শহীদের বর্ণমালা

লিখেছেন লিখেছেন ঈনসাফ ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩২:০৭ সকাল

"ভাইয়েরা আমার, আর অপেক্ষা কেন করছি আমরা?পঁচে যাওয়া পৃথিবীর বিবেক নিজ থেকেই জেগে উঠবে এই আশায়? কোথায় আছে সেটা?

আল-আকসা মাসজিদ তোমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।তোমার সাহায্যের জন্য কেঁদে চলেছে আমার ভাইয়েরা-তাঁর উপর দিয়ে বয়ে চলা বিপর্যয় থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্যে!

তাহলে কিসের ভয় করছি আমরা? কিসে আমাদের থামিয়ে রাখছে?

মৃত্যুকে কি আমরা ভয় করি? নাকি ঐ মৃত্যুর চেয়ে আর কোন উত্তম মৃত্যু,আর কোন সম্মানের মৃত্যু আছে যেটা আছে আল্লাহ্‌র রাস্তায় সংগ্রাম করার মধ্যে(জিহাদ)?

ও আমার মুসলিম ভাইয়েরা!একটা বিপ্লব চাই আমরা!ইসলামের পুনর্জাগরণ!শুধুমাত্র ইসলামের ডাকে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদের জন্য কম্যুনিজম, সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত অবিভাজ্য একটি বিপ্লব!আমাদের জীবন-বিধানের আর বিশ্বাসের জন্য!আমাদের পবিত্র স্থানগুলোর জন্য!এবং আমি আল্লাহ্‌র কাছে চাই যদি তিনি আমার তকদীরে মৃত্যু লিখে রাখেন তবে সেই মৃত্যু হোক শাহাদাতের!আল্লাহ্‌র পথে শহীদের মৃত্যু!

আমায় মাফ করবেন যদি আমি কাঁপতে থাকি।কিন্তু যখন আমি দেখি আল-আকসা আর আমাদের পবিত্র জায়গাগুলো পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে, ব্লাস্ফেমি ও মারাত্মক নৈতিক অবক্ষয় দিয়ে অবমাননা ও পদদলিত করা হচ্ছে,তখন আমি আল্লাহ্‌র কাছে করজোড়ে দুয়া করি যদি তিনি আমাদের তকদীরে জিহাদ না রাখেন-আমাদের পবিত্র জায়গাগুলোর রক্ষা যদি আমাদের তকদীরে না রাখেন তাহলে তিনি যেন আমাকে একটা মুহূর্তও জীবিত না রাখেন!"

সৌদি বাদশাহ ফায়সাল (১৯০৪-১৯৭৫) এই বক্তব্য দেয়ার কিছুদিন পরই আল্লাহ্‌ তাঁর কথা সত্যি করে দেন।কাফিরদের পেলে-পুষে বড় করা ঘরের ভেতরের শত্রুর হাতেই তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন।

১৯৭৩ সালে ইসরায়েলকে সাপোর্ট করার কারণে অনেক পশ্চিমা দেশে তেল সরবরাহ বন্ধ করে তাদের শত্রুতা চিরতরে কিনে নিয়েছিলেন তিনি।আজ তার বংশের উত্তরাধিকারীরা জুলুম আর পাপাচারে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাফিরদের সহায়তা করছে। আল্লাহ্‌ তাঁর প্রতি রহম করুন।

বিষয়: বিবিধ

১০৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File