দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে করনীয় কিছু কাজ।

লিখেছেন লিখেছেন আদি মানব ২৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:৪০:০২ রাত

পুরো নির্বাচনটাই হচ্ছে মাইন্ড গেম, ইতিমধ্যে আওয়ামেলীগ সফল বলা চলে। তারা খালেদার উপর হামলা করে একদিকে তাকে জনস্রোতে মিশিতে দিচ্ছে নাহ, অন্যদিকে যাতে নির্বাচনে কাজ না করতে পারে বিরোধী কর্মী তার জন্য এই হামলা মনোবল ভেঙ্গে দিচ্ছে।

সিটি নির্বাচনে দক্ষিন এবং পূর্ব সম্পুর্ণ আলাদা ভাবে খেলতে হবে বিএনপি জোটকে, দীর্ঘ লেখা ধৈর্যসহকারে পড়ার এবং বিশ্লেষনের অনুরোধ রইলো।

ঢাকা সিটি দক্ষিনের জন্য যা করণীয়ঃ

দক্ষিনের বিএনপির শক্ত ঘাটি, বিশেষ করে জুরাইন, মুরাদনগর জামাতের ঘাটি বলে পরিচিত। কিন্তু এসব অংশে আওয়ামী প্রভাব প্রচন্ড, আর এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা তার সর্বোশক্তি নিয়োগ করে জিতাতে চান সাঈদ খোকনকে কারন এতে তার ফরাশগঞ্জের ব্যাবসা এবং সায়েদাবাদের বাস কাউন্টারের ইনকাম নিরাপদ হবে এছাড়া মোল্লা সাহেব চাইছেন মহানগর আওয়ামেলীগ কমেটিতে নেতৃত্ব দিতে, ভোটের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সবাই ভোটে অংশগ্রহন করতে যায় তাহলে এই শেষপ্রান্তের সবগুলোতে না হলেও সন্তোষজনক ওয়ার্ডে জিতা সম্ভব।

ওয়ার্ড নাম্বার ১= তিলপাপাড়া

প্রভাতীবাগ

তারাবাগ

ঝিলপাড়

চৌরাস্তা

খিলগাঁও কলোনি

পিডব্লিউ কোয়ার্টার

অত্র এলাকায় বিএনপি নেতদের উচিৎ হবে ব্যলেট পেপার আছে কিনা তা খেয়াল রাখা, কারন এ অংশে সাবের সাহেব টু শব্দ ও করবে নাহ, উল্টো বিএনপি চাইলে জোরও করতে পারে।

# ওয়ার্ড নাম্বার ২,৩= মেরাদিয়া, গোরানসহ বনশ্রী এলাকা নিয়ে ঘঠিত, ভাসমান ভোটার বেশি দরকার কেবল তাদের ভোট কেন্দ্রে নাতাদের নিয়ে যাওয়া যাতে একটি ভোট ও না নষ্ট হয়, মনে রাখবেন তাদের ভোট সব চাইতে বড় ফ্যাক্ট নির্বাচনের খেলায়। যাতে কেউ টাকা দিয়ে না কিনতে পারে খেয়াল রাখবেন দরকার পরলে নিজেরা খরচ করুন

#ওয়ার্ড নাম্বার৪,৫,৬= ভোটারদের প্রভাবিত করার কিছুই নাই, এদের অনেকে এখানকার ভোটারও নাহ এখানে প্রার্থী নয় প্রতীকের নাম প্রচার করুন, যাতে ভোটার যেদিকে তাকায় মগ দেখে, তাহলে অনক্ষর ভোটারগুলোর ভোট সহজেই আসবে

#ওয়ার্ডে নাম্বার ৭,৮,৯=

মতিঝিল এইচ টাইপ কোয়ার্টার

মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি

মতিঝিল পোস্টাল কলোনি

মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি

মতিঝিল কলোনি (আইডিয়াল জোন, আল

হেলাল জোন, হাসপাতাল জোন, হিন্দুপাড়া)

মতিঝিল পিডব্লিউডি স্টোর কম্পাউন্ড

বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী

সোনালী ব্যাংক কলোনী

আর কে মিশন রোড (আংশিক)

গোপীবাগ

কমলাপুর (উত্তর ও দক্ষিণ)

মতিঝিল বি রেলওয়ে ব্যারাক

জসিমউদ্দিন রোড

দেখলেনতো এই ৩ ওয়ার্ড হতে পারে তুরুপের তাস, বেশ কিছু কলোনি আছে এখানে আর সব চাইতে মজা ব্যাপার হচ্ছে গোপীবাগের ভোট ইস্কান্দার সাহেব অর্ধেক পাবেন, বাকিটা বিএনপি পাবে নিশ্চিত, কলোনির ভোটাররা মুলত প্রবাবিত হয় জলদি, এলাকার মুরব্বি কিংবা কর্মকর্তারাই মুল। বিএনপির সাবেক শ্রমিকদল নেতা নজরুল ইসলাম সাহেবকে বলবো সিএন্ডফ বা শ্রমিক সংঠনগুলোকে এক্টিভ করতে, তাদের নেতাদের সাথে সম্পর্ক থাপন করতে, ভবিষ্যৎ এ সুবিধা বঞ্চিতদের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিন। এসরকারের আমলে কেবল কলোনিতে থাকে তারা যারা বিরোধী মতে কিংবা সরকারের রুষ্ঠ, নাহলে ফ্ল্যাটে থাকতো তাই তাদের ভোট অনেক কার্যকারী , এবং এদের ভোট কাস্টিং সবচাইতে বেশি হবে যদি ভোট দিতে যায়, প্রায় সবাই দিবে।

#ওয়ার্ড নাম্বার ১০,১১,১২,১৩,১৪= ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে যাতে ভোট কাস্টিং স্লো হয় তার চেষ্টা করবেন, ইচ্ছা করে ভোট প্রয়োগের গতি ধীর করবেন তাহলেই হবে, বাকি ৪ টা আসনেই বিএনপির ঘাটি বা আব্বাস ভাইএর ঘাটি, এদিকের মানুষ মগেই পানি খাবেন নিঃসন্দেহে।

বাকি সবগুলোই নিয়ন্ত্রনে বলা চলে, কেবল ব্যালট আর সিল খেয়াল রাখবেন, অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং দলীয় কর্মী ভোটাররা ১টার পর যাবেন ভোট কেন্দ্রে ১৪ নাম্বার ওয়ার্ড বাদে। যাতে শেষ সময়ে সীল বা ব্যালেট গায়েব না হয়, প্রতি কেন্দ্রে ২০ জন করে একসাথে ভোট দিতে যাবেন এবার সেগুলো নিজের দলের হোক বা সাধারন সমর্থক

#ওয়ার্ড নাম্বার ১৫,১৬,১৭,১৮=১৫,১৬,১৭ নাম্বার ওয়ার্ডে তরুন ভোটার বেশি, তবে এ ওয়ার্ডগুলোতে কিছুই করার নাই, কারন এসব ভোট প্রভাবিত হয় নাহ, বেশির ভাগ ভোটার নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। চেষ্টা করতে হবে নির্বাচনকালীন সময় যাতে ঘন্ডগল কম হয় তাহলে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি হার বাড়বে । নিজ প্রার্থীর গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলুন, ব্যাক্তিক পর্যায় যা সম্ভব তাই নিয়ে খুশি থাকুন

১৮ নাম্বার ওয়ার্ডটিতে বিএনপির সমর্থিত শিক্ষক সংঠনগুলো কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

#ওয়ার্ড নাম্বার ১৯,২০,২১=১৯ নাম্বার ওয়ার্ড বাদ দিয়েই হিসাব কষুন নির্বাচন এত্ত ফেয়ার হবে নাহ, আর এতো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে, এদিকে মিডিয়া সাপোর্ট নিয়ে চুরী যতো কমানো যাবে তাই ভালো।

২০ নাম্বার ওয়ার্ডে ছাত্রদল এবং বিএনপিজোটের পেশাজীবিদের কাজ করতে হবে, তাহলে কিছুটা প্রতিযোগীতা হবে, তবে কলোনি কিন্তু এখানেও আছে, খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে কলোনিগুলো

২১ নাম্বার ওয়ার্ড পূর্ণাঙ্গ ভাবে বাদ দিন, এটি মনে করুন ছেড়ে দিলাম, ঢাবির ভিতরে কিছুই করার নাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে

#ওয়ার্ড নাম্বার ২২,২৩,২৪,২৫=

২২,২৩,২৪,২৫ মুলত সাঈদ ইস্কান্দারের ভোটের এরিয়া, চেষ্টা করবেন এখানেও স্লো ভোট রেটিংস এর, শুধু শুধুই উত্তেজনা ক্রিয়েট করুন তবে সাবধান উত্তেজনা কেবল মুখেই ক্রিয়েট করুন যাতে মিডিয়া আশার মত গুরুত্ব না পায়, আর একটু কিছু হলেই সাঈদ সাহেবের লোকজন যে তোলপার করবে তা জানা ব্যাপার, যা কয়টা ভোট আছে তা নিয়ে দুপুরে ভোট দিতে যাবেন, সকালে ভোটের শুরুতে চেষ্টা করবেন ভোটার উপস্থিতি যাতে কম হয় বা এখন মিডিয়া নাই, হাউ কাউ করে পরে যেতে ভোট কেন্দ্রে সবাইকে উৎসাহিত করুন। স্লোও ভোট কাস্টিং কিংবা ৬৫ % কাস্টিং এর নিছে ভোট পড়লেই খেলা খতম, কাহিনী ফিনিশ।

#২৬,২৭,২৮=

২৬, ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডে অনেক ভোটার কেবল প্রতীক চিনবে, তারা হানিফ সাহেবের ছেলের নাম বা আব্বাসের নাম মনে রাখতে পারবে নাহ, মগে ঘিরে ফেলুন সর্বোত্তর, কাওরনে অকারনে মগ নিয়ে আলোচনা করে বদ্ধমুল করে দিন ব্রেইনে। তাদের ভোট প্রদানের পুর্বে মগ নিয়ে আলোচনা অধীক মাত্রায় করুন।

২৮নাম্বার ওয়ার্ডে ভোটার মাত্র ১৫ হাজার সম্ভবত তাই এখানে তেমন খাটুনি নেই কেন্দ্রে একসাথে না গিয়ে যাতে বিকাল পর্যন্ত ভোটার থাকে সে চেষ্টা করু তাহলেই হবে। মাদ্রাসাভিত্তিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করুন।

#২৯,৩০,৩১=

২৯,৩০ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রায় ৬০ হাজার ভোটার কিন্তু এগুলো সাঈদের পক্ষে অনুকূল হতে পারে পুরান ঢাকার বলে, তবে সুযোগ আছে যদি উচ্চপর্যায় থেকে খোকাপন্থিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়, তবে খেই হারিয়ে ফেলবে আওয়ামেলীগ এছাড়া প্রায় ১৫হাজার জামাত সমর্থিত ভোটতো আছেই

৩১ আরমানিটোলার হিসাব করতে হবে একটু ভিন্নভাবে স্থানীয় ভোট বেশি পড়ে নাকি পিন্টুর সমর্থিত ভোট বেশি পরে, এক্ষেত্রে ক্যামিকেল ব্যাবসায়ী সমিতি এবং কাগজ সমিতিগুলো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। কিছুটা সাহায্য লাগবে নোয়াখালী, কুমিল্লার ভোটগুলোর জন্য যা সহজে পাওয়া যাবে বলে অনুমেয়।

**তবে এই তিন ওয়ার্ড বিএনপির জন্য মরন ফাদ হওয়ার আশংক্ষা সবচাইতে বেশি। **

#৩২,৩৩,৩৪= ৩২,৩৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ভোট প্রায় উভয়ের সমানই থাকবে, তাই কেন্দ্রে সতর্ক অবস্থান নিতে হবে,

৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডে একটু খেলতে হবে যাতে যত সম্ভব মগে ভোটার আনা যায়, আশা করি যথার্থ প্রচারনা ও ভোটারদের শংক্ষা মুক্ত করলেই সম্ভব।

#৩৫,৩৬,৩৭= লড়াই করার যদি পুর্ণ মানষিকতা থাকে তবে মহানগর সব নেতাকে এবং খোকা সাহেবকে বিরোধ মিটিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে এ ৩ টি ওয়ার্ডে কাজ করতে হবে বা নির্দেষনা দিতে হবে, মনে রাখবেন আবেগ দিয়ে সব হয় নাহ। খোকা সাহেবই কেবল পারেন এ ওয়ার্ডগুলোর ভরাডুবি থেকে রক্ষা করতে

#৩৮,৩৯,৪০=নিরব ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে ৩৮ আর ৪০ নাম্বার ওয়ার্ডে, কারন এ অঞ্চলে নোয়াখালীর ভোটার প্রচুর, যারা সচেতনও বটে তারা কখনো সাঈদ সাহেবকে ভোট দিতে চাইবেন নাহ, আর পুরান ঢাকাবাসী যদি তাদের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে অসম্ভব ব্যাবধান ঘটবে।

৩৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই, সেই কলের গান বাজাইলাম প্রচারনা দ্বিগুণ করতে হবে

#৪০,৪১,৪২=৪০ নাম্বার ওয়ার্ডের অর্ধেকের বেশি ভোট প্রদানে যাবে নাহ, যা এযাবৎ কাল ঘটে আসছে তাই কেন্দ্র যাতে ফাকা না থাকে সবাই এক সাথে না গিয়ে ইউনিট করে যেতে হবে এবং যাবার সময় যতো পারা যায় আশে পাশের ভোটারদের নিয়ে যেতে হবে, তাহলেই তারা মগে সিল মারবে বলে মনে হয় কারন তারা যেখানে ভোটই দিতো নাহ সেখানে প্রতীক আপনারটাই বেছে নিবে।

৪১, ৪২ এর জন্য লড়াই করতে হবে, তাও ভোট কেন্দ্রে বেশি উপস্থিতির চেষ্টা করতে হবে।

#৪৩,৪৪,৪৫= এগুলোরে কষ্টকর বটে আব্বাস সাহেবকে জিতিয়ে আনা, তবে চেষ্টার ক্রুটি করা যাবে নাহ, দেখা যাক এগুলোতে যাতে আমার ভবিষ্যৎ বানী বৃথা হয় সেই কামনা করি।

আমিন।

ব্যাক্তিক পর্যায় থেকে গবেষনা, কিছু ক্ষেত্রে পুর্বে অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যাক্তি, আবার ইন্টারনেট, এলাকা ভিত্তিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা, আশা করি যথেষ্ট যোগ্য তথ্য প্রদান ও করনীয় উল্লেখ করতে পেরেছি, তাও নিজেদের চোখে কিংবা সময়ের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিন, আমি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পক্ষে নই কিংবা ভোট নিয়ে খেলার পক্ষেও নই, কিন্তু রাষ্ট্রীয় অন্যায় যেখানে অহরহ তাই তার প্রতিকারও অন্যরকম, বলে নাহ? যেমন কুকুর তেমন মুগুর।

বানান কিংবা অন্যান্য ভুল ক্রুটি ক্ষমা করে দিবেন, অবশ্যই ভোট দিবেন, এটা আপনার অধীকার কারো ভয়ে নিজের অধীকার ত্যাগ করবেন নাহ, তাহলে আপনি কাপুরুষ।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File