বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপ
লিখেছেন লিখেছেন পাখি ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৪:১৫ দুপুর
পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় এ নিঝুমদ্বীপে আগের তুলনায় দর্শনার্থী বেড়েছে। এখানকার বড় আকর্ষণ হচ্ছে মায়াবি হরিণ। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সাগরকন্যাখ্যাত নিঝুম দ্বীপ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম সম্প্রসারণের আরও সুবিধা সৃষ্টি, নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা, থাকার সুব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং নিরাপত্তা বিধান করা হলে অনেক বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে। পর্যটন শিল্পে রাজস্ব আয়ের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সানাউল্লা পাটওয়ারী জানিয়েছেন, নিঝুমদ্বীপে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পর্যটকদের জন্য ৫০ ফুট উঁচু টাওয়ার নির্মাণ, হরিণ ও পশুপাখি দেখার জন্য বনের গাছের উচ্চতা সমান ২০ ফুট পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। পুকুর, খাল ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোরশেদ লিটন জানান, তিনি স্থানীয় এমপি আয়েশা ফেরদৌসসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে চেষ্টা করছেন যাতে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াকে একটি পর্যটক শিল্প ও মডেল উপজেলা ঘোষণা করে সরকার। তা হলে নানাবিধ উন্নয়নের সঙ্গে ভ্রমণবিলাসী পর্যটক ও পাখি প্রেমিকদের আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে জাতীয় আয়ও বাড়বে। হবিগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ মামুন চৌধুরী জানান, ঈদ ও পূজায় পর্যটক বরণে হবিগঞ্জের দর্শনীয় স্থানগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ টাকার টিকিট ক্রয় করে রেমা-কালেঙ্গা ও সাতছড়িতে পর্যটকরা পুরোদিন মনোরম দৃশ্য আর বন্যপ্রাণী অবলোকন করতে পারবেন। সূত্রে জানা গেছে, রেমা-কালেঙ্গার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য মূলত তরফ পাহাড় সংরক্ষিত বনভূমির একটি অংশ, যা দেশের অবশিষ্ট প্রাকৃতিক পার্বত্য বনভূমির মধ্যে সর্ববৃহৎ। অভয়ারণ্যটি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্গত গাজীপুর ও রানীগাঁও ইউনিয়নে। বনাঞ্চলটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত রয়েছে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম স্থানে অবস্থিত বলে এই সমৃদ্ধ মিশ্র চিরহরিৎ বনটি এখনও টিকে রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি বসবাস করছে এখানে। উদ্যানে প্রবেশ করছেন পর্যটক। এসব বনে পর্যটক প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী আর মনোরম দৃশ্য অবলোকন করে মুগ্ধ হচ্ছেন। যদিও চলতি বছরের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় র্যাব অভিযান পরিচালনা করে সাতছড়ির বন ও ত্রিপুরা পল্লী থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এতে করে পর্যটকদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষ বলছে এসবে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাপার। তারা এ ব্যাপারে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। এতে পর্যটকদের ভয়ের কিছু নেই। রেমা-কালেঙ্গা-সাতছড়ি ছাড়াও জেলায় রয়েছে ৩৫টি চা বাগান, দুটি রাবার বাগান, তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক বাংলো, বাগানের বিভিন্ন লেক, উচাইলের শংকর পাশা গায়েবি মসজিদসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। তবে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অতিপ্রিয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যটি। কোনো উৎসব এলে এসব স্থান পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপাকালে তারা জানান, পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন