পারস্পরিক_হৃদ্যতা_বৃদ্ধির_উপায়
লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৪:৪২ সন্ধ্যা
দরসে হাদীস
عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَجِيبُوا الدَّاعِيَ، وَلاَ تَرُدُّوا الْهَدِيَّةَ، وَلاَ تَضْرِبُوا الْمُسْلِمِينَ
#বাংলা: আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা দাওয়াত দানকারীর ডাকে সাড়া দাও, উপহারাদি ফিরিয়ে দিও না এবং মুসলমানদেরকে প্রহার করো না। (আদাবুল মুফরাদ:১৫৭)
" أجيبوا الداعي ، ولا تردوا الهدية ، ولا تضربوا الناس أو المسلمين " .(মু'জামুল কাবীর)
#আলোচনা: মুসলমানদের মাঝে সম্পর্ক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়, সুদৃঢ় বন্ধন হয় পারস্পরিক হৃদ্যতায়, বন্ধুত্বে, আত্মীয়তায় ও যোগাযোগের মাধ্যমে। হাদীসে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মঝে এই আবেদন রয়েছে, যাতে পারস্পরিক বন্ধন ও ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
#দাওয়াত_গ্রহণ_করা: মুসলমানদের পারস্পরিক হকের মাঝে অন্যতম একটি হক হলো কাউকে খাবারের জন্য ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেয়া তথা দাওয়াত কবুল করা। সেটা হতে পারে ওয়ালিমা কিংবা আক্বিকার দাওয়াত অথবা অন্য যে কোনো যেটা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ।
#উপহার_ফেরত_না_দেয়া: হাদীসের দ্বিতীয় নির্দেশ হচ্ছে, কাউকে উপহার দিলে সেটা গ্রহণ করা এবং ফেরত না দেয়া। কেননা ফেরত দিলে উপহারদাতা মনোক্ষুণ্ণ হবেন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ায় টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে। উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতা-ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, শত্রুতা দুর হয় এবং সম্পর্ক মজবুত হয়। হাদীসে এসেছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপহার গ্রহণ করতেন এবং তিনি এর পরিবর্তে অন্যকেও (উপহার) দিতেন।(আবু দাউদ:৩৫৩৬)
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ হে মুসলিম মহিলাগণ! তোমাদের কোনো প্রতিবেশী যদি ছাগলের খুরও উপহার দেয় তবুও তা তুচ্ছজ্ঞান করবে না অর্থাৎ দাতা যেন লজ্জার বশীভূত হয়ে দান থেকে বিরত না থাকে এবং গ্রহীতাও যেন অল্প বলে অবজ্ঞা না করে। (মুসলিম:১০৩০)
পুনশ্চ: পারস্পরিক উপহার আদান-প্রদান করা খুবই উত্তম কাজ। কিন্তু উপহারের নামে সুদ-ঘুষ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যেমন, সরকারী কর্মচারীদের (কিংবা যে কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকের গ্রাহক/প্রাপকের প্রাপ্য কাজ সমাধা করার জন্য) কিছু দেয়া ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। (মুসলিম:১৮৩২)
#প্রহার_না_করা: অকারণে কাউকে প্রহার করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট হদ (বিচারিক শাস্তি) ও (অধীনস্তদের) শাসনের বাইরে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে বা শত্রুতায় কাউকে আঘাত করা নিষিদ্ধ। অধীনস্তদের ক্ষেত্রেও যেন বাড়াবাড়ি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝানোই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। হাদীসে এসেছে, "তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে কষ্ট/শাস্তি দিও না"। (আদাবুল মুফরাদ:১৯৯)
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি অপরকে (অন্যায়ভাবে) প্রহার করলে, কিয়ামতের দিন তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে (বাযযার:৯৪৪৬, তাবারানীর মু'জামুল আওসাত:১৪৪৫, আদাবুল মুফরাদ:১৮৬/১৮৭)
#বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)
#মান:সহীহ
#গ্রন্থ: সহীহ ইবনে হিব্বান:৫৬০৩, মুসনাদে আহমাদ:৩৮২৮, মুসনাদে বাযযার: ১৬৯৭, তাবারানীর মু'জামুল কাবীর: ১০৪৪৪, আদাবুল মুফরাদ:১৫৭, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২২৪১৮, সহীহ আদাবুল মুফরাদ:১১৭, হিলইয়াতুল আউলিয়া:৭/১৪৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদ:৪/৫৫, সহীহুল জামে':১৫৮
#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম (নীল মুসাফির)
#দরসে_হাদীসদরসে
عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَجِيبُوا الدَّاعِيَ، وَلاَ تَرُدُّوا الْهَدِيَّةَ، وَلاَ تَضْرِبُوا الْمُسْلِمِينَ
#বাংলা: আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা দাওয়াত দানকারীর ডাকে সাড়া দাও, উপহারাদি ফিরিয়ে দিও না এবং মুসলমানদেরকে প্রহার করো না। (আদাবুল মুফরাদ:১৫৭)
" أجيبوا الداعي ، ولا تردوا الهدية ، ولا تضربوا الناس أو المسلمين " .(মু'জামুল কাবীর)
#আলোচনা: মুসলমানদের মাঝে সম্পর্ক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়, সুদৃঢ় বন্ধন হয় পারস্পরিক হৃদ্যতায়, বন্ধুত্বে, আত্মীয়তায় ও যোগাযোগের মাধ্যমে। হাদীসে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মঝে এই আবেদন রয়েছে, যাতে পারস্পরিক বন্ধন ও ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
#দাওয়াত_গ্রহণ_করা: মুসলমানদের পারস্পরিক হকের মাঝে অন্যতম একটি হক হলো কাউকে খাবারের জন্য ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেয়া তথা দাওয়াত কবুল করা। সেটা হতে পারে ওয়ালিমা কিংবা আক্বিকার দাওয়াত অথবা অন্য যে কোনো যেটা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ।
#উপহার_ফেরত_না_দেয়া: হাদীসের দ্বিতীয় নির্দেশ হচ্ছে, কাউকে উপহার দিলে সেটা গ্রহণ করা এবং ফেরত না দেয়া। কেননা ফেরত দিলে উপহারদাতা মনোক্ষুণ্ণ হবেন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ায় টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে। উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতা-ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, শত্রুতা দুর হয় এবং সম্পর্ক মজবুত হয়। হাদীসে এসেছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপহার গ্রহণ করতেন এবং তিনি এর পরিবর্তে অন্যকেও (উপহার) দিতেন।(আবু দাউদ:৩৫৩৬)
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ হে মুসলিম মহিলাগণ! তোমাদের কোনো প্রতিবেশী যদি ছাগলের খুরও উপহার দেয় তবুও তা তুচ্ছজ্ঞান করবে না অর্থাৎ দাতা যেন লজ্জার বশীভূত হয়ে দান থেকে বিরত না থাকে এবং গ্রহীতাও যেন অল্প বলে অবজ্ঞা না করে। (মুসলিম:১০৩০)
পুনশ্চ: পারস্পরিক উপহার আদান-প্রদান করা খুবই উত্তম কাজ। কিন্তু উপহারের নামে সুদ-ঘুষ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যেমন, সরকারী কর্মচারীদের (কিংবা যে কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকের গ্রাহক/প্রাপকের প্রাপ্য কাজ সমাধা করার জন্য) কিছু দেয়া ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। (মুসলিম:১৮৩২)
#প্রহার_না_করা: অকারণে কাউকে প্রহার করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট হদ (বিচারিক শাস্তি) ও (অধীনস্তদের) শাসনের বাইরে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে বা শত্রুতায় কাউকে আঘাত করা নিষিদ্ধ। অধীনস্তদের ক্ষেত্রেও যেন বাড়াবাড়ি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝানোই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। হাদীসে এসেছে, "তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে কষ্ট/শাস্তি দিও না"। (আদাবুল মুফরাদ:১৯৯)
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি অপরকে (অন্যায়ভাবে) প্রহার করলে, কিয়ামতের দিন তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে (বাযযার:৯৪৪৬, তাবারানীর মু'জামুল আওসাত:১৪৪৫, আদাবুল মুফরাদ:১৮৬/১৮৭)
#বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)
#মান:সহীহ
#গ্রন্থ: সহীহ ইবনে হিব্বান:৫৬০৩, মুসনাদে আহমাদ:৩৮২৮, মুসনাদে বাযযার: ১৬৯৭, তাবারানীর মু'জামুল কাবীর: ১০৪৪৪, আদাবুল মুফরাদ:১৫৭, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২২৪১৮, সহীহ আদাবুল মুফরাদ:১১৭, হিলইয়াতুল আউলিয়া:৭/১৪৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদ:৪/৫৫, সহীহুল জামে':১৫৮
#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম (নীল মুসাফির)
#দরসে_হাদীস
বিষয়: বিবিধ
৬৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন