ডঃ পিয়াস করিমের শক্তি
লিখেছেন লিখেছেন চালাক ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:০০:৪৩ রাত
ফারুকের বাবা মারা গেছেন বছর পাঁচেক হয় , মারা যাওয়ার সময় প্রচুর ধনসম্পদের সাথে ফারুক,সানি,লিটন তিনটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন ।
সানি ও লিটন অনেক আগেই শহরে চলেগেছে লেখাপড়া শেষে সানি চাকরি করে আর লিটন ব্যবসা করে তাদের জীবন ভালোই চলে যাছে, কিন্তু ফারুক বেচারা বাবার গ্রামের সম্পদ দেখাশুনা করে অভাব অনটন ছাড়াই চলে যাছে ।
ফারুক পরিবারের বড় ছেলে তাই বাবা মারা যাওয়ার আগে তার কাছে অনেক বিষয় বলে গেছেন যা সানি ও লিটন জানেনা । ফারুক বাবার কাছে প্রমিজ করেছে সে উনার সব কথা মেনে চলবে ।
সানি , লিটন নিজের মত করে চলতে পারে যা ইচ্ছা করতে পারে কিন্তু ফারুক পারেনা এ নিয়ে ওর মন খারাপ হয় গ্রামের জীবন ফারুকের আর সহ্য হয়না কিন্তু উপায় নাই বাবার কাছে প্রমিজ করেছে সে উনার সব কথা মেনে চলবে ।
ফারুকের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে সানি,লিটনের পছন্দে ফারুক বিয়ে করলো মেয়েটি দেখতে মাসআল্লাহ সুন্দরী শহরে লেখাপড়া করা মেয়ে ভদ্র মার্জিত মেয়েটির নাম মীম , ফারুকের সংসার ভালো ভাবে চলছে মেয়েটি ফারুকে মাযেমধ্যে পরামর্শ দিয়েও সাহায্য করে থাকে,
ফারুক ও মিমের ঘর আলকিতো করে একটি ছেলে জন্ম নিল সবর পরামর্শের বিত্তিতে নাম রখা হলো সাজন , সজনের সাথে হেসে খেলে ভালো সময় পার করতেছিল ফারুক ও মিম ।
সাজনের বয়েস যখন পাঁচ তখন গ্রামের স্কুলে ভর্তি করা হলো মিম শহরে পড়াশুনা করা মেয়ে গ্রামের স্কুলের লেখাপড়ার মান ওর পছন্দ হয়না ।ফারুকে বিভিন্ন ভাবে মিম বুঝাতে চেষ্টা করেছে চল শহরে চলেযাই সাজনের ভালো লেখাপড়া হবে এখানে গ্রামে আর থাকবনা ,ফারুক কনো ভাবে রাজি হয়নি তাই মিম সাজনকে নিয়ে শহরে চলে গেলো ।
ফারুকের জন্য সাজনকে এবং স্ত্রী মিম কে ছেড়ে থাকা খুব কটিন হয়ে গেল চেষ্টা করতে করতে হেরে গেল ,একসময় বাধ্য হলো শহরে চলে যে্তে , প্রথম কিছুদিন নিয়মিত গ্রামে এসে দেখাশুনা করত ধিরে ধিরে গ্রামে আসা কমে গেল ।
অনেকদিন পরের ঘটনা ফারুক স্বপ্নে ওর মাকে দেখে মা সাজনের সাথে খেলা করতেছে , ফারুক ধিরে ধীরে শহরের জীবনের সাথে খাপ খেয় চলতে থাকে । ফারুক এত দিনে বাবাকে দেওয়া প্রমিজ ভুলে মিম এবং সাজনকে নিয়ে সুখের সংসারে মত্ত , হঠাৎ একদিন স্বপ্নে দেখে বাবা ওর মুখে তুলে ভাত দিতেছে আর বলতেছে বাবা গ্রাম রেখে তুমি শহরে কি কর যায়ও গ্রামে গিয়ে বাস কর তুমি না আমাকে প্রমিজ করেছ তুমি গ্রামে থাকবা ,ফারুক ঘুম থেকে উটে মিমকে বিস্তারিত জানালো , মিম বিষয় টাকে পাত্তা না দিয়ে বলল ঘুমের মধ্যে কি দেখছ তা নিয়ে আবার এত কতা যাও।
পরপর কয়েকবার ফারুক একিই স্বপ্ন দেখে মিম কে বললো মীম পাত্তা দিলনা ,ফারুক ভদ্র লোক বেচারা কি আর করবে ,এভাবে বেশকয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ফারুকের নতুন সম্যসা দেখা দিল । যে রাত স্বপ্ন দেখে সেই রাতে ফারুকের নাক দিয়ে রক্ত বের হয় সারা শরীরীরে ব্যথা হয়, মিম ফারুক দুজনিই ঘাবড়ে গেল ভিবিন্ন ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়ে কোন লাভ হলোনা শেষমেশ সানির পরামর্শে মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যাওয়া হলো ফারুককে মনোবিজ্ঞানী সবকিছু শুনে বললেন ফারুককে গ্রামের বাড়িতে পাটিয়ে দেওয়ার জন্য ,কিন্তু মিম সাজনের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে ফারুককে বুজিয়ে সুজিয়ে শহরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ।
যতদিন যাছে ফারুককের অবস্তার অবনতি হছে শেষ পর্যন্ত প্রতিরাতে ফারুককে সপ্নে ওর বাব চড় তাপ্পর দেন আর ঘূম থেকে উটে ফারুক নাক্ থেকে রক্ত পরিষ্কার করে শরীরে ব্যাতা অনুভব করে ।
ফারুক বাধ্য হয়ে কাউকে না বলে একদিন গ্রামের বাড়িতে চলে গেল , মিম,সানি লিটন অনেক খোজা খোজির পরে ফারুককে তারা আবিষ্কার করল তাদের গ্রামের বাড়িতে , অনেক দিন পরে পরিবারের সবাই একসাথে হয়েছে ঈদ ছাড়া সধারনত একসাথে গ্রামের বাড়িতে সবাই একসাথে হয়না
ফারুক আজ কোন স্বপ্ন দেখেনি আজ ওর নাকদিয়ে রক্ত আসেনি শরীরেও কোন ব্যতা নাই , কি আজব ব্যপার বাড়ীতে আসতেই ফারুক সুস্থ পরিবারের সবাই আশ্চর্য এটা কি করে সম্ভব মিম সিধান্ত নেয় আরো দুদিন থেকে দেখবে ঘটনা কি । দুদিন পর একিই অবস্থা ফারুক স্বপ্নে বাবকে আর দেখেনা সবকিছু আগের মত চলতেছে ।
ফারুকের বাবা মৃত মানুষ কি করে উনি এত শক্তি রাখেন যে স্বপ্নে ফারুককে তাপড় দিয়ে নাক দিয়ে রক্ত বাহির করে ফেলেন । পরিবারের সবাই ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করতেছে ফারুকের বাবার পাওার আছে নিশ্চয়,স্বপ্নে তাপড় মারেন আর বাস্তবে রক্ত বেরহয় ।
ডঃ পিয়াস করিম মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার ,সরকার দলীও লোক জন যা শুরু করছে তাতে মনেহয় পিয়াস করিম সাহেব রাতে টকশোতে উপস্থিত থেকে সরকার ,সরকার দলীও লোকজনের নাকের উপর তাপড় মারবে আর ওদের নাক দিয়ে রক্ত বের হবে ।
আমি যদি ফারুককের পরিবারের কেউ হতাম তাহলে অবশ্যই বিশ্বাস করতাম পিয়াস করিম সাহেব স্বপ্নে এসে তাপড় মারার ক্ষমতা রাখেন এবং শেখ হাসিনার স্বপ্নে এসে ডান কানের উপর কশাইয়া একটা তাপড় মারবেন যাতে ডান কানটাও নষ্ট হয়ে যায় ।পাগল মহিলার বাম কানটা শুনছি নাকি অনেক আগে নষ্ট হয়ে গেছে ।
(স্বপ্নে মানুষের ক্ষমতা থাকে এট ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করিনা )
বিষয়: বিবিধ
১৪২২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঐ মানুষটা মরেও বাঁচতে পারেনি-
আর বিএনপি তো বেঁচে থেকেও মরে গেছে
যা হচ্ছে তা আলী-বিএনপি উভয়ের জন্যই কলঙ্কজনক
মন্তব্য করতে লগইন করুন