"বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি" (পড়েন, হাসেন-কাঁদেন আর গভীর চিন্তা করেন)

লিখেছেন লিখেছেন Md sharafat jihadi ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৪৩:৩৩ দুপুর

আশ্চার্য! যে ধর্ষণ নির্যাতন নারী সমাজে অতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। প্রতিটি মেয়েই যে বিষয়ে তটস্থ থাকে সদা-সর্বদা -সে ধর্ষণের আইনের করুণ দশা।

অথচ নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়ও আছে!

উইকির ধর্ষণের সংজ্ঞা পেতেঃ http://en.m.wikipedia.org/wiki/Rape

বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তির বিবরণ:দন্ডবিধি১৮৬০

The Penal

Code1860:ধারা ৩৭৫-৩৭৬

A man is said to commit“rape”who except in the case hereinafter excepted,has sexual intercourse with a woman under circumstances falling under any of the five

following descriptions:

Firstly. Against her will.Secondly.Without her consent. Thirdly.With her consent,when her consent has been obtained by putting her in fear of death,or of hurt.Fourthly. With her consent,when the man knows that he is not her husband,and that her consent is given because she believes that he is another man to whom she is or believes herself to be lawfully married.Fifthly.With or without her consent,when she is under fourteen years of age.Explanation. Penetration is sufficient to constitute the sexual intercourse necessary to the offence of rape.

Exception.Sexual intercourse by a man with his own wife,the wife not being under thirteen years of age,is not rape.

376. Whoever commits rape shall be punished with 131[imprisonment]for life or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years,and shall also be liable to fine,unless the woman raped is his own wife and is not under twelve years of age,in which case he shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years,or with fine,or with

both

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০এ রয়েছে:

১.যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে,তা হলে সে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে৷

ব্যাখ্যা৷-যদি কোন পুরুষ বিবাহ

বন্ধন ব্যতীত ১[ষোল বছরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়,

অথবা ২[ষোল বছরের]কম বয়সের কোন নারীর সহিত তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে,তা হলে সে উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হবে৷

২.যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ

বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার

অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে,তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীত হবে এবং এর অতিরিক্ত অনুন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে৷

৩.যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষন করে এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন,তা হলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে৷

৪.যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

ক)ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করে,তা হলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম

কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনী

হবে।

খ)ধর্ষণের চেষ্টা করে,তা হলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বছর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে৷

৫)যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিতা হন,তা হলে একই বিধান।

টিকা দুটিঃ “ষোল বছরের”শব্দগুলি“চৌদ্দ বছরের”শব্দগুলির পরিবর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন(সংশোধন) আইন,২০০৩(২০০৩সনের ৩০নং আইন) এর ৩ধারা বলে প্রতিস্থাপিত।

এবার আসুন ইসলামে ধর্ষণের সংজ্ঞা কি বলে।

ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি। কারণ ইসলামে

ধর্ষণ ভিন্ন কোনো অপরাধ নয়। বরং বিবাহবহির্ভূত যে কোনো যৌন সঙ্গমই অপরাধ। যাকে “যিনা”শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।

যিনা সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও

হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ।

কোরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।(সুরা ইসরা, ৩২)

যিনার শাস্তিঃ

ইসলামে যিনার শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন।

১)যদি উভয়ে অবিবাহিত হয়,তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশত ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।

ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔُ ﻭَﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻲ ﻓَﺎﺟْﻠِﺪُﻭﺍ ﻛُﻞَّ ﻭَﺍﺣِﺪٍ ﻣِّﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﺟَﻠْﺪَﺓٍ_____

অর্থঃ ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ;তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর।আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়।___(নূর২)

হাদীসে আছে

ﺍﻟﺒﻜﺮ ﺑﺎﻟﺒﻜﺮ ﺟﻠﺪ ﻣﺎﺋﺔ، ﻭﻧﻔﻲ ﺳﻨﺔ، ﻭﺍﻟﺜﻴﺐ ﺑﺎﻟﺜﻴﺐ ﺟﻠﺪ ﻣﺎﺋﺔ ﻭﺍﻟﺮﺟﻢ

....আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)।(সহীহ মুসলিম)

যিনা প্রমাণের জন্য ইসলামে দুটো বিষয় একান্ত জরুরী।

১.৪জন পুরুষের স্বচোখ্য স্বাক্ষ্য।

২.ধর্ষকের স্বীকারোক্তি।

তবে স্বাক্ষ্য না পাওয়া গেলে আধুনিক ডিএনএ টেস্ট,সিসি ক্যামেরা,ভিডিও,ধর্ষিতার বক্তব্য ইত্যাদি অনুযায়ী ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে স্বীকার করার জন্য চাপ দেয়া হবে।স্বীকারোক্তি পেলে তার ওপর শাস্তি কার্যকর করা হবে।

মোটকথাঃ

ইসলাম সম্মতি-অসম্মতি উভয় ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক মিলনকে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এই আইনে কেবল অসম্মতির ক্ষেত্রে তাকে অপরাধ বলা হয়েছে। সম্মতি ছাড়া বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ইসলাম ও দেশীয় আইন উভয়ের চোখে অপরাধ।আর সম্মতিসহ সম্পর্ক ইসলামে অপরাধ,দেশীয় আইনে নয়।

সুতরাং বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ হলে ধর্ষণ অটোমেটিক বন্ধ হবে।নচেত্‍ কঠিন শাস্তি তো আছেই।

একের শাস্তির মাধ্যমে হাজারের জনের শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যম কেবল ইসলামেই।

'Islam is the complete code of a human life'

বিষয়: বিবিধ

১২৫১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315588
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রত্যক্ষ সাক্ষি না পেলে রজম জারি হবে না। তাজির এর আওতায় আরেকটু কম মাত্রার শাস্তি হবে।
315601
১৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:০৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইসলামের ব্যাপারে কথা বলার ক্ষেত্রে আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিত। শুধু নিজে যেভাবে কোরান-হাদিসের অনুবাদ পড়ে যা বুঝলাম সেটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান না, বরং মাজহাবের আলেমরা কি বলেছেন? বর্তমান সময়ের গ্রহণযোগ্য আলেমরা কি বলেছেন? ইত্যাদি উল্লেখ প্রয়োজন তবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যাটা সবার বোধগম্য হবে এবং গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
316237
২২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৪৬
Md sharafat jihadi লিখেছেন : হুম, যেমন কঠিন শাস্তি তেমন কঠিন শর্ত।

ধন্যবাদ।
(রিপ্লাই দিতে সমস্য হচ্ছে।)

#রিদওয়ানুল কবির সবুজ ভাই।
316239
২২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৫৪
Md sharafat jihadi লিখেছেন : হুম, ঠিক বলেছেন। কাঁচা কাজ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে লক্ষ রাখার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ।
#ঘুম ভাঙাতে চাই

(রিপ্লাই দিতেই পারছিনা Sad )

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File