করপোরেট সুখ

লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৬:০৪ সকাল

উপরে দেখে মানুষের মনের অবস্থা বা পারিবারিক অবস্থা বোঝা আসলে কখনই সম্ভব না। আমাদের সহকর্মীর সঙ্গে একই গাড়ীতে আসলাম। আমি সদা কম কথা বলার স্বভাবে রাস্তাঘাটে সহকর্মীদের সাথে কথা বলিনা বললেই চলে। আর যদি হয় বিপরীত লিঙ্গের তা হলে তো হাই-হ্যালো বা ভালো আছেন আপনি-এটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকি।

আজকে গাড়ী থেকে নামতে হলে দুই মিনিটের রাস্তার দুরুত্বে। নিজেই জিঙ্গেস করল স্যার আপনার বাসার কি অবস্থা, বাচ্চা দুটি কেমন আছে। আমি শুধু বললাম আল্লাহ রেখেছে ভালো। জিঙ্গেস করলাম আপনার বাচ্চার কি অবস্থা। বলল আছে ভালোই। বলার ধরনে বুঝলাম কোন একটা সমস্যা তার। হাটতে হাটতেই জিঙ্গেস করলাম কোন সমস্যা আপনার। দেখলাম মুখ কালো হয়ে গেল। তারপর মাথা নিচু করে বলল- ছেলের বাবাকে নিয়ে যন্ত্রণায় আছি। উল্টাপাল্টা চলাফেরা করে, নেশাও করে, ডিজে পার্টিতে যায়। আমি পরিশ্রম করে টাকা পাঠাই তাকে আর সে বসে বসে এগুলি করে। বললাম জব করে না, বলল করে একটি কোম্পানীতে তারপরও প্রতি মাসে আমার বেতনের বেশিরভাগ টাকা পাঠাতে হয় তাকে তারপরও আমার কলিগদের কাছে ফোন করে উল্টোপাল্টা কথা বলে। আমি নাকি উল্টাপাল্টা চলা ফেরা করি। আমি যেহেতু ওয়েলফেয়ারে কাজ করি সেখানে তো আমাকে একটু সুন্দর ভাবেই থাকতে হয় আর সবার সাথে সর্বদা হাসিখুশিভাবে কাজ করতে হয়। এসব নিয়ে সর্বদা যন্ত্রণায় আছি। আর সে যদি বলে চাকরী ছেড়ে দিতে আমি দিব কিন্তু সেও তো কিছু করে না যা দিয়ে চলতে পারব। আপনি তো দেখছেন আমি কত পরিশ্রম করতাম ওখানে। (আমি আগে যে কোম্পানীতে ছিলাম সেখানেও সে ছিল)। বলতে বলতে রাস্তা ফুরিয়ে গেল। আর কিছু জানা হল না। তখন থেকেই ভাবছি মেয়েটি সর্বদা হাসিখুশি, মনেহয় কতই না সুখে আছে। কাজে কর্মে প্রচন্ড দায়িত্বশীল।

বিষয়: বিবিধ

১৬৯১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381868
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। কতজন এমন কষ্ট চেপে রেখে হেসে যায় পৃথিবীর বুকে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
315696
চোরাবালি লিখেছেন : হুম সেটাই। কজন পারি একাজটি করতে
381873
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:৫৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : দুনিয়াতে এমন হাজারো মানুষ আছে, যারা বুকে তীব্র কষ্ট জমা রেখেও মুখে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে অবিরত।
ধন্যবাদ আপনাকে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০২:০৫
315704
চোরাবালি লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
381886
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০৩:৩৮
হতভাগা লিখেছেন : কর্পোরেট কোম্পানীগুলো হচ্ছে দাম্পত্য , পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার সূতিকাগার । চাকুরীর ক্ষেত্রে এরা মেয়েদেরকেই বেশী প্রেফারেন্স দেয় এবং সেটার জন্য মেয়েটির যোগ্যতা হল তার রুপ ও দৌহিক সৌন্দর্য্য । অবশ্যই কাজের যোগ্যতা নয়।

সাধারণ যে কোন কাজে একজন পুরুষ ৫ জন নারীর সমান কাজ করার দক্ষতা রাখে । মেয়েদেরকে রাখাই হয় মনোরন্জনের জন্য ।

এসব মেয়েরা তাদের আয়ের টাকা নিজের লাক্সারী করা ছাড়া আর কোথায়ও ব্যয় করে না । ফলে তার চাকরি থেকে আয়কৃত টাকা সমাজের জন্য তো কোন উপকারই বয়ে আনে না বরং সেটা নিয়ে আসে পারিবারিক অশান্তি। চাকরি করার ফলে সে স্বামীর সংসারের হেফাজত করে না । নিজের কামাইয়ের পরও স্বামীর কামাইয়ে সে ভাগ বসায়।

ফলে স্বামী বেচারা দুই কুলই হারায়।

কোন মেয়েকে চাকরি দেওয়া মানে হচ্ছে কমপক্ষে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটা পুরুষের পরিবারে লাথি মারা । কারণ চাকরির টাকা একজন পুরুষ তার সংসারের উন্নতির নানাবিধ কাজে লাগায় । একজন মেয়ে সেটা করে না ।

তাই রাষ্ট্রের বা প্রতিষ্ঠানের অতীব জরুরি না হলে যোগ্যতা সম্পন্ন পুরুষদের চাকরির আগে নারীদের চাকুরি দেওয়া উচিত নয় । কারণ এর ফলে সৃষ্ট সামাজিক অশান্তি ট্যাকল দেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব না।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০৩:৪৩
315712
চোরাবালি লিখেছেন : এ ব্যপারে আমার কোন দ্বিমত নাই।
আমরা শুধু অর্থনৈকি উন্নয়নে নারী পুরুষ উভয়ের কাজের কথা বলি অর্থনীতির উদাহরণ দিয়ে।
কিন্তু অর্থনীতিতে একটা অন্যতম বড় চেপ্টার হল বন্টন যেটি নিয়ে আমরা কথা বলি না।
নারীদের প্রতিষ্ঠিতর জন্য নারীদের কর্মক্ষেত্রে পাঠানো নয় বড়ং যোগ্যপাপ্য নিশ্চিত করলেই নারীরা প্রতিষ্ঠিত হত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File