জাতিসংঘ/বিশ্বব্যাংক/বিশ্ব সাস্থ্যসংস্থ সবই মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪৪:০১ সন্ধ্যা
জাতিসংঘ কেন বিনা পয়সায় মানুষদের মাঝে অজ্ঞাত রোগের আগাম ভয় দেখিয়ে টিকা দিচ্ছে? কেন তারা উপযাযক হয়ে অন্যান্য দেশগুলোতে(শর্তসাপেক্ষে)সাহায্যের প্রস্থাব রাখছে? কেন তারা টন কে টন নীরব বিষ মিশানো খাবার অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠাতে মরিয়া? এসবের জবাব জানার জন্য আগে দেখতে হবে তাদের সাহায্যে কোনটি দেশ আজ স্বাবলম্বি? আপনি খুজুন পৃথিবীতে। আমাদের বাংলাদেশর কথাই বলুন। বহু বছর ধরে বাংলাদেশকে তারা বিভিন্ন প্রকার সাহায্য করে আসছে কিন্তু ফল শূণ্য। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সংস্থাগুলি আসহায়ত্বের সুযোগে গরীব দেশগুলোতে সাহায্যের অজুহাতে প্রবেশ করে কি ক্ষতিটািই না করছে। যার বাস্তব প্রমান সম্প্রতি জাতিসংঘের হামের টিকা নেয়ার পর সিরিয়ার ১৫টি শিশু মারা গেছে। এসব শিশুর বয়স দুই বছরের নিচে। শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর সংস্থাটির টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু ফান্ড ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।দু’টি সংস্থাই এক বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ার ইদলিবে অন্তত ১৫টি শিশুর মৃত্যুতে তারা মর্মাহত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার পরপরই কিছু শিশুর শরীরে ফুলাভাব লক্ষ্য করা যায় এবং এরপর তাদের মৃত্যু ঘটে।কোনো কোনো সূত্র দাবি করেছে, টিকা প্রয়োগের কারণে ৩৪ থেকে ৫০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু বলেছে, ঘটনা তদন্তে ওই এলাকায় বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হচ্ছে। এটা তো নতুন নয়। আরো আগে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাহলে কেন জাতিসংঘের মত একটা সংস্থা টিকা যাচায় না করে মুসলিম শিশুগুলির উপর যাচায় করছে। এদের কার্যক্রম গোটা বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে বিশেষ করে আফ্রিকায়। আফ্রিকায় অসহায় মানুষগুলির কতটুকুর উপকার করেছে? বরং তারা আজো না খেয়ে মরে, এক ডাস্টবিন থেকে কুকুর ও শিশুরা খাবার খাচ্ছে। এবোলা ভাইরাস কোথায় থেকে আসলো? এইচ আইচভি ভাইরাস কোথা থেকে আসলো? ব্রাড ফ্লু, আরো নাম না জানা হাজার ভাইরাস কোথা থেকে আসেলা? কিছুদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত ভাইরাস ধ্বংস করতে অস্বীকার করেছিল। ভাইরাস তৈরি করা হচ্ছে। আবার সেই ভাইরাসের প্রতিষেধক তারাই বানাচ্ছে, তাহলে এটা কি? এটা হছ্ছে-
* পৃথিবীর মানুষগুলিকে রোগাক্রান্ত করে দেওয়া
* অতপর প্রতিষেধকের নামে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানো
* কৌশলে মানুষগুলোকে গোলামে পরিনত করা
* সুদ ভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে আরো গরীবে পরিনত করা
* মোট কথা গোটা দুনিয়াকে তাদের উপর নির্ভর করা
ইতিমধ্যে অনেকটা হয়েই গেছে। তাদের প্রযুক্তি ছাড়া বাংলাদেশেসহ কোন দেশেই সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তাদের কাছ কাছ থেকে ঋন না নিলে বাংলাদেশে ব্রীজ কালর্ভাট হচ্ছে না। জটির চিকিৎসার জণ্য সিংগাপুর/হংকংয়ে পাঠাতে হচ্ছে। যেন সব কিছু নির্ভর করছে তাদের উপর। ভেবে দেখুন, আগে তো এসব কঠিন রোগ
ছিল না, কোন রোগ হবে বলেই তো, মায়েরা আমাদেরকে জোর করে টিকা খায়াতো প্রতি বছর। এক রোগের প্রতিষেধকের নামে আরেক রোগের জিবানু প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে না আমাদের শরীরে। রোগ কি শরীরে আপনিতেই জন্ম নিচ্ছে, না কেউ জন্ম দেওয়াচ্ছে? এজন্যই হয়তবা কোন কেনা দেশে জাতিসংঘ/বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের টিকা দেওয়ার বিরোধীতা করছে। এমনকি টিকা কর্মীদের হত্যা পর্যন্ত করছে। বিষয়টা দেখুন কর্মীরা জোর করে টিক দিচ্ছে আর জনমানুষ টিকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। কোনটা সঠিক? তারাই যদি সঠিক হবে তাহলে কেন সিরিয়া ১৫/৪৫ জন শিশু মারা গেল? আমাদেরকে অনেক ভাবতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন