নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় সুরুজ মিয়া (৭০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন।
নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং অটোরিকশাচালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী সালু ও হিরা লোকজন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন লিখন জানান, সুরুজ মিয়ার ইজিবাইকের গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনসালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করেন। ওই ভবন মালিক এলাকার বিষয়টি নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে নালিশ করেন। এটি নিয়ে সুরুজ মিয়া হিরা ও সালুকে শাসন করেন। এরই জেরে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে গেলে সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালান সালু, হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল।
লিখন জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে তার ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত সুরুজ মিয়ার মাথা, হাতসহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া রাজু, জনি, রাসেল শাকিলের হাতসহ শরীরে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ফতুল্লা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তসলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জেনেছি। ঢামেক থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের আটকের জন্য কাজ করছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন