যুদ্ধাপরাধের বিচার ও আমার ভাবনা শিব্বির আহমেদ
লিখেছেন লিখেছেন চালাক ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৯:১৭ রাত
"A War crime is a serious violation of the laws and customs of war ( also known as international humanitarian law ) giving rise to individual criminal responsibility "
সরল কথায় যুদ্ধ কালিন সময়ে যুদ্ধের আইন ও নিয়ম বহির্ভূত যেসব অপরাধ সংগঠিত হয়। সে সব অপরাধই হছে যুদ্ধাপরাধ।
যুদ্ধ অপরাধ বলতে যে অপরাধ গুলো কে বুঝায় তা হচ্ছে--
১) ইচ্ছাকৃত ভাবে হত্যা
২)অঙ্গহানী,
৩)ইচ্ছাকৃত ভাবে সাধারন জনগনের বিরুদ্ধে আক্রমন
৪)ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্মীয় উপাসানালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে আক্রমন
৫) লুটতরাজ
৬) ধর্ষণ , জোরপূর্বক অন্তসওা করা ।
৭) ১৫ বৎসরের কম বয়সের শিশুদের অস্র হাতে যুদ্ধে লিপ্ত রাখা ,যুদ্ধ ক্ষেত্রে সক্রিয় ভাবে নিযুক্ত রাখা ।
8) সিভিলিয়ানদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করা
৯) যুদ্ধবন্দিদের কে দাস হিসাবে বিক্রি করা
১০) জোরপূর্বক দেশান্তর করা।
১১) জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা ।
ICC নির্ধারিত এ অপরাধ গুলি সংগঠিত হলে যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এছাড়াও geneva convention আইনেও যুদ্ধ কালিন সময়ে যুদ্ধের আইন ও নিয়ম বহির্ভূত যেসব অপরাধ সংগঠিত হয়। সে সব অপরাধ হছে যুদ্ধাপরাধ।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকযুদ্ধ হয়েছিল বলেই বাংলাদেশে এখন যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরুধী অপরাধের অপরাধীদের বিচার কার্য চলছে। যদিও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে পৃথিবীর বেশির ভাগ মানবাধিকার সংগঠন,সংস্থা ও মানবাধীকার কর্মী বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন , কিন্তু বাংলাদেশের তথাকথিত ট্রাইব্যুনাল এবং সরকারদলীয় সমর্থকই বিচার প্রক্রিয়া সমর্থন করে যাছে ।আমি আমারঅবস্থান পরিষ্কার করছি মানবতাবিরুধী অপরাধ যেই সংগঠিত করুক না কেনো বিচারের মুখোমুখী তাকে করতে হবে । যুদ্ধপরবর্তী সরকার যুদ্ধাপরাধী বিচারের জন্য আন্তরিক ছিল বলে কোনো প্রমাণ মিলেনি কারন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ মুজিবের প্রধান কোন সমস্যা ছিলনা। এটা ছিল বামপন্থীদের দাবি তিনি বরং বামপন্থীদের শক্ত হাতে দমন করেছিলেন বাকশাল গঠনের মধ্যমে ।এখন যেহেতু আওামীলীগ ক্ষমতার ভাগাভাগি বামপন্থীদেরকে নিয়ে আর জামাতে ইসলামি যেহেতু বাংলাদেশির বৃহৎ ইসলামি সংগঠন সেহেতু এখনই সময় ওদেরকে পাকড়াও করার । একটু দেরিতে হলেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আওয়ামীলীগ সরকার ধন্যবাদ পেত । যদি আইনের প্রয়োগ ও প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা বজায় রাখতো । বিচার কার্যের এই মৌলিক দুটি উপাদান ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিতি থাকায় আমার কাছে এ ট্রাইব্যুনাল তথাকথিত ট্রাইব্যুনাল । যে প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম মানবাধিকার বজায় রাখা হয়নি তা আর যা হউক অবিচার ছাড়া বিচার বলা যায়না ।আমদের সরকার প্রধানের এগুয়েমী ও মানষিক অসুস্থতার কারনে জাতি হিসাবে আমরা লজ্জিত । একজন বিকারগ্রস্থ মহিলার কারনে বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা আজ ধ্বংস প্রায় । বিচারের খুঁটিনাটি বিষয় গুলো বিশ্লেষণ করবেন আইন বিশেষজ্ঞগন । আসিফ নজরুলের মত আইন বিশেষজ্ঞ বলেন ট্রাইব্যুনাল " ছাগল দিয়ে হাল চাষ করাচ্ছে " তখন বিচারের মান সম্পর্কে প্রশ্ন নাই করলাম । যখন H.R.W বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালো তার ঠিক পরদিন তুহিন আফরুজ সরকার পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে H R W বিরুদ্ধে মামলা করে যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের skype কথোপকথন মিডিয়াতে ফাঁস হয় তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া একটি প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছু নয় । আর এই প্রহসন মূলক বিচারের ফলে আমাদের গোটা সমাজ ব্যবস্থা আজ ধ্বংসপ্রায় । এছাড়া একজন মানুষের ব্যক্তিগত ক্রোধ মিঠানোর জন্য পুরো রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই বিরল । আমরা এমন কপালপোড়া জাতি আমাদের সরকার প্রধান আদালত কতৃক রং হেডড মহিলা হিসাবে পরিচিত। যুদ্ধাপরাধ যেসব উপাদানের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় । শেখ হাসিনা এবং তার সরকার যুদ্ধাপরাধের বেশির ভাগ উপাদানের সাথে জড়িত তাই আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনা গংদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ।এটা জাতি হিসাবে আমাদেরকে কলংকিত করেছে। শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক মতবিরুধ থাকতে পারে জামায়াতে ইসলামের সাথে । এর জন্য বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার কারজর করার নামে মানুষ হত্যা করে উল্লাস করা এবং উচ্ছাসিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করার মাধ্যমে যে নজির হাসিনা স্থাপন করেছেন । বিচারপতি হাসিনার কথা মত নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করতেছে বা হত্যার পরিকল্পনা করতেছে তাতে হাসিনা ও বিচারপতিদের বিচারেরে মাধ্যমে নিরপরাদ মানুষদের রক্ষা করতে পারা না গেলে বাংলাদেশ একটি মৃত্যুপুরিতে পরিনত হবে
বিষয়: বিবিধ
১২৯৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ট্রাইবুনালের বর্তমান আসামীরা ৭১ সালে অপরাধী ছিল নাঃ অ্যাড মাহবুব,Cheif Prosecutor,ICT 1972
যখন যুদ্ধপরবর্তী ৭২ সালেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল করা হয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করা হয় যাদের বিচারের আওতায়ও আনা হয়েছিল সেই তালিকা সম্পুর্ণভাবে বাদ দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে বিগত ৪২ বছরে একটা জিডিও করা হয়নি ৭১ সালে কোন অপরাধের জন্য তাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেবার আয়োজন চলতে থাকে তখন তা যে আর যুদ্ধাপরাধ বিচার নয় বরঞ্চ নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের চক্রান্ত তা বুঝতে ভারতের দালাল ব্যতীত কোন সচেতন মানুষের বুঝতে দেরী হয় না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন