বীরের জাতির কি লজ্জা নেই?
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:২৬:৫৩ সন্ধ্যা
আমেরিকা হচ্ছে বীরের জাতি। তারা কাউকে ভয় পায় না। আমেরিকার সামনে কেউ লাফালাফি করুক সেটা সে চায় না, এক থাপ্পড়ে কল্লা উড়াইয়া দেয়। সেটার বাস্তব প্রমান ইরাক , আফগানিস্থানসহ আরো অনেক দেশ। সোমালিয়াতে আল শাবাবকে ধ্বংস করার জণ্য ড্রোন হামলা, ইয়েমেনে জঙ্গী দমনে ড্রোন হামলা, পাকিস্তােন তালেবান দমনে ড্রোন হামলা, যেখানে ইচ্ছা সেখানে আক্রমন পরিচালনা করছে এই বীরের দেশটি। চীনকে প্রতিহত করার জন্য জাপানের ওয়াকিনাওয়া দ্বীপে সেনা ঘঁাটি, উত্তর কোরিয়ার বীপরীতে দক্ষিন কোরিয়ায় ঘাটিঁ, রাশিয়াকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনে ঘাটিঁ, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রন করতে আরব দালাল দেশগুলোতে সহ ইযরাইলের ঘাটিঁ। বীরদর্পে যেখানে ইচ্ছা সেখানে আক্রমন করে যাচ্ছে এই বীরের দেশটি। কিন্তু....
কাজের বেলায় মুলা। রাশিয়াকে প্রতিহত করার জন্য বহু বছর ধরে ইউক্রেনে সামরিক শক্তি মজুদ করেছে আর এখন আমেরিকার চোখের সামনে ইউক্রেনের এলাকাগুলো রুশপন্থিরা দখল করছে, অথচ আমেরিকা অকসহায়ের মত অর্থনৈতিক নিশেধাজ্ঞার নামে গা বাচানোর চেষ্টা করছে। এই কাজগুলো যদি কোন মুসলিম দেশ করতো তাহলে সামরিক ভেড়াদের নিদের্শ দিতো আক্রমন পরিচালান জন্য। জুররী বৈঠক ডাকাহাকা করতো কি করা যায় বিষয়ে। রাশিয়ার বিষয়ে ঠিক উল্টোটা দেখছি। আমেরিকা প্রথম থেকে তর্জন গর্জন করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। গর্জনটা ছিল এরকম-
ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না
ইউক্রেনের উপর কোন সামরিক হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না
আমেরিকা রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি সামরিক দিক দিয়ে উন্নত
প্রয়োজনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিবে আমেরিকা
আরো অনেক ফাঁকা গর্জন যখন কাজে আসল না তখন বলল রাশিয়াকে কঠোর নিশেধাজ্ঞা বহন করতে হবে-
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ন্যাটোর ভেড়াদের সামরিক মহড়া।
ইউক্রেনে কানাডার সামরিক সরজ্ঞামের প্রথম চালান।
আরো অমুক অমুক দেশের সৈন্যগণ রাশিয়ার চারপাশের দেশগুলোতে আগমন
রাশিয়াকে চাপ সৃষ্টির জন্য জরুরী বাহিনী গঠনসহ অনেক কিছু করেছে রাশিয়ার বিরোধীজাট কিন্তু লাভ-০০০০০
সর্বশেষ যখন রাশিয়া সব কিছু অপেক্ষা করে ৩০০ গাড়ি বহরের একটি চালান ইউক্রেনে রুশপন্থি বিদ্রোদের উদ্দ্যেশে পাঠালো ইউক্রেন বলল এ বহর ইউক্রেনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে বলল, শর্ত সাপেক্ষে ঢুকতে দেওয়া হবে। ইউক্রেন তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে, কি বলে? আমেরিকা কি বলবে?এটা স্পষ্ট যে রুশপন্থি গেরিলারা কোথায় পাচ্ছে এত নতুন নতুন দামী অস্ত্র? আমেরিকার সামনে এটা দিনের আলোর মত রাশিয়া সবাত্মক সাহায্য করছে তাদের। তবুও আমেরিকা না পারছে কিছু করতে না পারছে সইতে। মুখে মুখে গর্জন দিয়ে যদি কিছু কাজ হয়। শেষ পযর্ন্ত কারো হুংকার অপেক্ষা করে ত্রান বহর পৌছে গেল। যা হবার তাই হলো।
রাশিয়ার গল্প বলার উদ্দেশ্য আমার না। আমার উদ্দেশ্য ছিল বীরের জাতীর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা। এই বীরের জাতি শক্তির জোরে অনেক দেশ দখল করেছিল, কিন্তু কোন দেশই ধরে রাখতে পারেনি। যেমন - ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্থান, সোমালিয়া আরো নাম না জানা দেশ। সবগুলোতেই লাথি খেয়ে পালিয়ে এসেছে। সে তার সংগিদের ছাড়া কোন যুদ্ধেই যাচ্ছে না, হয়তবা ভয় পাচ্ছে। ৪৫ টা দেশকে সাথে নিয়ে আফগানিস্থানে আক্রমন করেছিল ১৪ বছর যুদ্ধ করে সৈন্যগণ আত্মহত্যা করে পং্গু হয়ে এখন পালাবার পথ খুজছে। ইরাক ছেড়ে তো বহু আগেই পালিয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে সর্বমোট ৬৫,০০০ হাজার সৈন্য মরেছে। শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বেচেছে। এত লজ্জাজনক পরাজয়ের পরও এত দাম্ভিকতা দেখায় কোন মুখে। এখন ছেড়ে যাওয়া ইরাকের উপর সর্বাত্মক আক্রমন করার লম্ফঝম্ফ করছে। এখন ফল কি দাড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২৬৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খেলা দেখার জন্য তৈরি থাকুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন