নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

লিখেছেন লিখেছেন শাহীন কবির ২৪ জুলাই, ২০১৫, ০৫:১৮:২২ সকাল

মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতিটি জীব ও জড়কে যেখানে যার যেরুপ আকৃতি ও প্রকৃতিতে থাকা প্রয়োজন ঠিক সেভাবেই তাকে তৈরী করেছেন। শরীরের সুস্থ্যতার জন্যে যেমন সমস্ত অঙ্গের ভারসাম্য ও মজবুতি প্রয়োজন। মানব সমাজের সুস্থ্যতার জন্যও নারী ও পুরুষ এদুটো অঙ্গের যথোপযুক্ত মজবুতি প্রয়োজন। এ প্রয়োজন পুরণে এগিয়ে আসা দরকার ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের। মাবন সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায় একমাত্র রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ) আনীত ও উপস্থাপিত জীবন বিধান যা সবর্কালের সর্ব শ্রেষ্ট এবং অপরিবর্তনীয় জীবন বিধান হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত যার নাম হলো ইসলামই নারীকে সুস্থ্য সমাজ বিকাশের ধারায় যথোপযুক্ত মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রধান করেছে। নিন্মে ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত নারীদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপিত হলো।

১) ইবাদতের অধিকারঃ ইসলাম নারীদের ইবাদতের প্রতিদান পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধান করে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন যে, “নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ইমানদার পুরুষ ও ইমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ ও রোজা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী এবং আল্লাহর সঠিক জিকিরকারী পুরুষ ও নারীর জন্যে আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহা পুরুষ্কা।

২) নর-নারী পরস্পরের সহযোগীঃ

মানব-মানবীর আগমনে জেগে উঠেছে ঘুমন্ত পৃথিবী। আনন্দের হিললোল ভয়ে চললো ধরনীর বুকে। মাটির জগতে মানবের আগমন কোন দৈবাৎ ঘটনা নয়। নয় কোন খেয়ালী বিধির ক্রীয়া কৌতূহল মাত্র। এটা ছিলো এক মহা পরিকল্পনার সার্থক ফসল। মানূষ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করবে আল্লাহর খেলাফত, আনন্দ সুখে ভরে উঠবে ধরনী কানায় কানায়। এরশাদ হলো- মোমেন পুরুষ ও মোমেন মহিলা পরস্পরে বন্ধু ও সাথী। যাবতীয় ভালো কাজের নির্দেশ দেয় ও সব অন্যায় পাপ কাজ হতে বিরত রাখে। সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এমন লোক যাদের প্রতি আল্লাহর রহমত অবশ্যই নাযিল হবে। সুরা তওবা আয়াত – ৭১।ইসরাম নারী জাতিকে পুরুষের সহযোগী বন্ধু হিসাবেই শুধু আখ্যায়িত করেননি বরং আরো সামনে এগিয়ে একজনকে আরেকজনের পোষাক হিসাবে ঘোষনা করেছেন।পোষাক বিহীন মানূষ সুস্থ্য বলে বিবেচিত হয় না। পোষাক মানুষকে সুন্দর্য্য মণ্ডিত করে। আবহাওয়ার ক্ষতি হতে রক্ষা করে। নারীরা পুরুষের পোষাক বিধায় সামাজিক সুস্থ্যতা, মানসিক ভারসাম্য ও প্রয়োজনীয় শক্তি সাহস নিয়ে নরেরা ড্রাইবিং পোর্স হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে সৃস্টির সুচনা কাল হতে। নারী তাই পুরুষের বোঝা নয় বরং তাদের অহংকার ও অলংকার। আর এমন মহান মর্যাদা একমাত্র ইসলামই নারী কে দিয়েছে। এরশাদ হচ্ছে- তারা হচ্ছে তোমাদের জন্যে পোষাক আর তোমরা হচ্ছো তাদের জন্যে পোষাক। (সুরা বাকারা আয়াত- ১৭৮) চলবে

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331343
২৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৩০
অপি বাইদান লিখেছেন : নারীর স্বাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক। স্ত্রীকে প্রহার কর। দাসী ধর্ষণ হালাল। নারী ৭ পর্দায় অন্তরিন। তারপরও ইসলামের নারী রাগাম্বর??
331353
২৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:২৫
হতভাগা লিখেছেন : পুরুষদেরকে চারটা পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন যদি মেইনটেইন করতে পারে ।

তাহলে ২য় বিয়ে করতে গেলে ১ম ষ্ত্রীর অনুমতির আইন করা হলে কেন ?
২৯ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২৩
274646
শেখের পোলা লিখেছেন : আইন কেউ করে থাকলে এটা তার ব্যাপার৷ কোরআনে কোথাও এ আইন নেই, বরং মেইটেন করর কথাতেই জোর দেওয়া হয়েছে৷
332377
২৯ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : চলুক----------------৷ ধন্যবাদ৷
332518
২৯ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
333132
০২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ

পোস্ট দেবার পরে আরেকবার চোখ বুলিয়ে [বিশেষতঃ বানানগুলো] এডিট করে দিলে উত্তম হয়!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File