মক্কার পথে রাসুল সা: পর্ব-২

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:১৬:৪৯ সকাল

প্রদত্ত মর্যাদার কারণে বিনয় ও কৃতজ্ঞতায় রসুল সা: মাথা নিচু করে ছিলেন। যি- তুবায় তিনি সৈন্য সমাবেশ করলেন। খালেদ বিন ওলীদকে নিজের ডান দিকে রাখলেন। এখানে আসলাম, সোলায়েম, গেফার, মোজাইনা এবং আবর গোত্র ছিলো। রাসুল সা: খালিদ বিন ওলীদকে মক্কার ঢালু এলাকায় প্রবেশ করার নিদের্শ দিলেন এবং বললেন, যদি কেউ বাধা হয়ে দাড়ায়, তাহলে তাকে কতল করে দিবে। এরপর সাফায় গিযে আমার সাথে দেখা করবে।

হযরত যোবায়ের ইনবে আওয়ামকে বাম দিকে রাখলেন। তার হাতে রাসুল সা: পতাকা ছিল। তাকে বললেন, মক্কার উচু এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে হাজুনে পতাকা স্থাপন করে আমার জন্য অপেক্ষা করবে।

পদব্রজে যারা এসেছিলেন তাদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আবু ওবায়দা। তাকে নিদেশ দিলেন প্রন্তসীমার পথে অগ্রসর হতে।

রাসুল সা: এর নির্দেশ পাওয়ার পর কামান্ডাররা নিজ নিজ সৈন্যদের নিয়ে নিদিষ্ট জায়গায় রওয়ানা দিলেন।

খালেদ বিন ওয়ালীদ সামনে অগ্রসর হতেই যেসব পৌত্তলিক বাধা হয়ে দাড়াচ্ছিলেন খালেদ তাদের সবাইকে পরাজিত করে কতল করলেন। খালেদের দুজন সৈন্য নিহত হলো কারণ তারা সৈন্যদল থেকে বিচ্ছিন্ন হযে অন্য রাস্তায় চলে গিয়েছিল। খান্দামায় হযরত খালেদের এর সাথে উশৃঙ্খল কোরায়েশরা মুখোমুখি হলো। কিছুক্ষন উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হলো। এতে ১২ জন কোরায়েশ যুবক নিহত হলো। এ ঘটনায় কোরেশদের মনে আতঙ্ক ছেয়ে গেল। মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে সংকল্পব্ধ হাম্মাশ ইবনে কায়েস দ্রুত ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। তার স্ত্রীকে বলল, দরজা বন্ধ রাখবে , খুলবে না। তার স্ত্রী বলল, আপনার সেই বাগাড়ম্বর কোথায় গেল? হাম্মাস ইবনে কায়েস বললো, হায়রে , তুমি যদি খান্দামায় যুদ্ধের অবস্থা দেখতে , তবে এমন কথা বলতে না। তোমাকে আর কি বলবো, সফওয়ার আর একরামা ছুটে পলায়ন করলো (একরামা ছিল উচ্ছংখলদের সেনাপতি)। নাংগা তলোয়ার নিয়ে আমাদের অভ্যর্থনা করা হলো। সেই তলোয়ার গলা এবং মাথা এমনভাবে কাটছিল যে, নিহতদের চিতকার এবং হৈহুল্লা ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছিনা।

এরপর খালেদ রাসুল সা: এর সাথে মিলিত হলো। যেবায়ের হাজুল এর মসজিদে ফতেহ এর কাছে পতাকা স্থাপন করে রাসুল সা: এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।

রসুল সা: আনসার ও মোহাজের দের সাথে নিয়ে বায়তুল শরীফে প্রবেশ করলেন। প্রথমে তিনি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন। এরপর কাবাঘর তাওয়াফ করলেন। সে সময় রসুলের সাথে একটি লাঠি ছিল। কাবাঘরের আশে পাশে তিনশত ষাটটি মুর্তি ছিল। রসুল সা: হাতের সেই লাঠি দিয়ে মুর্তিগুলোকে গুতো দিচ্ছিলেন আর উচ্চারন করছিলেন, সত্য এসেছে, অসত্য চলে গেছে, নিশ্চয় অসত্য চলে যাওয়ার বস্তু।

রসুল সা: এহরাম না থাকার কারণে শুধু মাত্র তাওয়াফই করলেন। শেষ করার পর হযরত উসমান ইবনে তালহাকে ডেকে তার কাছে থেকে চাবী নিলেন এরপর প্রবেশ...........

চলবে

Click this link

বিষয়: সাহিত্য

৯৮৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

264200
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
দিশারি লিখেছেন : ভালো লাগলো
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
207705
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : অসংখ্যা ধন্যবাদ।
264203
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
মামুন লিখেছেন : ভালো লেগেছে। যদিও মক্কা বিজয়ের ঘটনাগুলো বহু বার পড়েছি, তারপরও সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের জীবনকাহিনী বলে কথা। অনেক ধন্যবাদ এই পর্বের জন্য,অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য। Rose Rose Rose Good Luck
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৪
207723
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। অনেকবার পড়েছেন এবারেরটা একটু অন্য রকম।
264240
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
207762
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
264247
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
207763
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আপনাদের ভালো লাগায় আপনাদের কাম্য।
264341
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০১
আফরা লিখেছেন : নতুন অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File