** = ঐক্য ও নেতৃত্বে জামাল উদ্দীন আফগানী = ** শাহ্ আবদুল হান্নান (কপিপেস্ট)

লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:১০:৪৫ রাত

** = ঐক্য ও নেতৃত্বে জামাল উদ্দীন আফগানী = **

শাহ্ আবদুল হান্নান

(কপিপেস্ট)

সাইয়িদ জামাল উদ্দীন আফগানী গত দুইশ’ বছরে সারা মুসলিম বিশ্বে, ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর যে কয়জন মহান মুসলিম মনীষী জন্ম নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন। আরও স্পষ্ট করে বলা যায়, প্রথম চার-পাঁচজনের মধ্যে একজন।

তার রাজনৈতিক জীবন, তার কর্ম সম্পর্কে না জানলে কেউ বুঝতেই পারবে না যে তিনি কত বড় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৮৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মারা যান ১৮৯৭ সালে ৫৮ বছর বয়সে। এর মধ্যে তিনি এমন অসাধারণ কাজ করেন যা ভাবাই যায় না।

জামাল উদ্দীন আফগানীর কাজ বুঝতে হলে সে সময়কে বোঝা দরকার। তিনি এমন এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেন যখন সাম্রাজ্যবাদ তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে অধিষ্ঠিত। ভারত এরই মধ্যে পদানত হয়ে গেছে, ১৭৫৭ সাল থেকে শুরু করে ১৮৫৭ সালের দিকে। যখন তিনি মাত্র সতের-আঠারো বছরের যুবক তখন ভারত উপমহাদেশে সিপাহী বিদ্রোহ অর্থাত্ স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় গোটা ভারতকেই ব্রিটেন দখল করে নেয়। একই সময়ে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল ও ডাচরা মিলে সারা বিশ্ব দখল করে চলছে। জামাল উদ্দীন আফগানী সাম্রাজ্যবাদের উত্থানের ঠিক সে সময়ই জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন।

তার বেড়ে ওঠার মুহূর্তে তিনি লক্ষ্য করলেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশই ইংরেজদের এবং অন্যান্য ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের পদানত হয়ে গেছে। জামাল উদ্দীন আফগানী তার যৌবনেই সারাবিশ্ব ঘুরে বেড়ান। আফগানিস্তানে তার জন্ম হলেও হিন্দুস্থানে তিনি আসেন। আমরা জানি, ঊনবিংশ শতাব্দীর সে সময় গোটা মুসলিম বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই ভারত উপমহাদেশে বাস করত। এর মধ্যে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বেশি এবং মধ্যভাগে বিক্ষিপ্তভাবে মুসলিমরা বাস করত। আফগানী কলকাতাতেও আসেন। তিনি ফ্রান্সে যান।

তিনি তত্কালীন মুসলিম বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশে (যেগুলোকে আমরা সে সময়ের মুসলিম পাওয়ার বলতে পারি) যান। যেমন, মিসরে তিনি অনেকদিন ছিলেন। মিসরকে তখনকার উত্তর আফ্রিকা বা আরব বিশ্বের নেতা বলা যায়। মিসর ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সেখানে তিনি কাজ করেন। এরপর তুর্কী খেলাফতের কেন্দ্র ইস্তাম্বুলে তিনি বাস করেন এবং সেখানকার রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তিনি মিসর থাকাকালীন সময় সেখানে এ কাজটিই করেছিলেন। মিসরের মতো তুরস্কও তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। বর্তমানেও তুরস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি তুরস্কের থেলাফতকে পরিবর্তন ও রক্ষা করার চেষ্টা করেন। ইরান এখনকার মতো তখনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ ছিল। তিনি ইরানে যান এবং সেখানেও কাজ করেন। সেখানকার রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন। সেইসঙ্গে হিন্দুস্থানের রাজনীতিকে তিনি প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

এগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, তিনি ইন্দোনেশিয়া বা ইস্টে (পূর্বে) কাজ করেননি। কিন্তু তত্কালীন কেন্দ্রীয় চারটি স্থান উপমহাদেশ, ইরান, তুরস্ক এবং মিসরে কাজ করেন। আফগানিস্তানও সে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি সঠিকভাবেই দেশগুলো নির্বাচন করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যত্ নির্ভর করছে এসব দেশ বা স্থানের এলিট বা জনগণকে প্রভাবিত করার ওপর। আমরা এটাও লক্ষ্য করি, তিনি তার জীবনে মিসরে মুফতি আবদুহুর মতো একজন মহত্ শিষ্য পান। মুফতি আবদুহু’ই তার চিন্তাধারাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার চিন্তা করেন, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রে, যেটি আরবিভাষী ছিল।

এটি সত্য যে সাবকন্টিনেন্টে তত্কালীন মুসলিম এলিটদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষিত কম ছিল। যারা ছিল তারা আরবি শিক্ষিত ছিল। তাদের মধ্যে আরবির মাধ্যমেই আফগানীর চিন্তাধারা পৌঁছানো সম্ভব হতো। ইংরেজির মাধ্যমে পৌঁছানোর কোনো উপায় তখন ছিল না। আর ইংরেজি ভাষা তাদের মধ্যে বিস্তার লাভ করে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। এখানে প্রথম মুসলিম ইংরেজি কলেজ স্থাপিতই হয় অনেক পরে, আলীগড়ে। এছাড়া ইংরেজি শিক্ষা ছিল তখন গুটিকয়েক লোকের মধ্যে। সুতরাং তত্কালীন মুসলিম বিশ্বের যারা এলিট ছিলেন তাদের ভাষা বলা যায় আরবিই ছিল। আরবির সঙ্গে সঙ্গে ভারত এবং ইরানে ফারসিও ছিল। কাজেই তিনি প্রথম মিসরকেন্দ্রিক সাংবাদিকতা শুরু করেন মুফতি আবদুহু’র সহায়তায়। সারাবিশ্বে তিনি তার বাণীকে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন।

এরপর তিনি ফ্রান্সে গিয়ে ‘আল উরওয়াতুল-উছকা’ বা শক্ত রজ্জু নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। প্যারিসকে কেন্দ্র করে আরবি ভাষায় এটি করার মধ্যে এও প্রমাণিত হয় যে তিনি নিজেও আরবি ভাষা ভালো জানতেন। তিনি তার পত্রিকা ‘আল-উরওয়াতুল উছকা’য় যেসব প্রবন্ধ লেখেন সেগুলো সঙ্কলন করে উর্দুতে মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস কাসেমী ‘আফগানী রচনাবলী’ লেখেন।

জামাল উদ্দীন আফগানী তখন তার লেখায় মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রীয় সমস্যাগুলো কী তা দেখাতে চাইলেন। তিনি তার যুগকে সামনে রেখেই কথা বলেছেন। যেমন আমরা আমাদের যুগকে সামনে রেখে কথা বলে থাকি।

তিনি দুটি বিষয়কে প্রধান বলে দেখেন।

একটি হলো অনৈক্য। তিনি বলেছেন, বিদেশি শক্তি আমাদের অনৈক্যের সুযোগে ঢুকে পড়েছে।

আর দ্বিতীয় যে বিষয়ের ওপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন সেটি হলো নেতৃত্ব। তিনি বললেন, মুসলিমদের মধ্যে নেতৃত্বের অভাব ঘটেছে এবং শক্ত নেতৃত্ব নেই। যদিও বলা যায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারীর অধিকার এসব বিষয় তিনি আনেননি। কেন আনেননি—এর উত্তর হলো, সে যুগে এগুলো বড় প্রশ্ন ছিল না।

তখনকার সময় বড় প্রশ্ন ছিল মুসলিম জাতির রক্ষা। যে শাসকই আছেন তাকে নিয়েই এগুতে হবে, সেখানে প্রথম কাজ এটি নয় যে বাদশাহী বাদ দিয়ে গণতন্ত্র করা, মানবাধিকার করা। প্রকৃতপক্ষে তখনকার ইস্যু ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটি মানসিকভাবে দেড়শ’ বছর আগে না গেলে আমরা বুঝব না। তিনি তার সময়কে সামনে রেখেই নেতৃত্বের প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তিনি একথা বললেন না যে নেতা স্বৈরাচারী, গণতান্ত্রিক নয় কিংবা তিনি নির্বাচিত নন। কিন্তু তিনি এটা বললেন যে, যে যেখানে নেতা আছেন আপনারা বিভেদ, ঝগড়াঝাটি বন্ধ করে একত্রিত হন। আপনাদের নেতৃত্বের যোগ্যতা রাখতে হবে। আলস্য, বিলাস এবং জুলুম পরিহার করার জন্য তিনি তাদেরকে বললেন। তিনি দুটি জিনিস—অনৈক্য ও নেতৃত্বকে সার্বিকভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি তার ‘একতা’ প্রবন্ধে বলেছেন, ‘একথা বলার উদ্দেশ্য এ নয় যে, গোটা মুসলিম দেশের ওপর কোনো একক ব্যক্তির আধিপত্য মেনে নেয়া হোক। এমন প্রস্তাব দুঃসাধ্য বলে মনে করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি অবশ্যই চাই যে, এদের সবার ওপর কোরআনী আহকামের আধিপত্য থাকুক এবং সবাই ইসলামকে নিজেদের ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমে পরিণত করুক।’ (সাইয়িদ জামাল উদ্দিন আফগানীর রচনাবলী, মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, পৃষ্ঠা-৪৩)

এ কথার ব্যাখ্যায় বলা যায়, এখানে তিনি বলছেন না যে, সারা মুসলিম বিশ্বকে এক নেতা মেনে নিতে হবে এখনই। এ প্রস্তাব কত ভালো বা মন্দ সে প্রশ্ন তিনি তুলছেন না। তিনি তা দুঃসাধ্য বলে মনে করেছেন। সেটি বাস্তবও নয়।

তিনি বলেছেন ঐক্যের ভিত্তি এমনই হবে যে সবার ওপরই কোরআনী আহকামের আধিপত্য থাকুক। অর্থাত্ কোরআনকে ঐক্যের ভিত্তি করা হোক। ইসলামকে ঐক্য ও সংহতির মাধ্যম পরিণত করা হোক। আমরা এখানে পরিষ্কার দেখি যে মুসলিম ঐক্যের ভিত্তি এছাড়া অন্য কিছু হতে পারে তা তিনি মনে করেননি। তিনি কোরআন ও ইসলামকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

তিনি আরেক জায়গায় বলছেন : ‘ঐক্য ও নেতৃত্ব এ দুটি বস্তু সামাজিক ও জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটিকে অর্জন করার পথে কখনও প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও স্বভাবগত চাহিদা সাহায্য করে, কখনও ধর্ম এগুলো থেকে উপকৃত হওয়ার পথ বলে দেয় আবার ক্রমাগত অনুশীলন চর্চার মাধ্যমে এগুলো লাভ করা যায়। ঐক্য ও নেতৃত্ব একসঙ্গেই বাড়ে এবং উত্কর্ষে উপনীত হয়।’ (পৃষ্ঠা-৪৫)

তিনি আবার বলেছেন, ‘ঐক্য ও নেতৃত্ব ইসলামী সুউচ্চ প্রাসাদের দুটি প্রধান স্তম্ভ। এগুলোকে অটুট রাখার জন্য চেষ্টা করা ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ফরজ।’ (পৃষ্ঠা-৪৬)

তিনি এভাবেই ঐক্য ও নেতৃত্বকে কল্পনা করতেন। একথা একবিংশ শতাব্দীর আজকের দিনেও সত্য যে আমরা পাশ্চাত্য থেকে যেসব কারণে পিছিয়ে আছি তার মধ্যে রয়েছে ঐক্যের এবং যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা যেভাবে মার খাচ্ছে সেখানেও আমরা শক্তিশালী কোনো অবস্থান এখনও তৈরি করতে পারিনি।

জামাল উদ্দিন আফগানী বললেন, হিলফুল ফুযুল একটি অন্ধকার যুগের চুক্তি হলেও জাহেলিয়াতের সে সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) শুধু ঐক্যের প্রয়োজনে সেটি গ্রহণ করলেন। তিনি বলেন, ‘হিলফুল ফুযুল অন্ধকার যুগের একটি চুক্তি হলেও ঐক্যের খাতিরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সেটিও গ্রহণীয় ছিল। এবং পৌত্তলিকদের সঙ্গে তিনি তাতে শরীক হন।’ (পৃষ্ঠা-৫২) অর্থাত্ ঐক্যকে গুরুত্ব দেয়ার জন্যই তিনি একথাটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরেক জায়গায় ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর জোর দিচ্ছেন; ‘বেশিরভাগ দ্বীনি হুকুম জারি করা একটি সুসংগঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।’ (পৃষ্ঠা-৫৩)।

এর মাধ্যমে এও বোঝা যায় যে তিনি ইসলামী রাষ্ট্র চাইতেন। তিনি এই ঐক্যের ব্যাপারে হজের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সামর্থ্য সাপেক্ষে হজ আদায় করা ফরজ। হজ উপলক্ষে এ ভূখণ্ডে প্রত্যেক স্তরে প্রত্যেক অঞ্চলের এবং প্রত্যেক মানবগোষ্ঠীর মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়। প্রয়োজন শুধু একটি আর তা হলো, কোনো প্রভাবশালী মহান ব্যক্তি সত্যের এমন একটি আওয়াজ বুলন্দ করবেন যার দ্বারা বিশ্বের সর্বদিকে ও সর্বপ্রান্তে চাঞ্চল্য ও কর্মব্যস্ততার একটি বিদ্যুত্প্রবাহ বয়ে যাবে এবং নীরবতাপ্রবণ মানবগোষ্ঠীর অন্তরে জাগরণ এবং জাগরণ থেকে কর্ম সম্পাদনের আকুতি সৃষ্টি হবে। (পৃষ্ঠা-৫৭)

তিনি এখানে হজকে ব্যবহার করতে বলেছেন। আমরা আজকে যে কথাটি বলছি সে কথাটিই তিনি আজ থেকে প্রায় দেড়শ’ বছর আগে বলে গেছেন। তিনি তখনই ঐক্যের পক্ষে কথা বলেছেন।

জামাল উদ্দীন আফগানী একজন অত্যন্ত জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। ফারসি এবং আরবি ভালো জানতেন। তিনি তার কালের প্রধান মুসলিম রাষ্ট্র ও তার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন এবং সেখানে তিনি কাজ করেছেন। তিনি সাংবাদিকতার গুরুত্ব বুঝেছিলেন এবং তার মাধ্যমে তিনি কাজ করেছিলেন। তিনি নিজে ফারসি ভাষাভাষী হওয়া সত্ত্বেও আরবির গুরুত্ব উপলব্ধি করেন এবং আরবিকে তার সাহিত্যের এবং লেখার ভিত্তি করেন।

তিনি সে যুগে উম্মতের মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তিনি বোঝাতে চান যে, ঐক্য না থাকার কারণে সমস্যাগুলো হচ্ছে। দ্বিতীয় সমস্যা হলো নেতৃত্বের। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় তিনি শিক্ষার জ্ঞানের কথা বলেছেন, ভ্রাতৃত্বের ও বীরত্বের কথা বলেছেন।

জামাল উদ্দীন আফগানীর এসব কথা আজকের মুসলিম জাতির জন্যও প্রযোজ্য।

লেখক : সাবেক সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সূত্র: আমারদেশ

বিষয়: বিবিধ

১৪৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File