যাযাবর ও যোদ্ধা একই বৃত্ত।

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ২৪ জুলাই, ২০১৫, ০৫:৩৮:১৫ বিকাল

আমরা সবাই জানি "যাযাবর" অর্থ কি? আর "যোদ্ধা" অর্থ কি?

প্রথমে যাযাবর নিয়ে কথা বলি, এর মানে হচ্ছে সহায়সম্বলহীন, যার কোন নিদিষ্ট স্থান নেই, নেই কোন ধন সম্পদ প্রভাব প্রতিপত্তি, নেই দুনিয়ার চাকচিক্য।

হ্যা এরকম যাযাবর একজন মুসলিমের হ্ওয়া উচিত। অবাক হচ্ছেন? হওয়ারই কথা, কারণ যদি যাযাবরই হব তাহলে আমাদের সম্পদ এর কি হবে? আমাদের দেশে তাবলীগ ভায়েরা খুব ভালো কথা বলে, তারা যাযাবরের বেশে চলার উপর বেশ গুরুত্ব দেয়, তারা বলে আপনি কার জন্য এত পেরেশান? আপনার স্ত্রী, আপনার পুত্র, আপনার কন্যা, মা-বাবা? লাভ নেই কারণ হাশরের মাঠে যখন আপনি একটি নেকীর জন্য জান্নাত যেতে পারছেন না, তখন আপনার স্ত্রীর কাছে যাাবেন, একটি নেকী ভিক্ষার জন্য, এই বলে, যে প্রীয়তমা স্ত্রী তোমার জন্য কত কষ্ট করেছি, তোমার সুখের জন্য পৃথিবীতে কতটা পেরেশানি ছিলাম, আর আজ একটা নেকীর কারনে জান্নাত যেতে পারি না, দয়া করে তোমার স্বামীকে একটা নেকী দা্ও। তখন স্ত্রী অস্বীকার করবে, বলবে আমার তো কোনদিন বিয়েই হয়নি, স্বামী আসল কোথা থেকে? এই বলে স্ত্রী, পুত্র,কন্যা অস্বীকার করবে, তাই আজ কার জন্য কামায় রোজগার করছেন, তারা কী দ্বীনের পথে আছে? তাবলীগ ভায়েরা চায় কোন ভাবেই যাতে দ্বীনের তুলনায় দুনিয়া বেশি না হয়। তাবলীগের ভায়েরা দুনিয়াকে এতটা ভুলে গেছে যে, কেউ আল্লাহর নবী ও আল্লাহকে গালাগালি করলেও এগুলো নিয়ে মাথা ঘামায় না বা প্রোয়জন মনে করে না।

তাবলীগ ভায়দের এই দিকটা খুব ভাল,তবে তার সাথে একজন যাযাবরের উচিত হবে প্রোয়জন অনুযায়ী দুনিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার প্রচেষ্টা করা। হ্যা প্রচেষ্টা, তবে আবার কাফের মুশরিকদের বানানো প্রচেষ্টা নয়। প্রচেষ্টা হবে সেটাই যেটা নবী সাঃ করে গেছেন। নবী সা: একদিকে ছিলেন সহায় সম্বলহীন, একদিকে ছিলেন বাদশা। নবী সাঃ এর মৃতুর পর কোন সম্পদ রেখে যান নি, রেখে গেছেন একটি তলোয়ার আর দ্বীন। আজকে আমাদের কেউ কেউ নবীর সাঃ এর যাযাবরের দিকটা পালন করেন ঠিকই কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোন খবরই নেই, আবার পক্ষান্তরে যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তারা আবার ইসলামটাকে এমন মডারেশন করেছে যে ইসলাম আর ইসলাম নেই।

সার কথা হচ্ছে আমাদের জীবন যাপন করতে হবে তাবলীগ ভায়দের (যাযাবরের) মত আর ইসলাম প্রতিষ্টার চেষ্টা করতে হবে সাহাবীদের মত। তাহলেই দুনিয়ার মায়া খেকে দুরে থাকতে পারবো আর ইসলামও প্রতিষ্টিত হবে। ইনশাআল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

২১৪০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331388
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আর মনে রাখতে হবে যে, বৈরাগ্য ইসলামে নেই৷ সব কিছুর মাঝে থেকেই ইসলাম কায়েম করতে হবে৷ কেয়ামতে যেমন বউ ছেলে মেয়ে নেকী দেবেনা তেমনই স্বামী বা বাপও বউ ছেলে মেয়েকে কোন নেকী দেবে না৷ আর এই ভেবে বৈরাগী হলে ইসলামে বিয়ের বিধান থাকত না৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:১৬
273707
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : দুটোর মাঝেই ইসলাম। আমি বৈরাগ্যর কথা বলিনি, বলেছি যাযাবর, যেটাতে স্ত্রী সন্তানও থাকে। আরো বলেছি যাযাবরের মত জীবন যাপন, মোট দুনিয়ার আধিক্য সেখানে থাকবে না। আর দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা তো থাকবেই সহীহ পন্থা্য়। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
332202
২৮ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:২৫
মুসলমান লিখেছেন : আজকে আমাদের কেউ কেউ নবীর সাঃ এর যাযাবরের দিকটা পালন করেন ঠিকই কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোন খবরই নেই, আবার পক্ষান্তরে যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তারা আবার ইসলামটাকে এমন মডারেশন করেছে যে ইসলাম আর ইসলাম নেই।

খাটি কথা।
২৮ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৬
274492
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File