প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রকে নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি না করতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। ভারতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হওয়ার ঘটনায় বিএনপি’র নেতাদের সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে বিএনপি’র সালাহউদ্দিনের তো জীবননাশ হয়নি। বন্ধুরাষ্ট্র নিয়ে কথায় কথায় দোষারোপের রাজনীতি না করতে আমি তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। ‘বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই’। আপনাদের কাছে ভারত যদি শত্রুরাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কীভাবে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনের তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনো হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রকে? আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। গত দুই-তিনদিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল।
বিজ্ঞাপন
তার পরিবারসহ কেউ জানে না।
চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে যে ফ্ল্যাটটিতে, সেটি বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটি নিয়ে... ‘যার দেখতে নারি, চলন বাঁকা’, এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন নয়। এসময় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিয়মকানুন রয়েছে। সেখানে কেউ অপরাধী হলে তাদের ছাড় দেয়ার মতো লোক বঙ্গবন্ধুকন্যা নন। আওয়ামী লীগের আসন্ন প্ল্যাটিনাম জুবিলীর অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের অনেক বড় ভূমিকা থাকবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেন, একসময় দেশের নারী ও তরুণরা আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এখন শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এককথায় তারা নৌকায় সমর্থন এবং ভোট দিচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলামসহ অনেকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন