ফাঁস হয়ে যাওয়া টেলি-সংলাপের কাফ্ফারা না নতুন এসাইনমেন্ট ?

লিখেছেন লিখেছেন আমরা স্বাধীন ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:৪৫:১৭ দুপুর

সাইয়্যেদা আসিফা আশরাফি পাপিয়া বি.এন.পি.-র ডাকসাইটে নেত্রী। সাবেক এমপি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি। এ সৌভাগ্যবান দম্পতি ছাত্রজীবন থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কৃপাদৃস্টিতে রয়েছেন।তাই আর পিছন দিকে থাকাতে হয়নি।স্বামী হারুনুর রসিদ চাপাই নবাবগন্জ সদর আসনের সাবেক এমপি এবং রাজশাহী অন্চলের বি.এন.পি.রাজনীতির অন্যতম কর্ণধার।দুজনেই আলেচিত-সমালেচিত ও বিতর্কিত বটে। চাপাইনবাবগন্জ সদর উপজেলায় জামায়াতের মাওলানা মখলিছুর রহমান মটর সাইকেল প্রতীকে বি.এন.পি.ও আওয়ামীলীগের প্রাথীকে ধরাশায়ী করে বিপূল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বচিত হয়েছেন।এ দিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য, সাবেক শিবির সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল সদর আসনে সম্ভাব্য এম.পি.প্রার্থী । আর এতেই হারুন-পাপিয়া দম্পতির যত মাথা ব্যথা। এদিকে ফাঁস হয়ে যাওয়া টেলিফোন সংলাপে পাপিয়া বেকায়দায় পরেছেন (নিচের লিংকে দেখুন)




দেখুন)।ইউকে বি.এন.পি.-র কমিটি গঠনের পরের দিনের এ ফোনের অডিও রেকর্ড ইউটিউবে প্রচারিত হচ্ছে।জনৈক প্রবাসী নেতার সাথে আলাপে পাপিয়াকে কয়টি পিলে চমকানো মন্তব্য করতে শুনা যায়; যেমন- ১.‘তারেক রহমানের রুচি আর পাল্টালো না’। ২.‘ওতো নিজে মেট্রিক পাশ তাই ফাইভ পাশের বাইরে পছন্দ করে না’। ৩.‘তারেক রহমানের মাথা খারাপ হয়ে গেছে-ক্চ্ছিু হবে না’। ৪.‘উনিতো পছন্দ করে না কোন ভাল লোককে,ভদ্র লোককে,যোগ্য লোককে- উনার পছন্দ তো ঐরকমই;এজন্যইতো এই দলটা করতে ইচ্ছে হয় না”। এ সপ্তাহে ইউকে বি.এন.পি.-র প্রতিস্টা বার্ষিকী সমাবেশে তারেক রহমান বলেছেন,‘ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হতে পারে না’।আওয়ামী বিরোধী বলয়ের প্রাণশক্তি-‘আলেম-ওলামা-ধর্মপ্রাণ-ইসলামী শক্তির হৃদয়ে আঘাতকারী আকষ্মিক এ অযাচিত মন্তব্য রহস্যময়।কিন্তু পাপিয়া এ সুযোগ নিতে মোটেই দেরি করলেন না।ভাইয়ার কাছে কাফ্ফারা আদায়ের এটি হয়তো তার কাছে সুবর্ণ সুযোগ । তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাপাই নবাবগন্জে সূধী সমাবেশে জামায়তের উপর চালালেন সাড়াশি বাক্যবান(নিচের লিংক দেখুন)।

https://www.facebook.com/video.php?v=362073510612250&set=vb.100004288116239&type=2&theater

যথারীতি তার এ বক্তব্যের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রুচিবিরোধী ও শালিনতা বিবর্জিত শব্দের সমাহার। জোট রাজনীতি -ঐক্যের রাজনীতি তথা দেশপ্রেমিকদের দেশ রক্ষার লড়াইয়ে বাধ সাধার এ কোন নতুন এসাইনমেন্ট নয়তো? চুনের ঘটিতে মুখ পোড়ানো বিড়ালের দুধ দেখলেও ভয় পাওয়ার মত অবস্থা। ৫ জানুয়ারী নির্বচনের পূর্বে সারা দেশে গড়ে উঠা দূর্বার আন্দোলন কতিপয় চিন্নিতনেতার রহস্যজনক ভ’মিকায় ব্যার্থতায় পর্যবাসিত হয়।বি.এন.পি.-জামায়াত সম্পর্কে ফাটল ধরানোর অবিরাম সরকারী কুশিষের এ পর্বে কি পাপিয়াও জড়িয়ে গেলেন ? না কি ‘ এজন্যইতো এই দলটা করতে ইচ্ছা হয় না”-এর পরবর্তি ঠিকানা কনফার্ম করার কোন কৌশল ? চাপাই নবাবগন্জে ১৯৮৫ সালের ১১ মে-র শোকাবহ ঘটনার ১১ শহীদের রক্ত-¯œাত পথে জামায়াত-শিবিরের উত্থান হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে পবিত্র কোরআন বাজেয়াপ্তের আবেদনের প্রতিবাদে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে প্রিয়ভাজন আমলা ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লার নির্দেশে(তৎকালীন মেজিস্ট্র্যাট)এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।এর পর থেকে জেলার বিভিন্ন পর্যয়ে নির্বাচিত জামায়াতের জনপ্রতিনিধিদের জনগণ কাছ থেকে দেখে অন্যদের সাথে তুলনামূলক বিচারের সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং কারও দয়া-টাকা-প্রতারনার কোন প্রশ্নই ওঠে না।বি.এন.পি. নেত্রী পাপিয়া জনগণের বিবেচনাবোধকে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন ভবিষ্যতে রায় প্রদানের ক্ষেত্রেও এর জবাব দিতে চাপাই নবাবগন্জবাসী হয়তো ভুল করবেন না। কৌশলগত কারনে ছদ্দবেশ ধারন করা যদিও সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়েরই অংশ।তথাপি জামায়াত শিবিরের নেতা হিসেবে উনাদের স্বামী-স্ত্রীর কাছে পরিচিত এমন কোন নাম বি.এন.পি,নেত্রী পাপিয়া কি দয়া করে উল্লেখ করতে পারবেন,যারা উনার বক্তব্য অনুযায়ী ঢাকায় দাড়ি ছেটে ও জিন্স পরে চলছেন ? বছরের পর বছর হুলিয়া আর দন্ড মাথায় নিয়েও জামায়াত-শিবিরের নেতাদের দেশবাসী এখনও একই চেহারায় দেখছে। সুতরাং হলুদ মিডিয়ায় প্রচারিত সিন্ডিকেটেড কাভারেজের কয়টি গথবাধা লাইন যাচাই বাছাই না করে জনসমক্ষে বলে বেড়ানো একজন বহুল পরিচিত ‘তত্ত¦-উপাত্ত্ব এম.পি.’-র কন্ঠে মোটেই শুভনীয় হতে পারে না। ইসলাম বিরোধী আওয়ামী অপশক্তি মোকাবিলায় বি.এন.পি. কে যথার্থ মনে করে জনগন অতীতে মাঝে মধ্যে গ্রহন করে নিয়েছিল।কিন্তু বিগত সময়ে বি.এন.পি.-র চরম ব্যর্থতায় মোহমুক্তি ঘটছে। শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে সা¤্রাজ্যবাদী নিল নকশায় সহযোগী হয়ে গেলে আওয়ামীলীগের সাথে মৌলিক কোন পার্থক্য থাকেনা।জেল জুলুমের ভয় , জান-মাল রক্ষার তাগিদ অথবা নগদ নারায়নের লোভ যদি রাজপথের লড়াইয়ের অন্তরায় হয়ে যায় তাহলে আশার কিছু আর থাকে না।আর বিবেকের দোয়ারে যদি তালা ঝুলিয়ে রেখে দেয়া হয় তাহলে বিরক্তি ও ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই প্রাপ্তি হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে দেশ ও বিশ্বাসের অস্তিত্ব রক্ষায় উদ্বিগ্ন দেশবাসীর সামনে বিকল্প অনুসন্ধান ছাড়া উপায় নেই।শুধুমাত্র কথামালার ফুলঝুরি নয়,ত্যাগ ও কুরবানীর পরীক্ষায় উত্তির্ণ দুর্নিতিমুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্ব সম্পন্ন সুসংগঠিত রাজনৈতিক প্রতিস্টানের প্রতি আকর্ষন বেড়ে চলাই স্বাভাবিক। তাই শুধু চাপাই বা বগুড়ায়-ই নয়,জামায়াত ও বি.এন.পি. উভয়ের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন এমন শতকরা ৮৮% ক্ষেত্রে দেশবাসী বি,এন.পি.কে প্রত্যাখ্খান করে জামায়াতকে বেছে নিয়েছেন ।এমনকি জামায়াতের প্রতিটি প্রার্থীর ব্যাপক ভোট প্রাপ্তিও পরিবর্তনের সূচক নির্দেশ করছে।সাধারন মানুষের অভিব্যাক্তির এই সহজ বিষয়টি অনুধাবন করে করনীয় ঠিক করে নিলেই অহেতুক প্রলাপ বকতে হয় না।

বিষয়: রাজনীতি

১৫১৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

263931
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগের হামলার উপর এখন পাপিয়ার কথাগোলা - সামলাবে কিভাবে জাশিরা ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File