বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলো নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:১০:২৯ রাত
রাসুল সা: বলেছেন,মুসা নবী আ: এর উম্মত ৭২ ফিরকায় বিভক্ত হয়েছিল, আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, শুধু একটি মাত্র দল যাবে জান্নাতে । সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সেই দলটি কারা?
রাসুল সা: বললেন, যারা আমাকে ও আমার সাহাবীদের অনুসরণ করবে।
হাদিসটি থেকে বুঝা যায় এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, যার মাত্র একটি দলই জান্নাতে প্রবেশ করবে। গোটা দুনিয়ার কথা বাদই দিলাম এখন যদি আমরা শুধু বাংলাদেশের দিকে তাকায়, তাহলে দেখব কত দল উপদল। যা রাসুল সা: তার জীবদ্দশায় বলেছিলেন এবং সত্যতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাহলে আমরা এখন কি করব?
আমাদের কি উচিত হবে না সব দল থেকে বের হয়ে নবী সা: ও তার সাহাবীদের হুবহু অনুসরণ করা? যদি আমরা হুবহু নবী সা: তার সাহাবীদের অনুসরণ করি তাহলে আমাদের মাঝে কোন দল থাকার প্রোয়জন থাকে না।
পক্ষান্তরে আমরা যদি একেক জন আমীরের একেক দল নিযে থাকি তাহলে এক হওয়া কখনো সম্ভব না।
যেমন মনে করুন, আহলে হাদীস, জামাআত, তাবলীগ, চরমোনায় পীর, হেফাজতে ইসলাম আরো নাম না জানা অনেক দল।
আহলে হাদীস এর আমীর আলাদা।
জামাআতে ইসলামীর আমীর আলাদা।
হেফাজতের আমীর আলাদা।
তাবলীগের আমীর আলাদা।
হেফাজতের আমীর আলাদা।
চরমোনাই পীর একটা আলাদা আমীর।
ইসলাম কি এক সাথে এতগুলো আমীর সমর্থন করে?
মুসলিম শরীফের হাদীসে ষ্পষ্ট বর্ণিত আছে, যদি কখনো এক জন আমীর থাকাকালীন আর একজন আমীর দাবী করে তাহলে প্রথম আমীরের উপর ফরজ হয় দিত্বীয় আমীরকে কতল করে দেয়া। এই দলগুলোর আমীর যদি আমিরই হবে, তাহলে দ্বিতীয় আমীরকে কেন কতল করেনি দ্বীনের স্বার্থে?
অতএব আমাদের দলের নেতাদের ও কর্মীদের উচিত হবে একজন আমীরের বায়য়াত দেওয়া এবং কুরআন ও হাসীদের আলোকে দ্বীন কায়েম করা। তা না হলে হয়তবা আমাদেরকে ৭২ দলের অন্তরভুক্ত হতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এক কাতারে কবুল করে নিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার মনে হয় না কিয়ামত পর্যন্ত এ কথার বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে। তবুও আশা করি হোক।
যেখানে একদলের লোক আরেক দলের লোককে কাফির, মুনাফিক ইত্যাদি আজেবাজে সব নাম উপহার দিতে পারে।
খ. এই আমীর ইসলামী রাষ্ট্রের আমীর যার বিরোধীতা করা নাজায়েজ।
গ. ইসলামী আন্দোলনে একাধিক সংগঠন থাকা কোন দোষনীয় ব্যাপার নয় বরং আরও ভাল।
ইসলামী আন্দোলন কি নবী সা; এর তরীকায় করতে হবে, নাকি নিজ নিজ মনগড়া পদ্ধতিতে? যদি আমরা সবাই নবী সা; তরিকায় করি তাহলে তো আলাদা আলাদ দল করার প্রয়োজন নাই। আর একেক দল যদি একেক নতুন পরিকল্পনা নিযে কাজ করি তাহলে ইসলামে নতুন আমল পরিত্যাজ্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন