সাইকো
লিখেছেন লিখেছেন আরিফা জাহান ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৯:২৫:৩৭ রাত
স্টেশন থেকে নেমে গন্তব্যস্থলে হেঁটে যেতে মাত্র ত্রিশ মিনিট । তাই তমাল ঠিক করল হেঁটেই যাবে । কিন্তু হাঁটা শুরু করার পনের মিনিটের মাথায় নামল ঝুম বৃষ্টি । গাছপালায় ঢাকা এই জায়গাটা এতই নির্জন যে, আশেপাশে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে গিয়ে এই বৃষ্টি থেকে বাঁচা যায় । দুই মিনিট প্রায় দৌড়ানোর পর চোখে পড়ল গাছপালায় ঘেরা বহু পুরাতন একটা ভবন । দেখে মনে হয় অনেক আগে এটা ছোটখাটো কাচারি ঘর ছিল । জনমানবহীন একটা পরিত্যাক্ত ভবন ।
উপায় না দেখে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য তমাল ওই ভবনেই গিয়ে দৌড়ে উঠল ।
মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে । থামার কোন নামগন্ধ নাই । উপায় না দেখে ট্রেন এ কেনা আজকের পত্রিকাটা ব্যাগ থেকে বের চোখ বুলাতে লাগল । পত্রিকা পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে তমালের চোখ আটকে গেলো ।
খবরটা ছিল এরকম যে, শহরের মানসিক সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে এক সিরিয়াস পেশেনট হাসপাতালের সিকিউরিটিকে গলাটিপে খুন করে পালিয়ে যায় । সেই সাথে ওই লাশের নাকে মুখে নখের আঁচড়ের অনেক দাগ ছিল ।
এই ঘটনার দুই দিন পরই হাসপাতালের পাশের এলাকায় একটা লাশ পাওয়া যায় যাকে গলাটিপে মারা হয়েছে । আর ওই লাশেরও মুখে নখের আঁচড়ের অনেক দাগ ছিল !
তার একদিন পরই আরেক এলাকায় আরেক লাশ পাওয়া যাওয়া যায়, যাকে ঠিক একিভাবে খুন করা হয়েছে !
পরপর তিনজনের একিধরনের মৃত্যু দেখে পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত যে, একজনই এই কাজটা করছে আর ভয়ংকর মানসিক রুগীর কাজই এটা ।
পুলিশ সারা শহর তন্নতন্ন করেও ওই পালিয়ে যাওয়া রুগীর সন্ধান পাচ্ছেনা । ধারনা করা হচ্ছে ওই রুগীটা শহরের আশেপাশেই কোন এক নির্জনস্থানে লুকিয়ে আছে।
খবরটা পড়ে তমাল তার পরের পৃষ্ঠার পাতা উলটানোর সময় তমালের কেন জানি মনে হলো পাশের জানালার ধারে কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে । সে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকানোর সাথে সাথেই একটা মাথা সাৎ করে সরে গেল !
মাথাটা সরে যাওয়ার সময় তমাল কাঁধের একটু অংশ দেখতে পেলো । হাসপাতালে রুগীদের যেরকম পোশাক পরিয়ে রাখা হয় ওরকম পরা লোকটার !!
বিষয়: বিবিধ
১১৪৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন