প্রয়োজন সাংবাদিকতায় নতুন সংযোজন
লিখেছেন লিখেছেন নয়া জামানার ডাক ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২২:৫৩ রাত
আবাহমানকাল ধরে যে মহৎ পেশাটি সর্ব সাধারণের কল্যাণে নিয়োজিত তা হল সাংবাদিকতা।এ আদি পেশার মাধ্যমটি অনেক আগেকাল থেকে শুরু হলেও মূলত বাংলায় সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত হয় ১৭৮০ খ্রীস্টাব্দের জানুয়ারী মাসে।প্রথম বাংলা গেজেট নামে সাপ্তাহিক পত্রিকাটি কলকাতায় প্রকাশিত হয়।এর পর ১৮১৮ খ্রীস্টাব্দে অবিভক্ত ভারতে বাংলা সংবাদ মাধ্যমের প্রসার ঘটে।একই বছরে কলকাতা থেকে বাংলা গেজেট ও দিগদর্শন এবং শ্রীরামপুর থেকে সমাচার দর্পণ নামে মোট তিনটি বাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হয়।এর পর ১৮৫৬ খ্রীস্টাব্দের প্রথম দিকে দি ঢাকা নিউজ,১৮৬১ খ্রীস্টাব্দে ঢাকা প্রকাশ এবং ১৮৬৩ খ্রীস্টব্দে ঢাকা দর্পণ নামে আরো একটি বাংলা পত্রিকার প্রকাশ পায়।বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় তিন হাজারের মত দৈনিক অন লাইন নিউজ এবং প্রায় তিন হাজারের মত দৈনিক,সাপ্তাহিক,পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকা পাঠক গণের হাতের নাগালে নিয়মিত ভাবে নাড়া দেয়। প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ পাঠক ও শুভাকাংখীদের মন জয় করে চলছে এ সব গণমাধ্যম গুলো। আর এ সব মাধ্যমের কলকাটিতে অক্লান্ত যোগান দিয়ে আসছে জাতির ভিবেগবান, সাহসী সাংবাদিক ও রিপোর্টারগণ। তারা প্রতিপক্ষের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাত দিন সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত থাকে।তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টারকে পরিবেশ অনুযায়ী বিভিন্ন বেশ বা ফন্দি আটকাতে হয়।বিশেষ করে ক্রাইম নিউজ সংগ্রহে তেমন টা ঘটে থাকে।পৃথিবীর সকল পেশা বা কাজের নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী বা লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে কিন্তু সাংবাদিকতা নামের এ মহান পেশাটি সর্ব সাধরনের জন্য।জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন ও সচেতন নাগরিকেরা এ মাধ্যম ছাড়া মূহুর্তই চলতে পারেনা।আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পায় যে-সংবাদ কর্মী বা ফটো সাংবাদিক যখন কোন একটি ঘটনার ছবি তুলতে যায় যেমন একটি শিশু পুকুরে ডুবে যাচ্ছে এমন সময় সে ছবি না তুলে শিশুটি উদ্ধার করলে তার জীবন টি ফিরিয়ে পাবে। এ ধরণের অনেক গুলোই দেখতে পায় যেমন-কোথাও আগুন লেগে যাওয়া,গাড়ি বা সুড়ক দূর্ঘটনা,ছাঁদ থেকে পড়ে যাওয়া,দুপক্ষের মারামারী,উৎপেতে থাকা ডাকাত দলের আস্তানা ইত্যাদি দূঘটনার সময় সাংবাদিক যেমন ছবি তুলবে ঠিক তেমনি তার সাথে যদি থাকে একটি গ্রুপ ঊদ্ধার তৎপর্তা চালানোর জন্য তাহলে এ পেশা টি হবে আরাও যুগোপযোগী।কারণ কোন কিছু ঘটার সময় সবার আগে নজরে পড়ে সাংবাদিকের ।সে খবর প্রকাশ বা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কে জানানোর পূর্বেই যদি দূঘটনাটি রূখে দেওয়া যায় তাহলেই সার্থক । আর আমার দেশের পুলিশ বাহিনী দূর্ঘটনা ঘটার সবার পরে আসে লাশ টি ঊদ্ধারের জন্য।এ কথাটি এ জন্য উল্ল্যেখ করলাম যে,দুবাই শহরের প্রাণকেন্দ্র হায়াত রিজেন্সীর বিপরীত দিকে আমাদের অফিস।অফিস থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত মসজিদ।যাচ্ছিলাম মাগরিবের নামায আদায় করতে।যাওয়ার সময় রাস্তায় কোন কিছুই দেখতে পেলাম না।কিন্তু নামায শেষ করে আসার সময় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে দেখতে পেলাম রাস্তার ধারে অনেক লোক জন জড়ো হয়েছে পাশে এয়ম্বুল্যান্ দাঁড়িয়ে এক আহত ব্যাক্তি কে প্রাথমিক চিকিতসা দিচ্ছে। একটু সামনে এগিয়ে উদ্ধার টীমের একজন সদস্যকে জিজ্ঞেস করলে সে জানাই পার্শ বর্তী ফ্লাটের চতুর্থ তলা থেকে ভারতের আন্দ্রা প্রদেশের জৈনিক এক ব্যাক্তি করিডোর থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।তাহলে আমার প্রশ্ন হলো এত অল্প সময়ে লোকটি কখন পড়ে গেল,পুলিশকে খবর টা কখন কে দিল,আর পুলিশ উদ্ধার টীম নিয়ে কখনই বা এসে আহত ব্যাক্তি কে ব্যান্ডেস করলো?তখন হঠাৎ আমার মনে প্রশ্ন জাগলো হায়রে আমার দেশের পুলিশ যদি এমন হতো।আজকে আমার দেশের পুলিশকে ঘটনা তদন্তের জন্য টাকা না দিলে সঠিক তদন্ত হয়না তাও আবার মোটা অংকের। তাই সাংবাদিক বা রিপোর্টারের সাথে একটি রেসকিউ টীম বা ঊদ্ধার কারী দল থাকা প্রয়োজন যারা পুলিশ আসার আগে ঊদ্ধার করবে।এ দল টি হতে হবে রাস্ট্রীয় প্রতিষ্টানের যারা প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্ত কর্মে সাক্ষী হবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুবাই বলুন বা ইউরোপের কোন দেশ যে কারনে পুলিশ দ্রুত কাজ করে সেটা হলো জবাবদিহিতা। এই দেশে সেটারই অভাব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন