আদালত ও প্রধান বিচারপতি নিয়ে আওয়ামীলীগের বক্তৃতা
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৪২:০২ দুপুর
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার আওয়ামী লীগ। ২১শে আগস্ট শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর এ দাবিতে মাঠে নামার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
এদিকে প্রধান বিচারপতি ও ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কথা বলার আগে থেকে দলের শীর্ষ নেতারা রাজনৈতিক মাঠে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এদিকে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব ছাড়তে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীর
প্রধান বিচারপতিকে হানিফ তাহলে পাকিস্তান চলে যান
প্রধান বিচারপতির রায় ও বক্তব্যে পাকিস্তান-প্রেমের প্রকাশ ঘটেছে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতি যদি এতই আকর্ষণ থাকে, তাহলে পাকিস্তানে চলে যান। গতকাল জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময় আপনি নিজেও বলেছিলেন, আমি তো শান্তি কমিটির সদস্য ছিলাম। এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন ?
আদালত ও প্রধান বিচারপতি নিয়ে আওয়ামীলীগের বক্তৃতা। বালকদের দেয়া রায়গুলো নিজের পছন্দনীয় হয়নি তাই হুঙ্কার।
যেভাবে আক্রমণাত্মক হয়েছেন তারা ( আওয়ামীলীগের সরকার), যে কথাগুলো বলছেন, যে উক্তিগুলো করছেন এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ধরনের উক্তি কেউ কল্পনাও করতে পারে না।
আজকে যদি তারা চাইতেন এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হতো এবং সুয়োমোটো রুল ইস্যু করে তাদেরকে আদালতে এনে একটা বিচারের ব্যবস্থা করতে পারতেন, কিন্তু করেননি।
প্রধান বিচারপতির দিকে ইংগিত করে শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘স্বাধীনতা ভালো, কিন্তু তা বালকের জন্য নয় বলে একটা কথা আছে। কাজেই ওই বালকসুলভ আচরণ আমরা আশা করি না।’
অপছন্দের রায় দেয়ার কারণে শেখ হাসিনার বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতিকে সরে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
‘রায় পছন্দ না হলে বিচারকদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের লাঠি মিছিল, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বস্তি বসানো, প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাঙচুরের ইতিহাস আওয়মীলীগের আছে।
প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হুমকি দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনি আদালতে মামলা চলাকালীন নিজের মুখে স্বীকার করেছেন গ্রামে যে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। এটি আপনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আপনি এ পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনি বলেছেন বিচার বিভাগ অনেক ধৈর্য ধরেছে। আমরা আওয়ামী লীগও অনেক ধৈর্য ধরেছি। দেশের মানুষ অনেক ধৈর্য ধরেছে। আমি অতীতের উদাহরণ বলতে চাই না। বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হয়েছে। এখনো সেই ঘটনা ঘটেনি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক তা চাই না। আরেকজন প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসতে পারেননি। বিদায় নিতে হয়েছে। আমরা চাই না দেশে সেই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। আপনি দয়া করে পদত্যাগ করুন। দেশের জনগণ অনেক ধৈর্য ধরেছে। দেশের জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য ধৈর্য ধরবে না।’
সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গওহর রিজভী
সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আদালত ও প্রধান বিচারপতি নিয়ে আওয়ামীলীগের বক্তৃতা। বালকদের দেয়া রায়গুলো নিজের পছন্দনীয় হয়নি তাই হুঙ্কার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছে, প্রধান বিচারপতি পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করব যাতে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তিনি যেসব কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন তাতে পাগল ছাড়া সুস্থ্য মানুষ এসব কথা বলতে পারে না।
যেভাবে আক্রমণাত্মক হয়েছেন তারা ( আওয়ামীলীগ), যে কথাগুলো বলছেন, যে উক্তিগুলো করছেন এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ধরনের উক্তি কেউ কল্পনাও করতে পারে না।
আজকে যদি তারা চাইতেন এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হতো এবং সুয়োমোটো রুল ইস্যু করে তাদেরকে আদালতে এনে একটা বিচারের ব্যবস্থা করতে পারতেন, কিন্তু করেননি।
প্রধান বিচারপতির দিকে ইংগিত করে শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘স্বাধীনতা ভালো, কিন্তু তা বালকের জন্য নয় বলে একটা কথা আছে। কাজেই ওই বালকসুলভ আচরণ আমরা আশা করি না।’
অপছন্দের রায় দেয়ার কারণে শেখ হাসিনার বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতিকে সরে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
‘রায় পছন্দ না হলে বিচারকদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের লাঠি মিছিল, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বস্তি বসানো, প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাঙচুরের ইতিহাস আওয়মীলীগের আছে।
প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হুমকি দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
সিনহা হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর। আপিল বিভাগে যোগদান করেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই। প্রধান বিচারপতি হন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি।
আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারপতি হয়েছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আইন - আদালত - বিচার বিভাগ - বিচারক আসলে সবার জন্য সমান নয় । আইন হল - শক্তের ভক্ত , নরমের যম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন