ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফার কাছে কূটনৈতিক স্বীকৃতির নথি হস্তান্তর করেছে নরওয়ে। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সর্বশেষ প্রতীকী পদক্ষেপ এটি।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানিয়েছে, রবিবার (২৬ মে) ব্রাসেলসে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফার কাছে কূটনৈতিক স্বীকৃতির নথি হস্তান্তর করেন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইডে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জোগাতে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কিছু উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোহাম্মদ মুস্তফা।
গত বুধবার (২২ মে) ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয় আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন। সেদিন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গারস স্তুরা বলেন, ‘যে বিষয়টি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য একটি নিরাপদ আবাস দিতে পারে, আমাদের অবশ্যই সেটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দুই রাষ্ট্র পারবে একে অন্যের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে।’
এরপর আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে তেল আবিব। এছাড়াও ইসরায়েলে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে দেশটি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, স্বীকৃতির ঘোষণা ফিলিস্তিনি মানুষ ও বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছে। সেটা হলো সন্ত্রাসবাদ দিয়ে অর্জন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে। জঘন্য যৌন সহিংসতা দেখিয়েছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড হামাসকে পুরস্কৃত করার পথ বেছে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিকৃত পদক্ষেপ ৭ অক্টোবরের ভিকটিমদের স্মৃতির প্রতি অবিচার। ১২৮ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার প্রতি একটি বড় আঘাত। একইসঙ্গে এটি হামাস ও ইরানি জিহাদিদের জন্য বড় সহায়তা, যা ইসরায়েলিদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং শান্তির সুযোগ কমাবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন