সোদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৬:৫০:৫৯ সন্ধ্যা
সোদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ। আজকে প্রায় দুই শতাধিক গ্রামে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। অনেক এলাকাতে মারামরি পর্যন্ত হযেছে। এখানে যারা ঈদ করে তারা হয়তবা ঈদ না করাদের হেয় করেছে। আর যারা ঈদ উদযান করে নি তারা উপহাস করেছে, যা ঠিক না। কিন্ত সৌদির সাথে ঈদ করা পন্থিদের যুক্তি কি? সেটা আমরা জানার চেষ্টা করি।
রাসুল সা: বলেছেন, চাঁদ দেখে সবকিছু কর। এখন এই চাঁদ দেখা বলতে কী বুঝিয়েছেন? আল্লাহর নবী সা: কী সবাইকে চাঁদ দেখতে বলেছেন? নাকি কিছু মানুষ চাঁদ দেখালেই হল? যদি বলি সবাইকে চাঁদ দেখতে হবে, তাহলে তো সবাইকে চাঁদ দেখতে হয়।বাংলাদেশ সরকার সোমবার ঈদ উদযাপন করার ঘোষনা দিয়েছেন। চাঁদ দেখেছে সরকার ঘোষনা দিয়েছে সরকার, অথচ আপনি আমি চাঁদ না দেখেই সরকার নির্ধারিত তারিখে ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। এখন একটা কথা, আপনি আমি যদি বাংলাদেশ সরকারের কথা বিশ্বাস করি, তাহলে গোটা আরবের কথা কেন বিশ্বাস করব না? কারণ তারাও তো চাদঁ দেখেই ঈদ পালন করছে।যদি বলেন সেটা আলাদা দেশ, তাহলে ইসলাম কী আলাদা আলাদ ভূ-খন্ড সমর্থন করে? বাংলাদেশ ও সৌদি আরব তিন ঘন্টা ব্যবধান, কিন্তু ঈদ দুই দিন ব্যাবধানে হচ্ছে কেন?
আমরা ইসলামকে দলে দলে ভাগ করতে চাই না। আমরা এক কাতারে দাড়াতে চাই। ইসলামের কোন বিষয়নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। আবার কোন বিষয়কে ছাড় দেওয়াও যাবে না। এজন্য আমাদের কোন বিষয় অজ্ঞতা থাকলে হটমেজাজি না হয়ে জেনে নেওয়াই উচিত।
নবী সা: এর সময় যোগাযোগ মিডিয়া এতটা উন্নত ছিল না। একজণ্য তাদের কেউ যদি চাঁদ দেখেছে, তাহলে তারা যতদুর সম্ভব প্রচার করে একসাথে ঈদ পালন করেছে। আর যারা চাঁদ দেখেতেই পায়নি এবং কেউ খবরও পায়নি তারা কী করবে? তারা পরে খবর পেয়েছে পরে ঈদ পালন করেছে। এজন্য ঈমাম মালেক রহ: ফতোয়া দিয়েছিলেন, চাঁদ দেখা গেলে, একটা দ্রুতগ্রামী ঘোড়া নিয়ে খবর প্রচার করবে এতে যতটুকু এলাকায় খবর প্রচার করা যায় , সেটুকু একসাথে ঈদ করবে। আর যেটাতে খবর পৌছানো যাবে সেটা ভিন্ন।
কিন্তু আজকে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সেরকম? বরং কয়েক সেকেন্ডে গোটা দুনিয়ায় খবর পৌছে যায়। তাহলে আর কেন অপেক্ষা? ঈমামগণ আরো ফতোয়া দিয়েছেন, যদি কোন তিনজন মুমিন ব্যাক্তি চাঁদ দেখার স্বাক্ষী প্রদান করে তাহলে তা সবার মেনে নেওয়া উচিত। তবে অবশ্যই ফাসিক, কাফির, মুরতাদ ও অবিশ্বাসীর সাক্ষ্য পরিতাজ্য। এই যুক্তিগুলোর সাথে হয়তবা অনেকই কঠোরভাবে দ্বিমত পোষন করবেন। তাই রেগে না গিয়ে প্রশ্ন করুন , যথাসম্ভব উত্তর দেব। ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ব্যাপারে আমরা ২০ বার বাহাসের আহবান জানাই । আমাদের সাথে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও সরকারের হুজুররা বাহাস করতে রাজি নয় ।
বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে এই দুই পেজে :
1. https://www.facebook.com/pages/একই-বার-ও-একই-তারিখে-বিশ্বব্যাপী-রোজা-ও-ঈদ-পালন-করার-গুরুত্ব-ও-তাৎপর্য/422324937912267?ref=hl
2. https://www.facebook.com/IslamicNewYearCelebration
উপরন্তু হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে হজের পরে দিন কুরবানীর ঈদ হবে । কিছু হাদিসের শিরোনাম বা অনুচ্ছেদের নাম হচ্ছে : ইয়াউমুল আরাফা , আরাফাত দিবসের রোজা ,
আরাফাত দিবস আর হজের ঘঠনা ঘটে মক্কায় । সুতরাং হাদিস অনুযায়ী আরাফাত দিবসের রোজা রাখতে হলে মক্কার হিসাব অনুযায়ী রাখতে হবে ।
রাসুল সা. হাদিসে বা বিদায় হজ্জের ভাসনে বলেছেন :
জেনে রাখ , তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের মান মর্যাদা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে এই রূপ মর্যাদা সম্পন্ন যেমন মর্যাদা সম্পন্ন তোমাদের এই (কুরবানীর) দিনটি , তোমাদের এই (জিলহজ) মাসটি এবং এই (মক্কা)শহরটি । (বুখারী, মুসলিম, তাফসীরে ইবনে কাসীর)
.... হাতে সময় না থাকায় এই ব্যাপারে আর বিশেষ কিছু লিখছি না ।
বিশ্বজুড়ে একই দিনে/বারে ইসলামী/চান্দ্রপঞ্জিকা শুরু হওয়াটাই দলিলসম্মত ও যুক্তিসম্মত, বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম গোঁজামিল ও খেয়ালখুশীর ফল!
আন্দোলন চলুক- সাফল্য নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ
সেদিন খুব বেশী দূরে মনে করিনা-
মানুষ সচেতন হচ্ছে!
কিছু মানুষের দুঃসাহসিক ঝুঁকি নেয়া ছাড়া সমাজে বদ্ধমূল সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভবপর হয়না- এটাই ঐতিহাসিক সত্য!!
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
মন্তব্য করতে লগইন করুন