পানি অপচয় রোধ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে !!!!!
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ইসলাম ৃন ০৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:২৩:২১ রাত
পানি-ই মরণ পানি-ই জীবন,
পানি-ই বাঁচন, আবার এই পানি-ই যে,
মরণের বহু কারন,
পানির আছে কর্ম
নাই তার কোন ধর্ম,
তাই গরমের এই রাতে লেখিতে বসিলাম,
পানি এই রম্য।
পানিকেই রাখিতে হবে,
সকলের সারাজীবন স্বরণ,
তাই পানি অপচয় রোধ হোক,
হোক বন্ধ অপচয় পানি অকারন,
নেয়া হোক পানিকে,
জীবন মরণের সঙ্গি করে বরণ।
নাই শীত,নাই গরম,
পানি পিঁছে,পানিই আগে,
সর্ব সময় যে, পানিই কাজে লাগে ।
বলতে লাগে লজ্জা
হায়রে লাগে সরম
নদী মাতৃক দেশ হওয়া স্বর্তেও
পাইনা পানি এলে ভাই গরম ।
পানি প্রতিটি জীবের বেঁচের থাকার প্রধান উৎস । একজন দুজন নয়
লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি প্রণীর জীবন মরণে সঙ্গি পানি ।
পানির আরেক নাম জীবন৷ অথচ এই পানি বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি আমাদের মাঝে থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে ৷ যা আমাদের সকলের জীবনের জন্য এক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷ আর তাই আমাদের সকলকেই এই হুমকি মোকাবিলায় সচেতন হতে হবে, আমাকে আপনাকে এবং সকলকে ৷ চলুন জেনে নেয়া যাক পানির অপচয় রোধের কিছু উপায়ঃ
পানির ট্যাপের দিকের নজর রাখুন মুখ ধোয়া বা দাঁত ব্রাশ করার সময় পানির ট্যাপ বন্ধ রাখুন৷ একান্ত যদি গরম পানি পেতে ট্যাপ একটু খুলে রাখতে চান, তাহলে সেই পানি ব্যবহার করতে পারেন ব্রাশ ধোয়ার কাজে৷
কাপড় বা থালাবাসন পরিষ্কারে সতর্ক হন
কাপড় ধোয়া বা থালাবাসন পরিষ্কারের মেশিন এখন ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে৷ পুরোপুরি ভর্তি না হওয়া অবধি এ সব মেশিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন৷অপ্রয়োজনে ফ্লাশ নয়,অনেকেই যখন তখন টয়লেট ফ্লাশ করে থাকেন৷ এতে প্রচুর পানি অপচয় হয়৷ তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে ফ্লাশ করা থেকে বিরত থাকুন৷বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ সুযোগ পেলেই পুকুর বা খালে ময়লা ফেলেন৷ অথচ কারো লক্ষ নেই এতে করে যে পানি দূষিত হচ্ছে ৷ আর সেই দূষিত পানি পুনরায় পান উপযোগী করে তুলতে খরচ হয় প্রচুর অর্থ এবং অপচয় হচ্ছে প্রচুর বিদ্যুৎ ৷ তাই পুকুরে বা খালে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে বা মাটিতে গর্ত করে আমাদের ময়লা ফেলা উচিৎ ৷
অনেক সময় পানির পাইপে থাকা বিভিন্ন জোড়া হালকা হয়ে প্রচুর পরিমান পানি বাইরে পরে যায়৷ আমরা যদি একটু সতর্ক হই তাহলে এভাবে পানির অপচয় রোধ করা যায় ৷ তাছাড়াও ছাদের ট্যাংকি ভর্তি হয়ে অনেক সময় প্রচুর পানি অকারনে বাহিরে পরে,সেদিকেও খেয়াল বা লক্ষ রাখতে হবে,যাতে করে পানি বাইরে না পরে ৷ সময়মতো পানির পাম্প বন্ধ করতে হবে।বাথরুমে থাকা গতানুগতিক বা পুরনো পানির ঝরনাগুলো সরিয়ে সময় মত নতুন ঝরনা লাগাতে হবে৷ বর্তমানে বাজারে পানি সাশ্রয়কারী বহু ঝরনা পাওয়া যায়৷ সেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পানির অপচয় রোধ করাও সম্ভব৷ আরেক বিষয় লক্ষনীয় গোসলের সময় প্রস্রাব ও মল ত্যাগ করার অভ্যেস তৈরির মাধ্যমেও দিনে অন্তত একবার ফ্লাশ করার পানি বাঁচানো সম্ভব৷
পানি পান করার পর যদি গ্লাসের তলায় খানিকটা পানি থেকে যায় তাহলে তা ফেলে দেয়া যাবে না বা ফেলে দেবার কোন প্রয়োজন নেই ৷ সেইটুকু পানি আপনি আপনার গাছের গোড়ায় ঢালতে পারেন বা চায়ের কেটলিতে জমাতে পারেন৷বৃষ্টির পানি জমা করে সেই পানি আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি এমনকি চাইলে পান করতেও পারি ৷ বর্তমানে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের বহু সরঞ্জামও বাজারে পাওয়া যায় ৷ সকলের মনে রাখা উচিৎ আমাদের সামান্য উদ্যোগ পানির অপচয় রোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে৷ তাই চলুন একটু কষ্ট হলেও চেষ্টা করে দেখি বাঁচার জন্য অন্তত কিছুটা পানি অপচয় রোধ করে হয়ত কিছুটা পানি জমা রাখতে তো পারি ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
৭৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন