মুদ্রার একপিঠই দেখছেন। ওপিঠ কি খুব বেশী দূরে?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যকথা ১৫ মার্চ, ২০১৫, ০৫:২০:২৮ বিকাল
এক,
সালাউদ্দিন নিজে নিজেই লুকিয়ে থেকে সরকারকে মিথ্যা ব্লেইম করছে। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে জড়িয়ে দিশেহারা হয়ে নিজের জান বাঁচাতে এবং একই সাথে সরকারের ইমেইজকে বিশ্বদরবারে ক্ষুন্ন করতে সালাউদ্দিন নিজের সাথেই এক অদ্ভুদ খেলায় মেতে উঠেছেন। জাতিসংঘ, কূটনৈতিকদের সালাউদ্দিন গংরা বুঝাতে চাইছেন সরকার যে কাউকে গুম করতে দ্বিধা করছে না। কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বলা বাহুল্য সালাউদ্দিনের গ্রেফতারে জাতিসংঘ ও কূটনৈতিকদের উদ্বেগ প্রকাশ প্রমাণ করে সালাউদ্দিনদের ধান্দা সফল হয়েছে।
দুই,
এ ধরনের আরো পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত গুমের ঘটনায় কিছু চাপে পড়ে সরকার পদত্যাগ করলো। বিএনপি অথবা এর সহায়ক শক্তি ক্ষমতায় আসলো। সালাউদ্দিন স্বেচ্ছাগুম থেকে গুলশান অফিসের মিডিয়া রুমে বসে হাসিমুখে সাংবাদিকদের বললো আমিও খেলেছিলাম। ঠিক গোল্ডস্মিথ সিনেমার স্টুয়ার্ড ভানের মত।
তিন,
উপরের দুটি ঘটনা আমার কল্পকাহিনী। ফ্যাসিবাদের ভুত আন্দোলন করে তাড়াতে না পেরে সালাউদ্দিন ভাইরা যদি এমনটি করতেন, তবুও কিছু একটা তো হতো ! আমি জানি , সালাউদ্দিন ভাই চেহারায় ও বিবৃতিতে যথেষ্ট স্মার্ট হলেও গোল্ডস্মিথ সিনেমার স্টুয়ার্ড ভানের মত দক্ষ অভিনেতা এখনো হতে পারেন নি। বাংলাদেশের পেক্ষাগৃহে এখোন একজন দক্ষ অভিনেত্রীর অভিনয়ে পার্শ চরিত্রগুলো ক্রমান্বইয়ে ম্রিয়মান হয়ে যাচ্ছে। দক্ষ অভিনেত্রী তার প্রয়োজনে হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নায়ককে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। ]
চার,
এখন সিনেমা থেকে বাস্তবতায় আসুন। সিনেমা হলে তো নায়ক সালাউদ্দিন সবাইকে মেরে মুক্ত হয়ে এসে গুলশানের অফিসে বসে স্মার্টলি বলতেন......... খেলা খতম। সিনেমা নয় বলেই সালাউদ্দিন ভাই আসতে পারছেন না। হয় তো মারাও যাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সালাউদ্দিন সাহেব না কি বস্তার আবর্জনার সাথে পাচার হয়ে গেছেন। তাহলে কোথায় গেছেন সেটিও ওনি জানেন। হায় আফসোস !! বাংলাদেশে আমরা না কি এক বিশ্বনেতার শাষনামলে বসবাস করছি।
পাঁচ,
আচ্ছা, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব পদ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন পদের সমানুপাতিক না ? হুম। যুগ্ন মহাসচিব সালাউদ্দিনের বদলে যুগ্ন সাধারন সুম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নাম আপাতত মুখস্থ রাখুন। সাংগঠনিক সম্মাদক ইলিয়াস আলীর বদলে বটতলার কাউকে কল্পনা করুন। মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জায়গায় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক ভাবুন।
ছয়,
এবার ভাবুন কোন দৈব শক্তিতে বিএনপি জোট ক্ষমতায় এলো। আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না। আপনিই ভাবুন।
সাত,
না............ না...............না। এ হতে পারে না। একটি সভ্য, গনতান্ত্রিক দেশে বেগম জিয়া আর তারেক জিয়ার অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট আওয়ামী লীগের বিপ্লবী যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ গুম করতে পারেন না। ড. মাহমুদ হাসান, কামরুল ইসলামের মত ভদ্রলোক চার বছর ধরে নিখোজ থাকবে এটা হতে পারে না। সৈয়দ নজরুলের যোগ্য সন্তান সৈয়দ আশরাফের পায়ে ডান্ডাবেরী পড়িয়ে আদালতে আনা শিষ্টাচারের পরিপন্থি আচরন। গনত্নতের মানষকণ্যা বঙ্গবন্ধু কণ্যাকে ধানমন্ডির অফিসে এভাবে আটকিয়ে রাখা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।
পুনশঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারকে আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন-একবার ভেবে দেখবেন কি? মুদ্রার একপিঠই দেখছেন। ওপিঠ কি খুব বেশী দূরে?
বিষয়: রাজনীতি
১০৫৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"ইলিয়াস আলী লুকিয়ে আছে"
এমন কথা বলা হয়েছিল
"সালাহউদ্দীন গেছে ইলিয়াসকে খুঁজতে"-
এ কথা যথেষ্ট তাতপর্যপূর্ণ-
গৃহপালিত এটর্ণী জেনারেলের বানী-
"সালাহউদ্দীনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি"
হয়তো কথাটি সত্য
>
>
হয়তো সালাহউদ্দীন আর কখনো ই ফিরবেন না
[আল্লাহ যেন তা না করেন]
মন্তব্য করতে লগইন করুন