ট রাজনৈতিক বাটপারদের “পাতানো খেলে” আজ এক মহা ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি। কেয়ামতের পূর্বে পার্থিব ক্বেয়ামতের দ্বারপ্রান্তে । জন্মের লগ্ন থেকে ভুলের পর ভুলে জাতি জাহান্নামের কিনারে দন্ডায়মান। আর একটি মাত্র ভুল, দুঃস্বপ্নময় পরিণাম ডেকে আনবে।
*** *** ***
স্রষ্টা ও সৃষ্টির বিধানে কোথাও গণতন্ত্র , ভোটাভুটি বা “অল্পের উপর অধিকাংশের ” নিয়ন্ত্রন বা শাসন নাই, স্রষ্টা এক, সৃষ্টি অসংখ্য। স্রষ্টার বিধানে সৃষ্টি চলে। সৃষ্টির বিধানে নয়। মানবদেহে মাথার ওজন মাত্র দুই তিন কেজি, দেহের ওজন পঞ্চাশ কেজি। দুই কেজি মাথার দ্বারা যদি দেহ নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে মানুষ সুস্থ। আর যদি পঞ্চাশ কেজি দেহ দ্বারা মাথা চালিত হয়, তাহলে মানুষ উন্মাদ ও পাগল। নরনারীর বিবাহ, একক নর কর্তৃক নারী ও নারী কর্তৃক নরের পছন্দের মাধ্যমে হয়। জনগনের ভোটাভুটিতে হয় না। নারীপুরুষের মিলন ও সন্তানের জন্ম, তাও গনসমাবেশ ও গনভোটে হয়না। পরিবারে মাতাপিতা দু’জন। সন্তান অনেক , সন্তানদের ভোটে পরিবার চলে না। বরং পিতামাতার মধ্যেও একজনের কর্তৃত্ব ও অন্য সকলের আনুগত্বে সংসার “আদর্শ স্বর্গীয় সংসার” হয়।
*** *** ***
গণতন্ত্র ও ভোটাভোটি ইবলিস শয়তানের Brain Child বা শয়তানী মস্তিষ্কের অবাধ্যতার ফল। স্রষ্টার আজ্ঞা মানুষ সৃষ্টির লগ্নে “ওস্তাদ শয়তান ” তার ফেরেস্তা শাগরেদ দের নিয়ে ছাত্র রাজনীতির আন্দোলন করে মানুষ সৃষ্টিতে বাধা দিয়েছিল। (হাদিছ মতে ইবলিস মোয়াল্লিমুল মালাইকা বা ফেরশতাদের ওস্তাদ বা শিক্ষক ছিল) কিন্তু আল্লাহ গণতন্ত্রী সংখ্যাগুরুদের বললেন “ আমি যা জানি তোমরা তা জান না।”
তারপর তিনি আমাদের সৃষ্টি করে পৃথিবীতে তার খলিফা বা প্রতিনিধি করে পাঠান। ফেরেশতারা আল্লাহর ইচ্ছা ও বিধান মেনে মানুষের সাহায্যকারী। ইবলিস শয়তান , চ্যালেঞ্জ করে অভিশপ্ত হয়ে মানুষের সর্বনাশ লিপ্ত।
*** *** ***
আল্লাহ রাহমান মানুষকে পৃথিবীতে কল্যাণ ও আখরাতে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে ঈমান ও আমলের দ্বারা। নারী তার পেছনে, “কল্যাণীয়া” সহধর্র্মিনী। ইবলিশ শয়তান মানুষকে পৃথিবীতে যৌনবিকৃতি ও পরকাল জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। নারী তার সামনে, “কামসহচরী”, ধর্ম নষ্টকারিনী। আমরা কোন পক্ষে যাব ? আল্লাহর না শয়তানের?
*** *** ***
বাংলাদেশ পৃথিবীর দারিদ্রপীড়িত এক অশান্ত জনবহুল ক্ষুদ্রদেশ। এ জাতিই আল্লাহর রহমতের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য “পাকিস্তান ” নামের পবিত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু পার্থিব স্বার্থের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মন কষাকষির সময় শয়তান ফাঁকে ঢুকে পড়ে দুই মুসলমান ভাইদের মধ্যে খুনাখুনি আরম্ভ করে দেয়। একদিকে পাঞ্জাবী বিহারী, অপরদিকে বাঙ্গালী। কেউ আর মুসলমান রইল না। আল্লাহর শেষ নবী সঃ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন তোমরা পরস্পর হত্যায় লিপ্ত হবে। তাতে হত্যাকারী ও নিহতরা জাহান্নামী হবে।” তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো , ইয়া রাসূলুল্লাহ , হত্যাকারী হয়তো হত্যার জন্য জাহান্নাম যাবে, নিহত ব্যক্তি কেন জাহান্নামী হবে? উত্তরে রাসূল সঃ বলেছেন, কারণ , নিহত ব্যক্তিও সুযোগ পেলে হত্যাকারীকে হত্যা করতো।”
*** *** ***
হত্যাযজ্ঞ ও খুনাখুনি যে জাতি ও রাষ্ট্রের স্রষ্টা, সে জাতি তওবা করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন না করলে “এক মহা হত্যাযজ্ঞের” মাধ্যমে সে জাতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশ আজ সে ক্রান্তি লগ্নে।” আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না সে জাতি তার অন্তর পরিবর্তন করে।” (আল কোরআনঃ রাদ -১১)
*** *** ***
আল্লাহ তাঁর রহমত দিয়ে নরনারীকে স্বামী স্ত্রী , সন্তান সন্তুতিক ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজন রূপে এক, ঐক্যবদ্ধ ও মিল মোহাব্বতে সুখে দুঃখে পরস্পরকে বেঁধে মানব সমাজকে “একপরিবারে” রূপান্তরিত করেন। অভিশপ্ত শয়তান স্বামী স্ত্রীতে ফাটল ধরায়। তারপর মানব সন্তানদের একের পর এক রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, পেশায় ও ভৌগোলিক সীমায় বিভক্ত করে রাষ্ট্র, জাতি ও প্রজাতিতে শতধা বিভক্তির পর বিভক্ত করে পরস্পরকে গোষ্ঠীগত কলহ ও দ্বন্দে লিপ্ত করে। শান্তির সমাজ , স্বার্থদ্বন্ধের মানব সমাজের নরকের রুপ নেয়।
*** *** ***
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا “আল্লাহর রশিকে সবে মিলে সর্বশক্তি দিয়ে ধারণ করো, কখনো বিভক্ত হয়ো না, ঈমানদার জনগোষ্ঠীর জন্য আল্লাহর নির্দেশ। এক ঘরে দশ ভাই, সমাজসেবী, চিকিৎসাবিদ, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী, কর্মচারী, কৃষক ও শ্রমজীবী। এরা প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবারের পরস্পরের সহায়ক হলে পরিবারটি কেমন হয়? আর যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ পেশাভিত্তিক সংগঠনের সদস্য হয়ে স্বীয় স্বার্থের পূজারী হয়ে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়, তা হলেই বা পরিবারটি কিরূপ হয়?
প্রথমটি আল্লাহর রহমতের বন্ধনে তৈরী স্বর্গীয় পরিবার। দ্বিতীয়টি শয়তানী বিভক্তির অভিশপ্ত পরিবার।
*** *** ***
বর্তমানের রাজনৈতিক দলসমূহ, ছাত্রদলসমূহ, শিক্ষক সমিতি, মহিলা পরিষদ, চিকিৎসক সমিতি, সরকারী কর্মচারী সমিতি, বেসরকারী কর্মচারী সমিতি, শ্রমিক দল, ইত্যাকার সকল গোষ্ঠী-বিভক্তি, আল্লাহর কসম, শয়তানের নারকীয় নৈরাজ্য, যার নাম বর্তমান রাজনীতি।
এ সকল দলাদলি ও সংঘাত নির্মূল করে মানুষে মানুষে ভাই, নর ও নারীতে “ঘর ও বাহির”, শ্রমিক ও মালিকে পিতা পুত্র, শাসক ও শাসিতে “ইমাম ও মুক্তাদী”, পিতা ও পুত্রে গুরু ও শিষ্য ও সর্বোপরি, বিশ্বের মানব জাতিকে “নেক ও এক” করার “আসমানী সংগ্রাম”ই ঈমান, জিহাদ ও আল্লাহর এবাদত, বেহেশত ও মুক্তির চাবি।
এর বাইরে, সকল মত ও পথ, শয়তান-সৃষ্ট কুফর ও কাফেরীর, “মাথা-গোনা” গণতন্ত্রের । যার পরিণাম, এজন্মে সংঘাত ও “সাফাকুদ্দিমা” বা রক্তক্ষয়ী খুনখারাবী; পরজন্মে জাহান্নাম।
হে মানুষ, কোন্ পথ তোমার, শয়তানের, না “রাহমানের”?
http://WWW.islamisomaj.org
মন্তব্য করতে লগইন করুন