যশোরে শহীদ পরিবারের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ দেখাতে পারলে সাংবাদিকদের জন্য ৪৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তাকে ও তার ছেলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে, তাদের উপস্থিতিতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তার দাবি, প্রকৃতপক্ষে বিবদমান জমির মালিক তার বেয়াই নুরুল ইসলাম। আসাদুজ্জামান জোরপূর্বক তা দখল করে রেখেছেন। তারা নিজেরাই বাড়িঘর ভেঙে উল্টো তাদের দোষারাপ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি প্রমাণ করতে পারে ২৭ জুন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম তাহলে ২০ লাখ টাকা, আমার ছেলে ছিল প্রমাণ করতে পারলে ১৫ লাখ টাকা এবং যে জমি নিয়ে বিরোধ তার মালিক আসাদুজ্জামান তা প্রমাণ করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির কবু, আলহাজ্ব ফিরোজ খান, যুগ্ম সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে দুই শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়া শহীদ উদ্দিন আহমেদের ছেলে আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি মিলনের বিরুদ্ধে। পরে সংবাদ সম্মেলন করেও ভুক্তভোগী পরিবার ওই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন