আজ শুক্রবার কে কে রোজা নাই।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৭ জুলাই, ২০১৫, ০৫:১৪:১২ বিকাল
আমি রোজা নাই। যদিও সেহেরীতে খানা খেয়েছি, রোজা রাখার নিয়তে না। বেশ কয়কবছর যাবতই গোটা বিশ্বে এক দিনে ঈদ রোজা কুরবানী পালন করার চেষ্টা করতেছি। তবে একটা সমস্যায় পড়ি ঈদের জামাত আশে পাশে হয় না। তবে আমার স্ত্রী রোজা আছে, আমার স্ত্রীর সাথে জোড়াজোড়ি করিনি এজন্য যে, এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। তবে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে যদি কখনো পারি। কারন একটা মত কখনো কারো উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। আমার মনে হয় এবার ঈদে অনেকেই সেৌদির সাথে মিল রেখে রোজা ঈদ করছেন। একটা জিনিস ভালো লাগলো যে কোন রকম ঝামেলা ছাড়ায় মানুষেরা নিজ নিজেই বুঝে শুনে হিসাবটা মিলিয়ে নিচ্ছেন। এটা অন্তত মুসলিম বিশ্ব ঐক্য গড়ার একটা সুযোগ। এটা আমাদের কাজে লাগানো উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করনু। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৯ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ অনেক দেশের মুসলিমরা ঈদ করছেন । যেমন : সৌদি আরব । এই ব্যাপারটাকে অনেকে জ্যোর্তিবিজ্ঞানের বিভিন্ন উপাত্ত দিয়ে ভুল প্রমাণ করার বৃথা চেষ্টা করছেন । বাস্তবতা হলো আজ যেসব দেশ ঈদ করছেন তারা জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও পঞ্জিকা বিজ্ঞান অনুযায়ী সঠিক কাজ করছেন ।
নতুন চাঁদ দেখার জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কিত মানদন্ড স্হান অনুযায়ী পরিবর্তনশীল । উপরন্তু নতুন চাঁদ দেখার যে মানদন্ড আছে তা গড় হিসেবে মাত্র । উপরন্তু এসব মানদন্ড হিসেব করে পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার বানানো সম্ভব নয় । এজন্য জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দেশ ও স্হান অনুযায়ী মানদন্ড স্হির করে থাকেন । বাংলাদেশের সরকারী ক্যালেন্ডারগুলোতে এজাতীয় মানদন্ড রয়েছে । এতে দেখা যায় নতুন চাঁদের বয়স ১.৫ দিন বা ২ দিন হলেও হিজরী সনের তারিখ ১ তারিখ ধরা হয় না ।
এভাবে বিশ্বের সব দেশকে ক্যালেন্ডার বানানোর ক্ষেত্রে এভাবে অনেকগুলো মানদন্ড ব্যবহার করা হয় । নতুন চাদের বয়স ৯ ঘন্টা এমন নতুন চাদও খালি চোখে দেখা যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে । উপরন্ত খালি চোখে দেখার আগেই দুরবীন ব্যবহার করে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব । অনেক সময় যে এলাকায় খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব নয় , সেই এলাকায় দুরবীন দিয়ে দেখা সম্ভব । যেমন এই দুরবীন দিয়ে দেখা সম্ভব : http://bangladesh-astronomical-union.blogspot.com/2015/06/orbinar-203800-eq4-reflector-telescope.html ।
আমি বেশ কয়েক বছর আগে সৌদি আরবের টিভিতে ঈদের নতুন চাঁদ দেখার উপর লাইভ টক শা-র অনুষ্ঠানদেখেছি । সেই অনুষ্ঠানে দুরবীন ব্যবহার করে সরাসরি নতুন চাঁদ দেখানো হচ্ছিল । আর কীভাবে নতুন চাঁদ দেখতে হয় তাও বর্ণণা করা হচ্ছিল । এই অনুষ্ঠানের ভিডিওটা পরবর্তীতে শেয়ার করবো ।
দুরবীন বিভিন্ন ধরনের হয় - 1. আলোক দুরবীন :http://bangladesh-astronomical-union.blogspot.com/2015/06/orbinar-203800-eq4-reflector-telescope.html
2. রেডিও দুরবীন । যেমন : রাডারও এক ধরনের দুরবীন । অনেক দেশ চাদ দেখার জন্য রাডারও ব্যবহার করে । যেমন : তুরস্ক । আর এই ক্ষেত্রেও বিশেষ মানদন্ড স্হির করেছে ।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া,সিঙ্গাপুর দুরবীন ব্যবহার করে । ব্রুনাই করে না । এজন্য অনেক সময় এদেশ এক দিন পর ঈদ করে ।
রাসুল সা. - এর যুগে চশমা ছিল না , ঘড়ি ছিল না । যদি থাকতো এসব ব্যবহারের কথা হাদিসে থাকতো । তার মানে এই নয় এসব ব্যবহার করা যাবে না । আমরা ইসলাম প্রচার করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করি । ফেসবুক ব্যবহার করি । হাদিসে এসব ব্যবহার করার কথা নেই । তারপরও করি ।
আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরাও সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ইউরোপ,রাশিয়া,তুরস্কের মুসলিমদের মতো দুরবীন ব্যবহার করে নতুন চাঁদ দেখতে পারি এবং এসব দেশের মুসলিমদের সাথে একই বার ও তারিখে রোজা ও ঈদ করতে পারি । এব্যাপারে আমাদের দুরবীন ব্যবহার করা বৃদ্ধি করতে হবে ও সরকারকে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে । আলেম সমাজেকেও এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে ।
সৌদি আরব অত্যাচারী রাজতন্ত্র প্রচলিত । তাদের ধর্ম বিশ্বাস ওহাবী মতবাদ ।
এই দুইটা পরিবর্তন হলে আমি সৌদি আরব নিয়ে কিছুই লিখবো না ।
আর সৌদি আরব নামটা পরিবর্তন করে জাজিরাতুল আরব বা এজাতীয় কিছু রাখা উচিত । কারণ সৌদি আরব নামটাতে কুফরী ও শিরকী বিদ্যমান ।
আপনি সঠিক কাজ করছেন : হাদিসে স্পস্ট বলা আছে হজ্জ-এর পর দিন কুরবানী বা ঈদুল আজহা ।
সারা বিশ্বে কি দেশ অনুযায়ী ২-৩ টা জায়গায় হয় ? হজ্জ হয় মক্কা-মদীনায় । হজের ক্ষেত্রেই নয়, সর্বত্র মক্কা-মদীনার ক্যালেন্ডারকে গুরুত্ব দিতে হবে ।
কারণ আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বলেছেন :
বেএই সাধারণ জ্ঞানটুকু যার আছে তার উচিত হজের পরদিন কুরবানী ও ঈদুল আজহা করা ।
আমি ও আমরা এই বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সাথে প্রকাশ্যে বাহাস ও মুনাজারা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম । কিন্তু হীনস্বার্থের বশবর্তী হয়ে কিছু মুখচেনা লোক সারা দিচ্ছে না । এই ক্ষেত্রে সরকারের উর্ধ্বতন মহলকেই উদ্যোগ নিতে হবে । এজন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সাথে সম্পৃত্ত লোকদের ইসলামীকরণ করা জরুরী ।
NASA এর ওয়েব সাইট দিলাম।
http://www.nasa.gov
যাতে একই দিনে ঈদ করতে পারেন।
প্রতিটা মুসলমান দেশ রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত যারা ইসলামের চেয়ে দেশ হিসেবেই বেশী পরিচিত হতে চায় ।
দেশ যদি ব্যাপারটা পেট্রোনাইজ না করে তাহলে বিষয়টা নিয়ে মতভেদ চলতেই থাকবে ।
মুসলিম দেশগুলো কি পারে না এইসব ব্যাপারে নিজেদের সংগঠন ওআইসির মাধ্যমে একটা নিয়ম চালু করতে যে, সব মুসলিম দেশে এবং সকল দেশের মুসলমানেরা একই দিন রোজা ও ঈদ পালন করবে ? সেক্ষেত্রে কুরবানীর ঈদও তো সামনে চলে আসবে।
এসব মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় সবাই পশ্চিমা দেশ তথা ইহুদী-খৃষ্টান লবির সাথে যুক্ত তাদের ক্ষমতার জন্য ।
মুসলমানেরা যদি এক হয়ে তাদের উতসব গুলো একই দিনে পালন করে তাহলে বহুদিন ধরে চলে আসা ইহুদী-খৃষ্টান লবীদেরই সৃষ্টি মুসলমান-মুসলমান ভাইয়ে দ্বন্দ্ব নিরসন হতে শুরু করবে ।
এটা ইসলামের দুশমনেরা কখনও হতে দেবে না ।
তারা তাদের বশংবদ রাষ্ট্রপ্রধানদের দিয়ে তাদের চালবাজি চালু রাখার বন্দোবস্ত করবে ।
*********************************************************
আজকে রোজা ছিলাম - আল'হামদুলিল্লাহ ।
আগামীকাল ঈদ - ইন শা আল্লাহ ।
সবাইকে ঈদ মুবারক
বাংলাদেশের কর্ণধাররা রমজানের চাঁদ একদিন পরে দেখে আর ঈদের চাঁদ একদিন আগে দেখে ।
১৯৯৬ এ ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে এরকম একটা হাঁপানি দিয়েছিল দেশবাসীকে । রাত ১০টার পরে খবর আসে যে চাঁদ দেখা গেছে । ততক্ষনে অনেকেই তারাবীহ পড়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিল এবং সেহরীর জন্যও উঠেছিল ।
সকালে লোকজনকে ঈদের জামাতে যেতে দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে যায় ।
এখানে দেখুন একই দিনে ঈদ।
এখানে আল্লাহর রাসুল সা: গোটা মুসলিম উম্মাহকে বললেন, "তোমরা" চাঁদ দেখে রোজা রাখ ও চাঁদ দেখে ঈদ কর। এখানে কাউকে আলাদা করে বলা হয়নি, কোন দেশকে বা জাতীকে আলাদা করে বলা হয়নি। তাই হাদীস অনুযায়ী গোটা মুসলিম উম্মাহর কিছু মুসলিম (কাফের,ফাসেক,মোনাফেক,পথভ্রষ্ট নয়) যদি চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয় তাহলে সেটা গোটা উম্মাহর জন্য প্রোজয্য হবে।
যদি আপনি বলেন, না গোটা উম্মাহর জন্য প্রোজয্য হবে না,বরং নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখতে হবে। তাহলে আমি বলবো যে, সে কথা তো হাদীসে বলা হয়নি, যদি তর্কের খাতিরে আপনার কথাই ধরি, তাহলে তো আপনাকেও চাঁদ দেখতে হবে, আপনি বাংলাদেশেল হেলাল কমিটিকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আপনাকে নিজের চোখে চাঁদ দেখতে হবে। আর যদি আপনার দেশের হেলাল কমিটিকে বিশ্বাস করেন, তাহলে সৌদির হেলাল কমিটির কথা কেন আগ্যায্য করবেন? কারন চাঁদ তো পৃথিবীতে একবারই উঠে।
অনেক প্রশ্ন করবেন, সৌদির সাথেই যদি হয় তাহলে সৌদির সাথেই ইফতার করুন। এর উত্তরে বলি, আপনি কি ঢাকার সময়ের সাথে ইফতার করেন? যদি আপনার বাড়ী ঢাকার বাইরে হয় তাহলে ঢাকার টাইমের সাথে যোগ অথবা বিয়োগ করতে হবে। যেমন আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষেরা ঢাকার সময় থেকে ৮ মিনিট পর ইফতার করি, ভারত করে আধা ঘন্টা পর, পাকিস্তান করে দেড় ঘন্টা পর, আরবরা করে তিন ঘন্টার পর। আমরা বাংলাদেশর মানুষেরা যদি ৮/১০ মিনিটর পর ইফতার জাযেজ হয় তাহলে ঢাকার সময়ের সাথে সৌদির সময় তিন ঘন্টা পর হলে কি অযোক্তিক? মোট কথা সময় নির্ধারন হয় সূর্যের মাধ্যমে আর দিন নির্ধারন হয় চাঁদের মাধ্যমে, অতএব একই দিন, কিন্তু সময় যার যার মাথার উপর সূর্য অনুযায়ী। আগের দিনে একই তারিখে ঈদ করা সম্ভব ছিল না, কারণ মিডিয়া এতটা উন্নত ছিল না। তখন কেউ চাঁদ দেখলে একটা দ্রুতগামী ঘোড়া দিয়ে যতদুর সম্ভব ছড়িয়ে দিত, যতটুকু খবর ছড়াতে পারতো ততটুকু এক হুকুম্। আর যেটুকু ছড়াতে পারত না সেটুকু আলাদা হুকুম।আলাদা হুকুম এজন্য তারা চাঁদও দেখেনি আর অন্য কেউ চাঁদ দেখেছে এটা খবর পায়নি কিন্তু আজ কি এই সমস্যা আছে, এই যুগে ঘোড়া দিযে খবর ছড়ানো লাগে না, এক মিনিটেই গোটা দুনিয়ায় খবর পোছে যায়। তাহলে আর কার অপেক্ষা?
এটা একটা বুঝ, যার বুঝে আসবে সে মানবে আর যে বুঝে আসবে না সে তারটা নিযেই থাকবে। কাউকে জোর জবরদস্তি নয়, কোন ফিরকা নয়, কোন হানাহানি নয়। ধন্যবাদ ভালো থাকুন সবাই।
দেখুন আপনার বুঝে আসে কিনা? যদি না আসে আর কিছুদিন সময় নেন, ইনশাআল্লাহ বুঝে আসবে। ধন্যবাদ।
@ফকরুল , সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ উৎযাপনের জন্য নাসাকে প্রশ্ন করুন।
http://www.noaa.gov/ এত বড় বিজ্ঞ লোক বাংলাদেশে থাকা উচিৎ না। এই দুইটির যে কোন একটায় যোগদান করা উচিৎ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন