খলিফা ও খেলাফত।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৫:৩৬ সকাল
‘খেলাফত’ (اَلْخِلَافَةُ ) শব্দটি আরবী অর্থঃ ইমারত, ইমামত, শাসন, কর্তৃত্ব প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনগত কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিগঠিত রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ইসলামী খেলাফত বলা হয়। খেলাফত বলতে যেখানে একজন খলিফা থাকবে এবং কোরআন ও সুন্নাহ দিয়ে অধিকৃত ভুখন্ডটি পরিচালিত করবে।নির্যাতিত মুসলিমদের সাহার্যার্ত্থে সর্বদা এগিয়ে যাবে। মোটকথা মুসলিম উম্মাহর পুরো দায়দায়িত্ব খলিফার। আর এটাই হল আল্লাহ প্রদত্ত খেলাফত।
খেলাফত ছাড়া ইসলামের সকল বিধান পালন করা অসম্ভব। গণতান্ত্রিক বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থায় একজন মুসলমান ব্যক্তির জীবনে ইসলাম পূর্ণাঙ্গরূপে পালনের স্বাধীনতা থাকলেও বৈষয়িক জীবনে কুফুরী আইনে শাসিত হতে হয়। ব্যক্তি পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের,সুদি কারবার অর্থনীতি অনুসরণের ফলে একজন মুমিন ব্যক্তির রিযিক হারাম রিযিকে পরিণত হয়। গোটা বিশ্ব আজ কুফুরী আর শিরকীদের হাতে এজন্য অসংখ্য মুমিন সঠিকভাবে চলতে গিয়ে কাফের মুশরিকদের হাতে নির্যাতিত। খেলাফত যার বিপরীত। খলিফা একজন মুমিনকে পরিপূর্ণ দ্বীন পালনের স্বাধীনতা দিতে পারে। একজন মুসলিম সর্বদা গোটা বিশ্বে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠায় তৎপর থাকবে। কারণ ইসলামী খেলাফত শুধু মুসলমানদের জন্য অথবা বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং খেলাফতের অধীনে বসবাসরত সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে কল্যাণকর
খেলাফত সর্ম্পকে মহান আল্লাহ বলেন, وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ . وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ‘তোমাদের মধ্যকার ঐ সকল লোক যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের প্রতি আল্লাহ পাক ওয়াদা করেছেন এই মর্মে যে, তাদেরকে তিনি অবশ্য অবশ্য পৃথিবীতে খেলাফত দান করবেন। যেমন তিনি পূর্ববর্তীদেরকে দান করেছিলেন, তিনি অবশ্য অবশ্য তাদের দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা দান করবেন, যার উপরে তিনি রাযী হয়েছেন মুমিনদের জন্য এবং তিনি অবশ্য অবশ্য তাদেরকে ভীতির পরিবর্তে শান্তি দান করবেন। তারা যেন আমার ইবাদত করে এবং আমার সাথে অন্য কিছুকে শরীক না করে। যারা এর পরে কুফরী করবে (অর্থাৎ খেলাফত প্রাপ্তির উক্ত নে‘মতের না-শোকরী করবে), তারা ফাসেক্ব’। ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হতে পার’ (নূর ২৪/ ৫৫-৫৬)।
আল্লাহ পাক অত্র আয়াতে মুসলমানদেরকে তিনটি বিষয়ে ওয়াদা দান করেছেন। যেখানে শেষের দু’টিকে প্রথমটির বাস্তব ফল বলা যেতে পারে। (১) পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা প্রদান করা (২) ইসলামকে বিজয়ী দ্বীন হিসাবে প্রতিষ্ঠা দান করা (৩) ভীতির বদলে শান্তি দান করা। উল্লেখ্য যে, আল্লাহর এই ওয়াদা বাস্তবতায় পূর্ণতা পেয়েছিল। আলোচ্য আয়াতটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নবুওয়াতের যথার্থতার অন্যতম প্রমাণ। আয়াতের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী খেলাফতে রাশেদাহর স্বর্ণযুগে নবুওয়াতের আদলে খেলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অতঃপর এশিয়া, উরোপ ও আফ্রিকায় ইসলামী খেলাফত সম্প্রসারিত হয়। আয়াতটি কেবলমাত্র খেলাফতে রাশেদাহ বা ছাহাবায়ে কেরামের যামানার জন্য খাছ নয়। বরং সকল যুগের মুসলিম উম্মাহর জন্য আম। সর্বযুগে পৃথিবীর সর্বত্র মুসলমানগণ এই শক্তি ও ক্ষমতা লাভ করতে পারে । রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ يَبْقَى عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبِرٍ إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ كَلِمَةَ الإِسْلاَمِ إِمَّا بِعِزِّ عَزِيزٍ وَإِمَّا بِذُلِّ ذَلِيلٍ إِمَّا يُعِزُّهُمُ اللَّهُ فَيَجْعَلُهُمْ مِنْ أَهْلِهِ فَيَعِزُّوا بِهِ وَإِمَّا يُذِلُّهُمْ فَيَدِينُونَ لَهُ ‘ভূপৃষ্ঠে এমন কোন মাটির ঘর বা ঝুপড়িও থাকবে না, যেখানে ইসলামের কলেমা প্রবেশ করবে না। হয় তারা ইসলাম কবুল করে সম্মানিত হবে, নয় কবুল না করে অসম্মানিত হবে ও ইসলামের আনুগত্য স্বীকারে বাধ্য হবে। এইভাবে আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণতা লাভ করবে’ (আহমাদ হা/২৩৮৬৫, মিশকাত হা/৪২, সনদ ছহীহ)। অত্র হাদীছ ইসলামের বিশ্বব্যাপী প্রসারের সাথে সাথে তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক বিজয়ের ইঙ্গিত বহন করে। যেমন অন্য বর্ণনায় এসেছে, وَاللَّهِ لَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَحَضْرَمَوْتَ مَا يَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ تَعَالَى وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ وَلَكِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই এই (ইসলামী) শাসন পূর্ণতা লাভ করবে। এমনকি ছান‘আ থেকে হাযারামাউত পর্যন্ত একজন সওয়ারী একাকী ভ্রমণ করবে। কিন্তু আল্লাহ ব্যতীত সে কাউকে ভয় পাবে না। তবে ভয় পাবে তার ছাগল পালের উপরে নেকড়ের আক্রমণের। কিন্তু তোমরা খুব তাড়াহুড়া প্রকাশ করছ’ (আবুদাঊদ, হা/২৬৪৯, তাফসীর কুরতুবী ১২/২৯৯ পৃঃ)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِىَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِى سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِىَ لِى ‘আল্লাহ পাক আমাকে সমগ্র পৃথিবীকে একত্রিত করে দেখালেন। আমি তার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত দেখলাম। সত্বর আমার উম্মতের শাসন (খেলাফত) ঐ সমস্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছানো হবে, যতদূর পর্যন্ত এলাকা আমাকে দেখানো হয়েছে’। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আমরা এখন সেই যুগ অতিবাহিত করছি, যার ওয়াদা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদেরকে দান করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য কথা বলেন (মুসলিম হা/৭৪৪০, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩/৩১২ পৃঃ, তাফসীরে কুরতুবী ১২/২৯৮ পৃঃ)।
ইসলামের রাজনৈতিক বিজয়ের ধারা উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন, تَكُونُ النُّبُوَّةُ فِيكُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ثُمَّ تَكُونُ خِلاَفَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ فَتَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ثُمَّ تَكُونُ مُلْكاً عَاضًّا فَيَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكُونَ ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ثُمَّ تَكُونُ مُلْكاً جَبْرِيَّةً فَيَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكُونَ ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ثُمَّ تَكُونُ خِلاَفَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ نُبُوَّةٍ ثُمَّ سَكَتَ ‘তোমাদের মধ্যে নবুওয়াত থাকবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করেন। অতঃপর তা উঠিয়ে নেবেন। এরপর নবুওয়াতের তরীকায় খেলাফত কায়েম হবে। আল্লাহ পাক যতদিন ইচ্ছা তা রেখে দেবেন। অতঃপর উঠিয়ে নেবেন। অতঃপর অত্যাচারী রাজাদের আগমন ঘটবে। আল্লাহ পাক স্বীয় ইচ্ছামত তাদেরকে বহাল রাখবেন। তারপর উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর জবর দখলকারী শাসকদের যুগ শুরু হবে। আল্লাহ পাক স্বীয় ইচ্ছামত তাদেরকে বহাল রাখবেন। অতঃপর উঠিয়ে নেবেন। এরপরে নবুওয়াতের তরীকায় পুনরায় খেলাফত কায়েম হবে। এই পর্যন্ত বলার পর আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) চুপ হয়ে গেলেন’ (আহমাদ হা/১৮৪৩০, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫; মিশকাত হা/৫৩৭৮)। উপরোক্ত হাদীছ থেকে একথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নামে ও বেনামে জবর দখলকারী শাসকদের যুগ চলছে। এরপরেই আসবে শান্তিময় ও কল্যাণময় ইসলামী সমাজ ও খেলাফত। আলোচ্য আয়াতে সৎকর্মশীল মুমিনদের জন্য যার ওয়াদা করা হয়েছে।
খেলাফত প্রতিষ্ঠার উপায় :
ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টিত হবে শুধুমাত্র নবী সা: এর সুন্নাহ দিয়েই। অন্য কোন তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে নয়। সেটি হল তাওহীত ওয়াল জিহাদ। কেউ যদি অন্য কোন মনগড়া পদ্ধতিতে খেলাফত দাবী করে বসে তাতে খলিফার দায়িত্ব পেয়ে যায় না। হ্যা তবে যদি কেউ রসুল সা: এর তরিকায় খেলাফত প্রতিষ্টা করে, আমি প্রথম তার হাতে বায়য়াত দিব। তবে অবশ্যই সেটা সুন্নাহ পদ্ধতিতে হতে হবে।
কেবলমাত্র ইসলামী তরীকার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, পাশ্চাত্য হ’তে আমদানী করা শেরেকী তরীকার মাধ্যমে নয়। সুতরাং ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার উপায় হ’ল দু’টি : দাওয়াত ও জিহাদ। শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে এমনকি তিনজন মুমিন একস্থানে থাকলেও তাদেরকে একজন আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য হাদীছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।(মুসনাদে আহমাদ হা/৬৬৪৭; আবুদাঊদ
মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আমার পর যিনি খলিফা হবেন) আমি তাঁকে এ অসীয়ত করছি যে, ‘আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল) -এর পক্ষ থেকে কাফিরদের সাথে কৃত অঙ্গীকার যেন যথাযথভাবে পূরণ করা হয়, তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজযেুদ্ধ করা হয়, তাদের সামর্থ্যের বাইরে তাদের উপর যেন জিযিয় (নিরাপত্তা কর) ধার্য করা না হয়। ’
রাসুল সা: ওসিয়ত করলেন, আমার পরে যে খলিফা (শাষক) হবে যে যেন কাফেরদের সাথে চুক্তিকৃত অংগীকার ভংগ না করে ওবং তাদের (কাফেরদের ) সাধ্যের বাইরে কর আরোপ না করা হয়।
অতএব রাষ্ট্রীয় খেলাফত ছাড়া এসব সম্ভব না। যেমন আরো এক হাদীসে বলা হয়েছে, এক জন খলিফা থাকাকালীন যদি আরো একজন খলিফা দাবী করে (বায়য়াত নেওয়া শুরু করে) তাহলে প্রথম খলিফা ২য় খলিফাকে কতল করে দিবে। আজ বাংলাদেশে কত খলিফা হিসাব করা যাবে না। তাহলে এসব কি? খলিফা, খেলাফত কি ছেলেখেলা? অবশ্যই না।
আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ)উম্মূল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইন্তেকালের পর তাঁর মিরাস বন্টনের দাবী করেন। যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসাবোল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাঁকে প্রদত্ত সম্পদ থেকে রেখে গেছেন। তখন আবূ বাকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের পরিত্যাক্ত সম্পদ বন্টিত হবে না আমরা যা ছেড়ে যাই, তা সা’দকা রূপে গণ্য হয়। ’ এতে ফাতিমা বিনতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলেন এবং আবূ বকর (রাঃ) সিদ্দীক এর সঙ্গে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিলেন। এ অবস্থা তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স -এর ওফাতের পর ফাতিমা (রাঃ) ছয় মাস জীবিত ছিলেন। আয়িয়শা (রাঃ) বলেন, ফাতিমা (রাঃ) আবূ বাকল সিদ্দী (রাঃ)-এর নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ত্যাজ্য খায়বার ও ফাদাকের ভূমি এবং মদিনা সা’দকাতে তাঁর অংশ দাবী করেছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানোান এবং তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আমল করতেন, আমি তাই আমল করব। আমি তাঁর কোন কিছুই ছেড়ে দিতে পারি না। কেননা, আমি আশঙ্কা করি যে, তাঁর কোন কথা ছেড়ে দিয়ে আমি পথভুষ্ট হয়ে না যাই। অবশ্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মদিনার সা’দকাকে উমর (রাঃ) তা আলী ও আববাস (রাঃ)-কে হস্তান্তর করেন। আর খায়বার ও ফাদাকের ভূমিকে পূর্ববত রেখে দেন। উমর (রাঃ) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ সম্পত্তি দু’টিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জরুরী প্রয়োজন পূরণ ও বিপথকালীন সময়ে ব্যায়ের জন্য রেখেছিলেন। সুতরাং এ সম্পত্তি দু’টি তারই দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে, যিনি মুসলমানদের শাসন ক্ষমতার অধিকারী খলিফা হবেন। ’ যুহরী (রহঃ) বলেন, এ সম্পত্তি দু’টির ব্যবস্থাপনা অদ্যবধি সেরূপই রয়েছে।
কথাগুলো সাজিয়ে লেখতে পারলাম না। এটাতেই বুঝার চেষ্টা করবেন এবং কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।
সংগৃহিত
বিষয়: বিবিধ
১৫২৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোথায় গুলিয়ে ফেলেছি? বলে দিলে সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন