সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে ফাঁদে ফেলত চক্রটি। এরপর কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হতো। দুই মেডিক্যাল কলেজশিক্ষার্থীর নেতৃত্বে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়েছে শতকোটি টাকা। গত মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সাতক্ষীরা চাঁদপুর ও যশোরে অভিযান চালিয়ে চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গতকাল সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহম্মদ আলী মিয়া জানান, চক্রটি উঠতি বয়সী তরুণীদের বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও নিত। সেগুলো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা অসামাজিক কাজে বাধ্য করত। যেসব তরুণী পারিবারিক ভাঙনের শিকার ও আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করত চক্রটি। সাত বছরে তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, তারা তরুণীদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। টেলিগ্রাম গ্রুপে হাজারো সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ ন্যুড ছবি ও ২০ হাজার অ্যাডাল্ট ভিডিও পাওয়া গেছে। নানা নামে তাদের শতাধিক চ্যানেলে গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। তাদের গ্রুপে এক লাখ আট হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। দেশ-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক। যারা তাদের থেকে সার্ভিস নিচ্ছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন