রাজাকারের ফাঁসি ও বিচারকের দুঃস্বপ্ন
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তআকাশ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৩৮:২১ রাত
প্রিয় পাঠক,
২০১০ সালে আমি একটি নাটক লিখেছিলাম। নাম ভয়াল রাত। এর পর আদ্যবধি কোন নাটক বা উপন্যাস লেখার কোন ফুসরত পাইনি।পেষাগত ব্যস্ততার কারণে কোন লেখায় হাত দিতে পারিনি। তবে কিছুটা অনুমান করতে পারছি যে, আজ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। তাই হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও আজ একটি লেখা হাতে নিলাম।২০১৩ সালের এ লেখাটি হল ইতিহাস আশ্রিত নাটক।
বাস্তবের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে শুধু অলঙ্কার দেব গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। নাটকটির নাম অবশ্যই উপরেই জেনেছেন। তার পরও বলি “রাজাকারের ফাঁসি ও বিচারকের দুঃস্বপ্ন”
লেখাটি প্রতি বৃহস্পতিবার সিরিয়াল আকারে প্রকাশ করা হবে। আশা করি ধৈর্য সহকারে সকলেই পড়বেন।
নতুন রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে সরকার তার মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে বৈঠকে বসেছে।
প্রধান মন্ত্রী: আজকের বৈঠকের এজেণ্ডা গুলো পাঠ করছি। এর পর কিছু বাদ পড়লে আপনারা এ্যাড করার পরামর্শ দিতে পারেন।
এ কথা বলেই বৈঠকের এজেণ্ডা পড়া শুরু করল।
আমি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকের এজেণ্ডা গুলো পাঠ করছি।
১। “ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান” অর্থাৎ আগামী ২১ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। তাতে যা করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২। ক্ষমতার সুষ্ঠ ব্যবহারের জন্য বিশেষ কিছু দুঃসাহসিক কাজ করতে হবে।
৩। ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য প্রাতিরক্ষা বাহিনীকে সাইজ করতে হবে। যেন কোন সিদ্ধান্ত নিতে তারা এই সাইজকে স্মরণ করে পিছিয়ে যায়।
৪। আগামীতে আমাদের প্রতিদন্দিতা করতে পারে এমন রাজনৈতিক দলের মাথাগুলোকে সারিয়ে দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এই সবগুলেই তো খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। কি ভাবে এটা করা সম্ভব ?
প্রধানমন্ত্রী: সবই সম্ভব। আমার কথা মত সবাই শুধু কাজ করে যান। আর কোন সহযোগিতার দরকার হলে যাদের মাধ্যমে এসেছি তারা তো আছেই। তাদের স্বার্থেই আমাদের পাশে দাড়াবেন।এবং আমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সকল প্রাকার সহযোগিতা করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন