মক্কার পথে রাসুল-৩

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৩:১৮ বিকাল

করে দেখলেন অনেকগুলো ছবি। এ সবের মধ্যে ইব্রাহিম আ: ও ইসমাইল আ; এর ছবিও ছিলেন, যাদের হাতে ভাগ্য গননার তীর ছিল। এগুলো দেখে রাসুল সা: বললেন, এই সব পৌত্তলিকরা ধ্বংস হোক। আল্লাহর শপথ, এই দুইজন পয়গম্বর কখনোই গননায়- তীব ব্যবহার করে নি। কাবাঘরের ভিতরে কাঠের তৈরি একটি কবুতরও দেখলেন এবং ভেং্গে ফেললেন। ছবিগুলো নষ্ট করে ফেলা হলো। রাসুল সা: সেখানে নামাজ শেষে কাবাঘরের ভেতরের অংশ ঘুরলেন। সকল অংশে তাকবীর ও তাওহীতের বানী উচ্চারণ করলেন। এরপর সবার জন্য দরজা খুলে দিয়ে একটা ভাষন দিলেন। তিনি সেই ভাষনে বললেন, আল্লাহ ব্যাতিত কোন মাবুদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই। তিনি তার ওয়াদা সত্য করে দিয়েছেন। তার বান্দাদের মাধ্যমে তিনি একাই সকল বিরুদ্ধ শক্তিকে পরাজিত করেছেন। শোনো কাবঘরের তত্ত্বাবধান এবং হাজীদের পানি পান করানো ছাড়া অন্য সকল সম্মান বা সাফল্য আমার দুই পায়ের নিচে। মনে রেখো, যে কোন রকমের হত্যাকান্ডের দায়িত্ব বা ক্ষতিপূরণ একশত উট। এর মধ্যে চল্লিশটির উট হতে হবে গভবতী।

এভাবে অনকে কিছু বলার পর তিনি আরো বললেন , হে কোরাযেশরা তোমরা আমার কাছে কেমন ব্যবহার আশা কর? সবাই বলল, ভালো ব্যাবহার করবেন এটাই আমরা আশা করি। এরপর রাসুল সা: বললেন, আমি তো সে কথাই বলবো যা আমার ভাই ইউসুফ আ: বলেছিলেন, লা তাছরিব আলাইকুমুল ইয়াওমা। আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তোমরা সবাই মুক্ত। অতপর রাসুল সা: শোকরানা নামাজ পড়ে কাবা শরীফ তাওয়াফ করলেন।

আজ সবাই মুক্ত। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু এই নয় জন ব্যাতীত। এই সব যুদ্ধঅপরাধীর নাম প্রকাশ করলেন এবং বললেন, এরা যদি কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে তবুও তাদের কতল করে দিতে হবে।

১। আব্দুল ওজ্জা ইবনে খাতাল, ২। আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবু ছারাহ, ৩। একরামা ইবনে আবু জাহেল, ৪। হারেছ ইবনে নুফায়েল ইবনে ওযাহাব, ৫। মাকিছ ইবনে ছাবাবা, ৬। হাব্বার ইনবে আওসাদ, ৭। ইবনে খাতালের দুই দাসী, ৮। সারাহ সে ছিলো আব্দুল মোত্তালেবের সন্তানদের দাসী। সে রাসুল সা: এর কুতসা রটনা করত।

আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবু ছারাহকে হযরত উসমান ইবনে আফফান রা: রসুল সা: এর কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাণ ভিক্ষার সুপারিশ করলেন। রসুল সা: প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ মেনে নিলেন। কিন্তু এর আগে তিনি কিছুক্ষন নিরব ছিলেন। তিনি চাচ্ছিলেন, ইতিমধ্যে কোন একজন সাহাবী তাকে কতল করুক। কেনন্ এই লোকটি আগেও একবার ইসলাম গ্রহণ করছিল এবং হিজরত করে মদীনায় গিযেছিল কিন্তু পরে মুরতাদ হয়ে মক্কায় পালিয়ে এসেছিল। পরে অবশ্য ইসলামের উপর অটল ছিলো।

ইবনে খাতাল কাবাঘরের পর্দা ধরে ঝুলছিল। একজন সাহাবী রসুল সা: এর কাছে খবর দিলেন। তিনি বললেন, ওকে কতল করে দাও। সেই সাহাবী গিয়ে তাকে কতল করলেন।

মাকিছ ইবনে ছাবাবাকে হযরত নোমাইলা ইবনে আব্দুল্লাহ কতল করলেন। মাকিছ প্রথমে মুসলমান হয়েছিল। কিন্তু পরে মুরতাদ হয়ে একজন আনসার সাহাবীকে হত্যা করে মক্কায় পালিযে এসেছিলো। হারেশ মক্কায় রসুলকে নানাভাবে কষ্ট দিতো। হযরত আলী রা: তাকে হত্যা করেন।

হাব্বাব ইনবে আওসাদ.........

চলবে

বিষয়: বিবিধ

১১৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

265541
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪২
ফেরারী মন লিখেছেন : জাজাকাল্লা .. অনেক ভালো লাগলো রাসুলের জামানার ইতিহাসগুলো পড়ে। যতই পড়ি যেন আরো পড়তে ইচ্ছে করে। চালিয়ে যেতে থাকুন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
209399
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আলহামদু লিল্লাহ। চেষ্টা করব।
265572
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৭
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৪
209400
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ভালো লাগারি কথা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File