প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বিখ্যাত একটি বাংলা প্রবাদের দুইটি রাজনৈতিক প্রমান!!
লিখেছেন লিখেছেন সাইমুম হাবিব ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:১৩:২৮ রাত
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “পরের জন্য গর্ত খুঁড়লে, সেই গর্তে নিজেকেই পরতে হয়।’’ কথাটির প্রমান আমাদের সমাজে অহরহ দেখা গেলেও সম্প্রতি একটি বক্তবের মাধ্যমে তা জাতীয় ও রাজনৈতিক জীবনেও প্রমানিত হয়ে গেল।
১। বলছিলাম, তারেক রহমানের লন্ডনের দেয়া বক্তব্যটির বিষয়ে। তিনি তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে ৭০-৭১ এর কিছু প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। তাতে গায়ে মরিছ লেগেছে আমাদের ৫% ভোটের প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামীলীগের সবার। লাগারই কথা, আপনি আমার বাবাকে বলবেন তো আমি কি ছেড়ে দিবো নাকি?? জিব্বা সামলানো কেন, কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু মহাশয়া, সংসদে টাকলুরা যখন স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া একজন সেক্টর কমান্ডার, বহুদলীয় গনত্রন্তের প্রবক্তা, নিজের হাতে কোদাল নিয়ে যে নেতা এদেশের খতবিক্ষত অর্থনীতির চাকাকে সচল করেছিলেন সেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার আর পাকিস্তানের দালাল বলেছিল তখন কেন কিছু বলছিলেন না?? তখন তাদের মুখ জিব্বা সামলাইলে আজকে তারেক রহমানকেও রাতের পর রাত জেগে পড়াশুনা করে এতো তথ্য উপাত্ত জাতীর সামনে উপস্থাপন করতে হতো না।
২। বিরানির প্যাকেট, কোটি টাকার বাণিজ্য আর যৌন উম্মাদনার সেই তথাকথিত গনজাগরন মঞ্চের নষ্টা লাকি, চটি পিয়াল আর উম্মাদ ইমরানদের কে দিয়ে বলিয়েছিলেন, -“ক তে কাদের মোল্লা-তুই রাজাকার তুই রাজাকার”। দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা দিয়েছিলেন তাদেরকে। এই উম্মাদ আর পাগলদের কথায় আইন পরিবর্তন করে ফাঁসি দিয়েছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক রাজনৈতিক নেতাকে। কোথায় সেই গনজাগরন মঞ্চ আর সেই নর্তকীরা?? নিক্ষিপ্ত কি হয়নি ইতিহাসের আস্তা কুড়ে??? আর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা (রাহঃ) বেঁচে আছেন মুসলিম উম্মাহর কোটি মানুষের অন্তরে।
কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই “ক” তে কাদের মোল্লা জানেন??? “শ” তে গিয়ে স্থান করে নিয়েছে!! আশা করি সম্প্রতি লন্ডনে কি শ্লোগান হয়েছে তা ভালো করেই জানেন।-“শ তে শেখ মুজিব-তুই রাজাকার তুই রাজাকার।’’- শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত লন্ডনে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি। (রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা হলেও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এমন কথা বলতে বা কল্পনা করতে আমি বিন্দু মাত্রও রাজি নাই) লিঙ্কটি কমেন্টে দেয়া আছে। এইবার বুজেন বুবুজান মজা..... এখনো সময় আছে বুবুজান, আপানার সোনার ছেলেদেরকে প্রতিহত-মতিহত বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি নিয়া বিজি থাকতে বলেন।
সুতরাং বীজগণিতের উভয় পক্ষের মতো প্রমান হয়ে গেলে যে, “পরের জন্য গর্ত খুঁড়লে, সেই গর্তে নিজেকেই পরতে হয়।’’ আশা করি আমাদের সবার মনে থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
২০২৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
https://www.youtube.com/watch?v=SaSXHUrBCvc&feature=youtu.be
মন্তব্য করতে লগইন করুন