জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার এই গ্রেফতার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলল পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার। তিনি বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন। খবর জিওটিভির।
গত বছর যে মামলায় ইমরান খানকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই মামলাটি পর্যালোচনা করেই তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেনেভা-ভিত্তিক ওই মানবাধিকার সংগঠনটি।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার গ্রুপের বিবৃতিতে সাধুবাদ জানিয়েছেন বর্তমানে পাকিস্তানের সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকা ইমরান খানের সমর্থিত এমপিরা।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপটি চলতি বছরের ২৫ মার্চ এই মতামত প্রকাশ করে। তবে এটি জনসমক্ষে আসে গতকাল সোমবার। জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের মতামতে বলেছে, ‘ইমরান খানকে আটকের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না এবং মনে হচ্ছে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছিল বলে (ওয়ার্কিং গ্রুপ) সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। সুতরাং, শুরু থেকেই সেই প্রসিকিউশনটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং কথিত একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।’
পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামত শোনা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তাদের এই মতামত বেশ গুরুত্ব বহন করে। ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, ইমরান খানকে যে আইনি সমস্যার মধ্যে ফেলা হয়েছে সেটি মূলত তার এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির বিরুদ্ধে ‘অনেক বৃহত্তর দমন অভিযানের’ অংশ।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাদের নির্বাচনি সমাবেশগুলোকেও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ‘নির্বাচনের দিনে ব্যাপক জালিয়াতি ও (কারচুপির মাধ্যমে) কয়েক ডজন সংসদীয় আসন চুরি’ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন