আয়েশা খন্দকার আপার কথা যুবতীদের প্রেরনার এক ঝলক তাঁরাবাতি

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:৫১:৫০ সন্ধ্যা

সঠিক সময়ের কাজ ঠিক সেই সময়ে করার মাঝে সফলতা-

আয়েশা খন্দকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানিত শিক্ষকের উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রী ফাহমিদা আপা আমার জীবনে আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। নিজের ছোট বোনের মতই সাথে সাথে রেখে আমার জীবনের অনেক অজ্ঞতা দূর করতে চেষ্টা করেছেন। আশির দশকের শেষের দিকে একদিন আমার ৩ ছেলেকে উনার ছেলেদের কাছে রেখে আমাকে নিয়ে গেলেন কলাবাগান এক বাসায়।২৫- ৩০ জন উচ্চ শিক্ষিত যুবতি ও ভদ্র মহিলারা খুব মনযোগ দিয়ে একজন আপার কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বক্তব্য শুনছেন। তিনি ছিলেন আয়েশা খন্দকার আপা। প্রথম বুঝতেছি প্রতিটি কথা যুক্তিপুর্ন ,শিক্ষনীয় ও হৃদয় কেড়ে নেওয়ার মত । আজো তা কিছুটা মনে পড়ে।

সঠিক সময়ের কাজ ঠিক সেই সময়ে করার মাঝে সফলতা-

আয়েশা খন্দকার।

এই কথাটা আমার জীবনে মাইল ফলক ফলশ্রুতি ছিল।আপা ,এই লাইনের উদাহরন দিতে গিয়ে বললেন,একজন মা সকল দেখেন তাঁর সন্তান স্কুলের সময় স্কুলে যায় না,মাগরিবের নামাজ পড়ে পড়তে বসে না এবং পড়া সময় পড়া খেলার সময় খেলা না করে অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে সময় নষ্ট করে।তখন তিনি জ্ঞানী মা হলে ঠিকই বুঝতে পারেন তাঁর সন্তানের জীবন এর চরম ব্যার্থতা নেমে আসছে।

তেমনি আল্লাহ রহমানুর রাহিম মানুষ সৃষ্টি করে তাদের জন্য জীবন বিধান দিয়ে দিয়েছেন।আমরা মানুষরা যদি কোরআন সুন্নাহর আলোকে সঠিক সময়ের কাজ সঠিক সময়ে করে ফেলি ।তা হলে আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের পরম সফলতা রয়েছে। নচেৎ কোরানে আল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় এর কুফল আমাদের কি হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন। দুনিয়াতে লাঞ্চনা অপমান ও আখিরাতে ভয়াবহ জাহান্নামের পরিনতি ভোগ করতে হবে।

আমি সেই থেকে বাচ্ছাদেরকে আর নিজেও সঠিক সময়ে সঠিক কাজ শেষ করতে চেষ্টা করে অনেক অপকৃত হয়েছি। বুয়েটের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়াটারে আপাকে নিয়ে মাসে একটা কোরানের তাফসির হতো ।আমি হাজার কাজের মাঝেও ফাহমিদা আপার সাথে সেই প্রোগ্রামে হাজির হতাম। কারন আমার কাছে মনে হত আয়েশা খন্দকার আপার কথা যুবতীদের প্রেরনার এক ঝলক তাঁরাবাতি।যা ঈমানের বারুত এর মত।

আপাকে যত বার যেখানেই পেয়েছি ,সেখানেই আপার মুখে হাসি মাখা মধুর বক্তব্য শুনা আগ্রহ আরো বৃদ্ধি করেছি।আজো কি আমার প্রাণপ্রিয় আপা ,স্বামী হারানো ব্যাথা ও সন্তান গুম হবার এতো বড় শোকেও সবরের হাসি , বিজয়ের হাসি সফলতার হাসি মাখা মুখটা আগের মতো হাসে।আগে মতই কী আমরা আমাদের বোনের থেকে পথ নির্দেশিকার (কোরআন সুন্নাহর ) বানী সুনতে পাব? ইসলামের জন্য নারীদের প্রশিক্ষিকা হিসাবে আয়েশা খন্দকার আপাদের খুব দরকার ।না হলে আমরা হারিয়ে যাব।

আল্লাহ আমার বোনের বুকে উনার সন্তান কে ফিরিয়ে দিক।উনার পরিবারের সয়াইকে আল্লাহ এই কঠিন পরীক্ষায় উতীর্ন হবার মত সবর রহমত দান করুন।আল্লাহ ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউসের প্রশান্ত আত্তাদের সাথে কবুল করুন।আমিন ।

বিষয়: বিবিধ

১৩২৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377310
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:২৪
সাম্য বাদী লিখেছেন : আমিন
377327
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
377335
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৪৫
ফারদিন ইসলাম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
377338
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:০৩
কাহাফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ...... শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বী!
মুহতারাম কে মহান আল্লাহ স্বীয় হেফাযতে নিয়ে সবর করার তাওফিক এবং এর যথার্থ প্রতিদান দিন এই দুয়া!
জাযাকিল্লাহু খাইরান!
377364
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:৪২
আকবার১ লিখেছেন : আপু, চমৎকার লেখা। চালিয়ে যান।
ঈমানের পরীক্ষা চলছে।
377394
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:১২
শফিউর রহমান লিখেছেন : আমাদের আরও অনেক অনেক আয়েশা খন্দকার দরকার। আমাদের আরও বেশী মীর কাশেম আলী দরকার। দরকার, যেন তারা শহীদ হতে পারেন। দরকার এই জন্য যে, তারা যেন ইসলমাী ছাত্রী সংস্থা এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের মতো মহান আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন। তাদের দরকার, যেন তারা ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবন সিনার মতো পথ প্রদর্শক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে জাতির সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে পারেন। সর্বশেষ আল্লাহর প্রিয়ভাজন হয়ে শহীদ হবার মাধ্যমে আল্লাহর আরশের পাশে ঘরের মালিক হতে পারে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File