একজন নারীর সবচেয়ে প্রিয় কে ?

লিখেছেন লিখেছেন মামুন আব্দুল্লাহ ২৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:২৯:২০ রাত

প্লিজ গল্পটি পড়ুন ......

একজন নারীর বেষ্ট ফ্রেন্ড কে? পুত্র না তার বাবা ?



সাইকোলজির টিচার ক্লাশে ঢুকেই বললেন –

আজ পড়াবো না ! সবাই খবই খুশি।

টিচার ক্লাশের মাঝে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলেন। বাইরে বৃষ্টি, বেশ গল্পগুজব করার মত একটা পরিবেশ।

ষ্টুডেন্ডদের মনেও পড়াশুনার কোন প্রেশার নেই।

টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন– জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে? মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল- জ্বী স্যার আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে।

টিচার চট করে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন- আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো। এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন – মা আজকে তুমিই টিচার। এই নাও চক, ডাষ্টার।

যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো। মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখলো। টিচার বললেন-

এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা এদের পরিচয় লেখলো।

সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার এবার বললেন – লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও। মেয়েটা তার প্রতিবেশী,আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো।টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন।আরো তিন জনের নাম মুছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পরে গেলো । ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে। খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে মেয়েটার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করছে। মেয়েটার হাত কাঁপছে।সে ধীরে ধীরে তার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছলো। এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রিতিমত কাঁদছে।

যে মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো সেই মজা আর নেই। ক্লাশের অন্যদের মাঝেও টানটান উত্তেজন। লিষ্টে আর বাকী আছে দুইজন। মেয়েটার হাজবেন্ড আর সন্তান। টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছো; কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারো নাম মুছতে সে আর পারছেনা। টিচার বললেন – মা গো -

এইটা একটা খেলা। সাইকোলজিক্যাল খেলা। জাষ্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছে দিতে বলেছি, মেরে ফেলতে তো বলিনি !

মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে ছেলের নামটা মুছে দিলো।

টিচার এবার মেয়েটার কাছে গেলেন,পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন– তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত।

আর এই গিফ্ট বক্সে দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য।এবার বলো, কেন তুমি অন্য নামগুলো মুছলে। মেয়েটা বলল- প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম।

কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট ফ্রেন্ড আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন আরো তিন জনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড আর বাবা মায়ের নাম মুছে দিলাম। ভাবলাম বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না, আর বেষ্ট ফ্রেন্ড না থাকলে কি হয়েছে? আমার কাছে আমার পুত্র,আর তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড; কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।পরে ভেবে দেখলাম, ছেলেতো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু ছেলের বাবাতো কোন দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।

আমরা এখান থেকে কি শিক্ষা গ্রহন করলাম ?

অনেকেই আবার বলতে পারেন যদি একই প্রশ্ন একজন ছেলেকে করা হতো তাহলে সে কি করতো ? প্রতে্যকে নিজে চিন্তা করুন হয়তো উত্তরটা আপনিই বের করতে পারবেন !

একটি বিদেশী গল্প অবলম্বনে ........

একজন বিজ্ঞ লোকের স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহিত

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337700
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:২৮
নাবিক লিখেছেন : ছেলেদের এই প্রশ্নটা করলে অধিকাংশ ছেলে তার মায়ের নামটা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস..
337707
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:২৮
হতভাগা লিখেছেন : নারীর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হল Diamonds । আর এটা যে তাকে দিতে পারে সেই তার কাছে প্রিয়।
337711
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
কাওছার জামাল লিখেছেন : Good Luck
337718
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৩৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : শেষ দিকে এসে কি মেয়েটি ভুল করলো? নাকি স্বার্থপরতা দেখালো? সন্তানের চেয়ে স্বামীকে বেশি ভালবাসার কথা নয়।
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
279372
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এ দুনিয়ায় স্বার্থহীন নয় কেউই। এমনকি মা ও নয়। নিজের বাচা মরার প্রশ্ন যখন সামনে এসে দাড়ায়, সেই অন্তিম মুহুর্তে মা ও সন্তানের হাত ছেড়ে দেয়। রোজগার ছেলের প্রতি মায়ের আদর ভালবাসা বেশি থাকে, বেকার ছেলের জন্য থাকে করুণা।বেচে থাকার জন্য, মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য নির্দিষ্ট সীমার স্বার্থপরতা অপরিহার্য একটা প্রাকৃতিক বিষয়।
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
279373
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এ দুনিয়ায় স্বার্থহীন নয় কেউই। এমনকি মা ও নয়। নিজের বাচা মরার প্রশ্ন যখন সামনে এসে দাড়ায়, সেই অন্তিম মুহুর্তে মা ও সন্তানের হাত ছেড়ে দেয়। রোজগার ছেলের প্রতি মায়ের আদর ভালবাসা বেশি থাকে, বেকার ছেলের জন্য থাকে করুণা।বেচে থাকার জন্য, মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য নির্দিষ্ট সীমার স্বার্থপরতা অপরিহার্য একটা প্রাকৃতিক বিষয়।
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
279374
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এ দুনিয়ায় স্বার্থহীন নয় কেউই। এমনকি মা ও নয়। নিজের বাচা মরার প্রশ্ন যখন সামনে এসে দাড়ায়, সেই অন্তিম মুহুর্তে মা ও সন্তানের হাত ছেড়ে দেয়। রোজগার ছেলের প্রতি মায়ের আদর ভালবাসা বেশি থাকে, বেকার ছেলের জন্য থাকে করুণা।বেচে থাকার জন্য, মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য নির্দিষ্ট সীমার স্বার্থপরতা অপরিহার্য একটা প্রাকৃতিক বিষয়।
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
279375
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এ দুনিয়ায় স্বার্থহীন নয় কেউই। এমনকি মা ও নয়। নিজের বাচা মরার প্রশ্ন যখন সামনে এসে দাড়ায়, সেই অন্তিম মুহুর্তে মা ও সন্তানের হাত ছেড়ে দেয়। রোজগার ছেলের প্রতি মায়ের আদর ভালবাসা বেশি থাকে, বেকার ছেলের জন্য থাকে করুণা।বেচে থাকার জন্য, মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য নির্দিষ্ট সীমার স্বার্থপরতা অপরিহার্য একটা প্রাকৃতিক বিষয়।
337728
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিষয়টা আপেক্ষিক। সন্তান পরিবর্তন করা যায়না কিন্তু ইচ্ছা করলে স্বামি পরিবর্তন করা যেতে পারে।
337737
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
শফিউর রহমান লিখেছেন : একজন বিজ্ঞ লোকের স্ট্যাটাস থেকে লেখার চাইতে তার নামটা কেন প্রকাশ করলেন না? আমরা আমাদের পরিচয় এবং নাম প্রকাশে সব সময়ই অলসতা দেখাই। আর তাই একই মহল্লাই বাস করার পরেও আমাদের নাম পরিচয় জানে না।

আমাদের পরিচয়ইতো প্রথম দরকার দীনের দাওয়াতের জন্য। তাই নয় কি?

ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক খুবই পরিচিত একটি নাম; একটি আন্দোলনের নাম। তার নামটি প্রকাশ করলে কোন সমস্যাই হবার নয়।
337741
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
আফরা লিখেছেন : এটা মনে হয় ঠিক হয় নি । স্বামী যে ছেড়ে যাবে না তার গ্যারান্টি কি ?

স্বামী যদি তাকে ছেড়ে তাহলে সেই স্বামীর সাথে তার কিন্তু কোন সম্পর্কই থাকবে না কিন্তু সন্তান যদি ছেড়ে যাও বা যত দুরেই যাক সন্তান কিন্তু সন্তানই থাকবে ।
337767
২৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৪৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আগেও একবার পড়েছি, আবার পড়লাম, অভিভুত হলাম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File