এখন কি জিহাদ ফরজ?

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১০ মার্চ, ২০১৫, ০৮:১৬:৩৪ রাত

নামাজ কখন ফরজ হয়? অসময়ে নামাজ ফরজ হয়না। শুবহে সাদিক না হলে ফজর ফরজ হয় না, সূর্য মাথার উপর থেকে হেলে না গেলে যোহর ফরজ হয় না, সূর্য কোন বস্তুর ছায়ার সমপরিমান অতিক্রম না করলে আসর ফরজ হয় না, সূর্য অস্ত না গেলে মাগরিব ফরজ হয় না, সূর্যের লাল আভা পশ্চিম আকাশ থেকে দুরীভূত না হওয়া পর্যন্ত ইশা ফরজ হয় না। ঠিক তদ্রুপ যাকাতের পরিমান অর্থ না হলে যাকাত ফরজ হয় না। হজের পরিমান সামর্থ না হলে হজ্ব ফরজ হয় না।

মনে করুন আমি কোরআন তেলাওয়াত করছি, এমন সময় যোহরের আযান দিল। এখন আমি যদি মনে করি আমি সবোর্ত্তম কাজ করছি, কোরআন তেলাওয়াত করছি, এক হরফে দশ নেকি হচ্ছে। এই বলে যদি আমি যোহরের নামাজ আদায় না করে কোরআন তেলাওয়াত করতেই থাকে, তাহলে আমি কি নেকি পাবে। নেকি তো পাবোই না বরং নামাজ তরক করার কারনে গুনাহগার হব, যতক্ষন না ফরজ নামাজ আদায় করে।

হজের ক্ষেত্রেও তাই। যেদিন থেকে আমার হজের সমপরিমান অর্থবান হবে, সেদিন থেকে আমার উপর হজ ফরজ হয়ে যাবে। এখন আমি যদি হজ্ না করে অন্য কোন আমল করতে থাকে, তাহলে সেটা কবুল হবে না, হজ ফরজ তরক করার কারনে?

ঠিক তদ্রুপ কি জিহাদ? জিহাদ কখন ফরজ হয়? জিহাদ তো সবসময় ফরজ না। আর জিহাদ ফরজ হওয়ার পর, জিহাদ না করে যদি অন্য কোন আমল করতে থাকি তাহলে কি সেগুলো কাজে আসবে নাকি জিহাদ তরক করার কারনে গুনাহগার হবে? আমাদের জানা উচিত জিহাদ কখন ফরজ হয়। আলেম ওলামারা জিহাদ ফরজ হওয়ার চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন, যার একটি বর্তমান পাওয়া গেলে জিহাদ ফরজ হয়ে যায়-

১। কোন মুসলিম অমুসলিম কর্তৃক বন্দি হলে। তাকে উদ্ধার করা সকল মুসলিমদের জন্য জিহাদ ফরজ হয়ে যায়।

২। মুসলিম ভূ-খন্ডে কোন কাফের শক্তি আক্রমন করলে, তা প্রতিহত করা সকল মুসলিমের উপর ফরজ হয়ে যায়।

৩। মুসলিমদের আমির/নেতা আমভাবে জিহাদের ডাক দিলে সবার উপর জিহাদ ফরজ হয়ে যাায়।

৪। মুসলিমদের আমির/নেতা খাসভাবে যাদেরকে জিহাদের আহ্বান করে, তাদের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে যায়।

বিষয়: বিবিধ

২৮৮২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308263
১১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৩১
যা বলতে চাই লিখেছেন : আপনি জিহাদ ফরজ হওয়ার আর কোন কারণ খুঁজে পাননি। আল কুর'আন সরাসরি পড়ার অনুরোধ রইল। আর জিহাদ বলতে শুধুমাত্র যুদ্ধকে বুঝেছেন আপনি। কুর'আন হাদিস এমনকি আরবি ভাষায় যুদ্ধকে কিতাল, হারব ও গাজওয়া ইত্যাদি শব্দে অভিহিত করা হয়েছে। আর জিহাদ অর্থ এর চেয়ে অনেক ব্যাপক, বরং সর্বব্যাপী অর্থবোধক শব্দ এটি। জিহাদ মানে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পৃথিবীর সকল কর্ম পরিচালনার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা। এটি সর্বাবস্থায় সকল মুসলিমের জন্য অবশ্যই ফরজ। অন্য যে কোন ইবাদাতের সাথে জিহাদের মৌলিক পার্থক্য এখানেই। ...
১১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:১৬
249359
শেখের পোলা লিখেছেন : সহমত৷
১১ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:২৬
249427
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আপনি জিহাদ ফরজ হওয়ার আরো কারণ বর্ণনা করুন দলিল সহ। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, আপনি জিহাদকারী। ঠিক আছে, তাহলে আপনার মনকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি মুজাহিদ কিনা? কারণ মুজাহিদ তো তারাই, যারা জিহাদ করে। সার কথা কিতাল ছাড়া জিহাদ আছে, তাহলে নবীর এমন একটি ঘটনা পেশ করুন। অপেক্ষায় থাকলাম।
308551
১২ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File