তোমরা যারা এই এস এর অন্ধ অনুসারী।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ২১ জুন, ২০১৫, ০৫:১০:১৪ বিকাল
আই এসের বিষয়ে কথা বলতে হলে তার আগে অবশ্য তাদের সর্ম্পকে জানতে হবে।হুট করে তাদের পেছনে পেছনে ছুটা অথবা তাদের বিরোধীতা করা ঠিক হবে না। তাই ২০০৩ সালে যখন মার্কিন ইরাক আক্রমনের পর মার্কিনিদের পক্ষ থেকে ইরাকীদের উপর নির্যাতন ও নিপিড়ীন, সাধারন জনগন অতিষ্ট হয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠে। মজলুমদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে সাবেক বার্থ পাটির সামরিক লোকদের সাথে করে মার্কিনিদের উপর আক্রমন পরিচালনা করে। এ পর্যায়ে আল কায়দা সেখানে একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করে, যার প্রাথমিক নাম ছিল “আল কায়দা ইন ইরাক”/ “আনসার আল সুন্না” আবার কেউ বলে থাকেন এর নাম ছিলা আত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ নামে ।যাই হোক আর কায়দা ইন ইরাক লোকদের দাওয়াত ও জিহাদের দিকে আহবান করে। আর কায়দা ইন ইরাক অনেকটা সফল হয় আরো যে কারনে মুজলুমদের প্রতিশোধ নিতে সহায়তা করায়। আল কায়দা ইন ইরাক এর আমির নির্ধারিত হয় আবু মুসআর আর জারকাভি। যিনি জর্ডানের নাগরিক। আবু মুসআব আর জারকাভির নেতৃত্বে আল কায়দা ইন ইরাক মার্কিনিদের ঘুম হারাম করে দেয়। মিডিয়াতে উঠে আসে আবু মুসআব আল জারকাভি নামে এক আল কায়দা সন্ত্রীর নাম। আবু মুসাব আল জারকাভি মাঝে মাঝে অডিও ভিডিও বার্তা প্রকাশ করতো তাতে মার্কিনি ও তার দোসরেদের প্রতি হুমকি ও আল কায়দা ও আমীরুল মুমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতেন। এ পর্যায়ে মার্কিনিরা আবু মুসআর আল জারকাভিকে অনেক ভাবে হত্যা প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু শেষ মেষ ২০০৬ সালে আমেরিকান বিমান হামলায় আবু মুসাব আল জারকাভি শাহাদাত বরণ করেন। সূত্র-
আবু মুসআর আর জারকাভির মুতুতে আমেরিকা মনে করে আর কায়দা ইন ইরাক দুর্বল অথবা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু না বরং মানুষের প্রতিহীংসার দাবানাল দাউ দাউ করে ছড়াতে লাগলো এবং আনসার আল সুন্না/আল কায়দা ইন ইরাক এর দায়িত্ব নিলেন আবু হামজা/আইয়ুব আল মিশরী নামে এক দুধর্ষ কমান্ডার। এই কমান্ডার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরেই মার্কিনীদের উপর প্রচন্ড আক্রমন শুরু হয়। মার্কিনীদের আক্রমনের শিকার হয় এই দুধর্ষ কমান্ডারও শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে ইরাকের তিরকিত শহরে শাহাদাত বরণ করে। যদিও আব হামজা/আইয়ুব আর মিশরী মুতৃ সর্ম্পকে আরো কযেকটার গুজব হয়েছে।
আবু হামজা/আইয়ুব আল মিশরী ২০১০ শাহাদাত বরনের পর আবু উমর আল বাদদাদী নামে আরো একজন কমান্ডার আল কায়দা ইন ইরাকের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু আবু উমর আল বাগদাদী ২০১০ সালের শেষের দিকে শত্রু হামলায় শাহাদাত বরণ করেন। মোটামুটি নেতৃর্ত পর্যায়ের লোকগুলো শাহাদাত বরণ করায় সেই মহুর্তে আবু বকর আল বাগদাদী (বর্তমান দাবীকৃত খলিফা) মার্কিন কারাগার থেকে মুক্ত হয় এবং আল কায়দা ইন ইরাকের দায়িত্ব নেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর সে দলের নাম পরিবর্তন করে “ইসলামী ষ্টেট অব ইরাক” রাখে এবং আমীরুল মুমেনীন বলে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে। যদিও আল কায়দা ও আমীরুল মুমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমরকে রহ: এর অনুগত্য প্রকাশ করতো। ২০১২ সালে সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে কথিত ইসলামী ষ্টেট অব ইরাক আবারো নাম পরিবর্তন করে, নতুন নাম দেয় ইসলামী ষ্টেট অব ইরাক এন্ড শাম (ISIL) অপর দিকে আবু বকর আল বাদগাদী নিজেকে আমীরুল মোমেনীন বলে দাবী করে।সিরিয়া বাসার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম কাতারের বিরোধী যোদ্ধা ইউনিট হিসেবে প্রকাশ পায়(ISIL) । সিরিয়ার রাক্কায় শক্তিশালী ঘাটি স্থাপন করে এবং ইসলামী বিধান কার্যকর করা শুরু করে দেয়। এ নিযে সিরিয়া আল কায়দা শাখা নুসরাহ ফ্রন্টসহ আল কায়দায় নেতৃবৃন্দ এসব কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে।
আইএসআইএল এর বক্তব্য- আমরা যুদ্ধ জয়ী হয়েছি আল্লাহ আমাদের ক্ষমতা দিয়েছেন তাই আমরা ইসলাম বিধান কার্যকর করব। এরকম ইসলামী বিধান কার্যকরে যারা বিরোধীতা করবে তারা আমাদের বন্ধু নয়।
সিরিয়া সরকার বিরোধী গ্রপ সমূহ জোটভুক্ত হয়ে লড়ায় চালাচ্ছে, কিন্তু আইএসআইএল এই জোটভুক্ত তো হয়নি বরং তারা নুসরাহ ফ্রন্টকে জোট ত্যাগ করে আইএসআইএল এর অনুগত করতে আহ্বান জানায়। এ কারনে যে তারা (ইসলামী হক্বপন্থি দল) কিভাবে গণতন্ত্রপন্থি ও উদারপন্থিদের সাথেদের সাথে জোটভুক্ত হতে পারে? তাই সিরিয়া আলকায়দা ও ইরাক আল কায়দা এর মধ্যে টানা পড়ন শুরু হয়, তখনও লড়ায় পর্যন্ত গড়ায়নি।
সিরিয়া আল কায়দা শাখা নুসরাহ ফ্রন্টের বক্তব্য, তোমরা হচ্ছ ইরাকী শাখা তোমরা আমাদের সাহায্য করতে এসেছো, আমাদের নেতৃত্বে আমাদেরকে সাহায্য কর, কিন্তু সিরিয়াতে আলাদা দল তৈরি করতে পার না।দুই দুলেই এ বিষয় মিমাংসা করা জন্য তৃতীয় পক্ষ আয়োজন করা হয়।তৃতীয় পক্ষ আইএসআইএলকে বলে হয় তোমরা ইরাকে ফিরে যাও, রায় নুসরাহ ফ্রন্টর পক্ষে হলে আইএসআইএল তা প্রচন্ডভাবে প্রত্যাক্ষান করে এবং ইরাকে ফিরে যেতে সরাসরি অস্বীকার করা সহ আল কায়দা নেতৃবৃন্দের উপর আনুগত্য স্পষ্টভাবে প্রত্যাহার করে।
এখন আসি যে কারনে আই এসের সাথে আল কায়দার টানাপড়ন। ইতিপূর্বেই বলেছি আই এস (বর্তমান নাম) ইসলামী বিধান সমূহ কার্যকর করা শুরু করে। এই মুহুর্তে যে লোকগুলোর উপর শরিয়া কার্যকর করছে, তা বৈধ নয়। কারণ, ইসলামী বিধান কার্যকর করার জন্য পূর্বে কিছু কাজ প্রোয়জন। একজন মানুষকে সম্পূন্নভাবে খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে হবে, অতপর সে আর চুরি করতে যাবে না, যখন একজন মানুষের খাদ্যের স্বয়ংসম্পূন্নতা থাকবে সে বিয়ে করবে, জিনা করবে না। তাকে দ্বীন শিক্ষা দিতে হবে যাতে সে চুরি বা যেনা করতে না পারে, আরো নিরাপত্তা দিতে হবে জীবনের যাতে সে বহি:শক্তি দ্বারা আক্রান্ত না হয়।
এরপর একজন মানুষকে খাদ্যের নিরাপত্তা,বিয়ের নিরাপত্তা, জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার পরেও যে চুরি করবে , সে হাত হারাবে, এর পরেও যে যেনা করবে সে জীবন হারাবে। মোটকথা আপনি শরিয়া কার্যকর করতে পারবেন তখনই যথন জনগণকে এইগুলো দিতে পারবেন। কিন্তু আই এস কি তা সেটা দিতে পেরেছে?
মার্কিন দোসররা প্রতিনিয়ত তাদের উপর বোমা হামলা করে হত্যা করছে, মানুষগুলো খাদ্যের জন্য মারা যাচ্ছে আর আপনি এই অসহায় লোকগুলোকে চুরি অপরাধে হাত কেটে ফেলছেন এটা কি বোকামি নয়? অন্তত খাদ্য ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া জরুরী। সিরিয়া সরকার,মার্কিন, ইরাক সরকার এর হাতে আপনার খেলাফতের এলাকার কত মানুষ প্রতিদিন নিহত হচ্ছে? মানুষ তো হিজরত করবে দ্বীন ও জীবন হেফাজত করার জন্য, কিন্তা তারা সেখানে জীবন নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত থাকতে হয় তাহলে সেটা কিসের খেলাফত? খেলাফত তো ছিল সেটাই যেখানে কোন মুসলিম বোনের চাদর টেনে ধরলে হাত কেটে ফেলা হত। আই এস যদি এই টুকুই করতে না পারে, তাহলে শরিয়া কার্যকর করার অধিকারটুকু কিভাবে রাখবে?
আই এস যখন ২০১৪ সালে জুনে ফালুজা ও সামরা শহর দখল নিল তখন আল্লাহর কাছে কতবার যে শুক্রিয়া জ্ঞাপন করেছি তা লিখে বুঝাতে পারবো না। এ বিজয় মুসলিমদের বিজয়, এই বিজয় ইসলামের বিজয়। মোনাফেকরা ছাড়া কেউ এ বিজয়ে নাখোশ হয়নি। কিন্ত এ আনন্দ বেশিদিন টিকে থাকে নি। যখন শুনলাম আইএস খেলাফত ঘোষনা করতে যাচ্ছে। আশ্চর্য মুসলিমদের একজন খলিফা আছে, অথচ আরেকজন খেলাফতের এলান দিচ্ছে, এটা এলান নয় এটা ভয়ংকর বিপদের ঘটঘটা।
সর্বশেষ তুরষ্কে উসমানীয় খেলাফত ধ্বংস হবার পর জিহাদ বিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। তখন পৃথিবীর মিডিয়া এতটা উন্নত ছিল না, তাই জিহাদীরা ঐক্য গড়ে তুলতে পারেনি অথবা তাদের খবরগুলো অন্য মুসলিমদের কাছে পৌছানো সম্বব হয়নি । কিন্তু জিহাদ চলেছে, কাশ্মির, চেচনিয়া, বসনিয়া, বার্মা, নাম না জানা আরো অনেক ভু_খন্ডে বিচ্ছিন্নভাবে জিহাদ জারী ছিল। জিহাদের অবস্থা যখন এরুপ ছিল, তখন আমিরুল মোমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমর রহ: জীহাদের ঝান্ডাকে উচ্চে তুলে ধরে জীহাদের ডাক দিলেন। পৃথিবীর মানুষেরা সুযোগ পেল এক হওয়ার আরব, আফ্রিকা, এশিয়া পশ্চিমা দেশ থেকে শত শত মুজাহিদ জিহাদের জন্য আফগানে ছুটে গেলেন।যখন আরবরা আফগানীদের সহ অন্যান্য ননআরবদের চলাফেলা ইসলামী ভাবভংগিমা দেখলেন তারা কিছুটা হচকতিহ হলেন, যে তোমরা জিহাদ করছ আবার তামাক খাচ্ছ, টাখনুর নিচে কাপড়? তখন আরবরা তাদের সত্য ইসলামের দাওয়াত দিল, অনারবরা তাদের ভুল বুঝতে পারল এবং সত্য ইসলাম মেনে নিল। আমিরুল মোমেনীন মোল্লাম মোহাম্মদ উমর রহ: ও তেমন একটা দক্ষ ছিলেন না, তারপরেও আরব বিজ্ঞ লোকেরা মোল্লা মোহাম্মদ উমরের আনুগত্য স্বীকার করে নিলেন, তারা প্রমান করলেন মুসলিমরা কখনো ক্ষমতার ও নেতৃত্বের মোহগ্রস্থ হয় না। তারা প্রমান করলেন মুসলিমরা কখনো ইসলামের বিপরীতের চলতে পারে না। কারন-
মোল্লা মোহাম্মদ উমরকে কেউ দায়িত্ব দেয়নি বরং এই বিচ্ছিন্ন জিহাদকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছে উনিই প্রথম। যদি মোল্লা মোহাম্মদ উমরের আগে কেউ জিহাদ ও খেলাফতের ডাক দিতেন তবে মোল্লা মোহাম্মদ উমরের নতুন করে জিহাদ ও খেলাফতের ডাক দেয়া হত অবৈধ। এজন্য শায়েখ আব্দুল্লাহ আজজম থেকে শুরু করে শায়েখ ওসামা বিন লাদেন রহ: সহ আরো শত শত আরব আলালের ঘরের দুলাল আমীরুল মোমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমর এর ডাকে সাড়া দিয়ে আফগান জিহাদে সাধারণ আফগানদের সাথে গুহায় থেকে জিহাদ করেছেন।
দীর্ঘ সতের বছর পর রাশিয়ার সাথৈ যুদ্ধ করে তালিবানরা বিজয় হলে তালেবান মুজাহীদরা পায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তালিবনরা সেই রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন এতদিন বুনেছিলেন তা আজ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে তারা ইসলাম কায়েম করতে যাচ্ছে। আমিরুল মোমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমরের নেতৃত্বে সবাই এক কাতারে শামিল, কেউ ক্ষমতার মোহগ্রস্থ নয়। এই ছোট্ট ইসলামী রাষ্ট্রের একজন খলিফা মোল্লা মোহাম্মদ উমর রহ:। সব কমান্ডাররা খলিফাকে বায়তায় দিলেন, বাইয়াত দিলেন আমীরুল মোমেনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমরের থেকে বহু শত গুণ কমান্ডার ও আল কায়দা প্রধান শায়েখ ওসামা বিন লাদেন। শায়েখ ওসামা বিন লাদেন শুধু লাদেন ছিলেন না তিনি ছিলেন খলিফা তৈরি করার শিক্ষকও বটে। সেই শিক্ষক ছাত্রের সমতুল্য মোল্লা মোহাম্মদ উমর রহ: কে আমিরুল মোমিনিন হিসেবে বাইয়াত দিলেন। এটা কেন? এটা শুধুমাত্র ইসলামীক মানসিকতার জন্য। শায়েখ ওসামা বিন লাদেন চাইলেন আমিরুল মোমেনিন মোল্লা উমরের নেতৃত্বে জিহাদকে গোটা বিশ্বকে ছড়িয়ে দিতে। ইয়েমেনে প্রতিষ্টা করলেন “আল কায়দা ইন এরাবিয়ান পেনিনসুলা” ইরাকে প্রতিষ্ঠা করলেন “আল কায়দা ইন ইরাক” সোমলিয়ায় প্রতিষ্ঠা করলেন “আল শাবাব” মালীতে প্রতিষ্ঠা করলেন ”আনসার আদ্ব দ্বীন” পাকিস্তানে প্র্রতিষ্ঠা করলেন “তহরিক এ তালেবান” এভাবে গোটা বিশ্বে জিহাদের দাওয়াত ছড়িয়ে দিলেন। এসময় আফগান যুদ্ধের কিছু কারনগুলো উল্লেখ করি। টুইন টাওয়ার আক্রমনের পর আমেরিকা নিশ্চিতভাবে মনে করে এ আক্রমন শুধুমাত্র ওসামা বিন লাদেনের দ্বারাই সম্ভব।
এজন্য আমেরিকা তালেবানদের হুমকি প্রদান করে এই বলে যে, তোমরা ওসামা বিন লাদেনকে আমাদের হাতে তুলে দাও নতুবা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।
আল্লাহু আকবার, আমিরুল মোমেনিন মোল্লা মোহাম্মদ উমর হুংকার ছেড়ে বললেন, আমরা একজন মুসলিমকে উদ্ধার উদ্ধার করার জন্য গোটা মুসলিম বিশ্ব জীবন দিতে পারি, অথচ আমরা একজন স্বাধীন খেলাফত রাষ্ট্রের একজন মুসলিমকে একজন কাফের মুশরিকের হাতে তুলে দিব? ওসামাকে তোমাদের হাতে তুলে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এতে একজন ওসামার জন্য যদি আমি সহ গোটা আফগান মুজাহিদদের শাহাদাত বরণ করতে হয় তবুও না।
আমিরুল মোমেনিন মোল্লা উমরের এ অগ্নিঝরা বক্তব্য শুনে মার্কিনিরা আর ধৈর্য্য ধরতে পারলেন না, আফগান মুজাহিদদের উপর আক্রমন শুরু করলেন। এতে সহায়তা করলেন প্রতিবেশী মুরতাদ শাষকগুলো। মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য তাদের রানওয়েগুলো উন্মুক্ত করে দিলেন। মার্কিনসহ ৪৫ টা দেশে ন্যাটো শক্তিকে নিয়ে তালেবান মুজাহিদদের পরাজিত করলেন।
আফগানদের সাময়িক পরাজিত করলেন ঠিকই, কিন্তু এটা হলো কেচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ার মত।এতে করে জীহাদীরা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেন।
মুসলিম প্রতিরোধ শক্তি এক হওয়ার চেষ্টা করলেন, আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা সফলও হলেন, ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে বাধ্য হলেন, আফগান থেকেও সৈন্য প্রত্যাহার করলেন। মার্কিন ও ব্রিটেনএর অর্থনৈতি অবস্থা এমন হলে যে কোটি কোটি ডলার ক্ষতি করে রণতরী বিক্রী করতে বাধ্য হচ্ছে কুফফার সরকার গুলো। ইরাকের মার্কিন সৈন্য পাঠাতে ভয় পাচ্ছে, আফগান থেকে বাকী সৈন্য টেনে নেওয়ার পায়তারা করছে। এ যেন এক উভয় সংকট, না পারছে ছেড়ে আসতে না পারছে কিছু অর্জন করতে। মার্কিনীদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন যে নতুন করে কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করার সাহস পাচ্ছে না। মার্কিনীদের সামনে রাশিয়া লম্ফঝম্ফ করছে কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। ধসের প্রধান কারন হচ্ছে ইরাক,আফগানিস্থান দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ পরিচালনা করা।
মার্কিন কুফফারদের অবস্থা যখন এরুপ তখন মুজাহিদদের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করতে আইএসআইএল সৃষ্টি করতে পারে অথবা কোরআন হাদীসের গভীর জ্ঞান না থাকার কারনেও হতে পারে। এটা স্বাভাবিক যে আবু বকর আল বাগদাদী জেনারেল শিক্ষীত। কারন একজন সত্যিকার ইসলামী আলেম কখনো শুধু মাত্র নিজের মতের উপর ভিত্তি করে আলাদা দল তৈরি করতে পারে না। আর দল তৈরি হবে সেটা আল্লাহর রাসুল সা: তার জীবদ্দশায় বলে গেছেন। এবং সে সময় কি করা উচিত সেটাও বেলে গেছেন-
তিনি বলেছেন, জেনে রাখ তোমরা বিভিন্ন সেনাদলে বিভক্ত হবে একটা সেনাদল সামে লড়ায় করবে,একটা ইরাকে, এবং আরেকটা ইয়ামেনে লড়ায় করবে, আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালা সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন. এই তিনটা বাহিনী আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করবে, একটা শামে ,একটা ইরাকে, একটা ইয়ামেনে , আপনি আমার জন্য কোনটা নির্বাচন করছেন? রাসুল সা: বললেন, তুমি শাম দেশের বাহিনীর সাথে যুক্ত হবে। সুনানে আবি দাউদ-২৪৮৫, ইবনে হাব্বান-৭৩০৬, মুসনাদে আহম্মদ- ২০৩৬৯,
রাসুল সা: বলেছেন, পূর্বদিক থেকে মহীহ দাজ্জাল বের হবে, উদ্দেশ্য হবে মদীনায় প্রবেশ করা, এমনকি উহুদের পাদদেশ পর্যন্ত পৌছে যাবে, এরপরে আল্লাহর ফেরেস্তারা তাকে শাম দেশের দিকে ফিরিয়ে দিবে, এবং সেখানে গিয়ে দাজ্জাল নিহত হবে। সহীহ মসলিম-৩৪১৭, তিরমিযি-২২৪৩
রাসুল সা: বলেছেন, অচিরের তোমাদের সামনে শাম বিজয় হবে যখন তোমরা সেখানে অবস্থান করা পছন্দ করবে সেখানে তোমরা যাবে তখন তোমরা ঐ স্থানটা নির্বাচন কর, যেটাকে দামেস্ক বলা হয়। এটাই তোমাদের যুদ্ধ বিগ্রহের সময় অবতরনের/আশ্রয় নেয়ার নিরাপদ দূর্গ। মুসনাদের আহম্মদ- ১৭৫০৫, মেশকাত-৬২৬৯
রাসুল সা: বলেছেন, শাম দেশের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে দামেস্ক। সহীস সুনানে আবি দাউদ-৪২৯৮, মেশকাত-৬২৫২, মুসনাদে আহম্মদ-২১৭৭৩।
রাসুল সা: বলেছেন, শামবাসি হচ্ছে আল্লাহর জীমনে আল্লার কড়া/লাঠি/চাবুক, আল্লাহর যার থেকে ইচ্ছা তাদের (শামবাসির) মাধ্যমে প্রতিশোধ নিবেন, সেখানে মোনফিকরা কখনো মুমিনদের উপর বিজয় হতে পারবে না সেখানকার মোনাফেকরা দুশ্চিন্তা, ভয়, এবং শেষপর্যন্ত কাপুরুষরা ভূগে মারা যাবে। মুসনাদে আহাম্মদ- ১৬১০৯,
আমরা রাসুল সা: এর হাদীস থেকে বুঝতে পারছি শাম হচ্ছে মুসলিমদের নিরাপদ স্থল এবং দাজ্জাল নিহত হওয়ার স্থল। এবং আরো জানতে পারছি যে যখন আমাদের মুসলিম সেনাদল তিনটা দলে ভাগ হবে তখন আমাদেরকে শাম এর সেনাদলের সাথে যুক্ত হওয়ার তাগিত দিয়েছেন।
এখন আমরা ষ্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি মুসলিম সেনাদল সমূহ তিনের অধিক দলে ভাগ হযে গেছে। অধিকগুলো বাদই দিলাম, যদি শাম, ইরাক, ও ইয়ামেনের বাহিনীগুলো নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে দেখতে পাব যে আমাদেকে শাম বাহিনীর সাথেই যুক্ত হতে হবে। হাদীসগুলো থেকে আমরা আরো জানতে পারি যে, শামবাসিই হচ্ছে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর কড়াস্বরুপ। তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ যাদের থেকে ইচ্ছা প্রতিশোধ নিবেন।
আরো একটা গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট যে, ইরাক শামের অর্ন্তভুক্ত না, যদি অর্ন্তভুক্ত হত তাহলে ইরাকের নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করা হত না। তাই আমরা দেখতে পায় যে ইসলামীক ষ্টেট সিরিয়ার যে এলাকাটি নিয়ন্ত্রন করছে সেটা তুরস্ক এবং ইরাক সীমান্তবর্তী, যা দামেস্ক থেকে বেশ দুরে এবং শেষ সীমান্ত, আর আল কায়দা সিরিয়া শাখা নুসরাহ ফ্রন্ট যে এলাকাগুলো দখল করছে তা রাজধানী দামেস্ক ঘেসা। আর আল কায়দা সিরিয়া শাখা নুসরাহ ফ্রন্ট ইসলামী ষ্টেট এর বিরোধী এবং মাঝে মাঝে লড়ায় চলছেও। তাহলে হাদীসগুলো অনুযায়ী কারা সত্যিকার ইসলামপন্থি এবং কারা বিজয় লাভ করবে হাদীস অনুযায়ী? সেটাই ভেবে দেখা উচিত।
ইসলামী ষ্টেট সবথেকে যে বিপর্যয় মূলক কাজটি করেছে সেটা হচ্ছে খলিফা থাকাকালীন অবস্থায় নতুন খেলাফত ঘোষনা করা। যা সম্পূন্ন অবৈধ এবং ইসলাম বিদ্বেসী কাজ। ইসলামী ষ্টেট কোন যুক্তিতে খেলাফত ঘোষনা করেছে? ইসলামী ষ্টেট যদি পূর্বের খলিফাকে খলিফা মনে না করে , তাহলে তারা পূর্বে কার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল, কার নেতৃত্বে আল কায়দা ইন ইরাক সংগঠিত হয়েছিল? পূর্বের আমিরগণ (আল কায়দা ইন ইরাক) কার নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল? তাই অন্তত পূর্বের আমীরগণের অনুসরণ করা উচিত ছিল, যার মাধ্যমে ইসলাম এবং জিহাদ উজ্জিবীত হয়েছে, যার মাধ্যমে এই পথ চিনতে পেরেছে, আর শেষ পর্যন্ত সেই লোকগুলোকেই অস্বীকার, এটা কি বিদ্রোহ নয়?
সবশেষ বলি আই এসের পিছনে অন্ধের মত না ছুটে কোরআন হাদীসের জ্ঞান অর্জন করে অন্তত এই হাদীসটির অনুসরন করার চেষ্টা করি।
তিনি বলেছেন, জেনে রাখ তোমরা বিভিন্ন সেনাদলে বিভক্ত হবে একটা সেনাদল সামের দিকে লড়ায় করবে,একটা ইরাকে, এবং আরেকটা ইয়ামেনে লড়ায করবে, আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালা সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন. এই তিনটা বাহিনী আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করবে, একটা শামে ,একটা ইরাকে, একটা ইয়ামেনে , আপনি আমার জন্য কোনটা নির্বাচন করছেন? রাসুল সা: বললেন, তুমি শাম দেশের বাহিনীর সাথে যুক্ত হবে। সুনানে আবি দাউদ-২৪৮৫, ইবনে হাব্বান-৭৩০৬, মুসনাদে আহম্মদ- ২০৩৬৯,
মনে করুন, মসজিদে মানুষেরা নিজে সালাত আদায় করছে, এমন সময় একজন মানুষ জোরে একামত দিয়ে নামাজ শুরু করছে, তখন আপনি কি করবেন? নিশ্চয় আপনি তার সাথে জামাতবন্ধ হয়ে নামাজ আদায় করবেন। আপনি তাই করলেন, এবং মানুষেরাও তাই করলেন, জামাত চলতেছে, এমতাবস্থায় আরেকজন ব্যাক্তি জোরে জোরে একামত দিয়ে নামাজ শুরু করে দিযেছে। তাহলে বিষয়টি কি দাড়ালো? পরর্বতীতে যে ব্যাক্তি নতুন জামাত শুরু করার চেষ্টা করছে তার উচিত ছিল প্রথম জামাআতে শামিল হওয়া, বরং সে তো জামাতে শামিল হয়নি বরং নতুন জামাত করছে। এতে তার সালাত তো হবেই না বরং ফিতনাকারীর শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
ঠিক তদ্রুত কথিত আবু বকর আল বাগদাদীর খেলাফতের অবস্থা। অতএব সাবধান! না বুঝে এসব থেকে বিরত থাকা উত্তম। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝার তাওফীক দান করুন আমীন।
আইএস সর্ম্পকে আরো অনেক কথা বলার ছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে বলা হচ্ছে না, হয়তবা একটা বইয়ের আকার ধারন করবে যদি লেখা যায়। এই লেখাটুকু লেখার জন্য প্রায় পনেরো দিন সময় ব্যায় করতে হলো। তারপরেও লেখাগুলো সাজিয়ে লিখতে পারলাম না, সবগুলো লিংকও দেয়া সম্ভব হলো না। ভাষাগুলো উচ্চমানের হয়নি। খুব চেষ্টা করেছি মূল বিষয় ফুটিয়ে তুলতে। তারপরেও যদি কারো প্রশ্ন থাকে কেমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারে, উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
৪১০৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
(সংকলিত) একজন ব্লগ বন্ধুর কাছ থেকে..
অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধে আমেরিকা, সারা বিশ্ব থেকে লোক সংগ্রহ
করে, এক্ষেএে আলকায়দাও আমেরিকা সৃষ্টি করেছিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লাগিয়েছে ৮০ দশকে। আই এস আাই আমেরিকা সৃষ্টি করেছে। ব্যবহার করতে চেয়েছে,আসাদের বিরুদ্ধে। NY Times এ । আই এস আাই এ, গার্ডিয়ান কাউন্সিল এর লেয়ার প্রকাশ করে ছিল। আবু বকর আল বাগদাদী এর প্রধান। এনি ওয়ে, নুসরাহ ফ্রন্ট আইএসআইএল মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এতে ১০০ উপরে নিহত হয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে। সারা বিশ্বে আলকায়েদা দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। নিজের মর্ধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে, গাজায়,পাকিস্হানে, আফগানিস্থানে।
লিখা পড়ে আমার মনে হল, আপনি অনেক কষ্ট করে লিখাটি লিখেছেন ও সাজিয়েছেন। হয়তো উম্মাহর উপকারের জন্য ভাল নিয়তে।
কিন্তু দূর্ভাগ্য হল যে, এ লিখার জন্য সোর্স বা ভিত্তি হিসাবে আপনি অনলাইন ও অফলাইনের যে তথ্যভান্ডার ব্যবহার করেছেন বলে আপনি ভাবছেন - তার পুরোটাই মূলতঃ আপনার জন্য সাজিয়ে দিয়েছেন এবং দিয়ে চলেছেন ওয়েল পেইড হলিউডি পরিচালক রা - যারা শুধু দিনকে রাত, আর রাতকে দিন বলে মিডিয়ার মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে শুধু বোকা ই বানায় না, সে সাথে এনস্লেইভ ও করে ফেলেছে। কিন্তু বোকার রাজত্বে বাস করা আমরা মানুষরা দাসানুদাস হয়েও ভাবছি ফ্রী - ঠিক যেমন করে তারা আমাদেরকে ফ্রীডম এর ডুগডুগি খাইয়ে চলেছে।
আপনি ক্রিটিক চোখে আই সিস এর দিকে তাকান, আই সিস এর এ্যাকশান এর দিকে তাকান, আই সিস এর উপস্থিতি ও আত্মপ্রকাশের দিকে তাকান - নিজের মাথাকে কাজ করেন, প্রশ্ন করেন এবং সম্ভাব্য উত্তর ফ্যাক্টস ও ফিগারের আলোকে বোঝার চেষ্টা করেন - দেখবেন আপনার পুরো লিখাটিই অন্য রকম হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ পরিশ্রমের জন্য। আশা করি আপনার লিখার জন্য কোন ভাই কিংবা বোনের মতি ভ্রম হবেনা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্য জানার, বোঝার ও বিচার করার শক্তি দিন।
দয়া করে ইভেন্ট সমূহ মনে করুন এবং চোখ ও হার্টের চোখ ব্যবহার করে জাস্টিফাই করুনঃ
১। ইরাকের স্টেন্ট্রাল ব্যাংকের রিজার্ভের নামে কারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার - সুন্নি অধ্যুষিত ফালুজার কমার্শিয়াল ব্যাংকে সরিয়েছে?
২। ২০০৩ পরবর্তী সময়ে হতে বছর প্রতি যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক হালকা, মাঝারি ও ভারী অস্ত্র ইরাকের আর্মির কাছে বিক্রি হয়েছে - সে অস্ত্র সহ তথাকথিত কর্নেল, ব্রিগেডিয়াররা (না কি সিআইএর পে রোলে থাকা অফিসার রা) কি কারনে সুন্নি অধ্যুষিত ফালুজা ও ইরাকের পশ্চিমে নিয়েছিল? এবং তথাকথিত আই সিস এসেছে এবং তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে - এই গল্প প্রথম সুযোগে সিএনএন, আলজাজিরার কাছে বলে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় পালালো কেন?
৩। আর পালানোর পর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে আই এস আই এল, হালে পানি না পেয়ে আই এস আই এস এবং তারপর ঘোমটা খুলে ইসলামিক স্টেইট ব্রান্ডিং করে দুটো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রচারনা করে যাচ্ছে। একদিকে পশ্চিমা অর্ডিনারী মানুষদের - যাদের লিটারেলী ঘিলু-ছাড়া-স্লেইভ এর ন্যায় জীবন যাপনে (খাওয়া দাওয়া, ঘুম, কাজ ও ভোগ) জুজুর ভয়ে ভীত করতে আর অন্যদিকে আলজাজিরাকে দিয়ে - ধর্মে উদাসীন, আধা ধার্মিক, আধা শিক্ষিত (হয় কোরান হাদীস নয়তো স্যেকুলার) মুসলমানদের চুড়ান্ত রকমের নীলডাউন করাতে।
৪। মনে করুন আই এস এর প্রতিটি ভিডিও পোস্টিং। চমৎকার ড্রেস আপ, গেট আপ, পোজ এবং তারপর শর্ট ও শুটিং এবং সে নিমিত্তে সর্বোচ্চ হরর সৃষ্টির মেকানিজম। হলিউড ও বলিউডের হরর মুভির কয়েকটি দেখলে আপনি একটা সেন্স পাবেন হয়তো।
৫। এ পয্যন্ত হলিউডের, লন্ডনের ও অস্ট্রেলিয়ার যত এ্যক্টর, এক্স সোলজার, এক্স পাস্টর ইত্যাদিকে ইরাকের কুর্দি ও ভাড়া করা যোদ্ধার সাথে পাওয়া গেছে - আই এসের বিরুদ্ধে তথাকথিত যুদ্ধরত অবস্থায় - তাদের সাক্ষাতকার গুলো পড়ুন এবং রিয়ালাইজ করুন।
৬। সিডনীর আই এসের পতাকাধারী রেস্টুরেন্ট এ জিম্মিকারী, ফ্রান্সের চার্লি হবডো, ডেনমার্ক এর সিনাগগ হত্যার কাহিনীগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
৭। লিবিয়ার বেনগাজীর তথাকথিত মুজাহিদ এর ট্রেনিং ও অস্ত্র এর উৎসের কথা জানার চেষ্টা করুন, সেই মুজাহিদদের কতপারসেন্ট এখন আই এসের তথাকথিত ইসলামিক স্টেইট এ -তা বের করুন।
৮। এমনি অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুজলে আপনি হয়তো ওখানে ইসলামের ভগ্নাংশ ও খুজে পাবেন না।
৯। ইউটিউভ ভিডিও আপলোডিং, সার্ভেইলেন্স, আমেরিকার আই এস ক্যাম্পেইন, সৌদী, জর্ডান ও তুরুষ্কের কান্ডকারখানা বিশ্লেষন ইত্যাদির কথা না ই বা ভাবলেন।
১০। বরং শাম ও ইয়েমেন সংশ্লিষ্ট আখেরী জামানার হাদীস সমূহ সামনে আনুন এবং হাদীসের বয়ান এর সাথে মিলাতে থাকুন। যেখানে যেখানে কন্ট্রাডিকশান পাবেন - সোর্স খোঁজ করে দেখুন নজদ এর লোকেশান এর ন্যায় কিংবা আয়েশা রাঃ এর বয়স এর ন্যায় কেউ হাদীসকে এদিক ওদিক টেনে এনে কিংবা ডাইবার্ট করেছে কিনা?
সরি তারাবিহ র সময় হয়ে গেছে। সো আপনার ভাবনার জন্য ও খোজ খবরের জন্য আর পয়েন্ট দিতে পারলাম না। আর যদি এই পয়েন্ট গুলোতে আপনি কোন রসদ না পান - আমি দুঃখিত।
ভাল থাকবেন সব সময়।
http://www.presstv.ir/Detail/2015/06/22/417071/ISIL-hanging-kids-ramadan
@ ঘুম ভাংগাতে চাই - আপনার কমেন্ট টি আমি পড়েছি এবং আমি আপনার যুক্তি ও মতামতের এর সাথে একমত পোষন করি এবং করছি।
কিন্তু আপনার লিখা নিচের লাইনটি আমার বিশ্বাস কিংবা ধারনা নয়। আমি আমেরিকাকে ইয়াজুজ ও মাজুজ এর সাথে তুলনা করিনা - র্যাদার এটা যৌক্তিক মনে করি এবং ফারদার গবেষনা ও চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানাই যে আমেরিকা - দজ্জালের ঐ ক্ষনটি কিনা যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন - দজ্জালের দ্বিতীয় দিনটি হবে মাসের মতন।
'সাদাচোখে ভাইয়ার অধিকাংশ কথাই আমি মানি তবে তার ইয়াজুজ মাজুজের সাথে আমেরিকাকে তুলনা করাটা আমার কাছে পুরোপুরি সঠিক মনে হয়না যদিও কিছুটা যুক্তি আছে'।
মন্তব্য করতে লগইন করুন