তাহলে কে ভুপাতিত করল হামলাকারী বিমানটিকে?

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:৩৩:০৪ দুপুর





বুধবার সকালে সিরিয়ার আইএস অধিকৃত অংশে জর্ডানের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানটি নিখোঁজ হয়। বিমানের পাইলট আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি হন।

হিট-সিকিং ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটিকে বিধ্বস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করে আইএস জঙ্গিরা। অথচ মার্কিনিরা অপরদিকে “তথ্য-প্রমাণ পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করছে এটি সত্য নয়” বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট কিষের ভিত্তিতে বিষয়টি অস্বীকার করছে, তা স্পষ্ট করে বলেনি।

সিরিয়ায় আইএস লক্ষ্যস্থলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় যে চারটি আরব দেশ যোগ দিয়েছে জর্ডান তাদের অন্যতম। সেপ্টেম্বরে এ হামলার শুরু হওয়ার পর আইএস’র এলাকায় জোট বাহিনীর বিমান বিদ্ধস্তের ঘটনা এই প্রথম।আইএস জঙ্গিদের প্রকাশিত ছবিতে বিমানটির পাইলটকে তাদের হাতে আটক অবস্থায় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি হচ্ছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোয়াজ ইয়োসেফ আল-কাসাসবেহ।

সেন্টকমের বিবৃতিতে আইএস’র পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং গোষ্ঠীটি “বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বন্দি করেছে” বলে নিশ্চিত করেছে।

তবে বিমানটি কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে বিবৃতিতে তা বলা হয়নি।

“বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে আইএস নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে” যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়।

এতে বলা হয়, “প্রমাণাদি পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে বিমানটি আইএসআইএল (আইএস) ভূপাতিত করেনি, যেমনটি দাবি করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।”

বিবৃতিতে জর্ডানকে “গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার” এবং অভিযানে এর পাইলটরা “অসাধারণ ভালো ভূমিকা রাখছে” বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

জর্ডানের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমানগুলো সেদিকে উড়ে যায়, কিন্তু উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানোর আগেই পাইলটকে আটক করে আইএস জঙ্গিরা।

এক বিবৃতিতে জর্ডানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, “বিমানের পাইলট ও তার জীবনের জন্য আইএস ও তার সমর্থকরা দায়ী থাকবে বলে বিবেচনা করে জর্ডান”।

বৈমানিক মোয়াজ আল-কাসাসবেহ’র পিতা ইয়োসেফ আল-কাসাসবেহ তার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে জর্ডানের সংবাদপত্রের মাধ্যমে আইএস’র কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

“আল্লাহ আপনাদের হৃদয় ক্ষমাশীল করে দেন আর তাতে আমার ছেলেকে মুক্তি দিন আপনারা,” বলেছেন তিনি।

কাসাসবেহ’র অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনানুযায়ী” তার সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য আইএস’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়: বিবিধ

৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File