জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতার কবর দেয়া যাবে কি?

লিখেছেন লিখেছেন আমজনতার কথা ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ১১:২৯:০৯ সকাল

বলার অপেক্ষা রাখেনা, সমালোচনা বন্ধ করতে তথা কন্ঠরোধ করতেই করা হচ্ছে এ কালো আইন। সত্য লিখে ইতিমধ্যে সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলের ঘানি টানছেন বছরের পর বছর। বন্ধ করে দেয়া হলো ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি ও দৈনিক আমার দেশ। অতি সম্প্রতি ইনকিলাবে অভিযান চালানো হলো। অশনি সংকেত সংবাদ মাধ্যমের জন্য।

এমনিতেই বিরোধী মতের মিডিয়া নেই বললেই চলে। গুটিকয়েক যাও আছে সেগুলি নানা হুমকি ধামকিতে সত্য প্রকাশ করতে পারছে না। কিন্তু সরকার সমর্থক গোষ্ঠী এতটাই বেপরোয়া যে শতভাগ মিডিয়া ফেভার পেয়েও অপকর্ম আড়াল করা যাচ্ছে না।

ফেসবুক, ব্লগেও সত্য কথার প্রকাশ নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে ফেসবুক স্টাটাস এর কারণে কয়েকজনকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। অতি সম্প্রতিও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার কালো আইনগুলির সরকার বাকস্বাধীনতার কবর দিতে পারবে কি? মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীনচেতা। আর বাংলাদেশীরা এক্ষেত্রে এককাঠি সরেস। পাকিস্তানীরা নানা কায়দা করেও এ জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারে নি। ৭৫ সালেও চারটি পত্রিকা বাদে সব কয়টি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরিণতি কি সুখকর কিছু হয়েছিল?

বর্তমানের সংবাদকর্মীদের সাংবাদিক বলতে লজ্জা হয়। এত বড় কালো আইন হচ্ছে অথচ সংঘটিত কোনো আন্দোলন দেখা যাচ্ছে না। কারণ খুব সহজ। এরা সব দলকানা, বাকশালের সমর্থক। প্রতিবাদীরা জেলের ঘানি টানছেন। এ দলকানা দের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, এরা নিশ্চিত ধর্ষণকে উপভোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আনন্দের সাথে। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সরকারকে ধিক্কার জানানোর পূর্বে এসব নপুংসক পরজীবি সাংবাদিক শ্রেণীকে ধিক্কার জানিয়ে গেলাম।

বিষয়: বিবিধ

১২২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File