আল কায়দার অলিক কল্পনা

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৪:৪৭ সকাল

আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। সৌদি আরবের রিয়াদে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা মোহাম্মদ বিন লাদেন একজন বড় ব্যাবসায়ী ও ঠিকাদার ছিলেন। ওসামা বিন লাদেন ইকোনমিক্স এবং ব্যাবসায় প্রসাশনের উপর পড়াশুনা করেন কিংন্স আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ইন্জিনিয়ারং এর উপর পড়াশুনা করেন কিন্তু ৩য় বছরে তিনি পড়াশুনা বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের উপর গবেষনা করেন এবং লেখালিখি শুরু করেন।আফগানে যখন তালেবানরা জিহাদের ডাক দিলো ওসামা পাড়ি দিলেন আফগানিস্থানে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তিনি তালেবানদের কোটি কোটি বিলিয়ন খরচ করলেন। ঠিক তখনই প্রতিষ্ঠা করলেন আল কায়দা। তিনি বেশ কিছুদিন সুদান ও ইয়েমেনেও ছিলেন, কিন্তু সবখানেই সিআইএ তাকে তাড়া করে বেড়াত। শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে তালেবানরা পরাজিত করল। ওসামা মনে করলো এটাই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমেরিকা তালেবানদের সহায়তা করেছিল তাদের দালালি করার জন্য কিন্তু যখন দেখলো তালেবানদের শূরা কমিটি আমেরিকার কথায় চলছে না তখন তারা শুরু করল ষড়যন্ত্র। মোল্লা উমরের নেতৃত্যে তালেবানরা ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক শাষন কার্যক্রম শুরু করলো। পৃথিবীতে খেলাফত প্রতিষ্ঠা হল। মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠলো খলিফাকে বায়য়াত দেওয়া। তখন ওসামা তার সমস্থ আল কায়দা কমান্ডারদের নিয়ে মোল্লা উমরের হাতে বায়য়াত দিলেন। আল কায়দা দায়িত্ব নিল গোটা পৃথিবীতে কিভাবে এক খলিফার নেতৃত্যে জিহাদ ছড়িয়ে দেয়া যায়। গঠন করলেন, আরব উপদ্বীপে, আল-কাযদা ইন এরাবিয়ান পেনিনসুলা (AQAP), আফ্রিকায় তৈরি করলেন ইসলামীক মাগরেব, সোমালিয়া তৈরি করলেন আল-শাবাব, এভাবে বিভিন্ন দেশে আল-কায়দার শাখা খুললেন।

আল-কায়দার লক্ষ:

১। পৃথিবীতে একজন খলিফার অনুগত্যের গুরুত্ব বোঝানো।

২। গোটা মুসলিম উম্মাকে জিহাদের দিকে প্রত্যবর্তনসহ এক খলিফার নেতৃত্য মেনে নেওয়া।

৩। আর ভূ-খন্ড থেকে অমুসলিম শক্তিকে বিতারিত করা।

৪। মুসলিম হত্যাকারীদের বিরুদ্ধি প্রতিশোধ নেওয়া।

৫। আলাদা আলাদ নামে দেশগুলোকে ভেংগে একক ইসলামী রাষ্ট তৈরি করা।

৬। মুসলিমদের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে দেওয়া।

এগুলো কাজের জন্য আলকায়দা খুবই আত্মবিশ্বাসী। একজ্য তারা সবকিছু বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। যা ওসামা বিন লাদেন নিজে করে দেখিয়েছেন। ওসামার বাবার এত সম্পদ থাকার পরে তিনি গুহায় বাস করা বেছেন নিলেন। তিনি পারতেন আমেরিকায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে। হাতের নাগালে সমস্থ সম্পদ তিনি এই পথেই ব্যায় করেছেন। প্রতিটি মুহুর্তে মুত্যুকে নিয়ে ঘুরতেন। আল কায়দার এসব উদ্দেশ্যর কথা শুনে অনেকেই ঠাঠ্ঠার হাসি হেসেছি। কিন্তু তাদের এই ত্যাগ তাদের অনেক উদ্দেশ্য সফল না হলেও তারা আজ বহুদুর এগিয়েছে। তারা পৃথিবীর ১০০ এর অধিক দেশে কাজ শুরু করেছে। তাদের এই অলীক স্বপ্ন কতটুকু পূরন হয় সেটাই দেখার বিষয়। আল কাযদার কাছে প্রকাশ্যে বাইয়াত কৃত বিগ্রেড সমূহ:

১। আল কায়দা ইন এরাবিয়ান পেনিনসুলা-ইয়েমেন,সৌদি,বাহরাইন ইত্যাদি

২। আল শাবাব-সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া

৩। ইসলামীক মাগরেব- মালি, আলজেরিয়া

৪। জাবহাত আল নুসরাহ ফ্রন্ড- সিরিয়া

৫। বায়িত আল মাকদিস-মিশর

৬। আব্দুল্লাহ আজজম বিগ্রেড- লেবানন

৭। আনসার আল শরিয়াহ-লিবিয়া, তিউনিয়াশিয়া

৮। তেহরিক ই তালেবান-পাকিস্তান

৯। চেচেন ইসলামীক ইমারত- রাশিয়া, চেচনিয়া

১০। আবু সায়েফ গোষ্টি- ফিলিপাইন

১১। উজবেক মুজাহিদ- উজবেস্থান

১২। বকো হারাম- নাইজেরিয়া

১৩। ইসলামীক স্টেট- ইরাক। যারা আল কায়দার বহিস্কৃত ব্রিগেড।

বিষয়: বিবিধ

১২৪০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266075
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File