আবরার হত্যাকান্ড
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৮:৫৪:৫৮ রাত
"বুয়েটের একজন সাধারণ প্রতিবাদী ছেলে আবরার ফাহাদের সর্বশেষ পোস্টটা এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৫ হাজার লাইক,৪৯হাজার কমেন্টস এবং ৫৬হাজার বার শেয়ার হয়েছে,যেখানে সে দেশের পক্ষে এবং ভারতের ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলেছিলো"
আবরার হত্যাকান্ড নিয়ে হাদীসে বর্ণিত পূর্ববর্তী সময়ের সেই কাহিনী মনে পড়ে গেল, যখন সত্যবাদী বালকটির কথা,কর্ম যালিম শাসকের বিরুদ্ধে গেল এবং শাসক তাকে হত্যার জন্যে পাহাড় থেকে ছুড়ে ফেলতে চাইলো কিন্তু আল্লাহ হেফাজত করলেন, সাগরে ছুড়ে দেওয়া হল,কিন্তু সে বেচে গেল, তীর মারা হল কিন্তু তা তাকে হত্যা করল না,নানানভাবে তাকে হত্যার সকল চেষ্টা যখন ব্যর্থ হল, তখন বালকটি বলল, আমাকে এভাবে মারতে পারবে না। তবে সকল মানুষকে উপস্থিত করে যদি আল্লাহর নামে তীর ছুড়েন,সেই তীরের আঘাতেই আমি মরব। বাদশাহ তাই করলো, বালকটি মারা গেল। কিন্তু উপস্থিত জনতা আল্লাহর উপর প্রবলভাবে ইমান আনল।
সদ্য আল্লাহতে বিশ্বাসী জনতা বালকের নামে শ্লোগান দিতে থাকল। অবস্থা এমন হল যে,বাদশাহ প্রচন্ড ক্ষেপে বিশাল গর্তে অগ্নী কুন্ডলী তৈরীর আদেশ দিলেন। তাদের সামনে বাদশাহ দুটো পথ রাখলেন, ঈমান ত্যাগ করা অথবা আগুনে পুড়ে মৃত্যু। সদ্য ঈমান আনা লোকেদের ঈমানকে আল্লাহ এমন মজবুত করে দিলেন যে সকলে আগুনে পোড়াকেই বেছে নিল। এক মায়ের কোলে ছিলো শিশু সন্তান, সেই মা আগুনে ঝাপ দিতে ইতস্তত করছিলো, তখন সেই দুগ্ধপোষ্য শিশুটি হঠাৎ কথা বলে ওঠে এবং তার মাকে আগুনে ঝাপ দিতে বলে। ওই মা শিশুসহ আগুনে ঝাপ দেয় এবং জান্নাত লাভ করে। বুখারী বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসে এই ঘটনাটি পুরো এসেছে এবং সূরা বুরুজে এই ঘটনাটি আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়েছেন।
"ধ্বংস হয়েছে গর্তের অধিপতিরা,(যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা ইন্ধনের আগুন ছিল। যখন তারা তার কিনারায় উপবিষ্ট ছিল। আর তারা মুমিনদের সাথে যা করছিল (আল্লাহ)তার প্রত্যক্ষদর্শী। আর তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল। আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব যার। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী। নিশ্চয় যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে আযাব দেয়, তারপর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব। আর তাদের জন্য রয়েছে আগুনে দগ্ধ হওয়ার আযাব। নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ। এটাই বিরাট সফলতা। নিশ্চয় তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন।
(আল কুরআন, সূরা বুরুজ, আয়াত : ৪-১২)
========================
আবরার ফাহাদের লেখাটি নিম্নরূপ:
১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
"পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।"
বিষয়: বিবিধ
১১৪২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন