সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো। যার মালিক ইমরান হোসেন প্রায় ১৬ বছর ধরে অবৈধভাবে রামচন্দ্রপুর খালের ২০ বিঘা জমির বেশিরভাগ দখল করে খামার পরিচালনা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে: এত বছর ধরে কীভাবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে এসেছে সাদিক অ্যাগ্রো?
২০০৮ সালে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে মাত্র কয়েকটি গরু নিয়ে যাত্রা শুরু করে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান। কয়েক বছরের মধ্যেই তার ব্যবসার ব্যাপ্তি বেড়ে যায়। পরে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ নামে একটি ফেসবুক পেজও খোলেন এ গরু ব্যবসায়ী। থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত জাতের গরু আনাসহ অল্প টাকায় ভারত থেকে গরু এনে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতেন ইমরান। একপর্যায়ে গরু ব্যবসার পাশাপাশি সম্পর্ক গড়তে শুরু করেন সমাজের উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে। সেই সুবাদে জড়িয়ে পড়েন গরু চোরাচালানের মতো অবৈধ কাজে।
জানা যায়, খামারিদের স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি নিরুৎসাহিত করা হলেও সেটার তোয়াক্কা না করেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে গরু আনতেন ইমরান। এমনকি বিপুল সম্পদ অর্জনের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় থাকা পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদেরও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ ছিল এই গরুর ফার্মে।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের গোপালগঞ্জের গরুর খামার প্রস্তুত করে দিতে কাজ করেছেন ইমরান। অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আনা বেশ কিছু গরুও পাঠাতেন তার খামারে। সাদিক অ্যাগ্রোতে ছিল বেনজীরের নিয়মিত আসা-যাওয়া।
শুধু বেনজীরের নামই নয়, এ কাজে তার সহযোগী হিসেবে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, সরকারি সংস্থার ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাদিক অ্যাগ্রোর সঙ্গে যোগসাজশ করে ঢাকার সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযান শেষে দুদক বলছে, ইমরান হোসেন খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি হওয়ায় ২০২১ সালে কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু আমদানি করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লে সরকার গরুগুলো জব্দ করে। পরে প্রাণিসম্পদের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা এসব গরুই নিলামে উঠলে কৌশলে নামমাত্র মূল্যে কিনে নেন ইমরান। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমাজাতীয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।
মূলত যশোর থেকে সংগ্রহ করা একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকায় বিক্রির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার পরই আলোচনায় আসে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণের নাম। পরে ওই ছাগলটি ১২ লাখ টাকায় কিনে নিলে সামনে চলে আসে তার বাবা রাজস্ব বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নাম। সঙ্গে বের হয়ে আসে মতিউরসহ তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গড়া অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের খবর। সেখান থেকেই বের হয়ে আসে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বধিকারী ইমরান হোসেন এবং তার উচ্চবংশীয় পশুর খামারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর।
জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে, যা কিনা খালের জায়গা। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, খালের প্লাবন ভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সেই হিসেবে খালের জায়গায় অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল সাদিক অ্যাগ্রো। যার কারণে তিন দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর পুরো খামার ভেঙে প্রায় ২০ বিঘা জায়গা উদ্ধার করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একটি খামার করতে যেসব অনুমতির প্রয়োজন হয় তার কিছুই ছিল না সাদিক অ্যাগ্রোর। এ ছাড়া খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকে নেয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স এবং স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের থেকেও নেয়া ছিল না কোনো অনুমতিপত্র। এতে প্রশ্ন উঠেছে: তাহলে কীভাবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় ১৬ বছর ধরে অবৈধভাবে রামচন্দ্রপুর খালের ২০ বিঘা জমির বেশিরভাগ জায়গা দখল করে খামার পরিচালনা করেছে সাদিক অ্যাগ্রো?
রাজধানীতে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে রাজউকের অনুমতি নিতে হয়। অথচ সাদিক অ্যাগ্রোর রাজউকের কোনো অনুমোদন নেই। তাহলে এত বছর ধরে অনুমতি ছাড়া সাদিক অ্যাগ্রো কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করল, রাজউক কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি–এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অনুসন্ধান চালায় সময় সংবাদ। কথা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকারের সঙ্গে।
তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘এটি খালের জায়গা। আর খালের জায়গা মানে সিটি করপোরেশনের জায়গা। এর এখতিয়ার রাজউকের নাই, সিটি করপোরেশনের। তাই রাজউক থেকে কোনো অবস্থান নেয়া হয়নি।’
কিন্তু যার জায়গাই হোক, স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে তো রাজউকের অনুমোদনই নিতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না, জিজ্ঞেস করলে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘না, আমরা কোনো পদক্ষেপ নিইনি। যেহেতু খালগুলো সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা নিজেরাই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারে। সাদিক অ্যাগ্রোর জায়গা খালের ও সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হওয়ায় রাজউক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
‘তবে স্থাপনা করতে গেলে রাজউকের অনুমোদন নিতে হলেও তারা কারো অনুমোদন নেয়নি। নিজেদের মতো স্থাপনা করে ফেলছে। অনেক বছর ধরে গরুর ব্যবসা করতে করতে এই জিনিস দাঁড়ায়ে গেছে। তারা যদি অনুমোদন চাইত, তাহলেও আমরা অনুমোদন দিতাম না,’ যোগ করেন তিনি।
রাজউকের পর সময় সংবাদ মুখোমুখি হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। যোগাযোগ করা হয় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে। তার ব্যক্তিগত নম্বরে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরে যোগাযোগ করা হয় ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন খালের জায়গা, ফুটপাত দখলসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ডিএনসিসি কাজ করছে। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা খালগুলো বুঝে পেয়েছি ২০২১ সালে। এর আগে খালের দায়িত্ব ছিল ওয়াসার। তাই ২১ সালের আগে কে কীভাবে খাল দখল করেছে তা আমাদের জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন ধরনের অভিযান, চিঠি দেয়া, মনিটরিং শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে সাদিক অ্যাগ্রোর দখল করা প্রায় ২০ বিঘা জমি আমরা উদ্ধার করেছি। শুধু তাই নয়, খাল খনন করে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করেছি এবং সামনে যেন আবার খালের জায়গা দখল না হয় এ জন্য খালের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
খালের জায়গা পুনরুদ্ধার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হলে ছাগলকাণ্ডের আগে কেন আপনারা সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেননি জিজ্ঞেস করলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাদিক অ্যাগ্রোতে আগেও আমাদের অভিযান চলেছে। এখন যেমন ব্যাপকভাবে হয়েছে তখন তেমনটা হয়নি। কিন্তু আগেও আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। বিভিন্ন সময়ে তাদের আমরা চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছি। সময় দিয়েছি। ওইখানে সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়া আরও অনেক ফার্ম আছে। এই তো গত দুই মাস আগেও জাকের ডেইরিকে উচ্ছেদ করে আমরা খালের জায়গা উদ্ধার করেছি। মূলত এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। এমনকি খালের জায়গা উদ্ধারে এসব উচ্ছেদ অভিযানের পরিকল্পনা আমরা ঈদের আগেই করেছি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে।’
সিটি করপোরেশন বলছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর খালের জায়গা উদ্ধারে কাজ করছে ডিএনসিসি। কিন্তু শুরুতে কীভাবে খালের জায়গা দখল হলো সেই বিষয়ে তারা কোনো কিছু বলতে পারবে না। সেই সময়ে খালের দায়িত্ব ছিল ওয়াসার। তাই এ বিষয়ে সময় সংবাদ কথা বলেছে ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ওএন্ডএম) প্রকৌ. এ কে এম সহিদ উদ্দিনের সঙ্গে।
সহিদ উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘আসলে সিএস দাগ, আরএস দাগসহ সব রেকর্ড সিটি করপোরেশনকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তো আমাদের পক্ষে বলা মুশকিল কীভাবে তারা অবৈধ দখল নিয়েছে। তবে রামচন্দ্রপুর খালের দুই পাশে অনেক অবৈধ স্থাপনা আছে। খাল যখন ওয়াসার দায়িত্বে ছিল তখন কয়েক দফায় আমরা উচ্ছেদ করেছি। ২০১২ সালে নকশা ধরে পুরো খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তখন আমি এর দায়িত্বে ছিলাম। আমরা উচ্ছেদ করি, কয়েক দিন পর তারা আবার আসে। আমাদের পক্ষে তো সব সময় লোক রেখে পাহারা দেয়া সম্ভব না।’
‘তবে আফসোসের বিষয় তখন যদি আমরা খাল উদ্ধারের পর ৩০ ফুট জায়গা রেখে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দিতে পারতাম তাহলে পরবর্তী সময়ে আর খাল দখল হতো না। আমাদের ফান্ড ছিল না বিধায় আমরা সেটা করতে পারিনি,’ যোগ করেন তিনি।
ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. এ কে এম সহিদ উদ্দিনের সুরেই কথা বলেন এলাকার স্থানীয় পর্যায়ের লোকজন। তারা বলেন, যতবারই উচ্ছেদ করা হয়, ততবারই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে আবার দখল হয়ে যায় খালের জায়গা। টাকা খেয়েই চুপ হয়ে যায় সব। সারা দেশের অবস্থাই এমন। অভিযান হয় কিন্তু মনিটরিং হয় না।
এ সময় স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের টাকা খাওয়া ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বিষয়ে মোহাম্মদপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকাকের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি বলেন, ‘যদি সিএস নকশা ধরে খালের জায়গা উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি তাহলে আমার ওয়ার্ডের দুই-চারটা হাউজিং নাই হয়ে যাবে। তাই এভাবে ঢালাওভাবে উচ্ছেদ অভিযান করা সম্ভব নয়। তবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কোনো অনিয়ম হয়নি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি আছে, সুতরাং তার জমিতে সে কী করবে এটা তার ব্যাপার। কোনো অনিয়ম ধরা পড়লেই কেবল আমরা অভিযান চালাই। পরে সেটা কীভাবে আবার দখল হয় তা আমি বলতে পারব না। আর ১৬ বছর আগে কী হয়েছে তা আমার জানার কথা না। আগে কীভাবে অনিয়ম হয়েছে, কারা করেছে সেটা বের করতে হবে। গোড়ার সমস্যা বের না হওয়ায় উচ্ছেদ হওয়ার পরও আবার নানাভাবে জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।’
সবশেষে সময় সংবাদ সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি লাপাত্তা। দফায় দফায় তার ফোন নম্বরে ফোন দেয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সামান্য এক ছাগল যেমন মতিউর রহমানের মতো একজন বিরাট দুর্নীতিবাজের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন, তেমনি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়েও নির্মোহ অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।
তাদের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স বা শূন্যসহনশীল নীতির যে অঙ্গীকার, সেই অঙ্গীকার শুধু কাগজে-কলমে যেন সীমাবদ্ধ না থাকে। সাদিক অ্যাগ্রোর মতো এমন দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজের এসব কলঙ্ক মোচন করতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন