ফতোয়া এ শাহবাগী

লিখেছেন লিখেছেন নয়া জামানার ডাক ৩০ জুন, ২০১৬, ০৫:৩১:৩৮ সকাল



সম্প্রতি দেশে গুম, খুন, হত্যা, রাহাজানী, চিনতাই, চুরি-ডাকাতি ও ডিজিটাল হ্যাকার আশংখ্যাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চরম ব্যর্থ হয়ে এখন ফতোয়ার আশ্রয় নিয়েছে সরকার সমর্থক গোষ্টী। যদিও তারা হাই কোর্টে ফতোয়া নিষিদ্ধের রুল জারি করে তোহিদী জনতার প্রতিবাদের মুখে ব্যর্থ হয়। রাজনৈতিক গুম-খুনের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাধারণ মানুষের সাভাবিক জীবন যাত্রার মান ও বেছে থাকার শংকা। দু’কলম লেখার আগে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এ জন্য যে, যিনি লক্ষাধিক মুফতির সাক্ষর নিয়ে সরকার দলের এক এমপি ও নিউজ পোর্টালের মালিকের অর্থায়নে সন্ত্রাস বিরুধী ফতোয়া দিতে যাচ্ছেন (শোলাকিয়ার ঈমাম ফরিদ উদ্দীন মসউদ) তার নামের আগে আলেমেদীন বা মুফতি শব্দ ব্যবহার করতে না পারার জন্য। কেননা তিনি যুদ্ধাপরাধ বিচারে আদালতের দেওয়া রায়পরিবর্তনের দাবীতে গঠিত শাহ বাগের গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন এবং ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা বা টাকা জমা রাখা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন কিন্ত সেই ইসলামী ব্যাংকে তার নামে হিসাব থাকার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোড়পাড় সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং জনতার প্রশ্ন সে নিজেই নিজের ফতোয়া মানে না কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়া ফতোয়া অন্যরা কিভাবে মানবে?তবে প্রশ্ন হল কোটি টাকার দশটি প্রশ্ন সম্বলিত ফতোয়ায় কেন আসেনি মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে কুৎসা রটনা কারীর ফতোয়া? পাঠ্য বইয়ে ইসলাম বিমুখ শিক্ষা দানের ফতোয়া?গুম করে গ্রেপ্তার অতঃপর বিনা বিনা বিচারে ক্রসফায়ার, সারা দেশ ব্যাপী ইয়াবা আগ্রাসনের বা মাদকদ্রব্য বেচা-কেনার বিরুদ্ধে ফতোয়া কি বর্তমান সমাজে সময়ের অপরিহার্হ্য দাবী নয়?আমি কিন্ত ফতোয়ার বি্রোধী নয় তবে ফতোয়া হউক সার্বজনীন । জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ, তাই জঙ্গিবাদ অবৈধ এর জন্য ফতোয়ার দরকার হয় না।’

মানব হত্যা মহাপাপ এ ফতোয়া ইসলাম ধর্মের পাশা পাশি অন্যান্য ধর্মালম্বীও জানেন।এটার পক্ষে শুধু লক্ষাধিক মুফতির ফতোয়া নয় ১৬ কোটি স্বাক্ষর নেওয়া যাবে। এ ফতোয়া মিথ্যা বলা মহা পাপের মতই। এটাকে কোটি কোটি টাকায় ফতোয়া দেওয়ার মানে বুঝানো হচ্ছে মানব হত্যা শুধু ইসলাম পন্থীরাই করে। পাঠ্য বইয়ে ইসলাম শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে ফতোয়াকে প্রতিষ্টা করা যাবে না। সম্প্রতি সারা দেশ ব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানই প্রমাণ করে ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত কেউ সন্ত্রাসের সাথে জড়িত নয়।

পরিশেষে মুহরাম মুফতিগণের কাছে কাছে একটি ফতোয়া চাই। তাহল- রাসুল (সঃ) কে আবু লাহাব কর্তৃক কুৎসা রটনা করার জন্য মহান দয়া ও রহমতের আল্লাহ, আবু লাহাবের প্রতি গজবের সূরা নাযিল করেছিলেন। রাসুল(সঃ)এর বিচার অমান্য করে হযরত উমর(রঃ) এর কাছে জৈনিক মুনাফিকের অভিযোগে যদি তলোয়ার দিয়ে হত্যার আদেশ দেয় তাহলে আমার দেশে কিছু নাস্তিক ব্লগার যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে কুৎসা রটনা করে তাদের ব্যাপারে শরিয়তের ফতোয়া কি? আসুন গুপ্ত হামলা , রাজনৈতিক সহিংসতা ও গ্রেপ্তার পূর্বক ক্রস ফায়ারের মত দূর্বৃত্বায়ন থেকে দেশ ও জাতিকে এবং নিজকে বাচাই। সকল ধরনের সন্ত্রাস কে না বলি।

বিষয়: বিবিধ

১২৫৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373566
৩০ জুন ২০১৬ সকাল ০৯:২৩
হতভাগা লিখেছেন : সোলাকিয়ায় এবার ইমামতি না করে উনি বরং শাহবাগ চত্বরের এবার ইমামতি করতে পারেন ।
373596
৩০ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৫৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একটি এলান
Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File