দিনাজপুরে কোতোয়ালীতে একটি মাদরাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে রবিউল ইসলাম (২৮) নামে এক শিক্ষককে বিক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় বলাৎকারের শিকার শিশুটির বাবা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পাক-পাহারপুর ঠোঙ্গাপট্টি এলাকায় ‘তা’মীরুল উম্মাহ’ নামে মাদ্রাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো ভিকটিম মো. কামরান হোসেন ওরফে নোমান (৮) সকাল ৮ টায় মাদ্রাসায় যায়। সে মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম (২৮) তার চতুর্থ তলার শয়ন কক্ষে ভিকটিমকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। শিশু নোমানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পায়ুপথ ফেটে গিয়ে রক্ত নির্গত হলে বিষয়টি কাউকে কিছু না বলার জন্য মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় শিশুটিকে। ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয়।
ভিকটিম বাড়িতে গেলে তার মা পায়ুপথে রক্ত নির্গত হতে দেখে পাহাড়পুরস্থ লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান ছেলের। পরে ঘটনার বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার মাদরাসায় গিয়ে নিশ্চত হয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউলকে গণপিটুনি দেয়। সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডাকা হয়। স্থানীয় লোকজন পরে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে, ভিকটিম নোমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদরাসার পরিচালক মাসুদ রানা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুপুরের পর বিষয়টি জানাতে পারি। ভিকটিম শিক্ষার্থীর কাছে গেলে সে ঘটনা জানায়। পরীক্ষা করে প্রমাণও পাই। পরে এলাকাবাসী জেনে মাদরাসা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে গণধোলাই দেয়। আমি বাধ্য হয়ে বিষয়টি থানায় অবগত করি।’
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন